ব্যায়াম
ব্যায়াম বয়সকে ধরে রাখার সবচেয়ে কার্জকর পন্থা, প্রিতিদিন হালকা ব্যায়াম
করুন। অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন বা বাসাতেই এক স্থানে দাঁড়িয়ে জগিং
করুন। একসঙ্গে ৩০ মিনিট সম্ভব না হলে দিনের মধ্যে ৩ বার ১০ মিনিট করে করতে
প্রতিদিন ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার খান। এই দুই ভিটামিনে আছে
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে রোধ করে। খাদ্য থেকেই
ভিটামিন গ্রহন ভালো। সম্ভব না হলে সাপ্লিমেন্টা হিসেবে গ্রহন করতে পারেন।
শরীরের পরিবর্তনগুলো খেয়াল করুন
আমাদের শরীরে প্রতি নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। রক্তচাপ কমছে, বাড়ছে হৃদস্পন্দন
আবার কখনো কখনো অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। ব্যথা-বেদনা হচ্ছে। এসব লক্ষন কখনোই
উপেক্ষা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন। বড় কোন সমস্যা ধরা পড়ার
আগেই সাবধান থাকা ভালো।
চর্বি ত্যাগ করুন
দৈনিক ৬০ গ্রামের কম চর্বি এবং ২০ গ্রামের কম স্নেহজাতীয় খাদ্য ( যেমন
মাখন বা ঘি ) খাওয়ার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি চর্বি জাতীয় খাবার
একেবারেই ত্যাগ করতে পারেন।
দূষণ এড়িয়ে চলুন
শরীরকে সুস্থ রাখার ও বয়সের ঘোড়াকে থামানোর সবচেয়ে কার্জকর উপায় হল দূষণ
এড়িয়ে চলা। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দূষণ ঘটে চলেছে- পরিবেশ দূষণ, শব্দ,
পানি, বায়ু দূষণ ইত্যাদি। এসব পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করছে স্বাস্থ্য সমস্যা।
যতটা সম্ভব দূষণ এড়িয়ে চলুন। ধোঁয়া, উচ্চশব্দ, দুষিত পানি থেকে নিজেকে
বাচিয়ে রাখুন। দেখবেন বয়সের ঘড়ি উল্টো ঘুরছে।
ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন
বয়স এবং উচ্চতা অনুপাতে আপনার ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ওজন ঠিক রাখতে
প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্ট করুন।
পানি, ফল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে গ্রহন করুন। ওজন নিয়ন্ত্রনে এলে তা ধরে
রাখার চেষ্টা করুন।
বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন
সব ধরণের বদঅভ্যাস ত্যাগ করে জীবনকে একটি ছকে বেঁধে ফেলুন। অগুছালো জীবন
কখনোই শান্তিময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ধূমপান, অ্যালকোহল আসক্তি
ত্যাগ করুন। দৈনিক এক প্যাকেট সিগেরেট আপনার আয়ু কমিয়ে দিতে পারে ৮ বছর।
ছকে বাঁধা জীবন আপনাকে এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত তারুণ্য।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন