শনিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০২১

শীতে ত্বকের যত্ন

  • শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে ফেটে যায়। শুষ্ক ও রুক্ষ হওয়া থেকে ত্বক বাঁচাতে নিয়মিত তেল ব্যবহার জরুরি। ময়েশ্চারাইজারের সঙ্গে ১ অথবা ২ ফোঁটা আমন্ড অয়েল মিশিয়ে নিন। অ্যাভোকাডো অয়েল মেশালেও উপকার পাবেন। তেলমিশ্রিত ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন গোসলের পর পরই।
  •  
  • ফেসওয়াশ অথবা বডিওয়াশের সঙ্গে সামান্য মোটা দানার চিনি মিশিয়ে নিন। হালকা হাঁটে কয়েক মিনিট ঘষে নিন ত্বকে। এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করবে। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে সামান্য নারকেল তেল ঘষুন ত্বকে। ত্বক নরম ও কোমল থাকবে পুরো শীতকাল জুড়েই।
  •  
  • টক দইয়ের সঙ্গে ওটমিল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। চক্রাকারে পেস্টটি ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মরা চামড়া দূর করে ত্বক নরম করবে।  
  •  
  • শীতে ত্বক ও চুলের যত্নে অ্যালোভেরা ব্যবহার করতে পারেন। অ্যালোভেরা জেল সরাসরি চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। ত্বকেও সরাসরি ব্যবহার করতে পারেন এই জেল। এটি ত্বক নরম রাখবে।
  •  
  • চুলের রুক্ষতা দূর করতে নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তোয়ালে গরম পানিতে ডুবিয়ে নিংড়ে চুল ঢেকে রাখুন ১৫ মিনিট। কিছুক্ষণ পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • ঠোঁট ফাটা রোধ করতে সুইট আমন্ড অয়েল ব্যবহার করেত পারেন ঠোঁটে। রাতে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
  •  
  • হাত ও পায়ের যত্নে ব্যবহার করুন লেবু। লেবু অর্ধেক করে কেটে বেকিং সোডা মিশিয়ে হাত ও পায়ের ত্বকে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। রাতে ঘুমানোর আগে নারকেল তেল ম্যাসাজ করুন হাত-পায়ের ত্বকে।
  •  
  • পায়ের গোড়ালি ফেটে গেলে গরম পানি ও শ্যাম্পুর মিশ্রণে পা ডুবিয়ে রেখে পিউমিস স্টোন দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। পা মুছে গ্লিসারিন ব্যবহার করুন। রাতে মোজা পরে ঘুমাবেন।

মঙ্গলবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২১

সিজারের পর পুরনো বডি শেপ ফিরে পাওয়ার উপায়

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান

বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ানো শুধু বাচ্চার জন্যই উপকারী না, এটা মায়ের জন্যও অনেক উপকারী। যেসকল মায়েরা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের ওজন অন্য মায়েদের তুলনায় অপেক্ষাকৃত দ্রুত ঝরে যায়। কারণ বুকের দুধের মাধ্যমে বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পুষ্টি দিতে গিয়ে মায়ের শরীর থেকে অনেক বেশী ক্যালরি ক্ষয় হয়। যার ফলে ওজন ঝরে যেতে শুরু করে। এজন্য শুধু জন্মের প্রথম ছয় মাসই নয়, বরং এরপরও বাচ্চাকে অন্তত এক বছর পর্যন্ত নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানো উচিত।

নিয়মিত হাটা শুরু করুন

সিজারের পর ওজন কমানোর জন্য হাটা হচ্ছে সবথেকে ভালো উপায়। নিয়মিত হাটা শুধু ক্যালরি বার্ন করে না, অপারেশনের পর শরীরের অ্যানার্জি লেভেল বাড়াতেও সাহায্য করে। যে সকল মায়েরা সিজার অপারেশনের মধ্য দিয়ে যান তাদেরকে সাধারণত অপারেশনের পরদিন থেকেই অল্প অল্প করে হাটা শুরু করতে বলা হয়। কারণ হাটলে সেলাই দ্রুত শুকায়, রক্ত জমে না এবং ব্যাথা প্রশমন ত্বরান্বিত হয়। তবে প্রথম ছয় থেকে আট সপ্তাহ খুব আস্তে আস্তে হাটতে হবে। এরপর ধীরে ধীরে হাটার গতি এবং সময় বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্যকর খাবার খান

সিজারের মত মেজর অপারেশন থেকে রিকভারীর জন্য সঠিক পরিমাণে পুষ্টিকর খাবার খুবই দরকারী। বিশেষত যারা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান তাদের জন্য অতিরিক্ত খাবার অতি জরুরী। কারণ বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ালে প্রতিদিন প্রায় ৫০০ ক্যালরি বার্ন হয়ে যায়। এই বাড়তি ক্যালরির ঘাটতি বাড়তি খাবারের মাধ্যমে পুরণ করা উচিত। তবে এই খাবারটি হতে হবে স্বাস্থ্যসম্মত।
একজন মায়ের সকালটি শুরু হওয়া উচিত একটি স্বাস্থ্যকর নাস্তা দিয়ে যা তাকে সারাদিনের জন্য অ্যানার্জি দেবে। এরপর সারাদিনে ৫ থেকে ৬ বার অল্প অল্প করে পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। খেয়াল রাখতে হবে যাতে মায়ের খাবারে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেলস অথচ অল্প পরিমাণে ক্যালরি থাকে। আর প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে।

 ভাজাভুজি ও অস্বাস্থ্যকর খাবার এড়িয়ে চলুন

সকল নতুন মায়েদেরই একটু আধটু মিষ্টি বা ভাজাভুজি খাওয়ার অধিকার আছে। তাই বলে ক্ষিদে লাগলেই চিপস বা কেক নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লে কখনোই পুরনো ওজন ফিরে পাওয়া সম্ভব না। এজন্য ডুবো তেলে ভাজা খাবার, আইসক্রীম, সফট ড্রিঙ্কস এসব যত এড়িয়ে চলা যায় ততই ভালো। এসব খাবারের বদলে তাজা ফল বা সবজি নাস্তা হিসেবে খেলে মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যই ভালো ফল বয়ে আনবে।

সোমবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২১

ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে বিভিন্ন উপটান

(১) ফেস ওয়াশে উপটানঃ

মুখ পরিষ্কারের সময় ব্যবহার করুন বেসন, যা প্রাকৃতিক ক্লীনজার। পুরো রেসিপিটি হচ্ছে, ১ টেবিল চামচ বেসন, ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া ও গোলাপ জল বা কাঁচা দুধ দিয়ে মিশিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে গোলাপ জল আর শুষ্ক ত্বক হলে কাঁচা দুধ ব্যবহার করবেন।

(২) স্ক্রাব হিসেবে উপটান

উপটানের বহুবিধ ব্যবহারের মধ্যে স্ক্রাবিংও একটি। প্রাকৃতিক এক্সফ্লোয়েটর আপনার নাজুক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী, এটি ত্বকের উপরিভাগের মরা চামড়া সরিয়ে নতুন কোষ আসার সুযোগ করিয়ে দেয় তাও আবার আলতো ভাবে। উপটান স্ক্রাব বানাতে লাগবে,
  • ১ টেবিল চামচ লাল আটা
  • ১ চা চামচ আতপ চালের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ চা চামচ চন্দন গুড়া
  • ১ চা চামচ নিম পাতার পেস্ট
  • ১ চিমটি হলুদের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ টকদই
  • শশার রস (যতটুকু দিলে স্মুথ পেস্ট হবে)
এবার সব উপকরণ মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ৫ মিনিট মাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন।

(৩) ময়েশ্চারাইজিং এ উপটান

ত্বককে ফর্সা করার পাশাপাশি এ উপটান ত্বককে আর্দ্রতাও প্রদান করে। ৫-৬ টা আমন্ড বা কাঠ বাদাম সারা রাত ননীযুক্ত দুধে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে এগুলো বেটে বা পিষে নিন। তারপর এর সাথে টকদই, গাঁদা ফুলের পেস্ট ও মধু মিশিয়ে মুখের ত্বকে লাগিয়ে রাখুন কমপক্ষে ১৫ মিনিটের মত। কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। কোমল আর ফর্সা ত্বক অনুভব করবেন সাথে সাথেই।

(৪) ফেসিয়াল উপটান

ফেসিয়ালের সময় বা সপ্তাহে এক দিন এ উপটান ব্যবহারে ত্বকের ট্যান দূর হবে অনেক টাই, আর যাদের ট্যান বা এ ধরনের সমস্যা নেই তারা খেয়াল করলে দেখবেন প্যাকটি ব্যবহারের পর আপনার ত্বকের ফর্সা ভাব। এ প্যাকটি তৈরি করতে লাগবে-
  • ২ টেবিল চামচ বেসন
  • ১ টেবিল চামচ গমের আটা
  • ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়া
  • ১ টেবিল চামচ চন্দন/মুলতানি মাটি/তুলসি গুঁড়া
  • ১ চা চামচ করে লেবু, শশা ও গোল আলুর রস
  • ২ টেবিল চামচ টকদই
  • ১ টেবিল চামচ মধু
সব গুলো উপাদান (পরিমাণমত) একটি বাটিতে নিয়ে ২-৩ মিনিট ধরে ভালো করে মেশান। তারপর মুখে মেখে ২০-২৫ মিনিট বা শুকাতে যতক্ষণ লাগে ততক্ষণ রাখুন। এরপর প্রথমে কুসুম গরম ও পরে ঠান্ডা পানির ঝাপটা দিয়ে ধুয়ে নিন। সারাদিনের বিউটি রুটিনে আনুন একটু পরিবর্তন; এ ছোট্ট পরিবর্তন-কেমিক্যাল এর পরিবর্তে ঘরোয়া রূপ সামগ্রীর ব্যবহার আপনার ত্বকে এনে দেবে ন্যাচারাল গ্লো; যা হবে দীর্ঘস্থায়ী এবং পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া মুক্ত।

শনিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২১

গোড়ালি ফাটা রোধে কার্যকরী উপায়

– প্রথমত পা সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে। ধুলাবালি পায়ের সবচেয়ে বড় শত্রু। তাই কাজ শেষে ঘরে ফিরে সামান্য স্ক্রাব বা ঘষে পা ধুয়ে নিন। পায়ে ক্ষারযুক্ত সাবান ব্যবহার থেকেও বিরত থাকতে হবে। পা ধোয়ার পর পা ভেজা থাকা অবস্থায় মুছে ক্রিম বা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে ভোলা যাবে না।

– সকালে বিছানা থেকে নামার আগেই পায়ের গোড়ালিতে একটু পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ম্যাসাজ করে নিতে পারেন। নিয়মিত করতে পারলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। কারণ পা ফাটার শুরু হয় এসময় থেকেই। তাই ব্যবস্থা শুরুতেই নিলে খুব বেশি ভয় থাকে না।

– গোসলের আগে পায়ে তেল ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে ত্বক নরম থাকবে। তিল তেল বা যেকোনো ভেজিটেবল অয়েল পায়ের জন্য খুবই উপকারী। সারা বছর পায়ের ত্বক নরম রাখতে তিল তেল ভালো। ম্যাসাজের আগে সম্ভব হলে তেল অল্প গরম করে নিন।

– সপ্তাহে এক দিন পায়ের বিশেষ যত্ন নিতে পারেন। সেজন্য রাতে শোবার আগে উষ্ণ গরম পানিতে লবণ, শ্যাম্পু মিশিয়ে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখতে হবে। গরম পানির স্পর্শে গোড়লির মরা ত্বক নরম হলে স্ক্রাবার বা পা ঘষার পাথর দিয়ে গোড়ালি ঘষে পরিষ্কার করতে হবে। এতে মরা ত্বক ঝরে পড়বে, ফাটাও দূর হবে।

– পায়ের যেকোনো পরিচর্যায় কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন। এতে ত্বক কোমল হয়। অপরদিকে ঠাণ্ডা পানি ত্বককে আরও শক্ত করে ফেলে। বাইরে থেকে ফিরে সামান্য গরম পানিতে পা ধুয়ে নিয়ে আলতো করে ময়েশ্চারাইজার ও গ্লিসারিন মালিশ করে নিলেও উপকার পাবেন।

– পায়ের ত্বকের কোমলতার জন্য ময়দা, হলুদের গুঁড়া, লেবুর রস ও টক দই একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক হিসেবে লাগালে উপকার পাবেন।

– পায়ে মুলতানি মাটি, শসার রস, কমলার রস ও টকদই একসঙ্গে মিশিয়ে পায়ে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।

– নিয়মিত পরার জুতাটি শক্ত হলেও পা ফাটতে পারে। এ জন্য সব সময় পায়ের পক্ষে আরামদায়ক জুতা পরার চেষ্টা করুন। শীতে পায়ের গোড়ালি ঢাকা জুতা পরাই ভালো।

– যারা বাইরে নিয়মিত বের হন ও বেশি হাঁটাহাঁটি করেন তারা মোজাসহ পা-বন্ধ জুতা পরতে পারেন। তবে খেয়াল রাখতে হবে, পা যেন না ঘামে। প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরুন।

– পায়ে ঘাম ও ধুলোময়লা জমে অনেকেরই ছত্রাক সংক্রমণের সমস্যা দেখা যায়। এতে অতিরিক্ত পা ফাটার প্রবণতাও থাকে। সে ক্ষেত্রে জটিলতা বেশি হলে বা সংক্রমণ হয়েছে মনে হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারেন।

শুক্রবার, ২২ অক্টোবর, ২০২১

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ফেসপ্যাক

(১) কাঁচা দুধ, বেসন ও মুলতানি মাটির প্যাক

এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারূণ কাজ করে। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ত্বকের রঙ হালকা করে। বেসন ও মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করে।
একটা পাত্রে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের গভীর থেকে ময়লা উঠে আসবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

(২) কাঁচা দুধ ও কলার প্যাক

এই প্যাকটির জন্য লাগবে অর্ধেক পাঁকা কলা ও পরিমাণ মত (প্রায় ২ চা চামচ) কাঁচা দুধ। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

(৩) কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধুর প্যাক

এই প্যাকটি মূলত বয়স্ক ত্বকের জন্য। যাদের ত্বকে হালকা রিংকেল পড়ে গেছে তারা এই প্যাকটি থেকে অনেক উপকার পাবেন। দুই টুকরা পাঁকা পেঁপে খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ ও ১ চা চামচ মধু। এটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

(৪) কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসের প্যাক

কাঁচা দুধ মধু ও লেবুর রসের সাথে মিশালে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা কেমিকেল ব্লিচের মত কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। দুই চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

(৫) শুধুই কাঁচা দুধ

আর এত কিছু যদি আপনার জন্য কষ্টকর মনে হয় তবে আপনার জন্য অতি সহজ একটা রূপচর্চার উপায় বলে দিচ্ছি। শুধু কাঁচা দুধ হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন এই শুধু কাজটিও করতে পারেন, তাহলেও আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

মঙ্গলবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২১

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

তবে শীতকালে স্কিন কেয়ারটা  একটু  আলাদা হয়ে থাকে। তাই স্ক্রাবিং করতে হলে, স্ক্রাবগুলো হতে হবে শীতকালের উপযোগ। এছাড়াও ফেস, বডি,  হাত পায়ের জন্য দরকার  আলাদা আলাদা স্ক্রাব।
তো চলুন জেনে নিই, কীভাবে ঘরে বসেই বানাবেন শীতকালের জন্য উপযোগী  (A to Z) স্ক্রাব।
কীভাবে স্ক্রাব করবেন? প্রথমে মুখ পরিষ্কার করে নিন ফেসওয়াসের সাহায্যে। এবার স্ক্রাব নিয়ে স্কিনে সার্কুলার মোশনে ম্যাসাজ করতে থাকুন। সবসময় ঘড়ির কাটার উলটো দিকে ম্যাসাজ করবেন। ৩-৪ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। স্ক্রাবিং করার পর স্কিনে অবশ্যই ভালো কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিবেন।
জেনে নিলেন তো স্কিনে কী উপায়ে ম্যাসাজ করতে হয়। এবার একে একে মুখ থেকে শুরু করে হাত-পায়ের জন্য পারফেক্ট স্ক্রাবার তৈরি উপায় জানব।

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

শুক্রবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২১

নখ পরিচর্যার ৮টি সহজ টিপস্‌

১/নখ সবসময় পরিষ্কার ও শুকনো রাখবেন। নখ ভেজা থাকলে নখের ভেতর ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাশ জন্মাতে পারে। এ থেকে ইনফেকশন হওয়ার আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

২/বাড়িতেই নিয়মিত মেনিকিউর করে নিতে পারেন। মেনিকিউর ক্লিপার বা কাটার দিয়ে নিয়মিত নখ কেটে নেইল ফাইলার দিয়ে শেপ করে নিন। নখ কাটার আগে ঈষদুষ্ণ পানিতে নখ কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রাখুন। ভেজা নখ নরম থাকে, ফলে কাটতেও সুবিধা হয় এবং নখের কোনো ক্ষতিও হয় না।

৩/অনেক সময় বিভিন্ন কারণে নখ ভেঙে যায়। কোনো কারণে নখ ভেঙে গেলে কখনই টেনে ছিঁড়বেন না। টেনে ছিঁড়লে ব্যথা তো লাগবেই, সেই সঙ্গে নখের শেপও নষ্ট হয়ে যাবে। ভাঙা নখ সাবধানে নেইল কাটার দিয়ে কেটে ফেলতে হবে।

৪/সবসময় নেইলপলিশ ব্যবহার না করাই ভালো। এতে নখের স্বভাবিক রং নষ্ট হয়ে যায়। দু-সপ্তাহ অন্তর নেইল পলিশ ফেলে কয়েকদিন নখ এমনই রেখে দিন। এতে নখে আলো-হাওয়া লাগে, যা নখ ভালো রাখতে সাহায্য করে।

৫/দাঁত দিয়ে নখ কাটা অথবা নখের চারপাশের চামড়া কাটার বদ অভ্যাস যত তাড়াতাড়ি ছাড়তে পারবেন ততই ভালো।

৬/প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পেট্রোলিয়াম জেলি অথবা ময়েশ্চারাইজার দিয়ে নখ ম্যাসাজ করা ভালো।

৭/নেইল পলিশ রিমুভার যতটা সম্ভব কম ব্যবহার করুন। বেশি রিমুভার ব্যবহার করলে নখের ন্যাচারাল ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে যায় এবং নখ শুষ্ক হয়ে যায়। সপ্তাহে একবারের বেশি রিমুভার ব্যবহার না করাই ভালো।

৮/সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজিং হ্যান্ড ক্রিম অথবা লোশন লাগিয়ে নেবেন। সাবান হাতের ত্বকের পাশাপাশি নখের ময়েশ্চারও নষ্ট করে দেয়।

বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১

জেনে নিন ফলের খোসা ত্বকের কি উপকার করে

কমলার খোসা
কমলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি ও এ আছে, যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন-সি ত্বককে উজ্জ্বল করে, অন্যদিকে ভিটামিন-এ ত্বকের বলিরেখা ও কালো দাগ দূর করে। কমলার খোসা ব্রণও দূর করে সহজে।
কলার খোসা
কলার খোসা ত্বকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করে। এটি ত্বকের ক্লান্তি ভাব দূর করে এবং সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে।
বেদানার খোসা
বেদানার খোসায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকার কারণে এটি ত্বকের বলিরেখা দূর করতে কার্যকর। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ে না।
আলুর খোসা
আলু যদিও ফল নয়, সবজি। এর খোসাও ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে উজ্জ্বল করে, ত্বকের কালচে ভাব দূর করে এবং চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।
লেবুর খোসা
লেবুর খোসা ত্বকে ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করে এবং জ্বালাপোড়া কমাতে সাহায্য করে। এর সাইট্রিক এসিড ত্বককে উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করে।
আপেলের খোসা
আপেলের খোসাতে পলিফেনল থাকে, যা ত্বকের মরা কোষ দূর করে এবং নতুন কোষ জন্মাতে সাহায্য করে।
পেঁপের খোসা
পেঁপের খোসায় আলফা হাইড্রোক্সি থাকে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের কালো দাগ দূর করে এবং মরা কোষ দূর করে অনেক দ্রুত।

শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।

একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।

– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।