বুধবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ৯টি ভেষজ টিপস

লবণ :

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনার চিকিত্‍সাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। জেনে নিন লবণ দিয়ে ঘরোয়া কিছু চিকিত্‍সার কথা –
  • ১)রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগেছে? আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ২)মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। কাঁটা বেঁধা জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
  • ৩)অল্প দাঁতব্যথা হলে রাতে ঘুমোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করুন। তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না, এমনকি পানিও নয়। পরপর তিনদিন করবেন এভাবে। দেখবেন, দাঁতব্যথা দূর হয়ে গেছে। গলাব্যথাতেও লবণ-পানি সমান উপকারী। উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন, আরাম পাবেন।

আলু :

আলু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। আলু ভর্তা থেকে শুরু করে ভাজি, আলুর ডাল, ঝোল তরকারি সবই উপাদেয়। এই আলুও কিন্তু উপকারে আসতে পারে ঘরোয়া চিকিত্‍সার কাজে।
  • ৪)গরম পানি, তরকারি, ভাতের মাড়, ডাল শরীরের কোনো জায়গায় পড়লে প্রথমে সেখানটা ঠান্ডা পানির ধারার নিচে (রানিং ওয়াটার) ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর কাঁচা আলু থেঁতো করে নিয়ে পুরু করে লাগান। এতে জ্বলুনি কমবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ৫)চুলপড়া রোধ করতে, নতুন চুল গজাতে এবং খুশকি দূর করতে কাঁচা আলু সহায়তা করে। কাঁচা আলু থেঁতো করে তার রস চুলের গোড়ায় লাগান সপ্তাহে ২-৩ বার। এর নিয়মিত ব্যবহার চুলপড়া কমে যাবে ও নতুন চুল গজাবে। চুল থাকবে খুশকিমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
  • ৬)চোখের ক্লান্তি দূর করতে কাঁচা আলুর তুলনা নেই। আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে। কাঁচা আলু থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর রাখুন ১০-১২ মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ও চোখের ক্লান্তি দূর হবে।
  • ৭)ত্বকের সমস্যা দূর করতেও আলুর তুলনা নেই। বিশেষ করে খোসপাঁচড়া ও মেচতা। আলুর রস করে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় তুলো দিয়ে প্রতিদিন লাগান। খুব দ্রুত ফল পাবেন।

রসুন :

রসুন রান্নায় ব্যবহৃত অন্যমত মসলাগুলোর মধ্যে একটি। রসুনের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। কিছু সমস্যা দূরীকরণে রসুনের আছে অতুলনীয় ভূমিকা।
  • ৮)অনেক সময় তেলাপোকা বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও মাথার এবং ভ্রূ’র চুল খেয়ে ফেলে। পরে ওই জায়গাটা তেলতেলে হয় এবং চুল গজায় না বলে বিশ্রী দেখায়। আক্রান্ত স্থানে রসুন বেটে পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে পরপর ১০-১২ দিন লাগান। আবার নতুন চুল গজাবে।

আদাঃ

আদা আরেকটি অনন্য উপাদান প্রকৃতির। এর আছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা।
  • ৯)অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে অনেক সময় গা গোলায় ও বমিভাব হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। দ্রুত আরাম পাবেন। গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি হলে বা হজমে গন্ডগোল দেখা দিলে অল্প একটু আদা থেঁতো ও লবণ এক কাপ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খান।

সোমবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চুলের যত্নে উপকারী তিনটি প্যাক


চুলের যত্নে সবচেয়ে বেশি নির্ভর করা হয় নারিকেল তেলের ওপর। চুলের হারিয়ে যাওয়া স্বাস্থ্যকে ফেরাতে নারিকেল তেলের কোনো বিকল্প নেই। আর এর সঙ্গে যদি মেশানো যায় আরও কোনো উপকারী উপাদান, তাহলে তো কথাই নেই! আজ জেনে নেবো তেমনই তিনটি প্যাকের কথা।

নারিকেল তেল ও আমলকির প্যাক: তিন টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও এক টেবিল চামচ শুকনো আমলকি একটি পাত্রে মিশিয়ে নিন। তারপর অল্প আঁচে মিশ্রণটিকে গরম করুন। এরপর সারারাত সেটা স্ক্যাল্পে ভালো করে সেটা লাগিয়ে রাখুন। পরদিন শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে তিনবার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

নারকেল তেল ও ভিটামিন ই-র প্যাক: দুই টেবিল চামচ নারিকেল তেল ও তিনটি ভিটামিন ই-ক্যাপসুল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ভিটামিন-ই নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মিশ্রণটিকে গরম করুন।এরপর সারারাত এটি স্ক্যাল্পে ভালো করে সেটা লাগিয়ে রাখুন। পরের দিন শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

 নারিকেল তেল ও ডিমের প্যাক: নারিকেল তেলের সঙ্গে ডিমের কুসুম মিশিয়ে নিন। এরপর সেটা স্ক্যাল্পে লাগিয়ে সারারাত রেখে দিন। ঘুমাতে যাওয়ার আগে মাথায় তোয়ালে জাতীয় কিছু দিয়ে শুতে যান। পরদিন শ্যাম্পু করে নিন। চুলের রুক্ষতা দূর করতে এই প্যাকটি খুবই উপকারী। সপ্তাহে দু’বার এই প্যাকটি ব্যবহার করতে পারেন।

শুক্রবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

রূপচর্চায় আলুর ব্যবহার






১. চোখের নিচের ডার্ক সার্কেল দূর করতে হলে আলু কেটে সেখানে লাগিয়ে রাখুন।

২. চোখের ফোলা ভাব দূর করতে হলে আলু চাকতি করে কেটে চোখের ওপর দিয়ে রাখুন। বেশ আরামও পাবেন চোখে।

৩. লেবু রস ও আলু ছেঁচে তার রস মিশিয়ে মুখের লাগান। কালো দাগ black spot দূর হয়ে যাবে।

৪. আলুর রস পুরো মুখে লাগান। ব্রন pimple নিরাময়ে ভালো কাজ দেবে।

৫. মাঝারি সাইজের আস্ত একটি আলু ছেঁচে তাতে একটি লেবুর রস Lemon juice মিশিয়ে মুখে লাগান। ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষগুলো সুস্থতা ফিরে পাবে।

৬. একটি আলু ও একটি শসা Cucumber একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। এতে এক টেবিল চামচ বেকিং সোডা ও এক টেবিল চামচ পানি মেশান। এটি একটি দারুণ ক্লিনজার হিসেবে কাজ করবে।

৭. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ লেবুর রস মেশান। তৈলাক্ত ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব দূর হবে।

৮. একটি আলু ছেঁচে তাতে এক টেবিল চামচ দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি ত্বকের বলিরেখা Skin balirekha দূর করবে।

৯. ত্বকের ওপরে হালকা জখম হলে তাতে আলু পাতলা করে কেটে লাগিয়ে রাখুন। প্রদাহ কমে যাবে। তবে বেশি ক্ষততে লাগাবেন না।

১০. একটি ডিমের সাদা অংশ এবং আলু ছেঁচে তার রস নিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। একটি ব্রাশ দিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাস্কের কাজ করে।

১১. আলু potato ছেঁচে তার রসে একটি টিস্যু বা পেপার টাওয়েল ভিজিয়ে নিয়ে ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এটি একটি উপকারী আলুর ফেস মাস্ক।

১২. আলুর রসের সঙ্গে দুই টেবিল চামচ অলিভ ওয়েল এবং এক টেবিল চামচ মধু honey মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ১৫ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ময়েশ্চারের অভাব দূর হবে।

১৩. অতিবেগুনী রশ্মিতে ত্বক পুড়ে গেলে আলুর স্লাইস দারুণ কাজে দেয়।

১৪. হালকা চুলকানি, লালচে ভাব হওয়া এবং পোকা-মাকড়ের কামড়ে আলু কেটে লাগালে যন্ত্রণা প্রশমিত হবে।

১৫. রুক্ষ ও শুষ্ক চুলে dry hair আলু ছেঁচে তার রস লাগালে তা চুলের ময়েশ্চারের কাজ করে।

১৬. একটি আলু ছেঁচে তার সঙ্গে গোলাপজল মিশিয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে ১৫ মিনিট ব্যবহার করলে তেলতেলে ভাব চলে আসবে।

১৭. কয়েকটি আলু সেদ্ধ করুন। খোসা ছাড়িয়ে এক ঘণ্টা ঠাণ্ডা হতে দিন। এবার শুষ্ক চুলে এগুলো ঘষতে থাকুন। ধূসর চুলগুলো চকচকে হয়ে উঠবে।

বৃহস্পতিবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি দূর করার উপায়

 

ব্রেকফাস্ট লাঞ্চ কিংবা ডিনারে ফ্রুট সালাদ খান

যদি আমরা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ কিংবা ডিনারের প্রতিদিনের খাবারের মেন্যু পাল্টে কয়েক রকমের ফল মিলিয়ে তা দিয়ে সালাদ বানিয়ে খেতে পারি তাহলে দেখবেন আপনার শরীর হতে ৫০০ ক্যালরি ঝরে যাবে, অথচ আপনি বুঝতেই পারবেন না।

সকালের নাস্তা ও ডিম

সকারের নাস্তাঃয় আমরা প্রায় সকলেই ডিম খেতে পছন্দ করি। বলতে গেলে আমাদের সকালের নাস্তাই শুরু হয় ডিম দিয়ে। তাই সকালের নাস্তায় প্রতিদিন যারা ২টি ডিম খেয়ে থাকেন, তারা সারাদিনে অন্তত ৪০০ ক্যালরি কম খাবার খেয়ে থাকেন। এতে করেও ঝরে যায় বেশ কিছু ওজন।

কোমল পানীয় খাবেন না

কোমল পানীয় যেমন কোক বা ফলের জুস আমাদের ওজন অনেক বেশিই বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এই কোমল পানীয় খাওয়ার অভ্যাসটি আপনি চাইলে খুব সহজেই বদলাতে পারেন। এর বিকল্প হিসেবে খেতে পারেন পানীয় জাতীয় কোন ফল অথবা সবজি খেয়ে। যেমন কোমল পানীয়র বদলে খেতে পারেন শসা, লেবুর সরবত, স্ট্রবেরি, ডাবের পানি ইত্যাদি এ জাতীয় কিছু জিনিস। কারণ এগুলো একদমই ক্যালরিমুক্ত খাবার। এগুলো সহজেই খেতে পারেন আপনি।

প্রতিদিন ব্যায়াম করুন

জিমে গিয়ে ব্যায়াম করার সময় আপনার নাও থাকতে পারে। তাই প্রতিদিন আপনি বাসাতেই একটু সময় বের করে নিন। প্রতিদিন অন্তত আধাঘণ্টা ব্যায়াম করুন। এতে করে আপনার ৫০০ ক্যালরি ঝরে যাবে। তাই প্রতিদিন আধাঘণ্টা ব্যায়াম করুন ফিট থাকার জন্য।

অন্য রকম কিছু কাজ করুন

কিছু অন্য রকম কাজ আপনি করতে পারেন। যেমন দড়ি লাফ করতে পারেন ১০০ বার। আবার একটি জায়গায় দাড়িয়েই দৌড়াতে পারেন। যেমন জিমের মেসিনে দৌড়ানো হয়ে থাকে তেমনভাবে। আবার লাফানোর মতো কাজও করতে পারেন। এই কাজগুলো করলে প্রতি মিনিটে আপনি ১০ ক্যালরি ঝেড়ে ফেলতে পারবেন অনায়াসে।

বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ত্বকের যত্নে চন্দন

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

চুলের যত্নে ডিমের প্রোটিন প্যাক

ডিমের প্রোটিন প্যাকঃ

যা লাগবে –
২টা ডিম,
১/২ কাপ অলিভ অয়েল,
১/২ কাপ মধু,
১/২কাপ টকদই,
২ টেবিল চামচ  ভিনেগার (এই পরিমাণটি লম্বা চুলের জন্য ,চুল ছোট হলে সেই অনুযায়ী উপাদানের অনুপাত কমিয়ে নিবেন)

যেভাবে বানাবেন –
উপকরণগুলো খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুল আচঁরে জট ছাড়িয়ে নিন। চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত খুব ভালো করে এই প্যাকটি লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে ৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না। এই প্যাকটি সপ্তাহে একদিন করে ব্যবহার করুন। ফলাফল দেখে আপনি নিজেই চমকে যাবেন !!!

সোমবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সহজ কৌশলে পা কে করে ফেলুন তুলতুলে নরম

যা যা লাগবে
৪ টেবিল চামচ বেকিং সোডা (বেকিং পাউডার নয় কিন্তু)
৬ লিটার পানি
ফুট স্ক্রাবিং করার জন্য ঝামা বা স্ক্রাবার বা ব্রাশ
আপনার পছন্দের যে কোন ময়েসচারাইজার ক্রিম
প্লাস্টিকের প্যাকেট বা পলিথিনের মোজা

যেভাবে করবেন
-বেকিং সোডা গরম পানিতে ভালো করে গুলে নিন। একদম মিশে গেলে সেটায় আপনার পা ২৫ মিনিটের জন্য ভিজিয়ে রাখুন।
-ঝামা দিয়ে পা ভালো করে ঘষে নিন।
-তারপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে, তোয়ালে দিয়ে মুছে পায়ে ভালো করে ক্রিম মেখে নিন একটু বেশী করে।
-এবার এই ক্রিম মাখা পা প্লাস্টিকের প্যাকেটের মাঝে ঢুকিয়ে পা বেঁধে রাখুন।
-২ ঘণ্টা পর প্যাকেট খুলুন। বাড়তি ক্রিম লেগে থাকলে মুছে নিন।
-আর উপভোগ করুন বাচ্চাদের মত নরম পায়ের ত্বক!

মনে রাখবেন
-প্রথমবারেই পার্থক্য দেখতে পাবেন। পায়ের অবস্থা কতটুকু খারাপ সেটার ওপরে নির্ভর করে ৩ থেকে ৭ বার করার প্রয়োজন হতে পারে।
-একবার করার পর ৭দিন বিরতি দিয়ে আবার করবেন। সপ্তাহে একবার করাই যথেষ্ট।

শনিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

দাঁতের ক্ষয় রোধ করার ঘরোয়া উপায়





লক্ষণ সমূহ:
দাঁতে প্রচন্ড ব্যাথা হয়
কোন কিছু খাওয়া বা পান করার সময় হালকা থেকে তীব্র ব্যাথা হয়
আক্রান্ত দাঁতে গর্ত দেখা যায় এবং
দাঁতের উপরে সাদা, কালো বা বাদামী দাগ দেখা যায়।
যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা না হয় তাহলে ইনফেকশন বৃদ্ধি পেয়ে ব্যাথা ক্রমেই অসহনীয় হয়ে উঠতে পারে এবং দাঁতটি হারানোর সম্ভাবনা ও দেখা দিতে পারে। ক্যাভিটির চিকিৎসায় দাঁতে ফিলিং করা হয় ও ক্যাপ পরানো হয় এবং দাঁতের অবস্থা খুব খারাপ হলে রুট ক্যানেল করা হয়। এই সব চিকিৎসা খুব ব্যায় বহুল এবং কষ্টদায়ক।
ঘরোয়া কিছু উপায়ে দাঁতের ব্যাথা কমানো যায়। জেনে নিন সেই উপায় গুলো সম্পর্কেঃ

১। হলুদ গুঁড়ো
দাঁতের ছিদ্রের সমস্যায় হলুদ গুঁড়ো ব্যাবহার খুবই উপকারি। হলুদে ব্যাকটেরিয়া ধ্বংসকারী উপাদান আছে যা দাঁতের ব্যাকটেরিয়ার ইনফেকশন কে ধ্বংস করতে পারে এবং এর প্রদাহ রোধী উপাদান দাঁতের ব্যাথা উপশম করতে পারে। হলুদ গুঁড়া ও পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং আস্তে আস্তে ব্যাথার দাঁতে লাগান,ব্যাথা কমে যাবে।

২। পেঁয়াজ
পেঁয়াজের একটি স্লাইস আক্রান্ত দাঁতের উপরে চেপে রাখুন দাঁতের ব্যাথা কমে যাবে। নিয়মিত পেঁয়াজ খেলে দাঁত ক্ষয় এর সমস্যা কমায়। নিয়মিত পেঁয়াজ দেয়া খাবার খেলে দাঁত ক্ষয় সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়।

৩। লবণ
লবনে অ্যান্টিসেপ্টিক ও অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে, যা মুখে ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ব্যাহত করে প্রদাহ কমাতে ও ব্যাথাকে সহনীয় করতে সক্ষম। ১ গ্লাস কুসুম গরম পানিতে ১ টেবিল চামুচ লবণ মিশিয়ে মুখে নিয়ে ১ মিনিট রাখুন এবং আক্রান্ত দাঁতের প্রতি মনোযোগ দিন।
এভাবে দিনে ৩ বার করে করুন ব্যাথা কমে যায়। এছাড়াও ১ টেবিল চামুচ লবণ অল্প সরিষার তেলের সাথে অথবা লেবুর রসের সাথে মিসিয়ে পেস্ট তৈরি করে মাড়িতে ম্যাসাজ করুন কয়েক মিনিট। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে কুলি করে নিন। এভাবে দিনে ২ বার করে কয়েকদিন করুন, ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস হবে।

এছাড়াও বেকিং সোডা, অ্যালোভেরা, লবঙ্গ, রসুন, পুদিনা, আপেল সিডার ভিনেগার ইত্যাদি ব্যবহার করেও ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন ও দাঁতের ব্যাথা কমানো যায়। সকালে ও রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত পরিষ্কার করতে ফ্লস ব্যবহার করুন এবং প্রতিদিন জিহ্বা পরিষ্কার করুন।

বুধবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চুল পরা রোধ করনীয়

চুল পড়া রোধ করতে হলে অবশ্যই এর কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা করা প্রয়োজন। নিজে নিজে চিকিৎসা না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। নিচে চুল পড়া রোধের কিছু  টিপস দেওয়া হলো- 

১।ধূমপান ত্যাগ করুন।এর কারনে রক্ত চলাচল বাধাগ্রস্ত হয় , রক্ত নালিকাগুলো ক্ষতিগ্রস্থ হয় । এর কারনে চুল পড়া বেড়ে যায় এবং চুল বাদামি বর্ণ ধারন করে ।

২। অতিরিক্ত চা বা কফি পান করবেন না। চা বা কফিতে ক্যাফেইন থাকে যা সকল প্রকার চুল ও স্কিনের সমস্যার জন্য দায়ী, তাই মাত্রাতিরিক্ত চা, কফি পান করবেন না।

৩। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লাল শাক, কচুশাক খেতে হবে।

৪। ভিটামিন-ই চুল পড়া রোধে ও নতুন চুল গজানোর ক্ষেত্রে খুবই কার্যকরী, তাই প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সমৃদ্ধ ফলমূল ও শাকসবজি খান। ভিটামিন-ই চুলের ত্বকে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়িয়ে দেয় যা চুল বৃদ্ধিতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে এবং শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে এটি চুল পড়া রোধ করে।

ভিটামিন-ই এন্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে ক্ষতিকারক ফ্রি র‌্যাডিকেল অপসারণের মাধ্যমে স্কিনকে সুরক্ষিত রাখে। নাশপাতি, বাদাম ও জলপাই তেলে প্রচুর ভিটামিন-ই থাকে। অন্যদিকে ভিটামিনের সর্বোৎকৃষ্ট প্রাকৃতিক উৎস হচ্ছে গম, শিম, ফুলকপি, বাঁধাকপি, সবজি, ডিম প্রভৃতি।

৫। স্বাস্থ্যকর খাবার বা প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খান। প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার শুধু যে চুল শক্ত করে তা নয়, চুল গজাতেও সহায়তা করে। এছাড়া অতিরিক্ত চিনি ও চর্বিযুক্ত খাবারও পরিহার করুন।

৬। ওমেগা- থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে খুব কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এই উপাদানটি থাকে। তবে আমাদের দেশে এসব স্যামন, ম্যাকারেল মাছ পাওয়া যায় না। প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড তিসির তেলে পাওয়া যায়। আর এই তেল পাবেন স্থানীয় বাজারেই। মনে রাখবেন, এই তিসির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ তিসির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলেই আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। এছাড়া প্রচলিত চুল সুরক্ষার তেল ব্যবহার করার মাধ্যমেও চুলের প্রতি যত্নশীল হোন।

৭। নতুন চুল গজাতে উদ্দীপনা দেবার জন্য প্রতি সপ্তাহে চুলের ত্বক ম্যাসেজ করুন।

৮। চুলে অপ্রয়োজনীয় ঘষা-মাঝা, অতিরিক্ত আচরানো পরিহার করুন। গরম পানি, ড্রায়ার বা এমন কিছু ব্যবহার করবেন না যা চুলে অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে।

৯। চুলকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন।

১০। পর্যাপ্ত ঘুমান এবং বিশ্রাম নিন, কেননা ঘুম ও বিশ্রাম নতুন চুল গজানো ও বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সহায়তা করে।

টিপস
** চুল পড়া বন্ধ করতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল খান অথবা ই ক্যাপ নারকেল তেলের সাথে মিশিয়ে হালকা গরম করে চুলে লাগান। ক্যাস্টর অয়েল তেলের সাথে মিশিয়ে ব্যাবহার করতে পারেন।চুল পরা কমে যাবে।
**যেসব চুলের গোরা চটচটে ও উপরিভাগ রুক্ষ সেসব চুল সাধারনত মিশ্র প্রকৃতির চুল।এরকম চুলে সপ্তাহে অন্তত 3 দিন শ্যাম্পু করুন ও কন্ডিশনার ব্যাবহার করুন।শ্যাম্পুর আগে কুসুম গরম তেলে লেবুর রস মিশিয়ে হালকা মাসাজ করে নিবেন।চুল ভাল থাকবে।

মঙ্গলবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চোখের নিচের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়

কেন হয়?

ঘুম না হওয়া, কম্পিউটারের মনিটরের সামনে বসে থাকাও চোখের নিচ কালো হওয়ার একটা কারণ। এ ছাড়া নাসারন্ধ্রে সমস্যা, বংশগত সমস্যা, এলার্জি, মূত্রগ্রন্থি কিংবা রক্ত চলাচলে সমস্যা থাকার কারণেও চোখের নিচে কালো দাগ পড়ে। আবার কোনো কারণে খুব বেশি চাপে থাকা, দিনে কমপক্ষে আট ঘণ্টা না ঘুমালেও কালি পড়ে। শরীর থেকে অনেক বেশি পানি বেরিয়ে গেলে ত্বক শুষ্ক ও শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে চোখের নিচে কালি পড়ে। আসুন জেনে নিই কিছু যত্ন-আত্তি যা দিয়ে এর থেকে পরিত্রাণ পেতে পারি।

যত্ন-আত্তি

* কয়েক টুকরা শসা ও আলু নিন। পেস্ট করে ঠাণ্ডা পানি মিশিয়ে তরল মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এই মিশ্রণে তুলা ভিজিয়ে চোখের নিচে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। নিয়মিত করলে চোখের নিচের কালো দাগ কমে যাবে।
* চোখের নিচে যেখানে কালি পড়েছে, সেখানে প্রতিদিন রাতে অলিভ অয়েল লাগিয়ে ঘুমান। এক সপ্তাহ ব্যবহার করলে কালচে ভাব কমবে।
* ঘুমাতে যাওয়ার আগে চোখ বন্ধ করে চারপাশে বাদামের তেল দিয়ে ম্যাসেজ করুন। এটা কালো দাগ তুলতে ভালো কাজ করে।
* পুদিনা পাতার রস তুলায় ভিজিয়ে চোখের যে অংশে কালো দাগ আছে সেখানে লাগান। সাবধান থাকবেন যেন কোনোভাবেই এই রস চোখের ভেতরে প্রবেশ না করে। কালো দাগ দূর হবে।
* দুই ফোঁটা মধু নিয়ে চোখের চারপাশে ধীরে ধীরে ম্যাসাজ করে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটা চোখের চারপাশের চামড়ার রোদেপোড়া ভাব দূর করতে সাহায্য করবে।
* মাল্টিভিটামিন, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়ামসমৃদ্ধ খাবার খেলেও চোখের নিচে কালোভাব দূর হয়।

যা করবেন

* লবণ কম খাবেন।
* চোখ কচলানোর অভ্যাস থাকলে বাদ দিন। কেননা এটি ত্বকের নিচের রক্ত কণাগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
* সকালে ঘুম থেকে উঠে চোখে ঠাণ্ডা পানির ঝাপটা দিলে উপকার হয়। এটি চোখের নিচের ফোলাভাব কমাতেও সাহায্য করে।
* ব্যবহার করা টিব্যাগ সারা রাত ফ্রিজে রেখে পরদিন সকালে চোখে ওপর ১৫ মিনিট রাখলে ফোলাভাব ও কালচে ভাব কমবে।
* কম মেকআপ ব্যবহারের চেষ্টা করুন। মেকআপ ভালো করে পরিষ্কার করবেন।

সোমবার, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

চুল পড়া রোধ করতে জাদুকরী তেল

যা যা লাগবে:
নারকেল তেল
শুকনো আমলকী

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। এক কাপ নারকেল তেল ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিন।
২। এর সাথে শুকনো আমলকী দিয়ে দিন। আমলকীসহ এই তেল জ্বাল দিতে থাকুন।
৩। বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে এটি নামিয়ে ফেলুন।
৪। এরপর তেলটি ছেঁকে আমলকী থেকে আলাদা করে নিন।
৫। তেলটি মাথায় কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে লাগান।
৬। সারা রাত রাখুন, পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।

কার্যকারিতা:
এই তেল শুধু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। মাথার তালুতে রক্ত চলাচলও বৃদ্ধি করে থাকে। আমলকী চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন।

শুক্রবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সুন্দর চুলের জন্য মুলতানি মাটির ৪ হেয়ার প্যাক

শুষ্ক চুলের জন্য
৪ চা চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ কাপ টক দই দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি চুলে ভাল করে লাগান। ১/২ ঘণ্টার পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি চুল পড়া রোধ করার সাথে সাথে প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসাবে কাজ করে থাকে। এই প্যাকটির সাথে লেবুর রস যুক্ত করতে পারেন। লেবুর রস আপনার চুলের খুশকি দূর করে থাকে। ২ টেবিল চামচ মধু যোগ করে নিতে পারেন চুলকে ঝরঝরে সিল্কি করার জন্য।

তৈলাক্ত চুলের জন্য
 একটি বাটিতে ৩/৪ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, ১/২ টেবিলচামচ রিঠা পাউডার মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে রাখুন। প্যাকটি মিশিয়ে ১ /২ ঘন্টা রেখে দিন। তারপর চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে ভালভাবে লাগান। ১০/১৫ মিনিট পর তা ভাল করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই প্যাকটি আপনার চুলকে সিল্কি এবং মজবুত করবে।
রুক্ষ্ম চুলের জন্য
রুক্ষ্ম চুল সিল্কি করার জন্য মুলতানি মাটি খুব ভাল কাজ করে। শ্যাম্পু করার আগের রাতে চুলে অলিভ অয়েল দিয়ে রাখুন। সকালে গরম পানিতে ভেজানো টাওয়েল দিয়ে চুল পেঁচিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এরপর মুলতানি মাটি, টক দই দিয়ে তৈরি প্যাক চুলে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পেতে এই প্যাকটি প্রতি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

চুল মজবুত করতে
১ কাপ মুলতানি মাটি, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়া, ১ টি ডিমের সাদা অংশ, অল্প কিছু পানি দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে নিন। এরপর প্যকটি চুলের গোড়াসহ সম্পূণ চুলে ভাল করে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এটি আপনার চুলের গোড়া মজবুত করে থাকে।
মুলতানি মাটির প্যাক ব্যবহারে আগে চুল খুব ভাল ভাবে আঁচড়ে নিতে হবে। ভাল ফল পেতে চাইলে আগের রাতে চুলে তেলদিয়ে রাখা ভাল।

বৃহস্পতিবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

ওজন কমাতে মধু ও লেবুর ব্যবহার

যা লক্ষ্য রাখবেন
—আগে পানি হালকা গরম করে তারপর লেবু ও মধু মেশাবেন। মধু
কখনোই গরম করতে যাবেন না।
—যদি ঠাণ্ডা পানিতে এটি পান করেন, তবে বিপরীত ফল হবে, মানে
আপনার ওজন বাড়বে।

লেবু-মধু পানীয়ের উপকারিতা
— এই পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করে। শরীরের ভেতরের
নালীগুলোর সব ময়লা বের করে দেয়।
— মেটাবলিজম/হজম শক্তি বাড়ায়, ফলে ওজন কমে। ঠাণ্ডা লাগলে এই
পানীয় কফ বের করতে সাহায্য করে এবং ঠাণ্ডা লাগলে গলাব্যথা
করলেও এটি উপকারী ।
— এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
— শরীরে শক্তি বাড়ায়, অলসতা কমায়।
— কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।

মধুর উপকারিতা
মধুতে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ আলাদাভাবে থাকে, কিন্তু চিনিতে তা একসঙ্গে থাকে। ফ্রুকটোজ তাড়াতাড়ি গ্লুকোজের মতো শরীরে ক্যালরি হিসেবে জমা হয় না। তাই চিনির মতো মধু সহজে ক্যালরি জমা করে না। ফলে অল্প মধু খেলেও ওজন বাড়ার সম্ভাবনা কম।
মধু শরীরকে রিলাক্স করে, মনকে প্রফুল্ল রাখতে সাহায্য করে এবং সহজে ঘুম আনতে সাহায্য করে।
মধু একটি প্রাকৃতিক এন্টি বায়োটিক, যা শরীরের সব ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে ইনফেকশন দূর করে। ফলে শরীরের কাজ করার প্রণালী উন্নত হয় এবং হেলদি থাকে।
মধু হজমে সহায়ক। তাই বেশি খাবার খাওয়ার পরে অল্প মধু খেতে পারেন।

—মধু ফ্যাট কমায়, ফলে ওজন কমে।
—মধু প্রাকৃতিকভাবেই মিষ্টি। তাই মধু সহজে হজম হয়।
—চোখের জন্য ভালো।
—গলার স্বর সুন্দর করে।
—শরীরের ক্ষত দ্রুত সারায়।
—আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—নালীগুলো পরিষ্কার করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—মধু এন্টি অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের রং ও ত্বক সুন্দর করে। ত্বকের ভাঁজ
পড়া ও বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
—বুদ্ধিবৃত্তি বাড়ায়।
—শরীরের সামগ্রিক শক্তি বাড়ায় ও তারুণ্য বাড়ায়।

লেবুর উপকারিতা
লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা এন্টিসেপটিক ও ঠাণ্ডা লাগা প্রতিরোধ করে
—লেবুর এই উপাদানগুলো টনসিল প্রতিরোধ করে
—এছাড়া লেবুর ভিটামিন সি ক্যান্সারের সেল গঠন প্রতিরোধ করে।
—লেবু বুক জ্বালা প্রতিরোধ করতে ও আলসার সারাতে সাহায্য করে।
—লেবু আর্থাইটিসের রোগীদের জন্য ভালো ।
—লেবু শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াগুলোকে ধ্বংস করে।
—লেবু এন্টিঅক্সিডেন্ট। তাই ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ত্বক
পরিষ্কার রাখে, অপহব দূর করে। ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
কালোদাগ ও ত্বকের ভাঁজ পড়া কমায়।
—লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে।
—লেবু হজমে সহায়ক ও হজমের সমস্যা দূর করে।
—কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে।
—শরীরের ভেতরের টক্সিন দূর করে, অন্ত্রনালী, লিভার ও পুরো শরীরকে
পরিষ্কার রাখে।
—পেট ফোলাজনিত সমস্যা কমায়।
—রক্ত পরিশোধন করে।
—ঠাণ্ডা লাগলে জ্বর, গলাব্যথায় ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে।
—শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি হলে ভালো কাজ করে।
—শ্বাসনালীর ও গলার ইনফেকশন সারাতে সাহায্য করে।

কখন খাবেন
সাধারণত সকালে উঠেই প্রথম পানীয় হিসেবে খালি পেটে এটি খাওয়া হয়। এর কিছুক্ষণ পরে সকালের নাস্তা খেতে পারেন।

সাবধানতা
যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে তারা অবশ্যই এটি খালি পেটে খাবেন না। কারণ লেবু এসিডিক। তাই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে এটি খাবেন।
তাছাড়া লেবুর এসিড দাঁতের এনামেলের জন্য ক্ষতিকর, তাই এই পানীয় খাবার সঙ্গে সঙ্গে কুলি করবেন, অথবা পানি খাবেন।
একটা কথা মনে রাখবেন, ওজন কমানোর জন্য এই পানীয় শুধুই সহায়কমাত্র। সম্পূর্ণ ওজন কমানোর প্রক্রিয়াতে অবশ্যই থাকতে হবে স্বাস্থ্যকর/ব্যালেন্সড ডায়েট, নিয়মিত শরীর চর্চা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা।

মঙ্গলবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

আইশ্যাডো ব্যবহারের সচেতনতা


১) আইশ্যাডো প্যালেটের ছোট্ট ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করা
আইশ্যাডো প্যালেট কিনলে তার সাথে ছোট্ট ব্রাশ পাওয়া যায়। এটি মূলত আইশ্যাডো লাগানোর ব্রাশ। অনেকে এই ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করার মতো ভুলটি করে থাকেন। এই কাজটি করবেন না। আইশ্যাডো ব্লেন্ডার ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করুন। এতে করে পারফেক্ট ভাবে ব্লেন্ড করতে পারবেন।

২) ভালো করে ব্লেন্ড না করা
আইশ্যাডো যদি ভালো করে ব্লেন্ড না কর হয় তাহলে তা চোখের পাতায় ভেসে থাকে যা দেখতে বেশ বিশ্রী দেখায়। বিশেষ করে যদি ২/৩ টি রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে ভালো করে ব্লেন্ড না করা হয় তাহলে তা আলাদা করে বোঝা যায় যা পুরো মেকআপ নষ্ট করে দেয়। সুতরাং আইশ্যাডো ব্লেন্ড করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৩) আইশ্যাডো ব্যবহারের আগে কনসিলার লাগানো
অনেকেই ডিম আগে না মুরগী আগের মতো আইশ্যাডো আগে না কনসিলার আগে ব্যাপারটির মধ্যে গণ্ডগোল করে ফেলেন ফলে আইশ্যাডো সঠিকভাবে লাগানো হয় না। তাই মনে রাখুন, প্রথমে আইশ্যাডো লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন এবং তার পর কনসিলার ব্যবহার করুন।

৪) চোখের নিচের পাতায় বেশি আইশ্যাডোর ব্যবহার
চোখের নিচের পাতায় অনেকেই বেশ গাঢ় করে এবং মোটা করে আইশ্যাডো ব্যবহার করেন যার ফলে আপনাকে অনেক ক্লান্ত দেখায়। চোখের নিচের পাতায় শুধুমাত্র চোখের পাপড়ির কোল ঘেঁষে হালকা করে আইশ্যাডো দিন।

৫) চোখের রঙের সাথে মিলিয়ে আইশ্যাডো দেয়া
অনেকেই পছন্দের রঙের লেন্স পড়ে লেন্সের রঙের সাথে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো দিয়ে থাকেন যা সম্পূর্ণ ভুল। নিয়ম অনুযায়ী চোখের রঙের উল্টো রঙটিই আইশ্যাডো দেয়া উচিত নতুবা মেকআপ ভালো দেখাবে না।

রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

সঠিক ডায়েট স্যুপ রান্না

ডায়েটের ক্ষেত্রে ভারি খাবার হিসেবে আমরা স্যুপকেই বেছে নেই। কিন্তু স্বাদ বাড়াতে আমরা এমন অনেক উপাদান স্যুপ তৈরিতে ব্যবহার করি যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। তাই সহজ উপায়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে এই স্যুপ তৈরি করুন। বাসায় বসে খুব সহজে তৈরি করতে জেনে নিন কী কী উপকরণ লাগবে এই রেসিপিতে এবং কীভাবে তৈরি করবেন স্বাস্থ্যকর এই স্যুপ।

উপকরণ

গাজর কুচি এক কাপ,
পেঁয়াজ কুচি এক কাপ,
ক্যাপসিকাম কুচি এক কাপ,
পেঁয়াজের কলি কুচি এক কাপ,
বাঁধাকপি কুচি এক কাপ,
রসুন এক কোয়া,
আদা আধা চা চামচ,
কর্নফ্লাওয়ার তিন চা চামচ,
গোলমরিচের গুঁড়া আধা চা চামচ,
লেবুর রস দুই চা চামচ,
ভেজিটেবল স্টক দুই কাপ,
তেল সামান্য এবং
লবণ পরিমাণ মতো।

প্রস্তুত প্রণালি

প্রথমে একটি প্যানে তেল নিয়ে আদা ও রসুন কষিয়ে নিন। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, গাজর কুচি, ক্যাপসিকাম কুচি, বাঁধাকপি কুচি ও পেঁয়াজের কলি দিয়ে ভাজতে থাকুন। এবার এতে ভেজিটেবল স্টক দিন। লবণ ও গোলমরিচের গুঁড়া দিয়ে নেড়ে নিন।
এবার কর্নফ্লাওয়ার ও সামান্য পানি মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে সবজির মধ্যে দিন। এখন এতে লেবুর রস দিয়ে পাঁচ মিনিট রান্না করুন। ভালো করে নেড়ে আরো ১০ মিনিট রান্না করুন। ওপরে ধনেপাতা ছড়িয়ে চুলা থেকে নামিয়ে গরম গরম পরিবশন করুন স্বাস্থ্যকর ডায়েট স্যুপ।

শুক্রবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯

বয়স ধরে রাখার কিছু গোপন কৌশল

একটু সচেতন হলেই চেহারার লাবণ্য ও সৌন্দর্য ধরে রাখা যায় দীর্ঘদিন-

১. দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখার জন্য প্রয়োজন শৃঙ্খলা। সুশৃঙ্খল জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্যকর খাবার, হাঁটাচলা, ব্যায়াম, ইতিবাচক চিন্তা করা, মনকে প্রফুল্ল রাখা এসব কিছুই চেহারায় তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে।

২. বয়সের সাথে ত্বক পাতলা এবং শুষ্ক হয়। তাই ভিটামিন এ, সি এবং ই সমৃদ্ধ খাবার নিয়মিত খেতে হবে।

৪. সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি থেকে নিজেকে দূরে রাখা প্রয়োজন। এতে যে ত্বক সহজে বুড়িয়ে যায় তা নয়, এর ফলে ত্বকে ক্যানসারও হতে পারে। তাই যতটা সম্ভব দূষণ থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং বাইরে থেকে ফিরে গোসল বা ভালো করে হাত-মুখ ধোয়া উচিত।

৫. সুস্থ আর সুন্দর থাকতে খাওয়া-দাওয়ার ভূমিকা অনেক। মানুষের শরীরে প্রোটিন, ভিটামিন, শর্করা, মিনারেল- এগুলোর দরকার। সব কিছুই খাওয়া উচিত, তবে একটা পরিমিতিবোধ থাকতে হবে। প্রচুর শাক-সবজি, ফল-মূল খাবার তালিকায় থাকা প্রয়োজন।

৬. শুধু সুন্দর মুখ আর টানটান ত্বকই তারুণ্যের চাবিকাঠি নয়। শরীরটাও থাকতে হবে টানটান; আর সেজন্য চাই নিয়মিত কিছুক্ষণ শরীরচর্চা বা ব্যায়াম এবং মুক্ত বাতাস সেবন।

৭. সৌন্দর্য চর্চা বা তারুণ্য ধরে রাখতে গ্রিন-টি বা সবুজ চায়ের জুড়ি নেই। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। নিয়মিত গ্রিন-টি পান শরীরে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৮. অপ্রয়োজনীয় চাপ এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল, ধূমপান পুরোপুরি ছেড়ে দিন আর দিনে অন্তত একবার প্রাণ খুলে হাসুন। ভালো বই পড়ুন, গান শুনুন। প্রকৃতির সাথে সম্পর্ক রাখুন, হিংসা, বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে পারলে অন্যের উপকার করার চেষ্টা করুন।