সোমবার, ২১ নভেম্বর, ২০২২

গোলাপের পাপড়ির ময়েশ্চারাইজিং স্ক্রাব তৈরির উপায়

যা যা লাগবে
– ২ টেবিল চামচ নারিকেল তেল
– আধা টেবিল চামচ মধু
– ১ টেবিল চামচ গোলাপজল
– আড়াই টেবিল চামচ চিনি
– ছোট এক জার শুকনো গোলাপের পাপড়ি
– ১/২ ফোঁটা রোজ এসেনশিয়াল অয়েল
প্রণালী
১) একটা ছোট বোলে নারিকেল তেল নিন। গরম পানির ওপর বোলটি রেখে ধীরে ধীরে গলিয়ে নিন তেলটাকে। গলে গেলে এতে দিয়ে দিন গোলাপজল এবং মধু। মেশাতে থাকুন যতক্ষণ না পুরো মিশ্রণের রঙ এক হয়ে যায়।
২) মিশ্রণ একটু ঠাণ্ডা হয়ে এলে একটু একটু করে চিনি দিন এবং মেশাতে থাকুন। এতে একটা খসখসে, নরম মিশ্রণ তৈরি হবে। এ সময়ে এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে দিতে পারেন।
৩) একটা শুকনো গোলাপ নিয়ে গরম পানিতে কয়েক সেকেন্ড রেখে নরম করে নিন। এরপর এটাকে ছোট্ট ছোট্ট টুকরো করে মিশিয়ে দিন নারিকেল তেলের মিশ্রণে। এগুলো স্ক্রাবের শক্তি বাড়ায়।
এই রেসিপিতে আড়াই আউন্স স্ক্রাব তৈরি হবে। দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এটা ভালো থাকবে। ইচ্ছে হলে এতে এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েলও মিশিয়ে নিতে পারেন মধুর পরিবর্তে।
আরও একটি উপায়ে গোলাপের পাপড়ি ব্যবহার করতে পারেন। আপনি নিজে গোলাপ কিনে নিতে পারেন বা টবে থাকা গোলাপ নিয়ে শুকিয়ে নিতে পারেন। এই শুকনো গোলাপের পাপড়ি গুঁড়ো করেও মিশিয়ে নিতে পারেন ২ কাপ চিনি এবং ২/৩ কাপ নারিকেল তেলের সাথে। এই মিশ্রণটি আগের স্ক্রাবের চাইতে একটু বেশি গুঁড়ো গুঁড়ো হবে।
এই দুই ধরণের যে কোনো একটি স্ক্রাব তৈরি করে নিন। এবার গোলাপের মিষ্টি সুগন্ধ ঘুরে ফিরবে আপনার আশেপাশে। সেই সাথে আপনার ত্বকের ফুটিয়ে তুলবে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল আভা।

রবিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২২

দাঁত সাদা করতে কলার খোসার ব্যবহার

  প্রথমেই বেছে নিন সঠিক কলা। দাঁত সাদা করার জন্য ঠিক ভাবে পাকা কলা হওয়া জরুরী। খুব বেশি পাকাও নয়, খুব বেশি কাঁচাও নয়। এমন কলা বেছে নিন যারা কিনা এখন নিচের দিকে একটু একটু সবুজ। কেননা এই ধরনের কলায় পটাশিয়াম থাকে উচ্চ মাত্রায়। আর এই পটাশিয়ামই দাঁত সাদা করার দায়িত্ব নেবে।

  কলা উলটো করে ছিলে নিন। হ্যাঁ, যেভাবে আপনি ছিলে থাকেন কলা ঠিক তার উলটো দিক থেকে ছিলে নিন। দেখবেন যে কলার গায়ে লম্বা লম্বা সুতার মতন আঁশ থাকে। উলটো করে ছিলে নিয়ে এই আঁশ গুলো থাকবে খোসার সাথেই।

  খোসা থেকে চারকোনা করে দুটি টুকরো কেটে নিন। আপনার সুবিধা মতন আকারেই কেটে নিন। চাইলে এই কাটা খোসা ফ্রিজেও সংরক্ষণ করতে পারেন।

  এবার সকালে দাঁত ব্রাশ করবার পূর্বে এই কলার খোসার ভেতরের অংশটি দিয়ে আপনার দাঁত খুব ভাল করে ঘষুন। প্রথম টুকরোটি দিয়ে পুরো এক মিনিট ঘষুন। তারপর সেটা বদলে দ্বিতীয় টুকরোটি দিয়ে আরও এক মিনিট। অর্থাৎ পুরো দুই মিনিট দাঁতকে ঘষুন। দাঁতের প্রত্যেকটি অংশে যেন পৌছায় এমন ভাবে ঘষতে হবে।

  দাঁত ঘষা হলে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট করতে পারলে ভালো। এই সময়ে পানি বা অন্য কিছু খাবেন না, কিংবা কুলি করবেন না। সময়টা পেরিয়ে গেলে আপনার নিয়মিত ব্যবহারের টুথ পেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিন।


অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে
 এটা কোনও ম্যাজিক নয়। তাই ভালো ফল পেতে নিয়ম মেনে ব্যবহার করতে হবে।
 অবশ্যই কমপক্ষে ২ মিনিট ঘষতে হবে। এই সময়টা জরুরি। বেশি ঘষলে আরও ভালো।
 ঘষার পর অবশ্যই সময় দিতে হবে খনিজ গুলো দাঁতে শোষিত হবার।
 যাদের দাঁত মদ্যপান, ধূমপান বা অসুস্থতার কারণে হলুদ তাদের ক্ষেত্রে একটু সময় লাগবে।
 কলার খোসায় প্রচুর পরিমাণে চিনি থাকে। তাই অবশ্যই দাঁত খুব ভালভাবে মেজে নিতে হবে। এবং এই কারণেই দিনে ১ বারের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
 যাদের দাঁত খুব একটা বেশি হলুদ নয়, তারা সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।


শুক্রবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২২

হাতের খসখসে কনুই ও পায়ের গোড়ালি ফাটার সমস্যায় শীতে যা করবেন

শীতকালে হাত ও পায়ের ত্বক অনেক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে আছে নানা ধরনের উপায়। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদিতে সমস্যা হয়। তবে এই সমস্যার সমাধান রয়েছে।

কনুইয়ের যত্নে

১। শীতের শুরুতে কনুইয়ের খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত সমপরিমাণে আলমন্ড অয়েল ও তিলের তেল মিশিয়ে লাগান।

২। অর্ধেক লেবু ও সামান্য মধু নিয়ে কনুইয়ে বেশ কয়েকবার গোল করে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের সাদা অংশের সাথে এক টেবিল চামচ দুধ ও কয়েকফোঁটা মধু মিশিয়ে কনুইয়ে একঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৪। কনুই বেশি খসখসে হয়ে গেলে পাকা কলা চটকে দিতে পারেন। এর সাথে দুই চা চামচ চিনি মিশিয়ে মিশ্রণটি কনুইয়ে মালিশ করুন। চিনি পুরোপুরি ভাবে গলে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করুন। এতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে যাবে।

ফাটা গোড়ালি সারাতে
১। রাতে ঘুমানোর আগে হালকা উষ্ণ গরম পানিতে মোটা দানার লবন ও অল্প শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পিউমিস স্টোন দিয়ে বা হিল স্ক্রাবার দিয়ে হালকা ভাবে গোড়ালি ঘষুন।

২। তারপর পা ভালমত ধুয়ে ভাল ক্রিম ম্যাসেজ করুন। ঘন মশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ভাল করে গোড়ালিতে লাগান। ঘুমানোর আগে সুতির মোজা পরে ঘুমাতে যান। এতে চাদরে ক্রিম লেগে যাবেনা। এক সপ্তাহে প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চলুন উপকার পাবেন।

৩। বেসনের সাথে অল্প দুধ বা দই , হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ভিজে হাত দিয়ে পেস্টটি পায়ে আস্তে আস্তে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন তবে সাবান ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। বেসনের এই মিশ্রণটি ভাল কাজ করবে।
৪। গোড়ালিতে ব্যথা হলে ও রক্তপাত হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন।

বুধবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২২

চুল ঘন করার সহজ উপায়

ঘন আর সুন্দর চুলের আকাঙ্ক্ষা থাকে সবারই। অনেক সময় চুল ঘন হলেও বিভিন্ন কারণে তা ঘন দেখায় না। আবার কখনো চুল পড়ে যাওয়ার কারণে ধীরে ধীরে চুলের ঘনত্ব কমে আসে। তবে এসব প্রতিরোধেও আছে উপায়। কিছু সহজ উপায় রয়েছে যার মাধ্যমে চুল সহজেই ঘন করে তোলা সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেই-

ডিম হচ্ছে প্রাকৃতিক প্রোটিন, যা চুলকে ঘন করতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশ নিয়ে ভালো ভাবে ফেটিয়ে নিতে হবে। তারপর পরিষ্কার চুলে সরাসরি হাত অথবা ব্রাশের সাহায্যে ওপর থেকে নিচ পর্যন্ত লাগাতে হবে। ডিম দিতে গেলে অনেকে চুল জট বেঁধে এলোমেলো হয়ে যায় বলে এড়িয়ে যান। চুলে ডিমের সাদা অংশ লাগানোর পর একটি মোটা দাঁতের চিরুনির সাহায্যে সাবধানে চুল আঁচড়ে নিন। তারপর হালকা ঝুটি করে নিন বা শাওয়ার ক্যাপ পরে নিন। ২০-৩০ মিনিট রেখে নরমাল পানিতে চুল ধুয়ে নিন এবং শ্যাম্পু করুন। যেদিন ডিম দেবেন সেদিন আর আলাদা করে কন্ডিশনার দেবার প্রয়োজন হবেনা।

যেসব জায়গায় চুল বেশি পাতলা, পেঁয়াজ কেটে ঘষলে সেই অঞ্চলের ব্লাড সার্কুলেশন বাড়ে, ফলে তা নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। আপনার হেয়ার ফলিকল এর কোনও অংশ ক্ষতিগ্রস্ত থাকলে নিয়মিত ব্যবহারে তা সারিয়ে তোলে। যাদের চুল পাতলা তারা সপ্তাহে ২-৩ দিন ১০-১২ মিনিটের জন্য মাথার তালুতে পেঁয়াজ ঘষে ব্যবহার করলে কিছুদিনের মধ্যেই ফল পাবেন।

অ্যালোভেরার জেল বের করে নিন, ৪ চামচ মধুর সাথে মিক্স করে সরাসরি চুলে এবং মাথার তালুতে লাগিয়ে ফেলুন। চাইলে এর সাথে কোনও ট্রিটমেন্ট ক্রিমও যোগ করতে পারেন। চুল ঘন করার সাথে সাথে এটি আপনার চুলের আগা ফেটে যাওয়া রোধ করবে।

শনিবার, ১২ নভেম্বর, ২০২২

ত্বকের ধরন ভেদে শীতকাল উপযোগী ঘরোয়া স্ক্রাব

(১) ফেস স্ক্রাব 

ফেস স্ক্রাব টি আপনি ব্যবহার করবেন শুধুমাত্র মুখেই। কারন, মুখের ত্বক অনেক পাতলা হয়। তাই, সেটি খেয়াল রেখেই সবসময়  স্ক্রাব ব্যবহার করতে হবে।
  • চালের গুঁড়ো
  • অ্যালোভেরা জেল
  •  মধু
যেভাবে তৈরি করবেন – 
চালের গুঁড়ো এর সাথে মধু এবং এলোভেরা জেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। বেশী ঘন হয়ে গেলে একটু পানি মিশিয়ে নিন এবং ব্যবহার করুন।

(২) হাত-পায়ের জন্যে স্ক্রাব

  • দারুচিনি
  • মধু
  • লেবুর রস
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন-
দারুচিনি গুঁড়ো  করে নিন। দানা-দানা ভাব যেন থাকে। এবার দারুচিনির সাথে বাকি উপকরণ মিশিয়ে নিন।   হাত এবং পায়ে ভালো করে লাগিয়ে নিন।

(৩) বডি স্ক্রাব

  • চিনি
  • আমন্ড বাদাম
  • গুঁড়ো দুধ
  • টমেটোর রস

যেভাবে তৈরি করবেন – 
আমন্ড বাদাম গুড়ো করে নিন। এবার বাকি সব উপকরণ এক সাথে মিশিয়ে নিন।

(৪) লিপ স্ক্রাব 

  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
  • ভ্যানিলা ফ্লেভার
যেভাবে তৈরি করবেন-
সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন।

(৫) নখের জন্যে স্ক্রাব 

শুনতে একটু অদ্ভুত লাগলেও, নখেও স্ক্রাবিং এর প্রয়োজন রয়েছে। নখ এবং নখের আশেপাশের মড়া চামড়া দূর করে নখকে শক্ত করে তুলতে স্ক্রাবিং জরুরী।
  • অলিভ অয়েল
  • লেবুর রস
  • ছোট ব্রাশ
যেভাবে তৈরি করবেন –
অলিভ অয়েল এবং লেবুর রস ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। একটি কটন বলের সাহায্যে নখে মিশ্রন টি কিছুহ্মন লাগিয়ে রাখুন। এবার ছোট ব্রাশের সাহায্যে নখ এবং নখের চারদিক ঘষে নিন এবং ধুয়ে ফেলুন।

(৬) হাত ও পায়ের তালুর জন্যে স্ক্রাব 

হাত ও পায়ের তালুও শীতের রুক্ষতা থেকে রেহাই পায় না। যার ফলাফল হাত ও পায়ের তালু শক্ত হয়ে যাওয়া, চামড়া ওঠা, ফেটে যাওয়া। এজন্য এই সব স্থানেও স্ক্রাবিং প্রয়োজন।
  • চিনি
  • অলিভ অয়েল
যেভাবে তৈরি করবেন –
চিনি এবং অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি হাত-পায়ের তালুতে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করুন ৫ মিনিট।

ভ্রমণে শিশুর প্রস্তুতি


অনেক মা আছেন, যাঁরা না বুঝে বেশি আঁটসাঁট কাপড় পরিয়ে বাচ্চাদের ভ্রমণে নিয়ে যান। এতে অনেক সময় বাচ্চাদের বমি হয়, তাদের অস্থির লাগে আর কান্নাকাটি করে।’

‘বাচ্চা তো ছোট, তাই কোথাও ঘুরতে যেতে পারি না। ও একটু বড় হলে তখন ঘোরাঘুরি করব।’ এমন কথা অনেক বাবা-মায়ের মুখেই শোনা যায়।

শিশুদের সঠিক সময়ে খাওয়া, খেলা, ঘুম—সবকিছুর ওপর কড়া নজর রাখতে হয় মা–বাবার, হতে হয় একটু বেশিই যত্নবান। কিন্তু অতিরিক্ত এ যত্ন ও সতর্কতার জন্য অনেক সময়ই তাঁরা তাঁদের শিশুকে নিয়ে কোথাও ঘুরতে যেতে চান না। বিশেষত, শূন্য থেকে চার বছরের বাচ্চাদের নিয়ে একটু দূরে কোথাও বেড়িয়ে আসার চিন্তাও করেন না তাঁরা। কিন্তু কিছু ছোট ছোট উদ্যোগ নিলেই আপনার ছোট্ট সোনামণিকে নিয়ে আপনি বেড়িয়ে আসতে পারেন ইচ্ছেমতো জায়গায়

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক সৈয়দা তসলিমা আক্তারকে মাঝেমধ্যেই দেশে এবং দেশের বাইরে যেতে হয়। ছোট্ট শিশু, বিশেষত চার বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের নিয়ে ভ্রমণের বেলায় তিনি বললেন, ‘বাচ্চাদের জন্য সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভ্রমণটা যেন তাদের জন্য আরামদায়ক হয়। ঠিক সময় খাওয়ানো আর ঘুমের দিকে খেয়াল রাখার সঙ্গে সঙ্গে তাকে খুব ঢিলেঢালা কাপড় পরাতে হবে। অনেক মা আছেন, যাঁরা না বুঝে বেশি আঁটসাঁট কাপড় পরিয়ে বাচ্চাদের ভ্রমণে নিয়ে যান। এতে অনেক সময় বাচ্চাদের বমি হয়, তাদের অস্থির লাগে আর কান্নাকাটি করে।আগে যে জায়গায় যেতে চান, সেখানকার আবহাওয়া সম্পর্কে জেনে নিন। সে অনুযায়ী শিশুর জামাকাপড় নিয়ে যেতে হবে। তিনি বললেন, ‘খেয়াল রাখতে হবে যেন আঁটসাঁট পোশাক না হয়। এ ক্ষেত্রে তিনটি বিষয় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন যেকোনো সময় যেন ডায়াপার বদলানো যায়, বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় যেন কোনো সমস্যা না হয় এবং ঘুমানোর সময় জামাকাপড়ের জন্য বাচ্চা যেন অস্বস্তিবোধ না করে।

* ভ্রমণের সময় জানালার পাশের আসনে বসার চেষ্টা করবেন। অনেক সময় শিশুরা ট্রেনে, বাসে বা বিমানে বেশি মানুষ দেখে ঘাবড়ে যায়, তখন তাকে জানালার বাইরে বিভিন্ন জিনিস দেখিয়ে শান্ত করা যায়।

* কোন কোন খাবারে শিশুর অ্যালার্জি রয়েছে, তার তালিকা সঙ্গে রাখা উচিত। সর্দির জন্য নাকের ড্রপ, গ্যাস্ট্রিকের জন্য ওষুধ, খাবার স্যালাইন এবং অ্যান্টি-ভমিটিং ওষুধ সঙ্গে রাখতে হবে।

* বিমান উড্ডয়ন বা অবতরণের সময় শিশুদের কান বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং একটু শ্বাসকষ্ট হতে পারে। উড্ডয়নের কিছু সময় আগে খাইয়ে যদি হালকাভাবে পিঠ চাপড়ে ঢেঁকুর তোলানো যায়, তবে বাচ্চাদের এমন সমস্যা হবে না।

* শিশুর পছন্দের কিছু খেলনা নেওয়া, আশপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলানো ইত্যাদি কাজ করলে শিশুরা বিরক্ত ও কান্নাকাটি করে না। এতে করে আনন্দের সঙ্গে ভ্রমণটা উপভোগ করা যায়।