বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

ফেস মাস্ক সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়




চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা সাধারণত সপ্তাহে একবার মাস্ক ব্যবহার করতে সুপারিশ করেন।

ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক ফেস মাস্ক

(১) প্রথমে ফেস মাস্ক লাগানোর আগে একটি ভালো ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ক্লিনজিং ত্বককে মাস্ক থেকে পুষ্টি এবং সক্রিয় উপাদান শোষণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে।

(২) তবে ফেস মাস্ক প্রয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো, ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক মাস্কটি বেছে নেওয়া। যেমন হাইড্রেটিং ক্রিম বা শিট মাস্ক শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। সর্বোচ্চ হাইড্রেশনের জন্য বিশেষজ্ঞরা এই মাস্ক রাতে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

(৩) অন্যদিকে ক্লে মাস্ক তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকের জন্য ভালো কাজে দেয়। ব্রণপ্রবণ ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো জেল ও বাবল মাস্ক। হাইপারপিগমেন্টযুক্ত ত্বকের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিম বা জেল মাস্ক ব্যবহার ভালো কাজে দেবে।


(৪)ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্ক বাছাইয়ের পর এবার ব্যবহারের পালা। মাস্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ত্বকে ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই যেকোনো মাস্ক ব্যবহার করার সময় ঠোঁট, চোখ এবং ভ্রু এড়িয়ে চলুন।

মাস্ক ওঠাব কীভাবে
বেশির ভাগ মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়। বেশিক্ষণ থাকলে মাস্ক শুকিয়ে ত্বকও শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই ব্যবহারের পর মুখ থেকে মাস্কটি আলতোভাবে আঙুলের ব্যবহারে, সাধারণ পানি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে।

শিট মাস্ক ও পিল-অব মাস্কের ক্ষেত্রে আলতো করে মুখ থেকে মাস্ক সরাতে হবে। ত্বক কোনোভাবেই জোরে ঘষা যাবে না। সময় নিয়ে ধৈর্যসহকারে কাজটা করতে হবে। ধোয়ার পর ত্বকে ভালো একটা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ফলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।

বাড়িতে তৈরি ফেস মাস্ক
ফেস মাস্ক কেনার পরিবর্তে বাড়িতে থাকা উপাদানগুলো ব্যবহার করে অর্থ এবং সময় বাঁচাতে পারেন।

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪

দীপ্তিময় ত্বকের সহজ কিছু টিপস



ত্বকের যত্নে সহজ কিছু টিপস
১/
চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এর সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এর মত করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার ভাবে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।

২/এক টেবিল চামচ ওটস পানিতে ভিজিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩/২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে ৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা কেটে গিয়ে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।

৪/যেকোনও ধরনের পার্টি তে যাওয়ার আগে একটা কলা চটকে, তার সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটা পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন আপনার কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা।

৫/একটা টমেটোর রস এর সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটাকে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি কিছুক্ষণের মধ্যে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি।

৬/কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটাকে গুঁড়ো করে এক কাপ ফ্রেশ টকদই এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব এর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বলও হবে।

৭/এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে এর চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং লেবুর রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মুখে লেবু লাগানোর কারণ হল এটি ব্লীচের একটি প্রধান উপাদান। এটি মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

৮/কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন গ্লিসারিন, শশা, গোলাপজল আপনার ত্বককে খুব দ্রত উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে দিতে পারে। কয়েক টুকরা শশার সাথে পরিমাণ মত গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট করে ঘুমা্নোর আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেস্টটি খুব বেশি পাতলা না হয় অথবা ঘন না হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৯/ত্বকে আলুর রস লাগালে মুখের পোড়াভাব দূর হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

১০/তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এর সাথে পেঁপে মিক্স করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রঙ পরিষ্কার হবে। এবং মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে। ফলে আপনাকে ফর্সা দেখাবে।

১১/ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে ফেটে নিয়ে মুখে লাগান। এতে স্কিন অনেক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

১২/জিঙ্ক এবং ল্যাক্টিকএসিড স্কিন এর জন্য অনেক ভালো। তাই টক দই ভালো ভাবে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে দেখুন ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব।

১৩/মুখের স্কিন এর ক্ষেত্রে গোলাপজল একটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান। প্রতিদিন তুলায় গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। রঙ ফর্সা হবে তাৎক্ষণিকভাবে।

বর্ষার মৌসুমেও নিজেকে ঠিক রাখুন




মাথার ত্বকের যত্ন


এ আবহাওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে চুলে প্রচুর ধুলাবালি আটকায়। চুল ভেজা থাকলে ময়লা দ্রুত মাথার ত্বকে গিয়ে জমে। ফলে মাথার ত্বকে খুশকি ও চুলকানি হয়। এ ছাড়া বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ভ্যাপসা গরম, মাথায় ঘাম, ভেজা চুল প্রভৃতি কারণে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, ছত্রাক বাসা বাঁধে। তা থেকে ত্বকে প্রদাহ, চুল পড়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় মাথার ত্বকের যত্নে যে সব বিষয় মেনে চলা জরুরি তা হলো

  •  ছত্রাক সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবসময় মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
  • নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন বাইরে গেলে একদিন পরপর শ্যাম্পু করতে পারেন।
  • চুল পরিষ্কারে চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করুন।
  • শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।
  • গোসলের পর চুল আলতোভাবে মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
  •  ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

চুলের যত্ন
অন্যান্য ঋতুতে যদি একজন মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০টি চুল পড়ে, বর্ষায় সেটি বেড়ে আরও বেশি হয়ে যায়। ফলে খুশকি, চুলপড়াসহ চুলের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনেকের চুল সহজে শুকায় না। ফলে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে অতিরিক্ত চুল পড়ে। কিছু ঘরোয়া যত্নের মাধ্যমেই চুলের এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেমন:

  •  গোসলের পরপরই ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নেওয়া।
  •  বর্ষার মৌসুমে অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করা।
  • রোদে খোলা চুলে বাইরে গেলে সান-প্রটেক্টর ক্রিম ব্যবহার করা।
  •  রোদে বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করা বা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা।
  •  প্রতিদিন পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করলেও একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করা। 
  • মাথার ত্বকে শ্যাম্পু এবং চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা।
  • মাসে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে তেল ব্যবহার করা।

সতর্কতা
বর্ষায় মাথার ত্বক ও চুলের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা। তৈলাক্ত ত্বকে আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজেই ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই এ সময় মাথার ত্বক ও চুলের যত্নে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। অনেকেই মনে করেন, বর্ষায় চুলে তেল ব্যবহার করলে চুল আরও তেলতেলে হয়ে যাবে। এ ভয়ে অনেকেই তেল ব্যবহার করেন না। তেল ব্যবহার না করা কোনো সমাধান নয়। চুলের যত্নে সবচেয়ে প্রাচীন যে উপাদানটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে তা হচ্ছে তেল। মাথার ত্বকে সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেল ব্যবহার করুন। এতে চুলের গোড়া যেমন মজবুত হবে, তেমনি চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। বর্ষায় কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না কেউ কেউ। এটি ঠিক নয়। এতে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে।

শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে আরও মসৃণ করে তোলে। এছাড়া ভেষজ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- মেথি, অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা মাথার ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন-ই মাথার ত্বক পরিচর্যার জন্য আদর্শ এক উপাদান।

মাথার ত্বক ও চুলের পরিচর্যা শুধু বাইরে থেকে করলেই হবে না। পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে। সে সঙ্গে প্রচুর পানি পান ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। চুলের পরিচর্যায় ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিজে নিজে ওষুধ সেবন করা যাবে না। চুলের সমস্যা বেড়ে গেলে বা ছত্রাক দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

মুখের ব্রন দুর করার ৬ টি ঘরোয়া উপায়




বাড়িতে হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজে সমাধান করা যায় মুখের ব্রণের

শসা


কেবল খাদ্যগুণই নয়, শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

টুথপেস্ট

ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বেরয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।

গ্রিন টি


গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্য়াগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।

অ্যাসপিরিন

খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

রসুন

রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।

লেবুর রস

তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।

শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

এত গরমেও নিজের মেকআপ ঠিক রাখুন


হালকা মেকআপ


গরমে ভারী মেকআপ না করাই ভালো। এসময় যতটা সম্ভব হালকা মেকআপ করবেন। চুল বেঁধে রাখলে গরম কম লাগবে। সঙ্গে টিস্যু বা রুমাল রাখবেন। যাতে মেকআপ ঠিকঠাক করা সহজ হয়। মেকআপ ব্যবহারের আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর শুকনা ও পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছুন। এরপর আইস ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়বে। মুখ শুকিয়ে গেলে মেকআপ শুরু করুন।

প্রাইমার ব্যবহার

মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে চাইলে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। তাই মেকআপের শুরুতে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। খুব সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এতে ত্বক মসৃণ দেখাবে।


চোখের মেকআপ

গরমের সময়ে সবার আগে গলতে শুরু করে চোখের মেকআপ। তাই চোখের সাজের দিকে নজর রাখা জরুরি। চোখের সাজ যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য ওয়াটার প্রুফ কাজল বা আই লাইনার ব্যবহার করুন। এতে চোখের সাজ লেপ্টে যাওয়ার ভয় থাকবে না। শ্যাডোর ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন গাঢ় রংগুলো এড়িয়ে যেতে। গরমে ভারী সাজে দেখতে সুন্দর লাগবে না। হালকা বা ন্যুড শেডের শ্যাডো ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সেটি যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ঠোঁটের সাজ

সব রঙের লিপস্টিক সবাইকে মানায় না। লিপস্টিকের কিছু শেড আছে যেগুলোতে হয়তো আপনাকে দেখতে বয়স্ক লাগতে পারে বা আপনাকে কম মানাতে পারে। সেসব শেড এড়িয়ে চলুন। এটি শুধু গরমে নয়, সব সময়েই করবেন। গাঢ় লাল, বেগুনি, হলুদ ইত্যাদি রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করলে বয়স্ক বেশি লাগে। তাই এগুলো বাদ দিন। এসময় যতটা সম্ভব ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কারণ ক্রিমি লিপস্টিকের থেকে ম্যাট লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

মেকআপ শেষে

মেকআপ করা শেষ হলেই উঠে চলে যাবেন না। স্থির হয়ে বসুন আয়নার সামনে। খেয়াল করে দেখুন সব ঠিক আছে কি না। আপনাকে সত্যিই মানাচ্ছে কি না। কোনো অসঙ্গতি থাকলে ঠিক করে নিন। আর হ্যাঁ, মেকআপের শেষে অবশ্যই ফিক্সার স্প্রে করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

মেছতা দূর করার ৬ টি ঘরোয়া উপায়




মেছতা বড় বেহায়া সংক্রামক! একবার মুখে বসতে পারলে আর ওঠাউঠির নাম নেই। মেছতা দূর করতে কতজনের কত রকমই না প্রচেষ্টা। তবে মেছতা দূর করতে বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যাল উপাদানের চেয়ে ঘরোয়া উপায়ই উত্তম। থাকলো মেছতা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়-

১। টমেটো
টমেটোর ভিটামিন সি মেছতা দূর করতে অনেক উপকারী। একটা টমেটো কেটে মেছতার অংশটুকু প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মেছতা খুব দ্রুত হালকা হয়।

২। দারচিনি ও দুধের সর
এক চিমটি দারুচিনি গুড়ো এবং সামান্য দুধের সর হাতের তালুতে আঙুল নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি মেছতার দাগের ওপর লাগান। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। এটি প্রতদিন ঘুমানোর আগে ব্যাবহার করলে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

৩। লেবুর রস ও চিনি
প্রথমে একটা লেবু চিপে নিয়ে তা পরিষ্কার তুলা দিয়ে সরাসরি মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট পর আরেক টুকরা লেবুর উপর আধা চামচ চিনি ছড়িয়ে নিয়ে মেছতার উপর হালকা করে ৫ মিনিট ঘষে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

৪। ছোলার ডাল
যাদের মুখে বয়সের জন্য মেছতা পড়ে তারা ছোলার ডাল ব্যবহার করে অনেক উপকার পেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ছোলার ডাল সারাদিন ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর আধা কাপ ছোলার ডালের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পানির পরিবর্তে কাচা দুধ দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মেছতার সাথে সাথে ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতেও সাহায্য করে।

৫। এলোভেরা
এলোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। একটি এলোভেরা কেটে এর জেলো এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর হালকা আঙ্গুল দিয়ে ঘষে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৬। টক দই
মুখের মেছতা দূর করতে টকদইয়ের বিকল্প নেই। ২ চামচ টকদই এর সাথে আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যাবহারে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ত্বকের উজ্জলতায় ৫ টি ঘরোয়া উপায়

           





পুষ্টিকর ও প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দিনে মাত্র সহজ ৫টি বিউটি টিপস ফলো করলেই ফল পাবেন।


১। ঘাড়ে কালো দাগ দূর করতে বেসন ব্যবহার করুন

ঘাড়ের কাছে কালো ছোপ পরিস্কার করতে রান্নাঘরে মজুত করা বেসন পাউডার ব্যবহার বহুযুগ ধরেই চলে আসছে। বেসন হল সবচেয়ে সহজলোভ্য ও সস্তায় ঘরোয়া উপকরণ। জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘাড়ের কালো ছোপের উপর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে ও ছিদ্রগুলি পরিস্কার করতে সাহায্য করে।

২। উজ্জ্বলতার জন্য হলুদ ব্যবহার করতে পারেন

হলুদের ব্যবহার ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ যেমন রান্নায় রঙ ও স্বাদ আনতে সাহায্য করে, তেমন মহিলাদের ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। স্নান করা সময় মুখে ও গায়ে-পায়ে সতেজ হলুদ বাটা বা পাউডার ব্যবহার করলে সৌন্দর্যে নারীত্ব ছোঁয়া পায়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি রয়েছে।

৩। শসা ও আইস কিউব

শসার টুকরো মনকে শিথিল করে না, বরং চোখের নীচে কালো ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। হালকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির কারণে এটি সম্ভব। তাজা শসার টুকরো চোখের উপর রাখলেই চলবে। এই সময় চোখ বুজে পছন্দের গান বা মিউজিক শুনলে হ্যাপি হরমোনগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এটাই হল সবচেয়ে সহজ ও অসাধারণ বিউটি টিপস।

৪। পায়ের সঠিক যত্ন

গোটা মুখের ও হাতের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পায়ের পরিচর্চা করতে ভুলবেন না যেন। কারণ পায়ের উপরই গোটা শরীরটির ওজন বহন করার দায়িত্ব রয়েছে। ক্লান্ত ও শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন পুনরুজ্জীবিত করুন।

৫। সঠিক খাবার খান

সঠিক ধরনের খাবার খান। ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার ও অন্যান্য-সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খান। আপনি কি খাবার খাচ্ছেন, তার প্রকাশ পাবে ত্বকে। তাই স্বাস্থ্য়কর খাবার গ্রহণ করলে ত্বক থাকবে সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল।