শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫

পিম্পল হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করার ১০টি টিপস

 

 

পিম্পল বা ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা একবার হলে মনটাই খারাপ করে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন কি? পিম্পল হওয়ার পর নয়, হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজকের এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন এমন কিছু সহজ ও কার্যকরী টিপস, যেগুলো মেনে চললে আপনার ত্বক থাকবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও পিম্পলমুক্ত। 



১️.প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার রাখুন

আপনি দিনে অন্তত দুইবার হালকা ও ত্বকের উপযোগী ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি, ঘাম ও তেল জমে গেলে পোর বন্ধ হয়ে যায়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দেয়।

২️. হাত দিয়ে মুখে বারবার স্পর্শ করবেন না

হাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মুখে হাত দিলে সেই জীবাণু ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রণের কারণ হতে পারে।

৩️. আপনার বালিশের কাভার ও তোয়ালে নিয়মিত পরিষ্কার করুন

এই জিনিসগুলোতে তেল ও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। নিয়মিত ধুয়ে ফেললে ত্বক সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।

৪️.অয়েল-ফ্রি বা নন-কমেডোজেনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন

যখন আপনি স্কিন কেয়ার বা মেকআপ প্রোডাক্ট কিনবেন, তখন দেখে নিন যাতে সেটি “oil-free” বা “non-comedogenic” লেখা থাকে। এগুলো পোর বন্ধ হতে দেয় না।

৫️.পর্যাপ্ত পানি পান করুন

আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে টক্সিন সহজে বের হয়ে যায়। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৬️.খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন

অতিরিক্ত তেল-মশলা, জাঙ্ক ফুড ও চকোলেট কমিয়ে দিন। বেশি খান ফল, শাকসবজি ও পানি—এগুলো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।

৭️.নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুমান

যখন আপনি কম ঘুমান, তখন শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।

৮️.সপ্তাহে এক-দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করুন

মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয়, পোর বন্ধ থাকে না, ত্বক হয় পরিষ্কার ও ফ্রেশ।

৯️.মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ পিম্পলের বড় কারণ। তাই চেষ্টা করুন নিজেকে রিল্যাক্স রাখতে — গান শুনুন, বই পড়ুন বা ধ্যান করুন।

১০.প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন

অ্যালোভেরা জেল, মধু বা টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বককে ঠান্ডা রাখে, জীবাণু রোধ করে এবং পিম্পল হওয়ার ঝুঁকি কমায়।


বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর, ২০২৫

শীতকালে চুলের যত্ন



চুলের যত্নে -
  • বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
  • চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন অন্তর অন্তর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে ভালো। আর শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ভালো কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পারলে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
  • শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এং আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করেন নিন। চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যান। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
  • ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভালো। ২ দিন পর পর যেকোন তেলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভালো হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে কখনো চুল ধুবেন না।
শীতকালে ত্বকের ও চুলের যত্নে কিন্তু আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে। শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। হাতের নাগালের সব ফলই প্রতিদিন খাবেন। যেমন-আপেল, আমলকী কিংবা আমড়া সে যা-ই হোক না কেন।
শীতে এইসহজ কিছু পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলেই ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল, মসৃন রাখা যায়।

বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫

ঘরে বসেই স্পা ট্রিটমেন্ট – ২০ মিনিটে ফ্রেশ লুক

 




প্রতিদিনের ক্লান্তি, দূষণ আর ব্যস্ততার মধ্যে নিজেকে একটু রিল্যাক্স করা জরুরি।
কিন্তু বাইরে গিয়ে পার্লারে স্পা করা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
তাই আজ জানুন কীভাবে মাত্র ২০ মিনিটে ঘরে বসেই পেতে পারেন পার্লারের মতো ফ্রেশ ও গ্লোয়িং লুক! 


 প্রয়োজনীয় উপকরণ:

  • কুসুম গরম পানি – ১ বাটি

  • মধু – ১ চা চামচ

  • লেবুর রস – ১ চা চামচ

  • অ্যালোভেরা জেল – ২ চা চামচ

  • গোলাপজল – ১ টেবিল চামচ

  • নরম তোয়ালে ও কটন


ধাপে ধাপে স্পা ট্রিটমেন্ট

১️. মুখ পরিষ্কার (Cleanse) – ৩ মিনিট

প্রথমে হালকা গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।
এক চা চামচ মধু ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে আলতোভাবে মুখে ম্যাসাজ করুন।
এটি ত্বকের ময়লা ও তেল পরিষ্কার করবে।

 টিপস: ত্বক সংবেদনশীল হলে লেবু না দিয়ে শুধু মধু ব্যবহার করুন।


২️.স্টিম (Steam) – ৫ মিনিট

এক বাটি গরম পানিতে মুখ নিচু করে বাষ্প নিন (তোয়ালে দিয়ে ঢেকে রাখুন)।
এটি রোমছিদ্র খুলে দেয় ও ডেড সেল দূর করে।

 স্টিমের সময় মুখে ল্যাভেন্ডার বা গোলাপজল দিলে আরাম লাগবে আরও বেশি।


৩️.এক্সফোলিয়েট (Scrub) – ৫ মিনিট

এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেল ও সামান্য চিনি মিশিয়ে মুখে হালকা হাতে ঘষুন।
এটি মৃত কোষ দূর করে ত্বক করে তুলবে নরম ও উজ্জ্বল।


৪️.ফেস প্যাক (Mask) – ৫ মিনিট

অ্যালোভেরা জেল ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান।
৫ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
এই প্যাক ত্বককে ঠান্ডা, ফ্রেশ ও গ্লোয়িং রাখবে।


৫️.ময়েশ্চারাইজ (Moisturize) – ২ মিনিট

শেষে হালকা ময়েশ্চারাইজার বা নারকেল তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন।
ত্বক থাকবে মসৃণ, কোমল ও হাইড্রেটেড। 



  • সপ্তাহে ২ বার এই ২০ মিনিটের স্পা রুটিন করলে ত্বকে গ্লো বাড়বে অনেক।

  • সময় থাকলে চোখের নিচে ঠান্ডা শসার টুকরা রাখলে ফোলাভাব ও ক্লান্তি কমে যাবে।

  • মন ভালো রাখতে হালকা সুরের গান চালিয়ে রাখুন ।


মাত্র ২০ মিনিটেই ক্লান্ত মুখ পাবে ফ্রেশ, উজ্জ্বল ও রিল্যাক্সড লুক –
একেবারে ঘরে বসে প্রাকৃতিক স্পা ট্রিটমেন্ট! 

শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঘরোয়া লিপ বাম তৈরি

 



আপনি যদি কেমিক্যাল-মুক্ত এবং প্রাকৃতিক লিপ কেয়ার পছন্দ করেন, তবে এই ঘরোয়া লিপ বাম আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। কোকো বাটার, নারিকেল তেল এবং হালকা রঙিন মোম দিয়ে তৈরি এই লিপ বাম ঠোঁটকে নরম, মসৃণ এবং হাইড্রেটেড রাখে। 

উপকরণ:

  • কোকো বাটার – ১ টেবিল চামচ

  • নারিকেল তেল – ১ টেবিল চামচ

  • হালকা রঙিন বিটরুট পাউডার বা লিপ-ফ্রেন্ডলি মোম – ১ চা চামচ

  • (ঐচ্ছিক) ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট বা ইসেন্স – ২-৩ ফোঁটা

 প্রণালী:

  1. একটি ছোট পাত্রে কোকো বাটার, নারিকেল তেল ও মোম একসাথে ডাবল বয়ারের পদ্ধতিতে গলান।

  2. সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে, যদি চাইলে হালকা রঙের বিটরুট পাউডার বা লিপ-ফ্রেন্ডলি রঙ যোগ করুন।

  3. একসাথে ২–৩ মিনিট নেড়ে সমান মিশ্রণ তৈরি করুন।

  4. মিশ্রণটি কাচের ছোট জারে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন।

  5. ঠাণ্ডা হলে জার ঢেকে রাখুন। এখন আপনার প্রাকৃতিক লিপ বাম প্রস্তুত।

 ব্যবহার টিপস:

  • প্রতিদিন সকালে ও রাতে প্রয়োগ করলে ঠোঁট নরম ও হাইড্রেটেড থাকে।

জারটি যেকোনো ব্যাগে বা পকেটে সহজে বহন করা যায়।

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ড্যানড্রাফ মুক্ত চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপায়

 

 

চুলে খুশকি বা ড্যানড্রাফ শুধু চুলকানি নয়, এর সঙ্গে চুল পড়া, রুক্ষতা এবং স্কাল্পের জ্বালাভাবও দেখা দেয়।
কিন্তু চিন্তা নেই — ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়েই আপনি পেতে পারেন খুশকিমুক্ত, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর চুল।


 ১️.নারকেল তেল ও লেবুর ম্যাজিক

  • ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হালকা গরম করুন।

  • চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
      এতে স্কাল্প পরিষ্কার হয় এবং লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ খুশকি দূর করে।


২️.অ্যালোভেরা জেল

  • তাজা অ্যালোভেরা জেল স্কাল্পে লাগিয়ে ২০–২৫ মিনিট রাখুন।

  • তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
      এটি স্কাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় এবং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।


 ৩️.মেথি বীজ পেস্ট

  • ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ একরাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করুন।

  • চুলে ও স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
      মেথিতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে দারুণ কার্যকর।


 ৪️.টি ট্রি অয়েল

  • শ্যাম্পু করার আগে ২–৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগান।
      এতে স্কাল্পের ইনফেকশন ও খুশকি দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকে।


 ৫️.চুল পরিষ্কার রাখুন

  • সপ্তাহে অন্তত ২–৩ বার শ্যাম্পু করুন।

  • চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখবেন না।

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।


মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া পানীয়

 



দিনভর কাজ, চাপ আর দৌড়ঝাঁপে শরীর ও মন দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এই ক্লান্তি দূর করতে অজস্র এনার্জি ড্রিংক বা কফির দিকে না গিয়ে — ঘরেই তৈরি করে ফেলো কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া পানীয়, যা শরীরকে চাঙা করে ও ভেতর থেকে রিফ্রেশ রাখে।


 ১. হলুদ দুধ

হলুদে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ, যা শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি কমায়।
রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ ও সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে:
✅ শরীর রিল্যাক্স হয়
✅ ঘুম ভালো হয়
✅ পরের দিন ফ্রেশ অনুভব করবে

চাইলে একটু দারুচিনি যোগ করলে স্বাদ ও কার্যকারিতা দুটোই বাড়ে।


 ২. তুলসী-লেবু পানি

তুলসী পাতা শরীরের টক্সিন দূর করে, আর লেবু দেয় ভিটামিন C — যা শরীরে এনার্জি বাড়ায়।
প্রস্তুত প্রণালী:
১ কাপ গরম পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা ও আধা লেবুর রস মেশাও।
চাইলে এক চা চামচ মধু দিতে পারো।

সকালে খালি পেটে খেলেই শরীর হালকা ও মন সতেজ লাগবে।


 ৩. আদা-মধুর চা

আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মধু দেয় ইনস্ট্যান্ট এনার্জি।
প্রস্তুতি:
১ কাপ পানিতে সামান্য আদা ফোটাও → ছেঁকে নিয়ে ১ চা চামচ মধু মিশাও।
ইচ্ছা করলে একটু লেবুর রস দাও।

 এই চা ক্লান্তি দূর করে, গলা পরিষ্কার রাখে ও মন ভালো করে দেয়।


৪. নারকেল পানি ও লেবু মিক্স

প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর নারকেল পানি শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে হাইড্রেট করে।
এর সাথে অল্প লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নাও —
  এটি গরমে ক্লান্তি দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর পানীয়।

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই ঘরোয়া পানীয়গুলো শুধু শরীর নয়, মনকেও ফ্রেশ রাখে।
প্রতিদিন সকালে বা রাতে একবার খেলে ক্লান্তি কমে যাবে এবং ত্বকও পাবে ভেতর থেকে এক নতুন উজ্জ্বলতা! 


সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

টমেটো ফেস মাস্কে ত্বক ফর্সা রাখার টিপস

 


টমেটো শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, এটি ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতেও দারুণ কাজ করে!
টমেটোর মধ্যে আছে প্রাকৃতিক লাইকোপিন (Lycopene)অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সূর্যের তাপ ও দূষণজনিত কালচে দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা ও সতেজ করে তোলে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসেই কিভাবে টমেটো ফেস মাস্ক ব্যবহার করে ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখা যায়। 

১. টমেটো ও লেবুর রস ফেস মাস্ক

এই ফেস মাস্ক ত্বকের ট্যান ও কালচে ভাব দূর করতে কার্যকর।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ চা চামচ লেবুর রস

ব্যবহার:
দুইটি উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগান।
১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২–৩ দিন ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত।


 ২. টমেটো ও মধুর ফেস মাস্ক

মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে আর টমেটো ফর্সা রাখে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ চা চামচ মধু

ব্যবহার:
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন।
তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাক ত্বকে ন্যাচারাল গ্লো আনে।


 ৩. টমেটো ও বেসন (চানাচুরের বেসন) ফেস প্যাক

এই প্যাক ত্বক এক্সফোলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ বেসন

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল

ব্যবহার:
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান।
শুকিয়ে গেলে আলতোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক মসৃণ ও ফর্সা হয়।

 ৪. টমেটো ও দুধের ফেস মাস্ক

দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক ফর্সা করতে সহায়তা করে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ

ব্যবহার:
মিশ্রণটি তুলোর বলে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  এটি বিশেষভাবে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী।


⚠️ সতর্কতাঃ

  • প্রথমবার ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন।

  • চোখের চারপাশে টমেটো রস লাগাবেন না।

  • ব্যবহার শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ফলাফলঃ

নিয়মিত টমেটো ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে —
ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়
রোদে পোড়া দাগ হালকা হয়
ত্বক হয় ফর্সা, মসৃণ ও দীপ্তিময়


রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

কর্মজীবী নারীর জন্য প্রতিদিনের মেকআপ লুক

 


কর্মজীবী নারীদের ব্যস্ত জীবনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দর, প্রফেশনাল এবং হালকা মেকআপ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লুকটি দ্রুত করা যায় এবং দিনের সব কাজেই আরাম দেয়।

ডেইলি মেকআপ স্টেপস (৫ মিনিটে)

১.ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজার:
হালকা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
লাইট ময়েশ্চারাইজার লাগান

২.বেস
BB ক্রিম বা টিনটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
কনসিলার দিয়ে চোখের নিচের কালচে দাগ ঢেকে দিন।

৩.চোখের মেকআপ
হালকা ব্রাউন বা ন্যাচারাল আইশ্যাডো।
মাসকারা দিয়ে চোখের ভোলিউম বাড়ান।

৪.গাল
লাইট ব্লাশ (পিচ বা রোজ শেড)।
হাইলাইটার ব্যবহার করলে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।

৫.ঠোঁট
Nude বা হালকা পিঙ্ক লিপস্টিক/লিপ গ্লস।

৬.ফিনিশিং
Setting spray দিয়ে মেকআপ ফ্রেশ রাখুন।

 টিপসঃ

  • প্রোডাক্ট ছোট ও বহনযোগ্য রাখুন

  • চোখের জন্য ন্যাচারাল শেড ব্যবহার করুন, অফিসে স্টাইলিশ কিন্তু সাবলীল লাগে

  • হালকা মেকআপে SPF যুক্ত BB ক্রিম ব্যবহার করলে সূর্য থেকে সুরক্ষা মিলবে।