রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।

একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।

– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

জাফরানের ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন কেন?


ভিটামিন এ, বি, সি, জিঙ্ক, পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায় জাফরান থেকে। খাবারে চমৎকার ফ্লেভার যোগ করা জাফরান ত্বকের যত্নেও তাই অনন্য। প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে জাফরান। জাফরানের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বিবর্ণ ভাব দূর হয়ে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ত্বকের কালচে দাগ ও রোদে পোড়া দাগও দূর করতে পারে এটি। জেনে নিন জাফরানের কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে।

চন্দন, দুধ ও জাফরান
আধা কাপ ঘন দুধের মধ্যে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এবার ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে নিন জাফরানমিশ্রিত দুধে। পেস্ট তৈরি হলে মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

জাফরান, লেবু ও দুধ
৫ টেবিল চামচ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। দুধ ফেটে গেলে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে নেড়ে নিন। ফেসপ্যাকটি গরম থাকতে থাকতে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পড়া ভাব কমে যাবে।

গোলাপজল ও জাফরান
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল ও জাফরানের মিশ্রণ। টোনার ত্বকের মরা চামড়া ও অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। ২ টেবিল চামচ গোলাপজলে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তুলা ডুবিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন ত্বক। চাইলে এই টোনার ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন।

জাফরান ও পুদিনা পাতা
ব্রণ দূর করতে এই ফেসপ্যাকের জুড়ি নেই। ১ টেবিল চামচ গোলাপজলে আধা চা চামচের কম জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। মুঠোভর্তি পুদিনা পাতা বেটে জাফরানের মিশ্রণ মেশান। ত্বকে আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন এই পেস্ট। নিয়মিত ব্যবহারে দূর হবে ব্রণ।

মধু ও জাফরান
১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে দুই চিমটি জাফরান মেশান। ১০ মিনিট পর ত্বকে ম্যাসাজ করুন মিশ্রণটি। চক্রাকারে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ফাউন্ডেশন স্কিনে দিলে তা ফেটে ফেটে যায় কিছুক্ষন পর। এজন্য, আপনাকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে। তবে আর এই সমস্যাটি হবে না। অনেককেই দেখি ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমার ব্যবহারের সাথে সাথেই ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নেয়। এটা করা যাবে না।অবশ্যাই ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমারটা স্কিনে সেট হতে সময় দিতে হবে। এজন্য ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমারের ৫-১০ মিনিট সময় পর ফাউন্ডেশন লাগাবেন।
  • ফাউন্ডেশন লাগিয়ে অনেকেই হাত দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলে। যার ফলে ফাউন্ডেশন স্কিনে ভালোভাবে বসে না এবং ভেসে ভেসে থাকে। এটি কখনো করবেন না। সবসময় ফাউন্ডেশন ভেজা বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশের সাহায্যে ব্লেন্ড করবেন। সময় নিয়ে ব্লেন্ড করবেন। যতো ব্লেন্ড করবেন ফাউন্ডেশন  ততো সুন্দর স্কিনে বসবে।
  •  
  • সবসময় ফাউন্ডেশন আগে এবং এর পরে কনসিলার ব্যবহার করবেন। কনসিলার যদি ফাউন্ডেশন এর আগে ব্যবহার করেন, তবে ফাউন্ডেশন পুরো মুখে ব্লেন্ড করার সময় কনসিলার সরে যেতে পারে। তাই আগে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। যেহেতু ফাউন্ডেশন মুখের দাগ – ছোপ অনেকটাই কভার করে নেয়, তাই ফাউন্ডেশনের পর শুধু যেখানে যেখানে আপনার দাগ দেখা যায় সেখানে সেখানেই কনসিলার ব্যবহার করুন।
  •  
  • অনেককেই দেখা যায়, মেকাপ করার পর মুখ এক রকম গলার এড়িয়া দেখতে অন্যরকম লাগে। এর কারন, গলায় ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করা। যা দেখতে খুবই অদ্ভুত এবং বাজে লাগে। তাই ফাউন্ডেশন লাগানোর সময়টাতে গলায়ও ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিবেন।
  •  
  • অনেকে ভাবেন, মুখে একগাদা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলেই যেন সুন্দর লাগবে। এই ধারনা মন থেকে চিরদিনের মতো বিদায় করে দিন। একগাদা ফাউন্ডেশন ব্যবহারে আপনার মুখ শুধু আনন্যাচারালই না কেকিও লাগবে। তাই মুখে যতটুকু ফাউন্ডেশন প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করবেন।
  •  
  • ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর তা পাউডার দিয়ে সেট করে নিবেন। কিন্তু কখনোই পাউডার ঘষে ঘষে ব্যবহার করবেন না। তাহলে, নিচের ফাউন্ডেশন সরে যেতে পারে। পাউডার সবসময় ব্রাশে নিয়ে হালকা চেপে চেপে ব্যবহার করবেন।
  •  
  • দিনশেষে অবশ্যই ফাউন্ডেশন এবং মেকাপ রিমুভ করতে ভুলবেন না। আপনি নিশ্চয়ই পরদিন সকালে মুখ ভর্তি ব্রণ নিয়ে উঠতে চান না। তাই ফাউন্ডেশন তুলতে ভালো মানের মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪

কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায়

ঠোঁট সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম অংশ। আপনাদের জন্য কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায় নিম্নে দেওয়া হলোঃ-

সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে যা করবেন_
১. একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২. মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩. ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪. গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫. লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।
৬. লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭. বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।
৮. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন। সাথে রাখতে পারেন জাফরানও। এই দুটি সহজলভ্য উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার আপনার শুষ্ক ঠোঁটকে সারিয়ে তুলবে এক নিমিষেই।
৯. কমলালেবু খাবার সময় এর বীচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন।
১০. প্রতিদিন টমেটো পেষ্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল।
১১. শশার রসও ঠোঁটের কালো হওয়কে প্রতিরোধ করে। ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট শসার রস ঠোঁটে ঘষুন।

মনে রাখবেন-
১. ধুমপান ঠোঁটের জন্যে ক্ষতিকর। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকুন।
২. রাতে ঘুমাতে যাবার আগে লিপস্টিক তুলে ফেলতে ভুলবেননা।
৩. জিহ্বা দিয়ে অবিরত ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন। এতে সাময়িক আরাম মিললেও আসলে ঠোঁটের সৌন্দর্য হানি হয়। বদলে ব্যবহার করুন লিপজেল।
৪. ফাস্টফুডের পরিবর্তে শাক-সব্জী খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
৫. চা এবং কফির পরিবর্তে পানি খাবার পরিমাণ বাড়ান। প্রচুর পরিমাণে পানি আপনার ঠোঁটকে রাখতে পারে সুস্থ ও স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

প্রাকৃতিকভাবে চুল সোজা করার উপায়

যা যা লাগবে

(১) ২ কাপ কোড়ানো নারিকেল
(২) ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল (অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে শ্বাসটা বের করে নিবেন)
(৩) ৬০ এম.এল. পানি
(৪)  ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
(৫) ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার
(৬) ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন ক্যাস্টর অয়েল

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ব্লেন্ডারে ২ কাপ কোড়ানো নারিকেল, ৬ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ৬০ এম.এল. পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। বেশ ঘন একটা ক্রিমি স্ট্রাকচারের পেস্ট তৈরি হবে। একটি পাতলা কাপড়ে পেস্টটা নিয়ে কাপড়টা বেঁধে একটি পাত্রের উপর রেখে নিংড়ে নিন। নারিকেলের দুধ পেয়ে যাবেন।

আরেকটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস আর ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে মিক্স করে নিন।এবার চুলায় একটি ননস্টিক প্যান/হাড়ি দিয়ে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে তাতে নারিকেলের দুধ আর পরে বানানো কর্ণফ্লাওয়ার, লেবুর রস আর ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণটি ঢেলে নিয়ে দ্রুত হাতে নাড়তে থাকুন। বেশ ক্রিমি পেস্টের মতো হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে মিশ্রণটি আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডা হবার জন্য রেখে দিন।

এবার পুরো মাথার চুলকে কয়েক ভাগে ভাগ করে আস্তে আস্তে পুরো মাথায় মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। চুলের গোঁড়া এবং আগা পর্যন্ত সব জায়গাতেই আস্তে আস্তে লাগিয়ে নিন। এবার এক-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। (মিশ্রণটি যত দীর্ঘ সময় রাখতে পারবেন ফল তত ভালো পাবেন।) এ সময় গায়ে একটি টাওয়েল বা পুরানো টিশার্ট দিয়ে রাখুন, চুল বাঁধবেন না, চিরুনি দিয়ে সোজা অবস্থায় আঁচড়ে নিন এবং ঐ অবস্থায়ই রাখুন।

এবার আপনার রেগুলার ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে আঁচড়ে নিন।

এবার দেখুন তো, আপনার কোঁকড়া /ঢেউ খেলানো অবাধ্য চুল গুলো কতটা সুন্দর, সফট, মসৃণ, প্রাণবন্ত আর ন্যাচারালি সোজা দেখাচ্ছে। এই প্যাকটি মাথার স্ক্যাল্পে লাগানোর কারণে এটি আপনার চুলকে গোঁড়া থেকেও পুষ্টি জোগায় এবং সেই সাথে সোজা করে চুলের কোনরকম ক্ষতি করা ছাড়াই।
ভালো ফলাফল পেতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন। এটি আপনার ডীপ কন্ডিশনিং এর কাজ ও করবে।

কিডনি পরিষ্কার রাখতে আদা-লেবুর পানীয়

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি শরীরের ছাঁকন যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো কখনো কখনো কিডনির কাজকে ব্যাহত করে। তাই কিডনি পরিষ্কার রাখা দরকার। কিডনির মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হলে সংক্রমণ হয়। কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো বমিবমি ভাব, হজমে অসুবিধা ইত্যাদি।

উপাদান--- সতেজ আদার শেকড়
দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস
এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি

প্রণালী

সবগুলো উপাদানকে একত্রে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এরপর পানিটিকে ছাঁকুন। পরে পানীয়টি পান করুন।খালি পেটে পানীয়টি পান করুন। তবে আগে অল্প একটু পান করে দেখুন যে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। আর শরীরে যদি জটিল কোনো রোগ থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া ভালো।


দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

ওজন কমাতে দারুণ সুস্বাদু সালাদ

 
উপকরণ
✿ – কাঁচা পেঁপে দেড় কাপ ( চিকন ঝুরি ঝুরি হবে)
✿ – চেরি টমেটো ৮-১০ টি (দুই ফালি করে কেটে নিন। এটা না পেলে রেগুলার টমেটো ব্যবহার করুন)
✿ – গাজর ১/৪ কাপ (ছবি দেখে কেটে নিন)
✿ – বর বটি ২ টি লম্বা পিস করা
✿ – বাদাম
✿ – ফিস সস ২ টেবিল চামচ
✿ – লেবু ২ টি
✿ ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ (যারা ডায়েট করবেন তাঁরা যতটা সম্ভব কম দিন কিংবা দেবেন না)
✿ – লাল কাঁচা মরিচ ৩-৪ টি [ স্বাদ মত কম বেশি হতে পারে ]
✿ – রশুন ৩-৪ কোয়া
প্রণালি
► প্রথমে একটি হামান দিস্তা নিয়ে রশুন আর কাঁচা মরিচকে হাল্কা করে ছেঁচে নিন।
► এর পর ফিশ সস , লেবু রস , চিনি , টমেটো , বর বটি ছেড়ে দিন। হাল্কা ভাবে আবারো ছেঁচে নিন । খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ছেঁচা না হয় ।
► এর পর পেঁপে এবং গাজর দিয়ে আবারো ছেঁচে নিন। ভালভাবে সব কিছু মিক্স করে নিন ।
► প্লেটে পরিবেশন করুন। উপর দিয়ে বাদাম ছড়িয়ে দিন।

কেন কমবে ওজন?
ভাত বা রুটির তুলনায় এই সালাদে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। যদি চিনিটা বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো কথাই নেই। ডায়েট খাবার যেমন বিস্বাদ হয় খেতে, এটি মোটেও তেমন নয়। তাই আপনার একঘেয়েমিও লাগবে না। সবজি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা, ফলে অটুট থাকছে পুষ্টি গুণ। আছে ফাইবার, ফলে পেট ভরা ভাবটাও থাকবে অনেকক্ষণ। কাঁচা পেঁপে, রসুন ইত্যাদি মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক।