১) নেইল পলিশ দেবার আগে উষ্ণ সাবানপানিতে
হাত কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে হাত ধুয়ে নিতে পারেন। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান
ব্যবহার করবেন না, এটা হাতের ত্বক রুক্ষ করে দেবে। এরপর হাতে একটা ভালো
হ্যান্ড ক্রিম মেখে নিতে পারেন। পার্লারের ম্যানিকিওরের বিকল্প হিসেবে এটা
কাজ করবে।
২) বেস কোট এবং টপ কোট দেওয়াটা জরুরী। বেস
কোট আপনার নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখে, নেইলপলিশের রঙ নখে শুষে নিতে বাধা
দেয়। নখ হলদেটে হওয়া থেকে রোধ করে। আর টপ কোট দিলে অনেকদিন নেইল পলিশের রঙ
এবং ঔজ্জ্বল্য বজায় থাকে। সহজে চলটা ওঠে না।
৩) ফ্যান ছেড়ে রেখে তার নিচে বসে অনেকে
নেইল পলিশ দেন। ভাবেন এতে দ্রুত নেইল পলিশ শুকিয়ে যাবে। কিন্তু এর ফলে আসলে
কৌটার নেইল পলিশ শুকিয়ে যায় এবং বেশিদিন ব্যবহার করা যায় না।
৪) নখ দ্রুত শুকানোর জন্য বরফ-পানিতে হাত ডুবিয়ে রাখতে পারেন।
৫) কটন বাড নেইল পলিশ রিমুভারে ডুবিয়ে নিন। নেইল পলিশ দিতে গেলে ছোটখাটো ভুল ঠিক করতে এটা কাজে দেবে।
৬) গ্লিটার নেইল পলিশ সাধারণ নেইল পলিশের চাইতে অনেক বেশি টেকসই হয়। কিন্তু বেস কোট ছাড়া গ্লিটার নেইল পলিশ দেবেন না।
৭) নেইল পলিশ দেওয়া শুরু করার আগেই নেইল
পলিশ রিমুভারে ভেজানো একটা কটন বল দিয়ে নখ মুছে নিন। আগের কোন নেইল পলিশ
থাকলে সেটা মুছে যাবে আর নখে ভালোভাবে নেইল পলিশ বসবে।
৮) প্রথমে এক স্তর বেস কোট দিয়ে নিন। এটা
শুকালে প্রথমে নেইল পলিশের একটা পাতলা স্তর দিন। এরপর দ্বিতীয় একটা স্তর
দেওয়া যেতে পারে। সাধারণত তৃতীয় স্তরে নেইল পলিশ দেওয়া লাগে না। এরপরে টপ
কোট দিয়ে হাত শুকিয়ে নিন।
৯) অনেকেই বাম হাতে ভালোভাবে নেইল পলিশ
দিলেও ডান হাতে দিতে পারেন না। এর জন্য দারুণ একটা ট্রিক হলো আইকা জাতীয়
আঠা দেওয়া। এই আঠা আপনার নখের চারপাশের ত্বকে ভালোভাবে মাখিয়ে নিন। এরপরে
নখে নেইল পলিশ দিন। এতে আশেপাশের ত্বকে লেগে গেলেও সমস্যা নেই। আইকার স্তর
টেনে উঠিয়ে ফেলুন, এর সাথে অতিরিক্ত নেইল পলিশ উঠে চলে যাবে।
১০) খুব বেশি পরিমাণে নেইল পলিশ দেবেন না।
এটা মোটা একটা স্তর তৈরি করে যেটা সহজে শুকায় না এবং সহজেই চলটা উঠে আসে।
পাতলা করে একটা বা দুটো স্তরে নেইল পলিশ দিন।
১১) নেইল পলিশ জমে ঘন হয়ে গেলে এর কৌটাটাকে ঝাঁকাবেন না। দুই হাতের মাঝে নিয়ে রোল করে নিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন