কীভাবে খাবেন:
১ থেকে ২ চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার এর সাথে ১ গ্লাস হাল্কা গরম পানি মিশিয়ে নিন।এই মিশ্রণ ৩ বার খাবার গ্রহণের ৩০ মিনিট আগে পান করুন। তারপর নিয়ম মাফিক খাবার গ্রহণ করুন। তবে কেউ চাইলে এই মিশ্রন এ লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে নিতে পারেন।তবে খুব বেশি পরিমাণ এ গ্রহণ না করাই ভালো। কারণ সকল ভিনেগারে অ্যাসিটিক এসিড থাকে যা অতিরিক্ত গ্রহনের ফলে গলায় ক্ষতি করতে পারে।
এবার জেনে নিই, এটি আসলে কীভাবে কাজ করে-
(১) এটি ক্ষুদা কমায়ঃ ACV খুব তাড়াতাড়ি খাবারের তৃপ্তি এনে দেয়। ফলে বেশি খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকা যায়।
(২) ACV রক্ত শর্করাকে কন্ট্রোল করেঃ শরীর এর রক্ত শর্করা যখন স্থির থাকে তখন শুধুমাত্র যখন দরকার তখনই ক্ষুদা অনুভব হয়। অন্যান্য সময় খাবার গ্রহণ এড়িয়ে চলা যায়।
(৩) ACV চর্বি জমাট বাধাকে প্রতিরোধ করেঃযারা প্রতিদিন অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার পান করে তাদের বিপাক ক্রিয়া বেড়েযায় এবং খুব দ্রুত চর্বি বার্ন করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমান এ অরগানিক এসিড এবং এনজাইম রয়েছে যা বিপাক বাড়াতে সাহায্য করে এবং যা চর্বি গলাতেও সাহায্য করে থাকে।
(৪) ইন্সুলিন-এর ক্রিয়াঃ ইনসুলিন চর্বি সঞ্চয়কে প্রভাবিত করে। এই হরমোনটি ব্লাড গ্লুকজ-এর সাথে সম্পর্কিত। এই হরমনের ঘাটতির কারনেই ডায়বেটিস দেখা দেয়। তাই যারা ডায়বেটিস রোগী বিশেষকরে টাইপ ২ ডায়বেটিস রয়েছে যাদের, তাদের জন্য অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার সাহায্যকারী হিসেবে কাজ করতে পারে।
(৫) শরীরকে রোগ মুক্ত করতেঃ এই পানীয় টি হজমে সাহায্য করে, সেই সাথে বিপাক হার বাড়িয়ে শরীর থেকে বর্জ্য বের করে দিতে সাহায্য করে। যার ফলে শরীর সুস্থ্য ও রোগ মুক্ত থাকে।
শুধুমাত্র ওজন কমানো ছাড়াও আ্যপেল সাইডার ভিনেগার গায়ের চামড়া সুন্দর রাখতে, খসখসে ভাব দূর করতে এবং চুল পড়া রোধে সাহায্য করে। তাই গ্রীন টি’র মত এই পানীয়টি করে তুলতে পারে আপনাকে আরো সুন্দর ও আকর্ষণীয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন