কণের মনটা থাকবে ভাঙ্গা
না যদি হয় হাত মেহেদি-রাঙা
কণের প্রেম কি বিয়ের শাড়ি? নাকী গহনা? দিব্যি দিয়ে বলছি- শড়ি বা গহনার চেয়েও একজন কণের মানে বেশি স্রোত জাগায় বেলি ফুলের মালা! সুবাসিত বিয়ের সাজের সাথে রঙিন হাত না হলে কণের মন ভাংবেই। সেই অঘটন ঘটানোর কি বা দরকার! মেহেদি দেওয়ার জন্য আগে যেমন বোন ভাই ভরসা ছিল – এখন তো সেই গণ্ডি ভেঙেছে বহু আগে! সাজ সজ্জার কেন্দ্রগুলোতে মেহেদির পসরা সাজানো হয়েছে বহু আগে থেকেই। ঘরে এসেও মেহেদি দিয়ে হাত রাঙিয়ে যায় প্রশেনাল মেহেদিবাজরা। তাদের কথা না হয় একটু পরেই শোনা যাক! আপাতত আমার সাথে একটু নাহয় উকিঝুকি মারা হোক যেমন চাওয়ার তেমন মেহেদি সাজে!
হাতে সূয্যিমামা:
যতই নতুন ট্রেন্ড আসুক কিম্বা না আসুক! আঙুরের মাথায় গাঢ় লাল আর তালুতে গোল একটা সূয্যিমামা. বাংলার চিরায়ত মেহেদি সাজ চলে এসেছে আবার ঘুরে ফিরে হাতে হাতে। অনেকেই বাসার ছোটভাইবোনদের কাজে লাগিয়ে সিম্পল সাজে নিজের কণে সাজকে করছেন সম্পূর্ণ! আর এইভাবে সাজাতে খুব বেশি ভাবনার কিছু নেই। কিছু কিচু আনন্দ না হয় ঘরের মানুষরাই শুধু ভাগ করে নিক।
হাতের আঁজলায় ফুলের ডালা
ইদানিং বেশ ট্রেন্ড চলছে শাপলা ফুলের! শাড়িতে শাপলা, কপালে শাপলা এমনকি গহনাতেও! মেহেদীর সাজেও যদি শাপলা আসে তবে মন্দ কী! হাতের পিঠে ফোটা শাপলার শুদ্ধতায় মন ভালো হবে । আর হ্যা ছবিও কিন্তু ভালো আসবে। এছাড়াও নানা রকমের ফুল তো প্রিয় মোটিফ মেহেদির সাজের জন্য। চার পাপড়ির ফুল বা গোলাপ বা যেকোনও কলি- মেহেদির সুবাসে ফুলের সাজ- মন্দ হয় না একদমই।
রিকশার মোটিফ:
এই মজার এক্সপেরিমেন্টটা কিন্তু করাই যায়। রিকশার পেছনে থাকা হংশমিথুন হাতের পিঠে চলে আসতেই পারে। আসতে পারে দস্যি কণের হাতে ”পালাবি কোথায়”। আসলে রিকশা পেইন্টে এতো এতো মোটিফ আছে সবগুলোর যেকোনও দুই তিনটিও যদি ফোটানো যায় তাহলে তো কথাই নেই। চাঁদ-তারা, ফুল, পাখি – কতকিছু যে আসতে পারে। আর তার সাথে মিলিয় ধরুন আপনার হলুদের সেটটা হলো রিকশার আসন! বাড়ির সজ্জায় থাকলো রিকশা মোটিফ! পুরো হলুদ কিন্তু একবারেই জমে যাবে!
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন