বুধবার, ২৭ জুন, ২০১৮

স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যে ৯টি ভেষজ টিপস

লবণ :

লবণ ছাড়া রান্নার কথা যেন কল্পনাও করা যায় না। খাবার হিসেবে লবণ শরীরের জন্য যেমন উপকারী, অতিরিক্ত লবণ গ্রহণ তেমনি ক্ষতিকরও বটে! তবে লবণ খাবারে যে স্বাদ যোগ করে, তা অন্য কিছু করতে পারে না। রান্নাঘরের এই উপকরণটি ছোটখাট দুর্ঘটনার চিকিত্‍সাতেও খুবই ভালো ফল দেয়। জেনে নিন লবণ দিয়ে ঘরোয়া কিছু চিকিত্‍সার কথা –
  • ১)রান্না করতে গিয়ে আগুনের বা গরম পানির আঁচ লেগেছে? আক্রান্ত স্থানে সাথে সাথে লবণ লাগিয়ে নিন। জ্বলুনি কমে যাবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ২)মাছ কাটতে গেলে অনেক সময় হাতে কাঁটা বিঁধে যাওয়ায় তীব্র যন্ত্রণা হয়। কাঁটা বেঁধা জায়গায় লবণ ঘষে দিন। অথবা পানিতে লবণ গুলে আক্রান্ত স্থান তাতে ডুবিয়ে রাখুন। ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।
  • ৩)অল্প দাঁতব্যথা হলে রাতে ঘুমোবার আগে দাঁত ব্রাশ করে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে কুলি করুন। তারপর আর কিছু মুখে দেবেন না, এমনকি পানিও নয়। পরপর তিনদিন করবেন এভাবে। দেখবেন, দাঁতব্যথা দূর হয়ে গেছে। গলাব্যথাতেও লবণ-পানি সমান উপকারী। উষ্ণ গরম পানিতে সামান্য লবণ মিশিয়ে গড়গড়া করুন, আরাম পাবেন।

আলু :

আলু অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি সবজি। আলু ভর্তা থেকে শুরু করে ভাজি, আলুর ডাল, ঝোল তরকারি সবই উপাদেয়। এই আলুও কিন্তু উপকারে আসতে পারে ঘরোয়া চিকিত্‍সার কাজে।
  • ৪)গরম পানি, তরকারি, ভাতের মাড়, ডাল শরীরের কোনো জায়গায় পড়লে প্রথমে সেখানটা ঠান্ডা পানির ধারার নিচে (রানিং ওয়াটার) ধরে রাখুন কিছুক্ষণ। তারপর কাঁচা আলু থেঁতো করে নিয়ে পুরু করে লাগান। এতে জ্বলুনি কমবে এবং ফোসকাও পড়বে না।
  • ৫)চুলপড়া রোধ করতে, নতুন চুল গজাতে এবং খুশকি দূর করতে কাঁচা আলু সহায়তা করে। কাঁচা আলু থেঁতো করে তার রস চুলের গোড়ায় লাগান সপ্তাহে ২-৩ বার। এর নিয়মিত ব্যবহার চুলপড়া কমে যাবে ও নতুন চুল গজাবে। চুল থাকবে খুশকিমুক্ত ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল।
  • ৬)চোখের ক্লান্তি দূর করতে কাঁচা আলুর তুলনা নেই। আলুর রস চোখের নিচের কালো দাগও দূর করে। কাঁচা আলু থেঁতলে নিয়ে চোখের ওপর রাখুন ১০-১২ মিনিট। নিয়মিত ব্যবহারে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হয়ে যাবে ও চোখের ক্লান্তি দূর হবে।
  • ৭)ত্বকের সমস্যা দূর করতেও আলুর তুলনা নেই। বিশেষ করে খোসপাঁচড়া ও মেচতা। আলুর রস করে নিয়ে আক্রান্ত জায়গায় তুলো দিয়ে প্রতিদিন লাগান। খুব দ্রুত ফল পাবেন।

রসুন :

রসুন রান্নায় ব্যবহৃত অন্যমত মসলাগুলোর মধ্যে একটি। রসুনের রয়েছে অনেক গুণাগুণ। কিছু সমস্যা দূরীকরণে রসুনের আছে অতুলনীয় ভূমিকা।
  • ৮)অনেক সময় তেলাপোকা বাচ্চাদের এমনকি বড়দেরও মাথার এবং ভ্রূ’র চুল খেয়ে ফেলে। পরে ওই জায়গাটা তেলতেলে হয় এবং চুল গজায় না বলে বিশ্রী দেখায়। আক্রান্ত স্থানে রসুন বেটে পুরু করে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে পরপর ১০-১২ দিন লাগান। আবার নতুন চুল গজাবে।

আদাঃ

আদা আরেকটি অনন্য উপাদান প্রকৃতির। এর আছে হাজারো স্বাস্থ্য উপকারিতা।
  • ৯)অ্যাসিডিটির সমস্যা হলে অনেক সময় গা গোলায় ও বমিভাব হয়। এ সমস্যাগুলো থেকে রেহাই পেতে কয়েক টুকরো আদা চিবিয়ে খান। দ্রুত আরাম পাবেন। গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি হলে বা হজমে গন্ডগোল দেখা দিলে অল্প একটু আদা থেঁতো ও লবণ এক কাপ উষ্ণ পানিতে মিশিয়ে খান।

মঙ্গলবার, ২৬ জুন, ২০১৮

ত্বকের যত্নে চন্দনের ৫ টি অসাধারণ ব্যবহার

# বলি রেখা দূর করে
চন্দন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান সমূহের সমন্বয়ে গঠিত যা আপনার মুখের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। এর বিরোধী প্রদাহজনক এজেন্ট আছে, যা বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। চন্দন একটি চমৎকার anti-aging উৎস হিসেবে পরিচিত।

# রোদে পোড়া দাগ দূর করে
রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়ো, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস প্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাবে এবং রোদের পোড়ার কারণে ত্বক জ্বলা কমাবে।

# ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়
ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়ো মিশিয়ে লাগান। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।

# ডার্ক সার্কেল দূর করে
আপনার যদি ডার্ক সার্কেল থাকে তাহলে অল্প পরিমাণ চন্দনের গুড়ার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে চোখের চারপাশে লাগান। সারারাত রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন। এক সপ্তাহের মধ্যে চোখের চারপাশের কালো দাগ দূর হোয়ে যাবে।

# মুখের দাগ দূর করে
ডিমের কুসুম, মধু ও চন্দন গুঁড়া একসঙ্গে মিক্সড করে লাগালে মুখের দাগ দূর হয়। প্রতিদিন দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে প্রতিদিন রাখলে মুখের দাগ দূর হবে ও ত্বক উজ্জ্বল হবে।

# উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়
উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে ১চা চামচ সাদা চন্দন কাঠের পেস্ট নিয়ে, আধা কাপ দুধের সাথে ভালভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। আবার এই চন্দনযুক্ত দুধ খালিপেটে পান করুন। এরপর ৭-৮টি তুলসী পাতা চিবিয়ে নিন। কিছু সময়ের মধ্যেই রক্তচাপ কমে আসবে। ব্রঙ্কাইটিস রোগের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করলে উপকার পায়া যাবে

সোমবার, ১৮ জুন, ২০১৮

ত্বক উজ্জ্বল রাখতে কোনটি খাবেন, আর কোনটি খাবেন না

কোন খাবার খাবেন:

চকলেট:
যখন আপনাকে চকলেট খেতে বলা হয় তখন এটা ভাববেন না যে অনেক বড় একটা চকলেট খেতে হবে। এতে আরো উল্টো আপনার ত্বক রুক্ষ হয়ে যেতে পারে। তবে অবশ্যই ডার্ক চকলেট খেতে হবে। এটি আপনার শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের কাজ করবে। যা ত্বককে উজ্জ্বল রাখে। তাই নিয়মিত এক টুকরা ডার্ক চকলেট খাওয়ার অভ্যাস করুন।

ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ মাছ:
সব ফ্যাট শরীরের জন্য খারাপ না। বিশেষ করে মাছের ফ্যাট। যেসব মাছে ফ্যাটি এসিড(ওমেগা-৩) আছে নিয়মিত এ ধরনের মাছ খাওয়ার চেষ্টা করুন। ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডে প্রাকৃতিক তেল রয়েছে, যা ত্বককে উজ্জ্বল করে।

ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার:
ফাইবার সমৃদ্ধ খাবারগুলো সুস্থ ত্বকের জন্য খুবই জরুরি। নিয়মিত নাশপাতি, বাদাম ও মটরশুটি খান। এতে আপনার ত্বক প্রাকৃতিকভাবেই উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।

সবুজ শাকসবজি:
ভাতের সঙ্গে সবজি না, সবজির সঙ্গে ভাত খান। মানে হলো, সামান্য পরিমাণে ভাত খেয়ে প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি খাওয়ার চেষ্টা করুন। রান্না করা সবজির পাশাপাশি সালাদ হিসেবে কাঁচা সবজিও খেতে পারেন। যা আপনার ত্বককে টানটান করবে।

অ্যাভোকাডো:
অ্যাভোকাডোতে ভিটামিন ই ও ফলিক এসিড রয়েছে। যা ত্বককে মসৃণ ও উজ্জ্বল রাখে। আর ভিটামিন ই ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকেও রক্ষা করে।
কোন খাবার খাবেন না:

অ্যালকোহল:
অ্যালকোহল ত্বককে শুষ্ক করে ফেলে। এর ফলে ত্বক হয়ে পরে মলিন ও প্রাণহীন। তাই অ্যালকোহল জাতীয় সব ধরনের নেশাদ্রব্য থেকে দূরে থাকুন।

কফি:
কফি পানিশূন্যতার প্রধান কারণ। এটি অ্যালকোহলের মতোই ক্ষতিকর। তাই যাদের প্রচুর পরিমাণে কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে তারা কফি খাওয়া কমিয়ে দিন। না হলে একটা সময় আনার ত্বক শুষ্ক ও খসখসে হয়ে যাবে।

গ্রিল করা মাংস:
গ্রিল করা মাংস খেতে যতটা সুস্বাদু ত্বকের জন্য ততটাই ক্ষতিকর। অতিরিক্ত আগুনের তাপে মাংস গ্রিল করার কারণে মাংসের কার্যকারিতা নষ্ট হয়ে যায়। আর এই মাংস খেলে আপনার ত্বক কুচকে যাবে এবং চেহাড়ায় বয়সের ছাপ পড়বে।

সোডিয়াম:
লবণ খাবারকে সুস্বাদু করে তোলে। কিন্তু আপনি যতটা পারেন লবণ এড়িয়ে চলুন। কারণ লবণে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে যা ত্বককে রুক্ষ করে ফেলে। তাই আজ থেকে কাঁচা লবণ খাওয়া বন্ধ করুন।

তেলে ভাজা খাবার:
ত্বকের ব্রণের প্রধান কারণ তেলে ভাজা খাবার। এমনকি তেলে ভাজা খাবার খাওয়ার কারণে চেহারায় বার্ধক্যের ছাপ দেখা দেয়। তাই উজ্জ্বল ও সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে স্পাইসি তেলে ভাজা খাবার থেকে দূরে থাকুন।

রবিবার, ১৭ জুন, ২০১৮

শ্যামলা ত্বকে মেকআপ মানায় না? এই ১০টি দারুণ টিপস জেনে রাখুন!

একেক ধরণের ত্বকের জন্য একেক রকমের মেকআপ ব্যবহার করতে হয়। এ কারণে যাদের ত্বক শ্যামলা তাদের জন্যও মেকআপের ধরণটা হবে একটু অন্যরকম। মেকআপের ভুলেই অনেক সময়ে ত্বকে ফুটে থাকে মেকআপ, দেখতে অনেক মেকী মনে হয়। আপনার ত্বক যদি শ্যামলা হয়ে থাকে তবে এই টিপসগুলো আপনার জেনে রাখা জরুরী।

১) প্রাকৃতিক আলোয় মেকআপ করুন ও কিনুন
অল্প আলোতে মেকআপ করবেন না, আবার খুব উজ্জ্বল আলোতেও না। প্রাকৃতিক আলোয় আপনার ত্বকের আনাচ-কানাচ ভালোভাবে বোঝা যাবে এবং সঠিকভাবে মেকআপ করতে পারবেন। মেকআপ কেনার সময়েও একই কথা প্রযোজ্য। এর জন্য একটি কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। হাতের উল্টোপিঠে মেকআপ একটু লাগিয়ে নিতে পারেন, এরপর দোকানের বাইরে গিয়ে দিনের আলোয় দেখে নিতে পারেন তা আপনার ত্বকের জন্য মানানসই কী না।

২) ফাউন্ডেশনের জন্য একটি শেড নয়
আপনার ত্বক সর্বত্র একই রকম নয়, আর তাই মাত্র একটি শেডের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করে খুব একটা লাভ হবে না। প্রথমে আপনার ত্বকের সাথে সবচাইতে বেশি যে শেড মানিয়ে যায় তা বেস হিসেবে ব্যবহার করুন। এরপর একটু হালকা একটি শেড হাইলাইট হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে ত্বকে আসবে একটি ঝলমলে আভা।

৩) ত্বকে আনুন কোমল উষ্ণতা
ত্বককে কোমল এবং দীপ্তিময় দেখাতে ত্বকের মাঝামাঝি জায়গাগুলোতে ব্যবহার করুন অ্যাম্বার অথবা ক্যারামেল শেডের ফাউন্ডেশন। যেমন কপালের মাঝামাঝি, নাকের ওপরে, গাল এবং চিবুকে। এরপর একটি ব্লাশ ব্যবহার করে ভালো করে মিশিয়ে নিন।

৪) কমলা রংটিকে প্রাধান্য দিন
ফ্যাশনে এখন কমলা রঙ ব্যবহার হচ্ছে বেশ। আর তামাটে ত্বকের সাথে এটি খুব মানিয়ে যায়। কমলা ধরণের কন্সিলার, ব্লাশ, লিপস্টিক এগুলো আপনার উপকারে আসবে। চোখের নিচের কালি এবং ত্বকের দাগ-ছোপ ঢাকতে কমল রংটি ব্যবহার করতে পারেন।

৫) ঠোঁট আকুন
আপনার ঠোঁট যদি ছড়ানো হয় তবে নিজের ত্বকের কাছাকাছি রঙের একটি লাইনার দিয়ে আগে ঠোঁট একে নিন। আপনার ঠোঁট যদি কালচে হয় তবে কমলা লিপস্টিক বেশ লাগবে।
৬) গাড় কালো করে ভ্রু আঁকবেন না
কুচকুচে কালো ভ্রু তামাটে ত্বকের সাথে ভালো লাগবে না। নাকের কাছে থেকে বাদামি রঙ ব্যবহার করা শুরু করুন এবং কোনার দিকে গিয়ে আরও গাড় বাদামি ব্যবহার করতে পারেন। ভ্রুর একদম প্রান্তে গিয়ে ব্যবহার করতে পারেন কালো। এতে ভ্রু এর শেপ খুব সুন্দর মনে হবে।

৭) খুব বেশি হালকাও নয়
ভ্রুতে কালো রঙ ব্যবহার করবেন না ঠিকই, কিন্তু একেবারে হালকা রঙও ব্যবহার করবেন না। ত্বকের ওপর একেবারেই বেমানান লাগবে। আর এতে আপনার বয়সটাও বেশি মনে হবে।

৮) হাইলাইট করার সময়ে ব্যবহার করুন শিমার
ত্বকে হাইলাইট যদি করতেই হয় তবে
ব্যবহার করুন শিমার। তবে তা যেন ত্বকের ওপরে বেশি ফুটে না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন।

৯) ত্বকের যত্ন নিন
ত্বক এক্সফলিয়েট করুন নিয়মিত। ত্বকের যত্নের জন্য অবশ্যই সানস্ক্রিন মাখবেন। আপনি ভাবতে পারেন আপনার ত্বক তো এমনিই তামাটে, আর কি হবে সানস্ক্রিন দিয়ে? কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্য অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

১০) হালকা রঙের ত্বকের মতো মেকআপ করবেন না
হালকা রঙের ত্বকের মানুষ যেভাবে মেকআপ করে, তাকে অনুকরণ করবেন না। অযথাই মেকআপ করে নিজের ত্বকের রঙ হালকা করার চেষ্টা করবেন না। ফর্সা ত্বক যেমন সুন্দর, তামাটে ত্বকও ঠিক তেমনই সুন্দর। এ জন্য নিজের সৌন্দর্যকে ফুটিয়ে তুলুন, একে ঢেকে রাখবেন না। আপনার ত্বকের সাথে কী রকমের মেকআপ মানিয়ে যায় তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে পারেন। বিভিন্ন রঙের লিপস্টিক ব্যবহারে কেমন লাগে, সেগুলো দেখতে পারেন। সর্বোপরি, নিজের তামাটে ত্বককে ভালোবাসুন, ফুটিয়ে তুলুন এর স্বাভাবিক সৌন্দর্য।

শুক্রবার, ১৫ জুন, ২০১৮

মুখের তৈলাক্ত ভাব দূর করার উপায়

মুখে তেলতেলে ভাব যেমন দেয় অস্বস্তি তেমনি দেখতেও ভালো লাগে না। তবে কয়েকটি পন্থা অবলম্বন করে মুখের তেলতেলে ভাব কমানো সম্ভব। রূপচর্চাবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে এ বিষয়ের ওপর প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে মুখের তেল কমানোর কয়েকটি উপায় এখানে দেয়া হলো।

হালকা ফেস ওয়াশ: তেল পরিষ্কারক ফেস ওয়াশ দিয়ে দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করুন। এর মাধ্যমে ত্বকের তেল উৎপাদন কমিয়ে লোমকূপে ময়লা জমা কমানো যায়। ভারী পরিষ্কারক মুখের তেল দূর করার পাশাপাশি মুখের ত্বক শুষ্ক করে ফেলে। ফলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মুখে আরো তেল উৎপাদন হয়।

ব্লটিং শিট: ব্লটিং শিটে গ্লাইকোলিক অ্যাসিড থাকে যা তেল কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুয়েকটি করে শিট ব্যবহার করুন। ত্বক পরিচর্যার জন্য ব্লটিং শিট প্রসাধনীর দোকান থেকে সংগ্রহ করা সম্ভব।
মাস্ক: তেল কমাতে ও ময়লা দূর করতে মাটির মাস্ক সবচেয়ে ভালো কাজ করে। আর্দ্রতা রক্ষা করতে এর সঙ্গে মধু ও শিয়া বাটার যোগ করতে পারেন।

খাদ্যাভ্যাস: অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। যতটা সম্ভব অতিরিক্ত চিনি ও চর্বি খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।

চিকিৎসকের পরামর্শ: ত্বক খুব বেশি তৈলাক্ত হলে এবং সাধারণ পদ্ধতিগুলো কাজে না আসলে চর্মরোগ-বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া উচিত।

বুধবার, ১৩ জুন, ২০১৮

ঝটপট ফর্সা ত্বকের জন্য ফ্রুট ফেস মাস্ক


টমেটো ফেসমাস্ক:
আমাদের অতিপরিচিত টমেটো দিয়ে ফেসমাস্ক বানিয়ে ঝটপট ফর্সা ত্বক পেতে পারি। আপনাকে যা করতে হবে তা হল ১ টেবিল চামচ টমেটো রস নিন, হাফ টেবিল চামচ লেবুর রস ও ১ টেবিল চামচ গোলাপ জল নিন। সব উপাদান একসাথে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণ মাস্ক আকারে মুখে ও গলায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রাখার পর মুখ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর দেখুন ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পেয়েছে।

স্ট্রবেরি ফেসমাস্ক:
স্ট্রবেরি যে কেবল সুস্বাদু ফল তাই ই নয় স্ট্রবেরিতে বিদ্যমান পুষ্টি উপাদান আমাদের ত্বকের জন্যও উপকারি। শুধুমাত্র ২ থেকে ৩ টি স্ট্রবেরি নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে তা মুখে ও গলায় লাগিয়ে নিন। এটি মুখে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আর দেখুন ত্বক ফর্সাভাব হওয়ার সাথে কেমন কোমল আর নরম হচ্ছে।

কলা ফেসমাস্ক:
একটা কলার অর্ধেকটা নিয়ে ভালোভাবে চটকে পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এবার সেই পেস্টে দুই টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন ও আপনার মুখে আর গলায় লাগিয়ে নিন। হালকা ম্যাসাজ করে এটি ২০ মিনিট ত্বকে রাখার পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কের সবচেয়ে বেশী ভালো দিকটি হল এটি সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী।

আপেল ফেসমাস্ক:
আপেল মাস্ক হিসেবে অসাধারণ। ১ টেবিল চামচ আপেল জুসের সাথে হাফ তেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে একটি প্যাক বানান। এবার এই প্যাকটি আপনার মুখে ভালোভাবে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ইনস্ট্যান্ট ফর্সা ত্বক পেতে এই মাস্কের তুলনা হয়না আর এটিও সব ধরণের ত্বকের জন্য উপযোগী।

মঙ্গলবার, ১২ জুন, ২০১৮

প্রকৃতির ছোঁয়ায় সুন্দর ত্বক


প্রকৃতিতে বইছে শীতের হাওয়া। চারপাশে ধুলাবালুসহ শুষ্ক আবহাওয়া। এর প্রভাব পড়ছে ত্বকের ওপর। ফল—ত্বক হয়ে উঠছে রুক্ষ, খসখসে, প্রাণহীন। এ ছাড়া ত্বকে পড়ছে কালচে ছোপ ছোপ দাগ, ফুসকুড়ি, রোদে পোড়া ভাব এবং মরা কোষ জমে ত্বক হারিয়ে ফেলছে তার স্বাভাবিক সৌন্দর্য। এ জন্য শীতে ত্বকে চাই বাড়তি যত্ন। প্রাকৃতিক বা ভেষজ উপাদান দিয়েই এ সময় ত্বক সুন্দর রাখা সম্ভব।

ভেষজ উপাদানে কোনো ক্ষতিকারক পদার্থ নেই। এগুলো হাতের কাছেই পাওয়া যায়। ফলে এসব উপাদান ব্যবহার করে সহজেই ত্বককে সুরক্ষিত ও সুন্দর রাখা যায়। এ কথাই বললেন আয়ুর্বেদিক রূপবিশেষজ্ঞ রাহিমা সুলতানা। ত্বকের ধরন অনুযায়ী কিছু ভেষজ উপাদান ব্যবহারের নিয়মও জানালেন তিনি।

তৈলাক্ত ত্বক
 দুই টেবিল চামচ বেসনের সঙ্গে এক টেবিল চামচ টমেটো পেস্ট, এক চা–চামচ লেবুর রস এবং এক চা–চামচ মধু একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রেখে ২০ মিনিট পর হালকা কুসুম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।

 এক চা–চামচ পরিমাণ ঘৃতকুমারী (অ্যালোভেরা), এক চা–চামচ বাদাম তেল এবং দুটো ভিটামিন ‘ই’ ক্যাপ একসঙ্গে মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রেখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ভালো করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এসব উপাদান ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করে ত্বককে রাখবে মসৃণ সুন্দর।

শুষ্ক ত্বক
 এক চা–চামচ দুধের সর, এক চা–চামচ কাঠবাদামের পেস্ট, আধা চা–চামচ কাঁচা হলুদ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে ভালো করে লাগিয়ে নিয়ে ২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি গভীর থেকে ত্বককে উজ্জ্বল করে তোলে এবং ময়েশ্চারাইজার হিসেবে খুব ভালো কাজ করে।

 গোলাপের পাপড়ি বাটা ২ চা–চামচ, মধু ১ চা–চামচ এবং পরিমাণমতো কাঁচা দুধ নিয়ে সারা মুখে মাখুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সঙ্গে ত্বককে কোমল ও মসৃণ রাখতে সহায়তা করে।

স্বাভাবিক ত্বক
স্বাভাবিক ত্বকের যত্নে কোকো পাউডার এক টেবিল চামচ, গোলাপজল এক টেবিল চামচ, নারকেল তেল আধা টেবিল চামচ একসঙ্গে মিশিয়ে সারা মুখে মেখে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এ উপাদানগুলো ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।

পাকা কলা এক টেবিল চামচ, লেবুর রস তিন–চার ফোঁটা এবং কাঁচা দুধ পরিমাণমতো নিয়ে মুখে মাখুন। ত্বক টানটান হয়ে এলে কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন। এ উপাদানগুলো গভীর থেকে ত্বক পরিষ্কার করে কালো ছোপ ছোপ দাগ কমিয়ে দিতে সহায়তা করে।
প্রাকৃতিক উপাদানের তৈরি প্যাক ঘরেই বানানো যায়


শীতে নাজেহাল ত্বকের যত্ন
শীতে ত্বকের পরিচর্যার বিষয়ে হার্বসের ত্বক বিশেষজ্ঞ আফরিন মৌসুমি বলেন, এই মৌসুমে ত্বক অনেক বেশি নাজুক হয়ে পড়ে। এ কারণে চাই বিশেষ যত্ন। নিয়মিত যত্নসহকারে ত্বক পরিষ্কার করে, স্ক্রাবিং করতে হবে। এরপর ত্বকের ধরন অনুযায়ী পছন্দমতো একটি প্যাক ব্যবহার করতে হবে। তবেই ত্বক পাবে পরিপূর্ণ যত্ন এবং প্রয়োজনীয় উপাদান। জানালেন কিছু নিয়মকানুনও।
অতিরিক্ত শুষ্ক ত্বকের যত্নে
প্রথমে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। এবার ছোলার ডাল বা মুগ ডালের বেসন এক চা চামচ, চালের গুঁড়া এক চা চামচ এবং পরিমাণমতো দুধ দিয়ে সারা মুখ দুই মিনিট হাত ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আলতো করে ঘষে পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

এরপর একটা ডিমের কুসুম, এক চা চামচ বাদাম তেল, এক চা চামচ শঙ্খের গুঁড়া অল্প পানিতে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়ে ত্বকে ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটির ব্যবহার শুষ্ক ভাব কমিয়ে ত্বককে মসৃণ ও কোমল করবে।

তৈলাক্ত ত্বক
কাঁচা দুধ, শসার রস পরিমাণমতো নিয়ে তুলার বল দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে দুই বা তিন মিনিট রেখে ত্বক পরিষ্কার করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
প্যাক: ডিমের সাদা অংশ, মুলতানি মাটি আধা চা চামচ, এক চিমটি কর্পূর, কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মিশিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে ধুয়ে ফেলুন।

মিশ্র ত্বক
পুদিনা পাতার রস তৈরি করে আগেই ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। মুখ পরিষ্কার করার আগে এর সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস তুলা দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিয়ে দুই মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে যেমন ত্বক পরিষ্কার হবে, তেমনি ত্বকের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি পাবে।

প্যাক: প্রথমে ঘৃতকুমারীর জেল বের করে নিয়ে ফুটন্ত পানিতে মিশিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে হবে। তারপর এর সঙ্গে মটর অথবা মুগ ডালের বেসন এক টেবিল চামচ এবং তিন ফোঁটা টি ট্রি অয়েল মিশিয়ে নিয়ে মুখে লাগিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরে ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের দাগ মিশিয়ে ত্বককে উজ্জ্বল করে তুলবে।

স্বাভাবিক ত্বক
এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, আধা চা-চামচ কর্পূর তেল, কয়েক ফোঁটা লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে সারা মুখে মেখে পরিষ্কার করে নিন।
প্যাক: দুধের মধ্যে ভেজানো চন্দন ঘষে নিয়ে তাতে কয়েক ফোঁটা কাঁচা হলুদের রস নিয়ে পুরো মুখে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে নিতে হবে।

রবিবার, ১০ জুন, ২০১৮

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য যে ছয়টি প্যাকেই যথেষ্ট


উজ্জ্বল ত্বকের জন্য যে ছয়টি প্যাকেই যথেষ্ট । শীতের সময় ত্বক অনেক বেশি কালচে হয়ে যায়। তাই এ সময় ত্বককে উজ্জ্বল করতে কয়েকটি প্যাক ব্যবহার করুন। এই প্যাক ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে আপনার ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়ে যাবে। 

কোন প্যাকগুলো ত্বককে এক নিমিষেই উজ্জ্বল করে তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বোল্ডস্কাই ওয়েবসাইটের লাইফস্টাইল বিভাগে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।

পেঁপে ও মধু
পেঁপে ও মধু দুটোই ত্বকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। দুই টুকরো পেঁপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এবার ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ওটমিল ও দুধ
ওটমিল ত্বককে মসৃণ করে আর দুধ ত্বক পরিষ্কার ও আর্দ্রতার জন্য খুবই জরুরি। সমান পরিমাণে ওটমিল ও দুধ মিশিয়ে প্যাকের মতো করে মুখে লাগান। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।

গোলাপের পাঁপড়ি ও দুধ
কয়েকটা গোলাপের পাঁপড়ির সঙ্গে দুই চা চামচ দুধ মিশিয়ে ভালো করে বেটে নিন। কিছুক্ষণ ফ্রিজে রেখে দিন। এবার মুখে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রেখে দিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মুলতানি মাটি, দুধ ও অলিভ অয়েল
দুই চা চামচ মুলতানি মাটি, এক চা চামচ অলিভ অয়েল ও এক চা চামচ দুধ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখে লাগিয়ে শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এবার হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

মধু ও লেবুর রস
সমান পরিমাণে মধু ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, মুখ সঙ্গে সঙ্গেই উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

কমলার রস ও মধু
দুই চা চামচ কমলার রসের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে চাইলে নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করুন।

শনিবার, ৯ জুন, ২০১৮

দুধ দিয়ে ত্বকের বলিরেখা যেভাবে দূর করবেন


দুধে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও মিনারেল রয়েছে। পুষ্টিগুণে ভরা দুধ সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরি। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ত্বকের সুস্থতায়ও দুধ বেশ কার্যকর। ত্বক পরিষ্কার রাখতে, উজ্জ্বল করতে এবং বলিরেখা দূর করতে নিয়মিত ত্বকে দুধ ব্যবহারের পরামর্শ দেন তাঁরা।

•    দুধ ব্যবহারে ত্বকের কুঁচকানো ভাব দূর হয়। এ ছাড়া বলিরেখা দূর করতেও দুধ বেশ কার্যকর। শুধু দুধ লাগাতে পারেন অথবা যেকোনো প্যাকের সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন।
•    প্রতিদিন ঘুমানোর আগে তুলোয় দুধ নিয়ে মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি মুখের ময়লা পরিষ্কার করে ত্বককে উজ্জ্বল করবে।

•    এক কাপ দুধের মধ্যে চার-পাঁচটি কাজুবাদাম দিয়ে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে শিলপাটায় বেটে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের জৌলুস ধরে রাখতে সাহায্য করে।

•    দুধ ত্বকে ময়েশ্চারাইজারের কাজ করে। ত্বকে দুধ লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের শুষ্কতা দূর করে ত্বককে নরম ও মসৃণ করবে।

•    সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির কারণে ত্বক কালচে হয়ে যায়। এ ক্ষেত্রে মুখে নিয়মিত দুধ ব্যবহার করতে পারেন। এটি ত্বকের কালচে ভাব দূর করে।

সোমবার, ৪ জুন, ২০১৮

ঊরুসন্ধির কালো দাগ দূর করার উপায়


ঊরুসন্ধি বা দুই থাইয়ের মধ্যবর্তী এলাকায় কালো দাগের সমস্যা গ্রীষ্মপ্রধান দেশের নারীদের মাঝে খুবই দেখা যায়। গরমে ঘেমে কাপড়ের সাথে থাইয়ের ঘর্ষণ তো আছেই, পাশাপাশি  যাদের ওজন অনেকটা বেশি তাঁরাও কিন্তু এই সমস্যায় ভুগে থাকেন। সমস্যাটি বেশ বিব্রতকর, তাই এটা দূর করতে স্কিন ট্রিটমেন্ট করাতে চান না অনেকেই। চিন্তা নেই, উরুসন্ধির কালো দাগ দূর করার জন্য আছে দারুণ কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি। নিয়ম করে এই মাস্কগুলো ব্যবহার করলে ঊরুসন্ধি সহ শরীরের যে কোন স্পর্শ কাতর অঙ্গের দাগ দূর করতে পারবেন।

তবে হ্যাঁ, মনে রাখতে হবে যে ৫টি মাস্ক থেকে যে কোন একটি বেছে নেবেন এবং সেটা নিয়ম করে প্রতিদিন পালন করবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রাতারাতি কোন ফল পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু ধৈর্য ধরে অবলম্বন করলে খুব দারুণ ও স্থায়ী ফল লাভ করা যায়।

চন্দনের মাস্কঃ
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়োকে অর্ধেক লেবু ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ শসার রস দিয়ে পাতলা পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট থাইয়ের কালো দাগের অঞ্চলে মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। শরীরের অন্যান্য স্থানের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ ভালো কাজ করে।

গুঁড়ো দুধের মাস্কঃ
গুঁড়ো দুধ, মধু ও লেবুর রস প্রতিটি ১ টেবিল চামচ করে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘরে আমন্ড তেল বা ভিটামিন ই যুক্ত যে কোন তেল থাকলে কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। এই মিশ্রণ থাইতে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রাখুন , তারপর ধুয়ে ফেলুন। শরীরের যে কোন রোদে পোড়া দাগ দূর করতেই এই উপায় খুবই কার্যকর।
ফেলনা কমলার খোসাঃ
কমলা খাওয়ার পর কী করেন? খোসাটি ফেলে দেন নিশ্চয়ই? এই খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তাপর মধুর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে থাইয়ে লাগান। ১৫/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। থাইয়ের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা খুব ভালো কাজ করে, কারণ এতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। অল্প কিছুদিন ব্যবহারেই ফল পেতে শুরু করবেন।

নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ও পুনরায় দাগ পড়া দূর করতে খুবই কার্যকর। ৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে নিন। কালো দাগের স্থাকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর সামান্য উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। দিনে দুইবার করতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন।

বেসনের মাস্কঃ
বেসনের সাথে টক দই ও হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটা প্রতিদিন ২০ মিনিট থাইয়ে ম্যাসাজ করে লাগান। রোজ ব্যবহারে অল্প কিছুদিনের মাঝেই ফল দেখতে পাবেন।

শুক্রবার, ১ জুন, ২০১৮

বগলের নিচের কালো দাগ দূর করার কয়েকটি সহজ উপায়


মরা কোষ জমে থাকার কারণে বগলের নিচের অংশ কালো হয়ে যায়। মরা কোষ ছাড়াও শেভ করার কারণে, ঘামের কারণ; এমনকি ডিওডোরেন্ট ব্যবহারের কারণেও বগলের নিচে কালো দাগ পড়ে। বিশেষ করে যাঁরা স্লিভলেস পোশাক পরতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন, তাঁদের বগলের নিচে কালো দাগ থাকলে তো একদম চলবে না। এটি কেবল অস্বস্তিকরই নয়, এর সঙ্গে চুলকানি এবং গন্ধের ঝামেলা তো রয়েছেই।

বগলের নিচের কালো দাগ দূর করার কয়েকটি সহজ উপায়ের কথা বলা হয়েছে মেটা গার্লি ওয়েবসাইটে। আপনি চাইলে এই পরামর্শগুলো একবার দেখে নিতে পারেন।

পদ্ধতি-১
বগলের দাগ দূর করতে লেবুর রস খুব সহজ, তবে কার্যকর একটি উপায়। লেবুর স্লাইস হাতে নিয়ে বগলের নিচে পাঁচ মিনিট ঘষুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। টানা ২১ দিন এভাবে লেবু দিয়ে বগলের নিচে ঘষুন। দেখবেন, কালো দাগ একেবারই দূর হয়ে যাবে।

 পদ্ধতি-২
শসার রসের সঙ্গে সামান্য লেবুর রস ও এক চিমটি হলুদের গুঁড়া একসঙ্গে মিশিয়ে বগলের নিচে লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে বগলের দাগ দূর হবে সহজেই।

পদ্ধতি-৩
চন্দনের গুঁড়া গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। বগলের নিচে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে দিন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন, বগলের কালো দাগ দূর হয়ে উজ্জ্বল হবে।

পদ্ধতি-৪
ময়দার সঙ্গে এক চা চামচ টক দই মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করুন। এবার এই প্যাক বগলের নিচে লাগান। এভাবে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এরপর হালকাভাবে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে বগলের নিচের কালচে ভাব দূর হবে।