রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫

শীতে হাত এবং পায়ের ত্বক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে গেলে যা করবেন

শীতকালে হাত ও পায়ের ত্বক অনেক রুক্ষ ও খসখসে হয়ে যায়। এর থেকে মুক্তি পেতে আছে নানা ধরনের উপায়। কিন্তু সমস্যা হয় তখনই যখন হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালি ইত্যাদিতে সমস্যা হয়। তবে এই সমস্যার সমাধান রয়েছে।

কনুইয়ের যত্নে

১। শীতের শুরুতে কনুইয়ের খসখসে ভাব দূর করতে নিয়মিত সমপরিমাণে আলমন্ড অয়েল ও তিলের তেল মিশিয়ে লাগান।

২। অর্ধেক লেবু ও সামান্য মধু নিয়ে কনুইয়ে বেশ কয়েকবার গোল করে ঘুরিয়ে ঘষুন। তারপর কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৩। ডিমের সাদা অংশের সাথে এক টেবিল চামচ দুধ ও কয়েকফোঁটা মধু মিশিয়ে কনুইয়ে একঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে ফেলুন।
৪। কনুই বেশি খসখসে হয়ে গেলে পাকা কলা চটকে দিতে পারেন। এর সাথে দুই চা চামচ চিনি মিশিয়ে মিশ্রণটি কনুইয়ে মালিশ করুন। চিনি পুরোপুরি ভাবে গলে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করুন। এতে ত্বকের খসখসে ভাব দূর হয়ে যাবে।

ফাটা গোড়ালি সারাতে
১। রাতে ঘুমানোর আগে হালকা উষ্ণ গরম পানিতে মোটা দানার লবন ও অল্প শ্যাম্পু মিশিয়ে তাতে ২০ মিনিট পা ডুবিয়ে রাখুন। পিউমিস স্টোন দিয়ে বা হিল স্ক্রাবার দিয়ে হালকা ভাবে গোড়ালি ঘষুন।

২। তারপর পা ভালমত ধুয়ে ভাল ক্রিম ম্যাসেজ করুন। ঘন মশ্চারাইজার সমৃদ্ধ ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ভাল করে গোড়ালিতে লাগান। ঘুমানোর আগে সুতির মোজা পরে ঘুমাতে যান। এতে চাদরে ক্রিম লেগে যাবেনা। এক সপ্তাহে প্রতিদিন এই নিয়ম মেনে চলুন উপকার পাবেন।

৩। বেসনের সাথে অল্প দুধ বা দই , হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। তারপর ভিজে হাত দিয়ে পেস্টটি পায়ে আস্তে আস্তে ঘষুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন তবে সাবান ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। বেসনের এই মিশ্রণটি ভাল কাজ করবে।
৪। গোড়ালিতে ব্যথা হলে ও রক্তপাত হলে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে যাবেন।

বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫

নারকেল তেল ও মেথি দিয়ে চুলের যত্ন

 


চুল পড়া, রুক্ষতা, ড্যানড্রাফ – এই সমস্যাগুলো এখন প্রায় সবারই। কিন্তু সমাধান খুব দূরে নয়; আপনার রান্নাঘরেই আছে এই দুই অসাধারণ উপাদান – নারকেল তেলমেথি
এই দুইয়ের মিশ্রণ চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায়, চুল দ্রুত লম্বা হতে সাহায্য করে এবং স্ক্যাল্পকে পুষ্টি দেয়।

আজ আমি আপনাকে দেখাবো কীভাবে নারকেল তেল ও মেথি দিয়ে ঘরে সহজেই চুলের যত্ন নিতে পারেন।

কেন নারকেল তেল চুলের জন্য এত উপকারী?

আপনি নিশ্চয়ই জানেন, নারকেল তেল বহু বছর ধরে চুলের প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কারণ—

  • চুলের গভীরে প্রবেশ করে

  • চুল ভাঙা রোধ করে

  • চুল মসৃণ ও নরম করে

  • ড্যানড্রাফ কমায়

  • চুলে প্রাকৃতিক গ্লো আনে


মেথি কেন ব্যবহার করবেন?

মেথি (Fenugreek) চুলের জন্য একদম ম্যাজিক উপাদান। এতে আছে—

  • প্রোটিন

  • আয়রন

  • নিকোটিনিক অ্যাসিড

  • অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট

যা—

  • চুল পড়া কমায়

  • নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে

  • স্ক্যাল্প ঠান্ডা রাখে

  • ড্যানড্রাফ দূর করে


নারকেল তেল ও মেথি দিয়ে চুলের তেল তৈরি (ঘরে বসে সহজে)

✔ আপনার যা লাগবে:

  • ১ কাপ নারকেল তেল

  • ২ টেবিল চামচ মেথি দানা

  • একটি ছোট প্যান

তেল বানানোর পদ্ধতি:

ধাপ ১:

মেথি দানা ভালো করে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন।

ধাপ ২:

প্যানে নারকেল তেল গরম করুন। হালকা গরম হলে মেথি দানা দিয়ে দিন।

ধাপ ৩:

মধ্যম আঁচে ৮–১০ মিনিট নেড়ে নেড়ে রান্না করুন যতক্ষণ পর্যন্ত দানাগুলো বাদামি হতে শুরু করে।

ধাপ ৪:

চুলে ব্যবহার করার আগে তেল ঠান্ডা হতে দিন। ঠান্ডা হলে ছেঁকে কাচের বোতলে রাখুন।

এই তেল ১–২ মাস ভালো থাকে।


কীভাবে ব্যবহার করবেন?

১. স্ক্যাল্প ম্যাসাজ

আপনি হাতের আঙুল দিয়ে ৫–৭ মিনিট স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন।
এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে এবং চুলের গোড়া শক্ত হবে।

২. পুরো চুলে লাগান

চুলের ডগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগান, এতে রুক্ষতা ও স্প্লিট-এন্ড কমবে।

৩. অন্তত ১ ঘণ্টা রাখুন

চাইলে রাতে লাগিয়ে ঘুমিয়ে পরেও রাখতে পারেন।

৪. হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন

সপ্তাহে ২–৩ দিন ব্যবহার করলে দারুণ ফল পাবেন।


কার উপকারে আসবে?

  • চুল পড়ার সমস্যা হলে

  • নতুন চুল গজাতে চাইলে

  • চুল রুক্ষ ও প্রাণহীন হলে

  • ড্যানড্রাফ থাকলে

  • চুল লম্বা করতে চাইলে

মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫

শীতে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল রাখার ১০টি উপায়

 




শীতের মরসুম যতই আরামদায়ক হোক, এই সময়ে ত্বকের উপর প্রভাব পড়ে সবচেয়ে বেশি। ঠান্ডা বাতাস, কম আর্দ্রতা এবং ঘরে হিটার ব্যবহার—সব মিলিয়ে ত্বক দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়, টান টান লাগে, এমনকি খুসকির মতো স্কিন ফ্লেকও দেখা দেয়। তাই এসময় ত্বকের জন্য প্রয়োজন বিশেষ যত্ন। আজ জানুন শীতে ত্বক নরম, ময়েশ্চারাইজড এবং স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ধরে রাখার ১০টি সহজ উপায়।


১️. গরম নয়, হালকা গরম পানি ব্যবহার করুন

অনেকেই শীতে গরম পানি দিয়ে মুখ ধুতে পছন্দ করেন, কিন্তু অতিরিক্ত গরম পানি ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা নষ্ট করে। এতে ত্বক আরও শুষ্ক হয়। তাই মুখ, হাত ও শরীর ধোয়ার সময় হালকা গরম বা কুসুম গরম পানি ব্যবহার করুন।


২️.স্নানের পরপরই ময়েশ্চারাইজার লাগান

স্নানের ২–৩ মিনিটের মধ্যেই ময়েশ্চারাইজার লাগালে তা ত্বকে ভালোভাবে শোষিত হয়। শীতে thick বা cream-based moisturizer ব্যবহার করুন। Shea Butter, Cocoa Butter বা Ceramide আছে এমন ক্রিম হলে আরও ভালো।


৩️. সপ্তাহে ২ দিন হালকা এক্সফোলিয়েশন করুন

শীতে ডেড স্কিন দ্রুত জমে, ফলে ত্বক রুক্ষ লাগে। সপ্তাহে ২ দিন হালকা স্ক্রাব ব্যবহার করলে রক্তসঞ্চালন বাড়ে এবং ত্বক উজ্জ্বল হয়।
তবে বেশি ঘষা–মাজা বা হার্শ স্ক্রাব ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।


৪️. ঘরোয়া ফেসমাস্ক ব্যবহার করুন

শীতে ত্বককে নরম রাখতে ঘরোয়া মাস্ক খুবই কার্যকর। যেমন—

  • দুধ + মধু

  • অ্যালোভেরা জেল + ভিটামিন ই

  • কলা + দই
    এই ধরনের মাস্ক ত্বককে তাৎক্ষণিক হাইড্রেটেড ও সফট করে।


৫️.পর্যাপ্ত পানি পান করুন

অনেকেই শীতে পানি কম খেয়ে থাকেন, ফলে ত্বক ভেতর থেকে শুষ্ক হয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৬–৮ গ্লাস পানি পান করুন। চাইলে লেবুর পানি বা গ্রিন টি খেতে পারেন।


৬️.ত্বক–উপযোগী ক্লিনজার ব্যবহার করুন

শীতে ফোমিং ক্লিনজার বা আলকোহলযুক্ত প্রোডাক্টে ত্বক আরও শুষ্ক হয়। তাই mild, hydrating বা cream-based cleanser ব্যবহার করুন যাতে ত্বক নরম থাকে।


৭️. রাতে স্কিন–কেয়ার রুটিন অনুসরণ করুন

শীতে রাতের স্কিনকেয়ার অত্যন্ত জরুরি।
রুটিন—

  1. ক্লিনজিং

  2. টোনিং

  3. সিরাম (হায়ালুরোনিক অ্যাসিড থাকলে ভালো)

  4. হেভি ময়েশ্চারাইজার
    এই ৪ স্টেপ ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখবে সারারাত।


৮️.লিপ কেয়ার ভুলবেন না

শীতে ঠোঁট সবচেয়ে দ্রুত ফেটে যায়। দিনে কয়েকবার লিপ বাম ব্যবহার করুন। Shea Butter, Coconut Oil বা Vitamin E থাকা লিপ বাম সবচেয়ে ভালো।


৯️.যথেষ্ট ঘুম ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস বজায় রাখুন

ঘুম কম হলে ত্বকের উজ্জ্বলতা কমে যায়। প্রতিদিন ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম এবং খাদ্য তালিকায় শীতকালীন ফল–সবজি, বাদাম, মাছ ও ভিটামিন–সমৃদ্ধ খাবার রাখলে ত্বক ভিতর থেকে সুস্থ থাকবে।


১০. ঘরের আর্দ্রতা বাড়াতে Humidifier ব্যবহার করুন

শীতকালে ঘরের বাতাস খুব শুষ্ক হয়ে পড়ে। এতে ত্বক দ্রুত পানি হারায়। রুমে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করলে বাতাসে আর্দ্রতা বাড়ে এবং ত্বক নরম থাকে।


শীত মানেই ত্বকের সমস্যা—এ ধারণা ভুল। একটু সচেতনতা আর নিয়মিত যত্নই আপনার ত্বককে রাখতে পারে নরম, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত। উপরের টিপসগুলো অনুসরণ করলে পুরো শীতজুড়ে ত্বক থাকবে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর।


সোমবার, ১৭ নভেম্বর, ২০২৫

প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয় ও তার সুবিধা

 



প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয় শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে, শক্তি বাড়ায় এবং ত্বক ও চুলকে স্বাস্থ্যবান রাখে। প্রতিদিন ঘরে সহজ কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা যায়।


 জনপ্রিয় প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয়:

1. লেবু পানি

  • ১ গ্লাস গরম বা ঠান্ডা পানি + আধা লেবুর রস

  • সকালের সময় খেলে হজম শক্তিশালী হয়, ত্বক উজ্জ্বল হয়

2. শসা + পুদিনা পানীয়

  • ১ কাপ পানি + কয়েক ফালি শসা + কয়েকটি পুদিনা পাতা

  • ডিহাইড্রেশন রোধ করে, ত্বককে ঠান্ডা রাখে

3.আদা + নিম্বুর পানি

  • ১ কাপ পানি + ১ চা চামচ কুচানো আদা + ১ চা চামচ লেবুর রস

  • হজম শক্তি বাড়ায়, পেট ফোলাভাব কমায়

4.সেলারি + আপেল + লেবু জুস

  • ১ স্টিক সেলারি + ১ ছোট আপেল + ১ চা চামচ লেবুর রস

  • শরীরের টক্সিন বের করে, ইমিউনিটি বাড়ায়

5.হলুদ + দারচিনি + গরম পানি

  • ১ কাপ গরম পানি + ১ চিমটি হলুদ + ১ চিমটি দারচিনি

  • প্রদাহ কমায়, মেটাবলিজম বাড়ায়


 প্রাকৃতিক ডিটক্স পানীয়ের সুবিধা

  • শরীর থেকে টক্সিন বের করে

  • হজম শক্তি ও বিপাক উন্নত করে

  • ত্বক উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যবান রাখে

  • ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে

  • শরীরে শক্তি ও সতেজতা আনে



রবিবার, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়





চোখের নিচের এই কালো দাগ থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।বি-৬ সমৃদ্ধ খাবারের অভবে চোখের নিচের এই কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়।
ঘরোয়া মিশ্রণের প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রাখলে ডার্ক সার্কলের স'মস্যায় ভালো ফল পাবেন। রাতে শোবার আগে অন্তত মিনিট পনেরো নিয়মিত রাখতে হবে।
শসার রস ২টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের উপর অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত শসার রস চোখের উপর লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।
আলু আলু খোসাসহ বেটে বা পেস্টের মতো করে চোখের উপরে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। দ্রুত উপকার পাবেন। কাজু বাদাম কাজু বাদাম বেটে দুধের সঙ্গে গুলিয়ে, পেস্টের মতো তৈরি করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে।এছাড়া চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে মালিশ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন।

টমেটো

এক চা চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার অন্তত এই প্যাক লাগাতে হবে।

দুধ

ঠাণ্ডা দুধে একটি কটন বল ভিজিয়ে চোখে লাগান। দশ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে এবং কালো দাগ দূর হবে।

কমলা

কমলার রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। এটা কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

বাদাম তেল

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আ'গে চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে চোখের কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের চামড়া টানটান হবে।

শনিবার, ৮ নভেম্বর, ২০২৫

পার্টি মেকআপ গাইড ২০২৫ – শীতের বিয়ে মৌসুমে ট্রেন্ডিং লুকস ও প্রো টিপস

 




২০২৫ সালের পার্টি মেকআপ ট্রেন্ড ও প্রো টিপস জানুন। শীতের বিয়ে মৌসুমে কোন মেকআপ লুক সবচেয়ে ট্রেন্ডে, কোন রঙের আইশ্যাডো, লিপস্টিক ও হাইলাইটার আপনার সাথে মানাবে — জানুন বিস্তারিত!

শীতের হাওয়া বইতে শুরু করলেই শুরু হয় বিয়ে ও পার্টির মৌসুম। এই সময়ে সবাই চান নিজেকে আরও পরিপাটি ও আকর্ষণীয়ভাবে সাজাতে। ২০২৫ সালের মেকআপ ট্রেন্ডে এসেছে নতুন কিছু পরিবর্তন — এখন জনপ্রিয় হচ্ছে ন্যাচারাল গ্লো, সফট গ্ল্যাম, আর গোল্ডেন হাইলাইটার লুক।
এই পোস্টে আপনি পাবেন এই মৌসুমের সবচেয়ে ট্রেন্ডিং পার্টি মেকআপ আইডিয়া এবং কিছু প্রফেশনাল টিপস যা আপনার লুককে করবে নিখুঁত ও নজরকাড়া! 


 ২০২৫ সালের ট্রেন্ডিং পার্টি মেকআপ লুকস

১️.Soft Glam Look

  • বেস হবে হালকা, কিন্তু ফিনিশ নিখুঁত ও উজ্জ্বল।

  • গোলাপি বা পীচ টোন ব্লাশ ব্যবহার করুন।

  • চোখে হালকা ব্রাউন বা রোজ গোল্ড আইশ্যাডো লাগান।

  • ঠোঁটে দিন ন্যুড বা গ্লসি লিপস্টিক।

২️. Classic Red Look

  • চিরকালীন রেড লিপস্টিক এখনো সবচেয়ে আকর্ষণীয় ট্রেন্ড।

  • চোখে উইংড আইলাইনার ও গোল্ডেন আইশ্যাডো ব্যবহার করলে আরও এলিগ্যান্ট লাগবে।

  • ফাউন্ডেশন ভালোভাবে blend করে ম্যাট ফিনিশ নিন।

৩️.Golden Glow Bridal Party Look

  • হাইলাইটার ব্যবহার করুন গালের হাড়, নাক ও কপালের ওপর — এতে মুখে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আসবে।

  • গোল্ডেন বা ব্রোঞ্জ আইশ্যাডো এই লুকের জন্য একদম উপযুক্ত।

৪️. Minimalist Dewy Look (New Trend 2025)

  • হালকা BB বা CC ক্রিম দিয়ে বেস তৈরি করুন।

  • লিপ টিন্ট, ক্রিম ব্লাশ ও সামান্য হাইলাইটারই যথেষ্ট।

  • সহজ, প্রাকৃতিক এবং ঝলমলে এই লুকটি দিনের পার্টির জন্য আদর্শ।

 প্রো মেকআপ টিপস:

১. মেকআপের আগে ময়েশ্চারাইজার ও প্রাইমার লাগান, যাতে ত্বক শুষ্ক না হয়।
২. Dewy Finish সেটিং স্প্রে ব্যবহার করলে স্কিনে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।
৩. লিপস্টিকের আগে অবশ্যই লিপবাম লাগান — ঠোঁট ফাটা ঠেকাবে।
৪. শীতের আলোয় গ্লো বাড়াতে হাইলাইটার একটু বেশি ব্যবহার করুন।
৫. পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে আইশ্যাডো বেছে নিন — গোল্ড, কপার, রোজ গোল্ড বা বারগান্ডি এই মৌসুমে বিশেষ ট্রেন্ডে।


পিম্পল হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করার ১০টি টিপস

 

 

পিম্পল বা ব্রণ এমন একটি সমস্যা যা একবার হলে মনটাই খারাপ করে দেয়। কিন্তু আপনি জানেন কি? পিম্পল হওয়ার পর নয়, হওয়ার আগেই প্রতিরোধ করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আজকের এই লেখায় আপনি জানতে পারবেন এমন কিছু সহজ ও কার্যকরী টিপস, যেগুলো মেনে চললে আপনার ত্বক থাকবে পরিষ্কার, উজ্জ্বল ও পিম্পলমুক্ত। 



১️.প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার রাখুন

আপনি দিনে অন্তত দুইবার হালকা ও ত্বকের উপযোগী ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। ধুলাবালি, ঘাম ও তেল জমে গেলে পোর বন্ধ হয়ে যায়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দেয়।

২️. হাত দিয়ে মুখে বারবার স্পর্শ করবেন না

হাতে প্রচুর ব্যাকটেরিয়া থাকে। তাই মুখে হাত দিলে সেই জীবাণু ত্বকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ব্রণের কারণ হতে পারে।

৩️. আপনার বালিশের কাভার ও তোয়ালে নিয়মিত পরিষ্কার করুন

এই জিনিসগুলোতে তেল ও ব্যাকটেরিয়া জমে থাকে। নিয়মিত ধুয়ে ফেললে ত্বক সংক্রমণের ঝুঁকি কমে যায়।

৪️.অয়েল-ফ্রি বা নন-কমেডোজেনিক প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন

যখন আপনি স্কিন কেয়ার বা মেকআপ প্রোডাক্ট কিনবেন, তখন দেখে নিন যাতে সেটি “oil-free” বা “non-comedogenic” লেখা থাকে। এগুলো পোর বন্ধ হতে দেয় না।

৫️.পর্যাপ্ত পানি পান করুন

আপনার শরীরে পর্যাপ্ত পানি থাকলে টক্সিন সহজে বের হয়ে যায়। এতে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং পিম্পল হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৬️.খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন

অতিরিক্ত তেল-মশলা, জাঙ্ক ফুড ও চকোলেট কমিয়ে দিন। বেশি খান ফল, শাকসবজি ও পানি—এগুলো ত্বকের জন্য প্রাকৃতিক ওষুধের মতো কাজ করে।

৭️.নিয়মিত ও পর্যাপ্ত ঘুমান

যখন আপনি কম ঘুমান, তখন শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, আর সেখান থেকেই পিম্পল দেখা দিতে পারে। প্রতিদিন অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি।

৮️.সপ্তাহে এক-দু’বার স্ক্রাব ব্যবহার করুন

মৃদু স্ক্রাব ব্যবহার করলে মৃত কোষ দূর হয়, পোর বন্ধ থাকে না, ত্বক হয় পরিষ্কার ও ফ্রেশ।

৯️.মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

স্ট্রেস বা মানসিক চাপ পিম্পলের বড় কারণ। তাই চেষ্টা করুন নিজেকে রিল্যাক্স রাখতে — গান শুনুন, বই পড়ুন বা ধ্যান করুন।

১০.প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন

অ্যালোভেরা জেল, মধু বা টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো ত্বককে ঠান্ডা রাখে, জীবাণু রোধ করে এবং পিম্পল হওয়ার ঝুঁকি কমায়।