বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

ফেস মাস্ক সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়




চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা সাধারণত সপ্তাহে একবার মাস্ক ব্যবহার করতে সুপারিশ করেন।

ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক ফেস মাস্ক

(১) প্রথমে ফেস মাস্ক লাগানোর আগে একটি ভালো ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ক্লিনজিং ত্বককে মাস্ক থেকে পুষ্টি এবং সক্রিয় উপাদান শোষণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে।

(২) তবে ফেস মাস্ক প্রয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো, ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক মাস্কটি বেছে নেওয়া। যেমন হাইড্রেটিং ক্রিম বা শিট মাস্ক শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। সর্বোচ্চ হাইড্রেশনের জন্য বিশেষজ্ঞরা এই মাস্ক রাতে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

(৩) অন্যদিকে ক্লে মাস্ক তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকের জন্য ভালো কাজে দেয়। ব্রণপ্রবণ ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো জেল ও বাবল মাস্ক। হাইপারপিগমেন্টযুক্ত ত্বকের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিম বা জেল মাস্ক ব্যবহার ভালো কাজে দেবে।


(৪)ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্ক বাছাইয়ের পর এবার ব্যবহারের পালা। মাস্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ত্বকে ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই যেকোনো মাস্ক ব্যবহার করার সময় ঠোঁট, চোখ এবং ভ্রু এড়িয়ে চলুন।

মাস্ক ওঠাব কীভাবে
বেশির ভাগ মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়। বেশিক্ষণ থাকলে মাস্ক শুকিয়ে ত্বকও শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই ব্যবহারের পর মুখ থেকে মাস্কটি আলতোভাবে আঙুলের ব্যবহারে, সাধারণ পানি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে।

শিট মাস্ক ও পিল-অব মাস্কের ক্ষেত্রে আলতো করে মুখ থেকে মাস্ক সরাতে হবে। ত্বক কোনোভাবেই জোরে ঘষা যাবে না। সময় নিয়ে ধৈর্যসহকারে কাজটা করতে হবে। ধোয়ার পর ত্বকে ভালো একটা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ফলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।

বাড়িতে তৈরি ফেস মাস্ক
ফেস মাস্ক কেনার পরিবর্তে বাড়িতে থাকা উপাদানগুলো ব্যবহার করে অর্থ এবং সময় বাঁচাতে পারেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন