ভিটামিন এ, বি, সি, জিঙ্ক, পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ
উপাদান পাওয়া যায় জাফরান থেকে। খাবারে চমৎকার ফ্লেভার যোগ করা জাফরান
ত্বকের যত্নেও তাই অনন্য। প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে
জাফরান। জাফরানের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বিবর্ণ ভাব দূর হয়ে আসে
প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ত্বকের কালচে দাগ ও রোদে পোড়া দাগও দূর করতে পারে
এটি। জেনে নিন জাফরানের কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে।
চন্দন, দুধ ও জাফরান
আধা কাপ ঘন দুধের মধ্যে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এবার ১
টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে নিন জাফরানমিশ্রিত দুধে। পেস্ট তৈরি হলে
মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
প্রতিদিন একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
জাফরান, লেবু ও দুধ
৫ টেবিল চামচ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন।
দুধ ফেটে গেলে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে নেড়ে নিন। ফেসপ্যাকটি গরম থাকতে
থাকতে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে
তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পড়া ভাব কমে যাবে।
গোলাপজল ও জাফরান
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল ও জাফরানের মিশ্রণ।
টোনার ত্বকের মরা চামড়া ও অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। ২ টেবিল
চামচ গোলাপজলে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তুলা ডুবিয়ে চেপে
চেপে মুছে নিন ত্বক। চাইলে এই টোনার ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন।
জাফরান ও পুদিনা পাতা
ব্রণ দূর করতে এই ফেসপ্যাকের জুড়ি নেই। ১ টেবিল চামচ গোলাপজলে আধা চা
চামচের কম জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। মুঠোভর্তি পুদিনা পাতা বেটে জাফরানের
মিশ্রণ মেশান। ত্বকে আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন এই পেস্ট। নিয়মিত ব্যবহারে দূর
হবে ব্রণ।
মধু ও জাফরান
১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে দুই চিমটি জাফরান মেশান। ১০ মিনিট পর ত্বকে
ম্যাসাজ করুন মিশ্রণটি। চক্রাকারে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর অপেক্ষা করুন
১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।