সাস্থ টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
সাস্থ টিপস লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

কিডনি পরিষ্কার রাখতে আদা-লেবুর পানীয়

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি শরীরের ছাঁকন যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো কখনো কখনো কিডনির কাজকে ব্যাহত করে। তাই কিডনি পরিষ্কার রাখা দরকার। কিডনির মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হলে সংক্রমণ হয়। কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো বমিবমি ভাব, হজমে অসুবিধা ইত্যাদি।

উপাদান--- সতেজ আদার শেকড়
দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস
এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি

প্রণালী

সবগুলো উপাদানকে একত্রে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এরপর পানিটিকে ছাঁকুন। পরে পানীয়টি পান করুন।খালি পেটে পানীয়টি পান করুন। তবে আগে অল্প একটু পান করে দেখুন যে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। আর শরীরে যদি জটিল কোনো রোগ থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া ভালো।


দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

ওজন কমাতে দারুণ সুস্বাদু সালাদ

 
উপকরণ
✿ – কাঁচা পেঁপে দেড় কাপ ( চিকন ঝুরি ঝুরি হবে)
✿ – চেরি টমেটো ৮-১০ টি (দুই ফালি করে কেটে নিন। এটা না পেলে রেগুলার টমেটো ব্যবহার করুন)
✿ – গাজর ১/৪ কাপ (ছবি দেখে কেটে নিন)
✿ – বর বটি ২ টি লম্বা পিস করা
✿ – বাদাম
✿ – ফিস সস ২ টেবিল চামচ
✿ – লেবু ২ টি
✿ ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ (যারা ডায়েট করবেন তাঁরা যতটা সম্ভব কম দিন কিংবা দেবেন না)
✿ – লাল কাঁচা মরিচ ৩-৪ টি [ স্বাদ মত কম বেশি হতে পারে ]
✿ – রশুন ৩-৪ কোয়া
প্রণালি
► প্রথমে একটি হামান দিস্তা নিয়ে রশুন আর কাঁচা মরিচকে হাল্কা করে ছেঁচে নিন।
► এর পর ফিশ সস , লেবু রস , চিনি , টমেটো , বর বটি ছেড়ে দিন। হাল্কা ভাবে আবারো ছেঁচে নিন । খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ছেঁচা না হয় ।
► এর পর পেঁপে এবং গাজর দিয়ে আবারো ছেঁচে নিন। ভালভাবে সব কিছু মিক্স করে নিন ।
► প্লেটে পরিবেশন করুন। উপর দিয়ে বাদাম ছড়িয়ে দিন।

কেন কমবে ওজন?
ভাত বা রুটির তুলনায় এই সালাদে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। যদি চিনিটা বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো কথাই নেই। ডায়েট খাবার যেমন বিস্বাদ হয় খেতে, এটি মোটেও তেমন নয়। তাই আপনার একঘেয়েমিও লাগবে না। সবজি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা, ফলে অটুট থাকছে পুষ্টি গুণ। আছে ফাইবার, ফলে পেট ভরা ভাবটাও থাকবে অনেকক্ষণ। কাঁচা পেঁপে, রসুন ইত্যাদি মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক।

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

শরীর ভালো রাখতে প্রতিদিন দই খান

আসুন আজ জেনে নিন দইয়ের ১০ টি গুণাবলীঃ

১/ দইয়ের মধ্যে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

২/ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে পারে দই।

৩/ দই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে খুব সহজেই জ্বর কিংবা ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়।

৪/ দই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ফলে প্রচন্ড গরমের সময়ে দই খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫/ ওজন জনিত সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই দই খান- উপকার পাবেন।

৬/ দই এ আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। ফলে নিয়মিত দই খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত থাকে।

৭/ টক দই রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

৮/ দই রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান কমিয়ে দিয়ে রক্তকে বিশুদ্ধ করে তোলে।

৯/ দই হজমে সহায়ক তাই রোজ পরিমিত পরিমান দই খেলে হজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়।

১০/ সম্প্রতি গবেষনা থেকে জানা গেছে প্রতিদিন পরিমিত দই খেলে ক্যান্সারের মত মারনরোগ আটকানো যায়।

রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

বয়স ধরে রাখার কিছু কৌশল

ব্যায়াম

ব্যায়াম বয়সকে ধরে রাখার সবচেয়ে কার্জকর পন্থা, প্রিতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন। অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন বা বাসাতেই এক স্থানে দাঁড়িয়ে জগিং করুন। একসঙ্গে ৩০ মিনিট সম্ভব না হলে দিনের মধ্যে ৩ বার ১০ মিনিট করে করতে
প্রতিদিন ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার খান। এই দুই ভিটামিনে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে রোধ করে। খাদ্য থেকেই ভিটামিন গ্রহন ভালো। সম্ভব না হলে সাপ্লিমেন্টা হিসেবে গ্রহন করতে পারেন।

শরীরের পরিবর্তনগুলো খেয়াল করুন

আমাদের শরীরে প্রতি নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। রক্তচাপ কমছে, বাড়ছে হৃদস্পন্দন আবার কখনো কখনো অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। ব্যথা-বেদনা হচ্ছে। এসব লক্ষন কখনোই উপেক্ষা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন। বড় কোন সমস্যা ধরা পড়ার আগেই সাবধান থাকা ভালো।

চর্বি ত্যাগ করুন

দৈনিক ৬০ গ্রামের কম চর্বি এবং ২০ গ্রামের কম স্নেহজাতীয় খাদ্য ( যেমন মাখন বা ঘি ) খাওয়ার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই ত্যাগ করতে পারেন।

দূষণ এড়িয়ে চলুন

শরীরকে সুস্থ রাখার ও বয়সের ঘোড়াকে থামানোর সবচেয়ে কার্জকর উপায় হল দূষণ এড়িয়ে চলা। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দূষণ ঘটে চলেছে- পরিবেশ দূষণ, শব্দ, পানি, বায়ু দূষণ ইত্যাদি। এসব পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করছে স্বাস্থ্য সমস্যা। যতটা সম্ভব দূষণ এড়িয়ে চলুন। ধোঁয়া, উচ্চশব্দ, দুষিত পানি থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখুন। দেখবেন বয়সের ঘড়ি উল্টো ঘুরছে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন

বয়স এবং উচ্চতা অনুপাতে আপনার ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ওজন ঠিক রাখতে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্ট করুন। পানি, ফল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে গ্রহন করুন। ওজন নিয়ন্ত্রনে এলে তা ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন

সব ধরণের বদঅভ্যাস ত্যাগ করে জীবনকে একটি ছকে বেঁধে ফেলুন। অগুছালো জীবন কখনোই শান্তিময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ধূমপান, অ্যালকোহল আসক্তি ত্যাগ করুন। দৈনিক এক প্যাকেট সিগেরেট আপনার আয়ু কমিয়ে দিতে পারে ৮ বছর। ছকে বাঁধা জীবন আপনাকে এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত তারুণ্য।

বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

চর্বি / ভুঁড়ি কমানোর ৬টি কার্যকর পরামর্শ


পেটের চর্বি শুধু দেখতে খারাপ লাগে না বরং পেটের এই অতিরিক্ত চর্বির কারণে বেড়ে যায় ওজন এবং এর চাপ পড়ে পায়ের ওপর। এর ফলে অসময়েই ক্ষয়ে যেতে পারে পায়ের হাড়! এছাড়াও হতে পারে আরো নানান শারিরীক সমস্যা। পেটের এই বাড়তি চর্বি / ভুড়ি কমাবার জন্যে রইলো কিছু কার্যকর পরামর্শ।







১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।

৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

শুক্রবার, ৭ অক্টোবর, ২০২২

গরম পানি পানের উপকারিতা


১. ওজন কমাতে সাহায্য করে
শরীরের বাড়তি ওজন কমাতে গরম পানি বেশ কাজের। এটি খুব সহজেই আপনার শরীরের জমানো চর্বিকে গলতে সাহায্য করবে। তাই প্রতিদিন সকালেই এক গ্লাস গরম পানি পান করুন। এসময় ইষদুষ্ণ এই পানিতে মিশিয়ে নিন খানিকটা লেবুর রসও। ব্যস! দেখবেন খুব দ্রুতই আপনার বাড়তি মেদকে কতটা চমৎকারভাবে কাটাতে সাহায্য করে এই দ্রবণটি। কেবল তাই নয়, গরম পানি বাড়তি কাজ হিসেবে এসময় আপনার শরীরের এডিপোস টিস্যুকেও ভাঙতে সাহায্য করবে।

২. ঠান্ডা ও ব্যথার উপশমে কাজ করে
সর্দি লেগেছে কিংবা মাথাব্যথা? ঠান্ডাজনিত যেকোন সমস্যায় এক গ্লাস গরম পানি আপনাকে দিতে পারে অসম্ভব ভালো ফলাফল। কেবল তাই নয়, নানারকম পেটের ব্যথায়, বিশেষ করে নিছের অংশের পেশীকে সহজ করে দিয়ে নারীদের পিরিয়ডের প্রচন্ড ব্যথাকে সহনীয় পর্যায়ে আনতে সাহায্য করে ইষদুষ্ণ এক গ্লাস পানি।

৩. শরীরের বিষাক্ততাকে দূর করে
আমাদের শরীরে প্রতিদিন মৃত কোষের পরিমাণ বাড়ে, শরীরের ভেতরে নানারকম বিষাক্ত পদার্থ জমা হয়। আর এসবকে ঝেটিয়ে বিদায় করতে এক গ্লাস গরম পানি অপ্রত্যাশিতভাবে সাহায্য করবে আপনাকে। গরম পানি পান করলে আপনার শরীর গরম হবে ও তাতে ঘামের জন্ম হবে। আর এই ঘামের মাধ্যমেই নিজের যত বিষাক্ত পদার্থ সেটা বাইরে বের করে দেবে শরীর। এভাবে সহজেই আপনি আপনার শরীরকে রাখতে পারবেন অনেকটা জীবাণুমুক্ত।

৪. ত্বকের সুস্থতা নিশ্চিত করে
গরম পানি পান যেহেতু শরীরের সব কোষ থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সাহায্য করে, ফলে সহজেই এর মাধ্যমে আপনি মুক্তি পেতে পারেন প্রচন্ড ঝামেলাময় ও বিরক্তিকর পিম্পলের হাত থেকে। এছাড়াও গরম পানি ত্বকের নষ্ট হয়ে যাওয়া লাবণ্যকেও ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে। তাই এক গ্লাস গরম পানি পান করলে আপনার ত্বক থেকে থেকে খুব সহজেই বয়সের ছাপকে দূরে রাখতে পারবেন আপনি।

৫. চুল ও মাথার ত্বককে সুস্থ রাখে
গরম পানি পান চুলের কোষগুলোকে তাজা রাখে, চুলের গোড়াকে অনেক বেশি শক্তিশালী করে তুলে চুলকে কোমল ও পরিমাণে অনেকটা বেশি হয়ে উঠতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মাধ্যমে চুলের বৃদ্ধিকেও ত্বরান্বিত করতে পারে যে কেউ সহজেই। শুধু কি তাই? দিনে এক গ্লাস গরম পানি পান আপনার মাথার ত্বককেও খুশকিমুক্ত করে দিতে পারে পুরোপুরিভাবে। এই কয়েকটি উপকারিতা শুনেই যারা ভাবছেন, বাহ! বেশ কাজের তো দিনে এক গ্লাস গরম পানি পান করা। তাদেরকে জানাচ্ছি, এটুকুই শেষ নয়। খাবার হজম করা, কোষ্ঠকাঠিন্য রোধসহ এমন আরো অনেক অনেকভাবে আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে এক গ্লাস গরম পানি। তাই আর দেরী কেন? আজ থেকেই শুরু করে দিন এক গ্লাস গরম পানি পান করার প্রক্রিয়া।

শনিবার, ১৮ জুন, ২০২২

মধু-পানি পানের স্বাস্থ্য উপকারিতা

১। ওজন হ্রাস করতে
ওজন কমাতে মধু পানি জাদুর মত কাজ করে।  প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস কসুম গরম পানিতে এক চামচ মধু মিশিয়ে নিন। এবার এটি পান করুন। এর সাথে আপনি চাইলে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এটি আপনার পেটের চর্বি কমাতে সাহায্য করবে।

২। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
প্রতিদিন এক গ্লাস মধু পানি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। এর অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরকে সবল রাখে এবং যেকোন ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ থেকে দেহকে রক্ষা করে।

৩। অ্যালার্জি দূর করে
প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু পানি পানে দেহের পোলেন অংশগুলো যেখানে অ্যালার্জি রয়েছে সেসকল স্থানে এক ধরণের প্রতিরক্ষা পর্দা সৃষ্টি করে যা অ্যালার্জির যন্ত্রণা দূর করে দেয়।

৪। হজমশক্তি বৃদ্ধি করে
মধুতে এনজাইম আছে যা খাবার হজম করতে সাহায্য করে। যদি আপনার হজমে সমস্যা থাকে তবে খাওয়ার পর এক গ্লাস কুসুম গরম মধু পানি পান করুন, দেখবেন হজমের সমস্যা দূর হয়ে গেছে।

৫। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়
দারুচিনি এবং মধুর মিশ্রণ হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। এটি রক্তে কোলেস্টে্রলের মাত্রা ১০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে এক টেবিল চামচ মধু এবং এক চামচ দারুচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন পান করুন।

৬। কোষ্টকাঠিন্য প্রতিরোধে
শরীরে পানির অভাব দেখা দিলে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়। এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মধু মিশিয়ে পান করুন। এটি সকালে খালি পেটে একবার এবং রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একবার পান করুন। এটি আপনার কোষ্টকাঠিন্য সমস্যা দূর করতে সাহায্য করবে।

৭। এনার্জি বৃদ্ধিতে
দুর্বলতা অনুভব করছেন? তাহলে তাৎক্ষনিক এক গ্লাস মধু পানি পান করুন। শরীরে চিনির মাত্রা কমে গেলে দুর্বলতা অনুভব হয়। মধু পানি শরীরে পানির পরিমাণ বজায় রেখে শরীরের এনার্জি বৃদ্ধি করে।

শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২

ওজন কমাতে অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার

কীভাবে খাবেন:

১ থেকে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে ১ গ্লাস হাল্কা গরম পানি মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ ৩ বার খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে পান করুন। তারপর নিয়ম মাফিক খাবার গ্রহণ করুন। তবে কেউ চাইলে এই মিশ্রন এ লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।
তবে খুব বেশি পরিমাণ এ গ্রহণ না করাই ভালো। কারণ সকল ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে গলায় ক্ষতি করতে পারে।

এবার জেনে নিই, এটি আসলে কীভাবে কাজ করে-
(১) এটি ক্ষুদা কমায়ঃ ACV খুব তাড়াতাড়ি খাবারের তৃপ্তি এনে দেয়। ফলে বেশি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়।
(২) ACV রক্ত শর্করাকে কন্ট্রোল করেঃ শরীর এর রক্ত শর্করা যখন স্থির থাকে তখন শুধুমাত্র যখন দরকার তখনই ক্ষুদা অনুভব হয়। অন্যান্য সময় খাবার গ্রহণ এড়িয়ে চলা যায়।
(৩) ACV চর্বি জমাট বাধাকে প্রতিরোধ করেঃযারা প্রতিদিন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করে তাদের বিপাক ক্রিয়া বেড়েযায় এবং খুব দ্রুত চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমান এ অরগানিক এসিড এবং এনজাইম রয়েছে যা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে এবং যা চর্বি গলাতেও সাহায্য করে থাকে।
(৪) ইন্সুলিন-এর ক্রিয়াঃ ইনসুলিন চর্বি সঞ্চয়কে প্রভাবিত করে। এই হরমোনটি ব্লাড গ্লুকজ-এর সাথে সম্পর্কিত। এই হরমনের ঘাটতির কারনেই ডায়বেটিস দেখা দেয়। তাই যারা ডায়বেটিস রোগী বিশেষকরে টাইপ ২ ডায়বেটিস রয়েছে যাদের, তাদের জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
(৫) শরীরকে রোগ মুক্ত করতেঃ এই পানীয় টি হজমে সাহায্য করে, সেই সাথে বিপাক হার বাড়িয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর সুস্থ্য ও রোগ মুক্ত থাকে।
শুধুমাত্র ওজন কমানো ছাড়াও আ্যপেল সাইডার ভিনেগার গায়ের চামড়া সুন্দর রাখতে, খসখসে ভাব দূর করতে এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। তাই গ্রীন টি’র মত এই পানীয়টি করে তুলতে পারে আপনাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয়।

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ব্রণ দূর করে কলার ফেসপ্যাক


নরম ও কোমল ত্বকের জন্য কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। বলিরেখা ও ব্রণ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল রাখে এটি

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কার্যকর কলার ফেসপ্যাক। ১টি কলা ব্লেন্ড করে ১ চা চামচ মধু মেশান। ত্বকে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক প্রাণবন্ত হবে।

ব্রণ দূর করতে
ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। একটি কলা চটকে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
শুষ্ক ত্বকের যত্নে কলার ফেসপ্যাক অতুলনীয়। অর্ধেকটি কলা চটকে ১ চা চামচ ওটমিল গুঁড়া, ১ চা চামচ মধু ও ১টি ডিমের কুসুম মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে নরম ও কোমল।

সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

চটজলদি কমিয়ে ফেলুন মুখের বাড়তি চর্বি

মুখে চর্বি জমেছে? মুখ ফোলা লাগছে? নিজেকে আয়নায় দেখতে অসহ্য লাগছে? চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটি সহজ কাজে আপনি মুখের চর্বিকে কমিয়ে ফেলতে পারেন। যা আপনাকে করতে পারে আরও আকর্ষণীয়। আসুন জেনে নিই মুখে জমে থাকা চর্বি দূর করার উপায়।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে একজন মানুষের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে তার প্রভাব মানুষের মুখের ত্বকেও পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মুখ ফুলে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬৪ আউন্স পানি পান করুন। বেশি পানি পান আপনার ক্ষুধা কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

ফ্যাট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন:
যথাসম্ভব কম ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। ঘুমানোর ঠিক আগে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এছাড়া সোডা, বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট গ্রহণ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণও ধীরে ধীরে হ্রাস করতে হবে। অতিরিক্ত লবণ আপনার মুখকে ফুলিয়ে দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্যও খুব ক্ষতিকর।

শরীর চর্চার একটি রুটিন করে নিন:
আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম হন, তবে তা আপনার মুখের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে। ডাক্তাররা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট কার্ডিওভাস্কুলার শরীর চর্চার উপর বেশি জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার ইত্যাদি। যখন এসব কাজের মাধ্যমে আপনার ওজন কমিয়ে ফেলবেন তখন আপনার গাল, চিবুকও স্লিম হয়ে উঠবে।

মুখের বিভিন্ন ব্যায়াম করুন:
কিছু মুখের ব্যায়াম আপনার মুখের অতিরিক্ত ফ্যাটকে ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। যেমন কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁতে দাঁত চেপে হাসুন। চোখ কুঁচকানো বা সরু করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ঠোঁট কুঞ্চিত করুন এবং ব্যায়ামটি চালিয়ে যান।
আবার গাল ফুলানোর কিছু চর্চাও করতে পারেন। প্রথমে লম্বা একটা শ্বাস নিন এবং বাতাস সহকারে আপনার গাল ফুলিয়ে নিন। পাঁচ সেকেন্ড বাতাস ধরে রাখুন। এরপর বাতাস ডান দিকের গালের দিকে নিয়ে যান। এর পাঁচ সেকেন্ড পর বাম দিকের গালের দিকে নিয়ে যান। এরপর পুরো বাতাস ছেড়ে দিন। এবারে বারবার করতে থাকুন।

পর্যাপ্ত ঘুমান:
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর কম হলে আপনার মুখে এর ছাপ পড়তে পারে। ক্লান্তিতে আপনার মুখ স্ফীত হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর কোন বিকল্প নেই।

মেকাপ ব্যবহারে হোন সচেতন:
চিবুকে এবং গালের নিচের দিকে কিছুটা গাঢ় শেডের মেকাপ নিন। এটা আপনার মুখকে চিকন দেখাবে।
তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত মেকাপ মুখের চেহারা বিশ্রি করে দিতে পারে।

চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন:
চুলের ভুল স্টাইলের কারণে বৃত্তাকার মুখ আরও বেশি গোল লাগতে পারে। কোন হেয়ার স্পেশালিষ্টের সাথে আপনার চুলের স্টাইল নিয়ে কথা বলতে পারেন। এমন কোন স্টাইল বেছে নিন যা আপনার মুখকে চিকন দেখাবে এবং চিবুক এবং গাল থেকে অন্যের মনযোগ সরিয়ে দেবে।

শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

মহিলাদের দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস দূর করার ঘরোয়া উপায়

মূল দরজা রাখুন খোলামেলা
দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকেই যদি দেখেন সেখানে রাজ্যের আবর্জনা, এলোমেলো হয়ে থাকা জুতো-স্যান্ডেল, তাহলে মনটা ভালো থাকবে কী করে? এই জায়গাটা রাখুন খোলামেলা, গোছানো। এছাড়া, দরজাটাকে মেরামত করে রাখুন, যেন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা না হয়, কবজায় ক্যাঁচকোঁচ শব্দ না করে। আর ফেং শুই অনুযায়ী যেহেতু সদর দরজাকে পানির সাথে তুলনা করা হয়, তাই ডোরম্যাট রাখুন নীল।

ঘরে রাখুন গাছপালা
নতুন সূচনা, পরিবার এবং সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে গাছপালা। এ কারণে জীবন্ত গাছপালা রাখুন ঘরে, প্লাস্টিকের নয়। ছোট ছোট টবে গাছ, ফুল রাখতে পারেন সারা ঘরে ছড়িয়ে।

রান্নাঘরের প্রতি মনোযোগ দিন
রান্নাঘরটাকে সাজানোর ক্ষেত্রে অনেকেই মনোযোগ দেন না। কিন্তু ফেং শুই অনুযায়ী, রান্নাঘরে বেশী লাল, নীল অথবা কালো রং থাকলে ঝগড়ার সুত্রপাত হতে পারে। এছাড়া, বেসিন এবং চুলা একে অপরের মুখোমুখি থাকলেও ঝগড়া, কথা কাটাকাটি হতে পারে। এসব এড়িয়ে চলার জন্য রান্নাঘরে বেশী করে সবুজ রাখুন। ছুরি বাইরে ফেলে রাখবেন না। বন্ধ একটা কাপবোর্ডে রাখুন।

রান্নাঘরে রাখুন এক বাটি কমলা ও লবংগ
কমলা মন ও মেজাজ ভালো রাখে, আর লবঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখে।

বসার ঘরে নিজের ইচ্ছের প্রতিফলন
খাবার ঘরের মত বসার ঘরটাও হালকা, শান্তিময় কিছু রং ব্যবহার করে সাজান। সোফার পিঠে হেলান দেবার জায়গাটা যেন দেয়ালের সাথে লেগে থাকে তা নিশ্চিৎ করুন। পরিবারের একটি ছবি দেয়ালে রাখতে পারেন।
খাবার ঘরে প্রশান্তি বজায় রাখুন

ডাইনিং রুম হলো পারিবারিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা ও ধরে রাখার জায়গা। আপনি যদি একা বাস করে, তাহলে সেই জায়গায় বসে আপনি মনোযোগ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন। এই ঘরটাকে হালকা রঙে সাজান যাতে প্রশান্তির অনুভূতি পাওয়া যায়। গোল বা ডিম্বাকার টেবিল ব্যবহার করুন। চৌকো বা লম্বাটে টেবিল হলে এর কিনারাগুলো টেবিল ক্লথ দিয়ে ঢেকে দিন। ফেং শুই মতে আয়না ইতিবাচক শক্তি এনে দেয়, তাই জায়গা থাকলে এই ঘরে আয়না রাখুন। এর পাশাপাশি, এক পাত্র পানিতে চারটি বাঁশের টুকরো রাখতে পারেন এই ঘরে।

শোবার ঘরে ভারসাম্য বজায় রাখুন
শোবার ঘরে ইলেক্ট্রিকাল আইটেম কম রাখুন। বিছানার যে অবশ্যই একটি হেডবোর্ড থাকে এবং তা যেন দেয়ালের সাথে লাগানো থাকে তা নিশ্চিন্ত করুন। বেডসাইড টেবিল বিছানার দুইপাশে রাখুন, জোড়া ভাংবেন না। সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় রাখার চেষ্টা করুন।

নিজের ইচ্ছের প্রতি মনোযোগ দিন
ইচ্ছেশক্তির ক্ষমতা বেশ বড়। তাই আপনি নিজের চিন্তা এবং কথার দিকে মনোযোগ দিন। জানালা খুলে দিন এবং ধূপ জ্বালান। এছাড়া নীল রঙের একটি জার্নালে নিজের ব্যাপারে ভালো কিছু লিখুন, যেমন “আমি সুস্থ থাকব,” “আমি সন্তানের সাথে ভালো আচরণ করব”।

পোশাকের রঙের ব্যাপারে সচেতন থাকুন
কী রঙের পোশাক কিনছেন এবং পরছেন তার ব্যাপারে চিন্তা করুন। শীতকালে লাল রং পরতে অনেকেই পছন্দ করেন। এর সাথে নীল এবং কালো রঙ মিলিয়ে পরুন।

অতিথি চলে যাবার পর
এই মৌসুমে ছুটিছাটা বা অন্যন্য উৎসবের কারণে অনেক সময়েই অতিথির আনাগোনা দেখা যায়। অতিথি চলে গেলে জানালা দরজা খুলে দিন এবং ধূপ বা আগরবাতি জ্বালান ঘরে। এতে সব স্ট্রেস দূর হবে সহজে।

বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১

এই সময়ে ঘামাচি থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায়

 

গরমে শরীর থেকে অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া স্বাভাবিক। ঘামে শরীরের দূষিত পদার্থও থাকে। তাই ঘামে মিশে থাকা লবণের কারণে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে সেই অংশ দিয়ে ঘাম বের হতে পারে না।

আর তখনই ওই স্থানগুলো ফুলে ওঠে। বিভিন্ন চর্মরোগ যেমন ঘামাচি, র‌্যাশ, চুলকানির সৃষ্টি হয়। গরমে সবচেয়ে বেশি যে সমস্যায় সবাই ভুগে থাকেন, সেটি হলো ঘামাচি। ছোট-বড় সবাই এ সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন।

ঘামাচি কতটা বিরক্তিকর তা সবারই জানা আছে। তবে এ নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। কিছু নিয়ম মেনে চললে ঘামাচি হবে না। তাই ঘামাচি হওয়ার আগে এখন থেকেই এসব বিষয় মেনে চলুন।

> ঘাম হলেই কিছুক্ষণ পরপর শরীর মুছে ফেলুন। তবে ঘাম মোছার সময় অতিরিক্ত চাপ দিয়ে মুছবেন না। পরিষ্কার কাপড় দিয়ে ঘাম মুছবেন।

> দিনে অন্তত দুইবার গোসল করুন। ক্ষারযু্ক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না। ঘামাচি হলে শরীর বেশি ঘঁষবেন না।

> গোসলের পানিতে অ্যান্টিসেপ্টিক ব্যবহার করুন। এ ছাড়াও পানিতে লেবুর রস, নিম পাতার রস মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে ত্বকে জীবাণু বাসা বাঁধতে পারবে না।

> গরমে হালকা রঙের পোশাক পরুন। এতে গরম কম লাগবে। খোলামেলা পোশাক পরুন এবং টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন।

> ঘামাচি হলে একদম চুলকাবেন না। অ্যালোভেরার রস, নিম পাতার রস, পাতি লেবুর রস পানিতে মিশিয়ে ঘামাচির স্থানে ব্যবহার করুন।

> ঘামাচি হলেই অনেকে ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন। এতে লোমকূপের মুখ বন্ধ হয়ে যায়।

> গরমে যেহেতু বেশি ঘাম হয়ে থাকে; তাই এ সময় প্রচুর পানি পান করতে হবে।

> বিভিন্ন ফলের রস ও শাক-সবজি খাবারের তালিকায় রাখুন। তাহলে সব ধরনের চর্মরোগ থেকেই ত্বক বাঁচবে।

মঙ্গলবার, ৬ এপ্রিল, ২০২১

প্রচন্ড গরমে সুস্থতা | ১৪টি টিপস মেনে ফিট থাকুন গ্রীষ্মকালে


প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে টিপস

১. প্রচুর পানি পান করুন

এই গরমে সুস্থ থাকতে হলে প্রচুর পরিমাণের পানি পান করুন। পানির কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন ঘামের সাথে প্রচুর পানি ও লবণ আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। আর তাই প্রতিদিন ৬ লিটার পানি অবশ্যই পান করুন।

৩. প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন সবজি

প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে সবজি রাখুন এবং তরকারিতে ঝোল রাখুন। এসময় যতটা সম্ভব কষা রান্না পরিহার করুন। শরীর থেকে প্রচুর পানি বের হয় বলে ঝোল জাতীয় খাবার থাকা খুবই দরকার।

৪. মাংস খাওয়া পরিহার করতে হবে

অতিরিক্ত মাংস খাওয়া শরীরের জন্য এমনিতেই ক্ষতিকর। প্রতিদিন মাংস গ্রহণ শরীরে জন্ম দেয় নানা রোগের। আমাদের শরীরের বেশিরভাগ রোগের অন্যতম কারণ প্রতিদিন মাংস খাওয়া। তাই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে নিজের এবং পরিবারের মাংস খাওয়া পরিহার করুন।

৫. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন

কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার আমাদের শরীরকে স্থূলকায় করে তোলে। জানলে অবাক হবেন ডায়াবেটিস-এর মতো ভয়াবহ রোগের অন্যতম কারণ এই অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার গ্রহণ। তাই কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবারকে না বলুন। না, একেবারে না নয় কিন্তু! পরিমাণ মতো খান ও  সুস্থ থাকুন অনেক দিন।

৬. চা, কফি পরিহার করুন

চা, কফিতে থাকে প্রচুর পরিমাণে নিকোটিন। যা শরীরকে করে তোলে শুষ্ক। যেহেতু গ্রীষ্মকালে আমরা প্রচুর ঘামি, সেহেতু শরীরের থেকে বেরিয়ে যায় প্রচুর পানি। তাই চা, কফি পান যথা সম্ভব কমিয়ে দিন।  আর  হলে গরমের সময় পান করা থেকে বিরত থাকুন।

৭. লেবু, বেলের শরবত ও ডাবের পানি করুন

গরমে নিয়মিত পান করুন লেবুর শরবত কিংবা বেলের শরবত। সম্ভব হলে ডাবের পানি পান করুন। লেবুতে আছে ভিটামিন সি।বেলে আছে ভিটামিন, মিনারেল, শর্করা। ডাবের পানিতে আছে আয়োডিন, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, আয়রণ ইত্যাদি। এ জাতীয় পানীয় শরীরকে করবে সতেজ ও ঠান্ডা এবং শরীরে ভিটামিন, আয়োডিন-এর অভাব দূর করে শরীরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

৮. ট্যাং ও এই জাতীয় পানীয় একদম না

ট্যাং এবং এই জাতীয় কোমল পানীয় স্বাস্থ্যের জন্য অন্যন্ত ক্ষতিকর। বিক্রি বৃদ্ধির জন্য বিজ্ঞাপনে নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান দেখালেও আসলে এর কিছুই এর মধ্যে উপস্থিত থাকে না। যে সকল উপাদান দিয়ে এসকল পণ্য উৎপাদন করা হয় তার সবই মানুষের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।

৯. ছাতা ব্যবহার করুন

বাহিরে বেড়োবার সময় অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন। সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বকের জন্য খুবই ক্ষতিকর। স্কিন ক্যান্সার-এর অন্যতম কারণ এই অতি বেগুনি রশ্মি। এছাড়াও অতিরিক্ত তাপমাত্রার জন্য অজ্ঞান হয়ে যাওয়া এমনকি হিট স্ট্রোকও হয়ে থাকে। তাই ব্যবহার করুন ছাতা।

১০. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

প্রতিদিন ও নিয়মিত ব্যবহার করুন সানস্ক্রিন এবং অবশ্যই তা হতে হবে ভালো কোন ব্যান্ড-এর। কমদামি, সস্তা সানস্ক্রিন লাভের বদলে মারাত্মক ক্ষতি করবে আপনার ত্বকের। যে ক্ষতি অনেক সময় পূরণ করা প্রায় অসম্ভব।

১১. হালকা ব্যায়াম করুন

প্রতিদিন সকালে হালকা ব্যায়াম করুন। ব্যায়াম দেহ ও মনের উৎকর্ষতা সাধন করে। দেহ ও মনকে সতেজ রাখে, কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে,  শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করে,  হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

১২. ব্যাগে রাখুন পানির বোতল

বাহিরে যাবার সময় অবশ্যই ব্যাগে রাখুন পানির বোতল। অনেক সময় অনেক জায়গায় বিশুদ্ধ পানির অভাব দেখা দেয়। তাই সব সময় নিজের সাথে রাখুন নিরাপদ পানি।

১৩. রোদ চশমা ব্যবহার করুন

ধূলাবালি ও রোদ থেকে বাঁচতে বাহিরে  যাওয়ার সময় ব্যবহার করুন রোদ চশমা বা সানগ্লাস।

১৪. হালকা রঙের সুতি ও ঢিলেঢালা পোশাক পরিধান করুন

সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আরামদায়ক পোশাক পরিধান করা। এই গরমে পরিধান করুন সুতি জাতীয় কাপড়ের পোশাক এবং পোশাকটি ঢিলেঢালা পরিধান করার চেষ্টা করুন, কেননা আঁটসাঁট বা গাঁয়ের সাথে লেগে থাকা পোশাকে গরম বেশি অনুভূত হয়।গাঢ় রঙ সূর্যের তাপ বেশি শোষণ করে বিধায় গাঢ় রঙের পোশাকে গরম বেশি লাগে এবং বেশি ঘাম হয়। ফলে শরীর থেকে বেশি পানি বের হয়ে যায়। তাই এই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন হালকা রঙের পোশাক।

সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে নিজে যেমন সুস্থ থাকা যায় ঠিক তেমনি পরিবারের অন্যান্য সদস্যদেরও সুস্থ্য রাখা সম্ভব। তাই এই প্রচন্ড গরমে সুস্থতা বজায় রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলুন। স্বাস্থ্যসম্মত, সুস্থ, সুন্দর ও সুখী জীবন আমাদের সকলের একান্ত কাম্য। নিজে ভালো থাকুন এবং নিজের পরিবারকে ভালো রাখুন।

শনিবার, ২০ মার্চ, ২০২১

বাড়তে শুরু করেছে গরমের তীব্রতা। গরমে সুস্থ থাকতে চাইলে প্রতিদিনের খাবার মেন্যুতে রাখতে হবে প্রোটিন ও পানিসমৃদ্ধ খাবার

 

গরমে স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাবেন যেসব খাবার
১/ রসালো ফল তরমুজ পাওয়া যাচ্ছে বাজারে। গরমে সুস্থ থাকতে প্রতিদিন খান তরমুজ। তরমুজে থাকা ভিটামিন এ ও সি শরীরে পুষ্টি জোগানোর পাশাপাশি পানির জোগানও দেয়।
২/ দই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ প্রোবয়াটিক, যা গরমে পেটের যেকোনোও সমস্যা থেকে দূরে রাখে। পাশাপাশি শরীর ঠাণ্ডা রাখতেও দই খাওয়া চাই নিয়মিত।
৩ | প্রায় সব রকম ভিটামিন ও মিনারেলের পাশাপাশি প্রচুর পানি থাকে। তাই ডিহাইড্রেশন থেকে দূরে থাকতে গরমে রোজ শশা খান।
৪/ লেবু-পানি কিংবা পুদিনা-পানি পান করতে পারেন প্রতিদিন

সোমবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২১

কিছু ভুল অভ্যাসের কারণে আপনার পেটে জমছে বিচ্ছিরি মেদ

পেটের মেদ ছোট আকৃতিরও যদি হয় তবুও তা বেশ বিপদজনক। কারণ একবার যদি কোন ভাবে পেটের মেদ সৃষ্টি হয়ে যায় সেটা বড় হতে বাধ্য। তাই পেটের মেদের কারণ খুবই গুরুতর এবং একে গুরুত্বের সাথেই সবার দেখা উচিত। আর এটাও সবারই জেনে রাখা উচিত যে পেটের মেদ জমাকৃত স্থান থেকে মেদ কমানো বেশ কঠিন একটি কাজ। তাই কিভাবে এই পেটের মেদ থেকে পরিত্রাণ পাবেন তা জানার জন্য আগে কেন পেটের মেদ সৃষ্টি হয় তা জানা থাকলে অনেক উপকৃত হবেন।

নিষ্ক্রিয়তা

সুস্থ থাকার জন্য শারীরিক ব্যায়াম করার কোন বিকল্প নেই এটা অনেক আগে থেকেই প্রতিষ্ঠিত। সঠিক দেহের আকৃতি বহির্গত এবং অভ্যন্তরীণ উভয় ক্ষেত্রের জন্য শারীরিক ব্যায়াম অবশ্যই প্রয়োজন। তাই যখন আপনি নিয়মিত ভাবে শারীরিক ব্যায়াম শুরু করবেন তখন আস্তে আস্তে পেটের মেদও কমতে শুরু করবে তখন আর সেই পেটের মেদ লুকানোর জন্য ঢিলেঢালা পোশাক পরার প্রয়োজন হবে না।

রাতে দেরি করে খাওয়া

রাতের খাবার খাওয়ার পর তা হজম হওয়ার জন্য সময়ের প্রয়োজন। ভরপেট খাবার খেয়ে সাথে সাথেই ঘুমাতে গেলে সেই খাবারটা আর সঠিকভাবে হজম হওয়ার সময় পায়না এবং দেহে খাদ্যোপাদানগুলোর সঠিক বণ্টনও হয় না। এর ফলে তা পেটের মেদ হিসেবেই জমা হয়।

ইটিং ডিজঅর্ডার

অনেকেরই খাবার সম্পর্কীয় এই রোগটি রয়েছে যা আমরা অনেকেই জানি না। যদিও একে অনেকেই রোগ মনে করেন না। যখন মন খারাপ থাকে তখন অনেকেই ভাবেন যে বেশি করে খেয়ে সেটা ভালো করবেন। আসলে সেটি কোন সমাধান না। কারণ এই কাজটি কখনো মানসিক ভাবে আপনাকে সাহায্য করবেনা শুধু পেটের মেদ বাড়ানো ছাড়া। খাবার প্রতি এভাবে নেশাগ্রস্ত না হয়ে চেষ্টা করুন শারীরিক ব্যায়াম করতে। এটা বেশ উপকারে আসবে। চেষ্টা করুন ইয়োগা করতে এটি দুশ্চিন্তা দূর করতে সাহায্য করবে।

বিষণ্ণতা

আমাদের আধুনিক সমাজ জীবনে বিষণ্ণতায় ভোগার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং আমাদের অনেকেরই অনেকটা সময় বিষণ্ণতায় কাটেও। এই বিষণ্ণতাও পেটের মেদের একটি কারণ। কারণ বিষণ্ণতায় ভুগলে তখন দেহে কর্টিসল নামক একপ্রকার হরমোন নিঃসৃত হয়। আর এই কর্টিসল হরমোন পেটের চারদিকে চর্বি জমাতে সাহায্য করে পেটের মেদ বৃদ্ধি করে।

কম প্রোটিনযুক্ত খাবার

প্রোটিন আমাদের দেহের রক্তের শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য প্রয়োজন। এটি ইন্সুলিনের মাত্রা কমিয়ে বিপাক ক্রিয়াকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আর বিপাকক্রিয়ার হার বৃদ্ধি পাওয়া মানেই দেহে চর্বি পরিমাণ কমায়। তাই যদি কম প্রোটিনযুক্ত খাবার খাওয়া হয় তাহলে দেহে চর্বির পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

সময়মত খাবার না খাওয়া

অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। যখন শরীর জানবে না ঠিক কখন পরবর্তী খাবার আসবে তখন শরীর দেহে চর্বি জমা করা শুরু করে। তাই এই অবস্থা এড়ানোর জন্য সঠিক সময় এবং সঠিক বিরতিতে খাবার গ্রহণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এর ফলে শরীরের শক্তির সরবরাহ নিশ্চিত থাকবে।

ঘুমের অপর্যাপ্ততা

প্রতিটি প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের জন্য দৈনিক ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো খুবই প্রয়োজন। তাই কম ঘুমিয়ে বেশিক্ষণ জেগে থাকলে তা কর্টিসল হরমোনের উৎপাদন বাড়ায় এবং বেশি মিষ্টি খাবার বা যেকোন খাবারের ইচ্ছাকেও বাড়ায়। তাই এটিও মেটের মেদ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।

মদ্যপান

মদ্যপানের ফলে তা দেহে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা দেহের ওজন বৃদ্ধির সাথে সাথে পেটের মেদও বৃদ্ধি করে।

কার্বনেটেড ড্রিঙ্কস খাওয়ার ফলে

কার্বনেটেড ড্রিংকসগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণ চিনি থাকার ফলে এগুলো থাকে ক্যালোরিতে পরিপূর্ণ। এসব ড্রিংকসগুলোতে থাকা অতিরিক্ত চিনি খাবার ইচ্ছাকে বাড়িয়ে দেয় এবং প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাওয়া হয়। আর এভাবেই পেটের মেদ বৃদ্ধি পায়। আবার অনেকে মনে করেন ডায়েট ড্রিংকসগুলো খেলে কোন সমস্যা হয় না কিন্তু সেগুলোও অনেক ক্ষতিকর।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস

প্যাকেট ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবারগুলো দেহে আক্রমণাত্মক ভাবে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ায়। কারণ এসব খাবারগুলোতে চিনি ও ক্যালরির পরিমান খুব বেশি থাকে যা পেটের মেদ বৃদ্ধির জন্য দায়ী। তাই যে কোনো প্যাকেটজাত, টিনজাত ও প্রক্রিয়াজাত করা খাবার গুলোর প্যাকেটে উপাদানগুলোর নাম এবং পরিমানণ দেখলেই হয়তো সবারই সেটা বুঝতে পারবেন।

মেনোপজ পর্যায়ে

মহিলাদের মেনোপজ পর্যায়ে দেহে বিভিন্ন ধরনের হরমোনের পরিবর্তন হয়। যার ফলে ওই বয়সে মহিলাদের পেটের মেদ বৃদ্ধির একটা প্রবণতা দেখা দেয়।

বংশগত কারনে

পেটের মেদ অনেক সময় বংশগত কারণেও হতে পারে। যদি বাবা মায়ের কারো পেট মেদ বহুল থাকে তাহলে ছেলে মেয়েদের মাঝেও পেটের মেদ হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সেসব ক্ষেত্রে খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাপনের ধারায় অবশ্যই একটু অতিরিক্ত মনোযোগী হতে হবে।

সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

শসার যেসব রেসিপি দ্রুত ওজন কমাবে

ওজন কমানোর জন্য কতরকম চেষ্টা। ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, খাবারের তালিকায় কাটছাঁট! কিন্তু শসা নামক নিরীহ সবজিটি আপনার ওজন দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে, তা কি জানা আছে? শসা শুধু আপনার ওজন কমাবে তাই নয়, সঙ্গে শরীরে পানির চাহিদা মেটাবে।

 শসায় মোটেই ফ্যাট নেই, আর ক্যালোরিও নামমাত্র। তাই এই খাবার সহজেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলায় সহায়ক। এছাড়া শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও নানা খনিজ লবণ। শুধু শসা খেতে ভালো না লাগলে রয়েছে অন্য উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-


শসার রায়তা বানানো যতটা সহজ, ততই সুস্বাদুও। গ্রেটারে শসা ঘষে নিন। এরপর তা টক দই, লবণ, জিরা গুঁড়া, ধনেপাতা, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। সব মিশিয়ে নিলেই রায়তা তৈরি
ব্লেন্ডারে ছোট ছোট করে কাটা শসার টুকরো, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, সবুজ আপেল দিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিন। এরপর এতে বরফের টুকরা মেশান। ঠান্ডা শসার স্মুদিতে যেমন পুষ্টিগুণ পাবেন, তেমনই মেদ ঝরবে চটপট। এতে স্বাদ বাড়াতে ভাজা মশলার গুঁড়া বা গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।

 স্মুদির মতোই বানিয়ে নিতে পারেন শসার শরবত। ধনে পাতা, আদা, শসার টুকরো, লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিন শসার শরবত, আর প্রতিদিন খালি পেটে খান এটি, মেদ ঝরবে দ্রুত।
 গাজর, পেঁয়াজ, টম্যাটোর সঙ্গে শসা মিশিয়ে প্রায়ই আমরা সালাদ বানাই। এবার তাতে যোগ করুন একটু সিদ্ধ চিকেন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কয়েকটি কাজু বাদাম আর লেবুর রস। ব্যস, দুপুরের খাবার তৈরি আপনার। আর এতেই কমবে ওজন।

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

গলা ব্যথা উপশমের কিছু কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়


শীতে একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গলা ব্যথা ও গলা বসে যাওয়া। শীতকাল শুরু হলে হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়াতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। এটি সাধারনত তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও এক ধরনের ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আরো কিছু কারণে এই সমস্যা হতে পারে যেমন, এলার্জি জনিত কারণ, বায়ু দূষণ, শুষ্ক আবহাওয়া ও টনসিল জনিত সমস্যা ইত্যাদি। গলায় সমস্যা হলে কথা বলায় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে গলা অনেক সময় ফুলেও যায়।
তাই শীতে বিশেষ করে শীতের শুরুতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তারপরেও সমস্যা হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
গলা ব্যথা হলে কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে এই ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ১
উপাদেয় উপাদানঃ কিসমিস।
কিসমিস গলা ব্যথা উপশমে অত্যন্ত উপদেয় একটি উপাদান। ব্যথা কমে যাবার আগ পর্যন্ত এটি নিয়মিত খেলে গলা ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়।
  • পদ্ধতি ২
উপাদেয় উপাদানঃ আদা / আদার রস।
আদা / আদার রস গলার সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকরী । আদা টুকরো করে অথবা আদার রস করে সেবনে গলার সমস্যা থেকে খুব সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ৩
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, চা-পাতি, আদা, তুলসি পাতা।
১ কাপ পরিষ্কার ফুটানো পানি পাত্রে নিয়ে এতে ১/২ চা চামচ টুকরো করা আদা, ১/২ চা চামচ চা-পাতি, ২-৩ টি তুলসি পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট চুলায় গরম করতে হবে। ৫-১০ মিনিট পরে এটি নামিয়ে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর যখন হালকা গরমে পরিণত হবে তখন পানি পান করে নিতে হবে। এটি পানে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়, তুলসি পাতায় ভেষজ গুণ রয়েছে যা গলা ব্যথা সারাতে অত্যন্ত কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৪
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, তুলসি পাতা, মধু।
১ গ্লাস পরিষ্কার পানিতে ৪/৫ টি তুলসি পাতা নিয়ে ৫ মিনিট ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে এটি নামিয়ে ২ থেকে ৩ ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করে ফেলতে হবে। এটি গলা ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৫
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, মধু, লেবুর রস।
প্রথমে একটি লেবু নিয়ে তা থেকে লেবুর রস করে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস মৃদু গরম পানিতে ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালের নাস্তার আগে খেতে হবে। প্রতিদিন এটি পান করলে গলা ব্যথা ও খুশখুশে কাশি সাড়াতে সাহায্য করে।
  • পদ্ধতি ৬
উপাদেয় উপাদানঃ গুড়, আদা।
গলা ব্যথা ও গলায় যাবতীয় সমস্যার উপক্রম দেখলেই একটি গুড়ের টুকরার সাথে ১ চা চামচ আদার রস/আদা টুকরা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খেতে হবে।
  • পদ্ধতি ৭
উপাদেয় উপাদানঃ মেথি গুঁড়া, পানি।
মেথি গুঁড়া করে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

চর্বি কমানোর কার্যকর পরামর্শ

১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।
 


৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

শনিবার, ১৬ মে, ২০২০

আদার পানি পান করলে কমবে কোমরের মেদ

যা যা লাগবে

১.৫ লিটার পানি
আদা কুচি

যেভাবে তৈরি করবেন

১। ১.৫ লিটার পানি চুলায় দিন, এর সাথে ২ ইঞ্চি লম্বা আদা কুচি মিশিয়ে নিন।
২। এটি কিছুক্ষণ জ্বাল দিন।
৩। ঘন হয়ে গেলে চুলা নিভিয়ে ফেলুন। ব্যস তৈরি হয়ে গেল আদার রস।
৪। স্বাদ বৃদ্ধির জন্য এতে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।
৫। প্রতিদিন এক কাপ করে এই আদার রস পান করুন। কমপক্ষে ছয় মাস এটি পান করুন।

কার্যকারণ

আদা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, বমি বমি ভাব দূর করে, হজমশক্তি বৃদ্ধি, ঠান্ডা, কফ দূর করে থাকে। শুধু তাই নয়, এটি খারাপ কোলেস্টেরল দূর করে হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে। আদার অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান মেদ হ্রাস করে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এমনকি এটি দীর্ঘক্ষণ পেট ভরিয়ে রেখে খাবার খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমিয়ে দেয়।
প্রতিদিন এক কাপ করে ছয় মাস এই পানীয় পান করুন। আর পেয়ে যান কাঙ্ক্ষিত কোমর।

বুধবার, ৬ মে, ২০২০

যেভাবে গাজর খেলে ওজন কমবে


শীতের সবজি হলেও কম-বেশি সারা বছরই দেখা মেলে গাজরের। আর এই গাজর দিয়েই চটজলদি কমিয়ে ফেলা যায় শরীরের মেদ। পুষ্টিবিদদের মতে, ১০০ গ্রাম গাজরে শর্করা রয়েছে ১০.৬ গ্রাম মতো। তুলনায় ফ্যাটের পরিমাণ প্রায় নেই বললেই চলে, মাত্র ০.২ গ্রাম। কাজেই নিত্য খাদ্যতালিকায় গাজর রাখলে মেদ ঝরবে। প্রতিদিন একইভাবে খেলে অরুচি চলে আসতে পারে। তাই চেনা স্বাদেই নিয়ে আসতে পারেন ভিন্নতা-

গাজরের সালাদ: শশা, গাজর, টমেটো, পেঁয়াজ দিয়ে স্যালাড তো বানান, দ্রুত ওজন কমাতে সেই সালাদেই বাড়িয়ে দিন গাজরের পরিমাণ। অনেকটা গাজর কুঁচিয়ে লেবুর রস ও গোলমরিচ ছড়িয়ে নিয়মিত খান। তবে স্বাদ বাড়াতে সালাদে মাখন, মেয়োনিজ বা তেল মেশাবেন না।

গাজরের স্যুপ: গাজর সিদ্ধ করে তা দিয়ে স্যুপ বানিয়ে ফেলুন। হালকা গোলমরিচ, অল্প মাখন যোগ করে এই স্যুপ দিয়ে পেট ভরান দুপুরে বা রাতে। পেট ভরাতে এর সঙ্গে অন্য সবজিও যোগ করতে পারেন।

গাজরের হালুয়া: সাধারণ উপায়ে যেভাবে গাজরের সুজি বা হালুয়া বানান, সে ভাবে না বানিয়ে বরং মাখন, চিনি, বাদাম ছাড়া হালুয়া বানান। চিনি ছাড়া হালুয়া খেতে অসুবিধা হলে লবণ ও মরিচ মেশানো ঝাল সুজির নিয়মেও বানিয়ে ফেলতে পারেন এই হালুয়া। তেলও দিন একেবারে নামমাত্র।