১) দুপুরের ঘুম পরে নয়, আগে
দুপুরে ঘুমানোটা অনেকেরই মারাত্মক একটি বদ অভ্যাস। বিশেষ গৃহিণীরা যারা ঘরে থাকেন, তাঁরা তো অনেকেই লাঞ্চের পর বিকাল পর্যন্ত একটু ঘুমিয়ে নেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। দুপুরের ঘুম আপনার হজম শক্তিকে বাধাগ্রস্থ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে মারাত্মক ভূমিকা রাখে। একান্তই ঘুমাতে হলে লাঞ্চ করার আগে ঘুমিয়ে নিন, এতে কোন অসুবিধা নেই।
২) গোসলটা লাঞ্চের আগেই সারতে হবে
আমাদের দেশে সাধারণত দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে গোসল করাটাই নিয়ম, সেভাবেই আমরা বেড়ে উঠি। কাজের ব্যস্ততায় কিংবা আলসেমীতে দুপুরে খাওয়ার আগে আজকাল অনেকেরই গোসল হয় না। এই কাজটি যতটা সম্ভব পরিহার করুন। গোসলের সময় আপনার হজমক্ষমতা ধীর হয়ে আসে, যা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ। গোসল করতে হলে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা পর করুন। সবচাইতে উত্তম খাওয়ার আগেই গোসল সেরে নেয়া।
৩) ফলটা খালি পেটেই ভালো
ফল খেতে নিঃসন্দেহে সকল চিকিৎসকই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর যারা ডায়েট করেন, তাঁরা তো অবশ্যই ফল খেয়ে থাকেন অনেক বেশী। অনেকের ডায়েট চার্টেও পুষ্টিবিদ ফল দিয়ে থাকেন। রাতের বেলা হালকা ডিনারের পর ফল খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু দুপুরে নয়। কেননা আমাদের দেশে দিনের সবচাইতে ভারী খাবারটা আমরা দুপুরেই খেয়ে থাকি। ফল হজম হতে সময় কম লাগে, এদিকে ভারী খাবারের সময় লাগে বেশী। ফলে দুটি খাবারের একটিও ঠিক মত হজম হয় না। হজমের সমস্যা তো হয়ই, সাথে ওজনও বাড়ে। ফল খেতে চাইলে খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে হবে।
৪) খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ আর না
খাওয়ার পর একটু মিষ্টি কোন খাবার মুখে দেয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। মিষ্টি পান হোক বা অন্য যে কোন খাবার বা পানীয়, মিষ্টি মানেই বাড়তি ক্যালোরি। তাই এই অভ্যাসটি আপনাকে পরিহার করতে হবে একেবারেই।
৫) চা/ কফি পান বিকালেই হোক, লাঞ্চের পর নয়
ঘুমের ব্যাঘাত হবে ভেবে রাতের বেলা চা/কফি পান করেন কেউই, কিন্তু দুপুরে লাঞ্চের পর চা-কফি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। বিশেষ করে যারা অফিসে থাকেন, তাদের তো লাঞ্চের পর চা-কফি ছাড়া চলেই না। ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। চায়ের পাতা এসিডিক, যা হজমকে বাধাগ্রস্থ করে। দুপুরে বলাই বাহুল মাছ/মাংস/ডাল ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, চা খাওয়ার ফলে এই প্রোটিন সহজে হজম হয় না। এছাড়া খাবার থেকে আয়রন শোষণেও বাঁধা দেয় চা। এছাড়া চায়ের দুধ-চিনির বাড়তি ক্যালোরি তো আছেই।
৬) লাঞ্চের পর কায়িক পরিশ্রমের আছে নিয়ম
অনেকেই দুপুরের পর হাঁটতে যান বা ব্যায়াম করেন, যেহেতু রাতে সেটা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তাঁরা তো অবশ্যই করেন এটা। অফিসে থাকলেও অনেকে দুপুরে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করেন এই ভেবে যে এতে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলা যাবে। অথচ ফলাফল কিন্তু হয় উল্টো! হ্যাঁ, খাওয়ার পর হাঁটা ভালো, এটা খাবার হজম করতে এবং ওজন কমাতে খুব সহায়ক। কিন্তু হাঁটা আপনাকে হাঁটতে হবে খাওয়ার অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর। খুব জোরে হাঁটা চলবে না, কেবল হালকা পায়চারী। এবং অবশ্যই কোন ভারী ব্যায়াম বা পরিশ্রম করবেন না। এতে হজমে সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া, এসিডিটি ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দেবে।
দুপুরে ঘুমানোটা অনেকেরই মারাত্মক একটি বদ অভ্যাস। বিশেষ গৃহিণীরা যারা ঘরে থাকেন, তাঁরা তো অনেকেই লাঞ্চের পর বিকাল পর্যন্ত একটু ঘুমিয়ে নেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। দুপুরের ঘুম আপনার হজম শক্তিকে বাধাগ্রস্থ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে মারাত্মক ভূমিকা রাখে। একান্তই ঘুমাতে হলে লাঞ্চ করার আগে ঘুমিয়ে নিন, এতে কোন অসুবিধা নেই।
২) গোসলটা লাঞ্চের আগেই সারতে হবে
আমাদের দেশে সাধারণত দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে গোসল করাটাই নিয়ম, সেভাবেই আমরা বেড়ে উঠি। কাজের ব্যস্ততায় কিংবা আলসেমীতে দুপুরে খাওয়ার আগে আজকাল অনেকেরই গোসল হয় না। এই কাজটি যতটা সম্ভব পরিহার করুন। গোসলের সময় আপনার হজমক্ষমতা ধীর হয়ে আসে, যা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ। গোসল করতে হলে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা পর করুন। সবচাইতে উত্তম খাওয়ার আগেই গোসল সেরে নেয়া।
৩) ফলটা খালি পেটেই ভালো
ফল খেতে নিঃসন্দেহে সকল চিকিৎসকই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর যারা ডায়েট করেন, তাঁরা তো অবশ্যই ফল খেয়ে থাকেন অনেক বেশী। অনেকের ডায়েট চার্টেও পুষ্টিবিদ ফল দিয়ে থাকেন। রাতের বেলা হালকা ডিনারের পর ফল খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু দুপুরে নয়। কেননা আমাদের দেশে দিনের সবচাইতে ভারী খাবারটা আমরা দুপুরেই খেয়ে থাকি। ফল হজম হতে সময় কম লাগে, এদিকে ভারী খাবারের সময় লাগে বেশী। ফলে দুটি খাবারের একটিও ঠিক মত হজম হয় না। হজমের সমস্যা তো হয়ই, সাথে ওজনও বাড়ে। ফল খেতে চাইলে খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে হবে।
৪) খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ আর না
খাওয়ার পর একটু মিষ্টি কোন খাবার মুখে দেয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। মিষ্টি পান হোক বা অন্য যে কোন খাবার বা পানীয়, মিষ্টি মানেই বাড়তি ক্যালোরি। তাই এই অভ্যাসটি আপনাকে পরিহার করতে হবে একেবারেই।
৫) চা/ কফি পান বিকালেই হোক, লাঞ্চের পর নয়
ঘুমের ব্যাঘাত হবে ভেবে রাতের বেলা চা/কফি পান করেন কেউই, কিন্তু দুপুরে লাঞ্চের পর চা-কফি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। বিশেষ করে যারা অফিসে থাকেন, তাদের তো লাঞ্চের পর চা-কফি ছাড়া চলেই না। ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। চায়ের পাতা এসিডিক, যা হজমকে বাধাগ্রস্থ করে। দুপুরে বলাই বাহুল মাছ/মাংস/ডাল ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, চা খাওয়ার ফলে এই প্রোটিন সহজে হজম হয় না। এছাড়া খাবার থেকে আয়রন শোষণেও বাঁধা দেয় চা। এছাড়া চায়ের দুধ-চিনির বাড়তি ক্যালোরি তো আছেই।
৬) লাঞ্চের পর কায়িক পরিশ্রমের আছে নিয়ম
অনেকেই দুপুরের পর হাঁটতে যান বা ব্যায়াম করেন, যেহেতু রাতে সেটা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তাঁরা তো অবশ্যই করেন এটা। অফিসে থাকলেও অনেকে দুপুরে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করেন এই ভেবে যে এতে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলা যাবে। অথচ ফলাফল কিন্তু হয় উল্টো! হ্যাঁ, খাওয়ার পর হাঁটা ভালো, এটা খাবার হজম করতে এবং ওজন কমাতে খুব সহায়ক। কিন্তু হাঁটা আপনাকে হাঁটতে হবে খাওয়ার অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর। খুব জোরে হাঁটা চলবে না, কেবল হালকা পায়চারী। এবং অবশ্যই কোন ভারী ব্যায়াম বা পরিশ্রম করবেন না। এতে হজমে সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া, এসিডিটি ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দেবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন