শুষ্ক বা ফাটা ঠোঁট
একটি পরিষ্কার ভেজা কাপড়ে চিনি নিয়ে সেটি ঠোঁটে আলতো করে ঘষে নিলে ঠোঁটের মরা চামড়াগুলো উঠে যাবে। এরপর ময়েশ্চারাইজার হিসেবে ঠোঁটে নারকেল তেল লাগালে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া ঠোঁটের যত্নে আধা চামচ মধু এবং এক চামচ অলিভ ওয়েল মিশিয়ে ঘুমানোর আগে ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে।১. শীতকালের শুষ্কতা থেকে রেহাই পেতে নিয়মিত লিপ বাম বা অ্যালোভেরা যুক্ত ভ্যাসলিন পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করা যেতে পারে।
২. প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস পানি পান করতে হবে। এতে ত্বকের আর্দ্রতা বজায় থাকবে। অনেক সময় ডিহাইড্রেশনের ফলে ‘ডার্ক লিপ্স’য়ের সমস্যা হতে পারে | তাই শরীর আর্দ্র রাখতে প্রচুর পানি পান করতে হবে|
৩. খুব ঠাণ্ডা হাওয়া থেকে মুখের ত্বক বাঁচাতে স্কার্ফ পরা যেতে পারে।
৪. ঠোঁটে প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ লিপস্টিক বেছে নিতে হবে।
৫. জিব দিয়ে ঠোঁট ভেজানো উচিত নয়। আবার ঠোঁটে মরা চামড়া হলে সেটি টেনে তোলাও উচিত নয়।
নরম গোলাপি ঠোঁট
ঠোঁট সুন্দর করতে ঘোরোয়া কিছু সহজ উপায় মেনে চললেই হয়।শিবানী দে বলেন, “প্রথমেই ঠোঁট পরিষ্কার করার সহজ একটি উপায় জানা যাক। কাঁচা দুধ আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে নিতে হবে। এরপর একটি সাদা পরিষ্কার কাপড় বা তুলা ওই মিশ্রণে ভিজিয়ে ঠোঁটে ঘষে নিতে হবে। এতে ঠোঁট পরিষ্কার হওয়ার পাশাপাশি মসৃণ ও সুন্দর হবে।”
এরপর ঠোঁট স্ক্রাবি’য়ের পদ্ধতি সম্পর্কে জানান তিনি।
এক চা-চামচ অলিভ অয়েলের সঙ্গে এক চা-চামচ চিনি মিশিয়ে ঠোঁটের জন্য ঘরোয়া স্ক্রাব তৈরি করা যায়। এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট ধরে আলতো করে ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারপর ঠোঁটে লিপ বাম লাগিয়ে নিতে হবে। এই ঘরোয়া স্ক্রাব ঠোঁটের মরা কোষ পরিষ্কার করে ঠোঁটকে নরম ও গোলাপি করতে সাহায্য করবে।
ঠোঁট নরম করার উপায়
– পাকা পেঁপে চটকে তার সঙ্গে দুধের মাঠা মিশিয়ে একটা মিশ্রণ করতে হবে। সেটা ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্রলেপ ঠোঁটের পুষ্টিও জোগাবে।– সমান পরিমাণে লেবুর রস আর মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করতে হবে| এরপর ভালো করে মিশ্রণটি ঠোঁটে লাগিয়ে এক ঘণ্টা অপেক্ষা করে নরম কোনও ভেজা কাপড় দিয়ে আলতো করে ঘষে তুলে ফেলতে হবে| এটি চাইলে প্রতিদিনে এবং দিনে একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে গ্লিসারিন ব্যবহার
– সান ট্যান ছাড়াও ঠোঁট বেশি শুষ্ক হয়ে গেলে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে| রোজ রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ভালো করে ঠোঁটে গ্লিসারিন লাগিয়ে নিতে হবে| এর ফলে ঠোঁটে আর্দ্রতার পরিমাণ ঠিক থাকবে আর নিয়মিত ব্যবহারে ঠোঁটের রং-ও স্বাভাবিক হয়ে আসবে| ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ উপকারী|– ঠোঁটে এক টুকরা বিট নিয়ে হাল্কা করে ঠোঁটে মালিশ করতে হবে| বিটের রস ট্যান বা পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে আর কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের রং স্বাভাবিক গোলাপি হয়ে উঠবে|
– শসার রস কালো দাগ উঠাতে দারুণ কার্যকর। রোজ নিয়ম করে ঠোঁটে শসার রস লাগালে কিছুদিনের মধ্যেই ঠোঁটের কালচেভাব অনেকটাই কমে আসবে।
ঠোঁটের ত্বক অত্যন্ত নমনীয়। তাই বিশেষ যত্ন নেওয়া উচিত। ঠোঁটে লিপ বাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে এপিএফ যুক্ত লিপ বাম ব্যবহার করতে হবে।
শিবানী দে বলেন, “সস্তা বা কম দামি লিপ প্রোডাক্ট ব্যবহার করা উচিত নয়। এতে ঠোঁট কালো হয়ে যেতে পারে এবং আরও অনেক ধরনে ক্ষতি হতে পারে। ঠোঁটের জন্য হার্বাল লিপ বাম ব্যবহার করা সব থেকে ভালো।”
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন