প্যানকেক ব্যবহারের সঠিক পদ্ধতি
* প্যানকেক ব্যবহারে দক্ষ হাতের প্রয়োজন। এ ছাড়া জানা থাকতে হবে কী কী শেডের প্যানকেক আপনার জন্য উপযোগী।
* প্যানকেক ব্যবহারের আগে ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে ময়েশ্চারাইজার লাগান।
*
ত্বকে ময়েশ্চারাইজার সেট হওয়ার জন্য ২-৫ মিনিট সময় দিয়ে তারপর প্যানকেক
ব্যবহার করুন। স্পঞ্জ পাফ পানিতে ভিজিয়ে প্যানকেক ব্যবহার করতে হয়। সে
ক্ষেত্রে বরফ ঠাণ্ডা পানি হলে সবচেয়ে ভালো হয়, ত্বকে মেকআপ বেশিক্ষণ স্থায়ী
হবে।
* স্পঞ্জ পানিতে ভিজিয়ে অতিরিক্ত
পানি চিপে ফেলে ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে প্যানকেক নিয়ে (যে যে শেড আপনার দরকার তা
একসঙ্গে স্পঞ্জ লাগিয়ে নিন) সমানভাবে পুরো মুখে লাগাতে হবে। একবার পুরু
করে না লাগিয়ে হালকা করে স্তরে স্তরে লাগান এবং প্রতিবার পাফ করার আগে মুখে
পানি স্প্রে করে নিন, এতে সব জায়গায় সমান হবে।
*
সমানভাবে প্যানকেক ব্লেন্ড করতে অনুশীলনের প্রয়োজন হয়। প্যানকেক সেট হতে
১০ থেকে ১৫ মিনিট সময় দরকার। এই সময়ের পরই বুঝতে পারবেন যে আপনার দেওয়া ঠিক
হয়েছে কি না এবং কালার ম্যাচিং কতটা ভালো হয়েছে।
*
অনেক সময় মুখের মেকআপ একটু হলদেটে হয়। এর কারণ হলো হলুদ প্যানকেক পরে
লাগানো। এ ক্ষেত্রে ২-৩টি প্যানকেক মিশিয়ে লাগানোর সময় স্পঞ্জে হলুদ রঙের
প্যানকেকটি প্রথমে লাগাতে হবে।
* নাকের
দুই পাশ, গালের হাড়, থুঁতনি, চিবুক ইত্যাদি অংশের ভাঁজ ঢাকার জন্য ডার্ক
শেড ব্যবহার করতে হবে। তবে সরাসরি না করে, আপনার উপযোগী নির্দিষ্ট শেডের
সঙ্গে মিলিয়ে।
কোন শেডটি আপনার জন্য?
*
গায়ের রং যদি খুব ফরসা হয়, তাহলে আপনি ২১ নম্বর শেড ও ইয়েলো- এই দুই শেড
মিশিয়ে লাগাবেন। মনে রাখবেন, স্পঞ্জে আগে হলুদ প্যানকেক দুবার, তারপর ২১
নম্বর দুবার এভাবে মুখে লাগাতে হবে।
* যদি আপনি ফরসা হন, তবে ২২, ২৩ বা ২৪ ও হলুদ- এই তিনটি শেড মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
* উজ্জ্বল শ্যামবর্ণের অধিকারীরা ২৫ নম্বর এবং হলুদ রঙের প্যানকেকের সঙ্গে ২৩ নম্বর অল্প পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করবেন।
*
যাঁরা শ্যামবর্ণ তারা ২৩ নম্বর ও হলুদ প্যানকেক ব্যবহার পারেন, তবে কেউ
যদি একদম নিউট্রাল বেস চান, তবে তাঁকে ২৮ নম্বর এবং হলুদ শেড মিশিয়ে
ব্যবহার করতে হবে।
* যাঁদের গায়ের রং কালো, তাঁরা ২৮, ৩০ এবং হলুদ- এ তিনটি শেড মিশিয়ে মুখে লাগাবেন।
* আপনার কাঙ্ক্ষিত শেডটি না পেলে সাদা ও গোলাপি শেডগুলো সামান্য পরিমাণে মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
প্যানকেকের ধরন
প্যানকেক
মেকআপ প্লাস্টিক অথবা টিনের প্যানে কেকের মতো ফর্মে পাওয়া যায়। ওয়াটার
বেসড হওয়ায় এটি শুধু পানির সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। পানি মিশিয়ে
ব্যবহার করা হলেও সেট হওয়ার পর মোটামুটি ওয়াটারপ্রুফ মেকআপে রূপ নেয়।
কিছু টিপস মেনে চলুন
*
প্যানকেক পরিষ্কার করতে বেবি অয়েল বা অয়েল বেসড ক্লিনজার ভালো কাজ করে।
অয়েল ক্লিনজার দিয়ে পরিষ্কার করার পর যদি কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালোভাবে
গোসল সেরে নিতে পারেন, তাহলে চুলের আশপাশে লেগে যাওয়া মেকআপও পরিষ্কার হয়ে
থাকে।
* এ ধরনের ভারী মেকআপ আপনার ত্বককে শুষ্ক করে তুলতে পারে, তাই সম্ভব হলে ইভেন্টের পরদিন ত্বকের বাড়তি যত্ন নিন।
* প্যানকেক কেনার পর চোয়ালে লাগিয়ে দেখে নিন ত্বকের রং ও আন্ডারটোনের সঙ্গে মানাচ্ছে কি না।
*
বিয়ে, গায়ে হলুদ বা অন্যান্য বড় উৎসবে ভারী মেকআপের প্রয়োজন হলে প্যানকেক
ব্যবহার করা হয়। তাই কেনার সময় পানি প্রতিরোধী কি না বা গরম ও আর্দ্রতায়
কতটা কার্যকর, স্থায়িত্ব কেমন দেখে নেওয়া প্রয়োজন।
*
সবশেষে প্যানকেক মেকআপ ভারী হওয়ায় অনেক সময় মুখের পোরগুলো বন্ধ করে দেয়।
ফলে ব্রণ দেখা দেয়। তাই বরফ ও টোনার ব্যবহার করুন প্যানকেক ব্যবহারের আগে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন