ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার ৪টি উপায় যা এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে চিরতরে!
লবণের স্প্রেঃ
ভেতর থেকে ত্বকের তেল-ময়লা দূর করার
ক্ষমতা রয়েছে লবণের। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে এটা খুব কার্যকরী। একটি
স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিয়ে মুখের
তৈলাক্ত স্থানটিতে স্প্রে করুন। এরপর খানিকক্ষণ রেখে দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে
ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে।
শসা ও লেবুর রসের ব্যবহারঃ
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে শসা ও লেবুর রস
ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ
লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে
পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর
করে। লেবুর রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্রণ হবার সম্ভাবনাও কমিয়ে
দেয়। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।
মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্কঃ
এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে
অনেক বেশী কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামুচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল নিয়ে
একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর পেস্টটি ভালো করে মুখে লাগান। ১৫-২০
মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে
দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।
টমেটো পিউরিঃ
ত্বকের তৈলাক্ত দূর করার সবচাইতে সহজ উপায়
হচ্ছে টমেটো পিউরির ব্যবহার। টমেটো ত্বকের তৈল গ্রন্থি শুকোতে সাহায্য
করে। ফলে স্থায়ীভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাসায় টমেটো
সেদ্ধ করে ব্লেড করে নিয়ে টমেটো পিউরি বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট।
এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে
সহজেই।
এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দিনে
দুইবারের বেশি সাবান দেওয়া যাবে না। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয় ১-২%
স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ফেসিয়াল ক্লিনজার দিনে দুবার ব্যবহার করা। সেই সাথে
যে কোন জেল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। আর ত্বকের যে
কোনো সমস্যায় চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে বলেছেন তিনি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন