পানি শরীরে আর্দ্রতা আনার পাশাপাশি ত্বককে করে তোলে সজীব। গ্রীষ্মে ত্বক সুন্দর রাখতে প্রয়োজন প্রচুর পানি পান করা।
ত্বক পরিষ্কার রাখা :
গরমে ত্বক পরিষ্কার রাখা জরুরি। সকালে ঘুম থেকে জেগে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করুন। নিয়ম করে ত্বক পরিষ্কার করতে ভুলবেন না। কমলালেবুর রস ময়েশ্চার হিসেবে ভালো কাজ করে। সঙ্গে দুধ ও ময়দা মিশিয়ে মুখের ত্বক পরিষ্কার করুন। ত্বকে অতিরিক্ত খসখসে ভাব থাকলে রাতে ঘুমানোর সময় ত্বক পরিষ্কার করে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন।
রোদ এড়িয়ে চলা :
গ্রীষ্মে ত্বকের সুস্থতার অন্যতম শর্ত হচ্ছে রোদ থেকে দূরে থাকা। নইলে রোদে পুড়ে ত্বকে দেখা দেবে কালচে ভাব। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে লেবুর রস কার্যকর। পেঁপে প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসেবে ভালো কাজ করে। ত্বক পরিষ্কার করতে দুই টেবিল চামচ পেঁপের পেস্টের সঙ্গে এক চা চামচ মধু ও একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ত্বক শীতল রাখা :
এই সময়ে ত্বকের শীতলতা খুব প্রয়োজন। এক টেবিল চামচ কোরানো শসার সঙ্গে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। এ ছাড়া মুখ ধোয়ার পানিতে দু-এক ফোঁটা গোলাপজল মিশিয়ে নিন; সতেজ অনুভূতি পাবেন।
গরমের সময় ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করবেন না। ময়েশ্চারাইজার ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বককে নরম রাখে। গরমের সময় ওয়াটার বেজ্ড ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন ত্বকের যত্নে। এ ছাড়াও ওয়াটার বেজ্ড বা পানিনির্ভর প্রসাধনী ব্যবহার করুন। তেলের প্রাধান্য আছে এমন প্রসাধনী ব্যবহার থেকে দূরে থাকুন।
এসবের পাশাপাশি আরও কিছু দিক খেয়াল রাখা জরুরি:
_গরমে যাদের ঘামাচি হয়, নিমপাতার রস ব্যবহারে তারা উপকার পাবেন। ঘাম বেশি হলে ট্যালকম পাউডারের সঙ্গে এক চিমটি খাবার সোডা ব্যবহার করুন।
_গ্রীষ্মে ত্বক তৈলাক্ত হয়ে পড়ে। শসা বাটা ও মসুর ডাল বাটা পেস্ট করে মুখে মেখে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মুখের তৈলাক্ত ভাব কেটে যাবে।
_রোদেপোড়া ভাব দূর করে ত্বকের উজ্জ্বলতা ও মোলায়েম ভাব আনতে লাউয়ের রস, তরমুজের রস বরফ করে মুখে ঘষুন।
_গরমে অনেকের ত্বকে হিট র্যাশ দেখা দেয়। এটি এড়াতে দইয়ের সঙ্গে হলুদ বা নিমপাতা বাটা মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। খানিকটা লাউ থেঁতো করে সঙ্গে তুলসীপাতা ও চালের গুঁড়া মিশিয়ে ব্যবহার করলে র্যাশ হবে না। বাড়বে ত্বকের উজ্জ্বলতাও।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন