পিম্পল বা ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা একবার হলে মনটাই খারাপ করে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন কি? পিম্পল হওয়ার পর নয়, হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজকের এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন এমন কিছু সহজ ও কার্যকরী টিপস, যেগুলো মেনে চললে আপনার ত্বক থাকবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও পিম্পলমুক্ত।
১️.প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার রাখুন
আপনি দিনে অন্তত দুইবার হালকা ও ত্বকের উপযোগী ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি, ঘাম ও তেল জমে গেলে পোর বন্ধ হয়ে যায়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দেয়।
২️. হাত দিয়ে মুখে বারবার স্পর্শ করবেন না
হাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মুখে হাত দিলে সেই জীবাণু ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রণের কারণ হতে পারে।
৩️. আপনার বালিশের কাভার ও তোয়ালে নিয়মিত পরিষ্কার করুন
এই জিনিসগুলোতে তেল ও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। নিয়মিত ধুয়ে ফেললে ত্বক সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।
৪️.অয়েল-ফ্রি বা নন-কমেডোজেনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
যখন আপনি স্কিন কেয়ার বা মেকআপ প্রোডাক্ট কিনবেন, তখন দেখে নিন যাতে সেটি “oil-free” বা “non-comedogenic” লেখা থাকে। এগুলো পোর বন্ধ হতে দেয় না।
৫️.পর্যাপ্ত পানি পান করুন
আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে টক্সিন সহজে বের হয়ে যায়। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
৬️.খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন
অতিরিক্ত তেল-মশলা, জাঙ্ক ফুড ও চকোলেট কমিয়ে দিন। বেশি খান ফল, শাকসবজি ও পানি—এগুলো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।
৭️.নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুমান
যখন আপনি কম ঘুমান, তখন শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।
৮️.সপ্তাহে এক-দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করুন
মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয়, পোর বন্ধ থাকে না, ত্বক হয় পরিষ্কার ও ফ্রেশ।
৯️.মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন
স্ট্রেস বা মানসিক চাপ পিম্পলের বড় কারণ। তাই চেষ্টা করুন নিজেকে রিল্যাক্স রাখতে — গান শুনুন, বই পড়ুন বা ধ্যান করুন।
১০.প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন
অ্যালোভেরা জেল, মধু বা টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বককে ঠান্ডা রাখে, জীবাণু রোধ করে এবং পিম্পল হওয়ার ঝুঁকি কমায়।






