বিউটি টিপস +
সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫
রূপচর্চায় বেসন এর ব্যবহার
রবিবার, ২৯ জুন, ২০২৫
ছেলেদের দাড়ির যত্ন
ছেলেদের দাড়ির যত্ন নেওয়া শুধুমাত্র স্টাইলের ব্যাপার না, বরং স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্যও জরুরি। নিচে কিছু কার্যকর দাড়ির যত্নের টিপস দেওয়া হলো:
১. নিয়মিত পরিষ্কার রাখা
-
মৃদু ফেসওয়াশ বা দাড়ির জন্য বিশেষ ক্লিনজার দিয়ে প্রতিদিন দাড়ি ধুতে হবে।
-
এতে ধুলাবালি, ঘাম ও ত্বকের মৃত কোষ দূর হয়।
২. দাড়িতে তেল ব্যবহার করুন
-
বিয়ার্ড অয়েল দাড়িকে কোমল, মসৃণ এবং সুগন্ধী রাখে।
-
সপ্তাহে ৩–৪ দিন নারিকেল তেল, আরগান অয়েল বা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করুন।
৩. নিয়মিত ট্রিম করুন
-
দাড়ি গজানোর সময়ও ট্রিম করলে সেটি পরিপাটি থাকে এবং ভালো শেপ পায়।
-
ভালো কোয়ালিটির ট্রিমার বা সিজার ব্যবহার করুন।
৪. স্কিন এক্সফোলিয়েট করুন
-
সপ্তাহে ১–২ দিন স্ক্রাব দিয়ে মুখ পরিষ্কার করলে দাড়ির নিচের ত্বক মৃত কোষমুক্ত হয় এবং নতুন দাড়ি গজাতে সাহায্য করে।
৫. সঠিক খাবার খান
-
প্রোটিন, ভিটামিন B ভিটামিন E ও জিঙ্ক দাড়ির বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
-
ডিম, বাদাম, মাছ, ফলমূল ও শাকসবজি বেশি খান।
৬. হাইড্রেটেড থাকুন
-
প্রচুর পানি পান করুন। এতে ত্বক ও দাড়ি উভয়ই হাইড্রেটেড থাকে।
৭. ধৈর্য ধরুন
-
দাড়ি গজাতে সময় লাগে, তাই ধৈর্য ধরে নিয়মিত যত্ন নিন।
৮. অ্যালকোহলবিহীন প্রোডাক্ট ব্যবহার করুন
-
অ্যালকোহলযুক্ত প্রোডাক্ট দাড়ি ও ত্বককে শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫
৫ মিনিটে চোখের নিচে কালো দাগের সমাধান
লেবু
নারকেল তেল
শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫
ছেলেদের চুলের যত্ন
- সপ্তাহে দু’দিন তেল দিন: সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তেল দিন। নারকেল তেল, আমন্ড অথবা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে আমলকী হেয়ার অয়েলসহ অর্গানিক অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায়। এগুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো হয় তেল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে।
চুলের যত্নে মেয়েরা যতটা সচেতন, ছেলেরা ততটা নয়। এ কারণে অল্প বয়সেই অনেকের চুল ঝরে যায়। দিনের পর দিন যত্ন না নেওয়ার কারণে মাথার ত্বকে খুশকি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে যায়। চুল সতেজ ও সুন্দর রাখতে সঠিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে।
মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলে তৈলগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত সিরাম ও ত্বকের মরা কোষ মিলেমিশে মাথায় এক ধরনের আস্তরণ ও তেল চিটচিটে ভাবের সৃষ্টি করে। এতে ত্বক ও চুল দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দু’দিক সমন্বয় করেই মাথার ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু-কন্ডিশনার: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু এবং সিলিকনমুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল শ্যাম্পু করার পর সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ঢেউ খেলানো চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যাতে চুল খুব বেশি শুষ্ক বা খুব বেশি তৈলাক্ত না হয়। শ্যাম্পুর আগে চুলে চার-পাঁচ মিনিটের মতো কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল যদি কোঁকড়া হয়, তাহলে কন্ডিশনার একটু বেশি ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে সিরামও খানিকটা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন।
সপ্তাহে ক’দিন চুল ধুবেন: চুল যদি স্ট্রেট হয়, তাহলে সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুতে পারেন। কোঁকড়া চুল শুষ্ক ধরনের হয়। কোঁকড়া চুল সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত। সপ্তাহে তিনবারের বেশি এ ধরনের চুল ধোবেন না।
যাদের চুল ওয়েভি, তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ধোয়া উচিত। ওয়েভি চুলের মতো ফ্রিজি চুলও সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত।
গরম পানির ব্যবহার এড়ানো: শীত হোক বা গরম সব সময়ই চুল ধোয়ার পানির তাপমাত্রা সঠিক হতে হবে। গোসলের পর নরম তোয়ালে দিয়ে চুল কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। এর পর চুল কিছুটা আর্দ্র থাকতেই ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল লাগিয়ে নিন। এতে চুল থাকবে ঝলমলে ও মসৃণ।চুলের যত্নে সুষম খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি-১২ ও ডি, বায়োটিন, রাইবোফ্লাভিন, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি চুল পড়ার সঙ্গে জড়িত। ডায়েটে প্রোটিন ও বায়োটিনের অভাব হলে চুল পড়ে। প্রোটিন ও বায়োটিনের ভালো উৎস হলো ডিম, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পুষ্টি জোগায়। ছেলেদের ডায়েটে ডিম, সবুজ শাক ও চর্বিযুক্ত মাছের মতো উচ্চ পুষ্টি রয়েছে, এমন খাবার রাখা উচিত।
উপকারী প্যাক: চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চা চামচ নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। চুলের দৈর্ঘ্য অনুসারে একটি বা দুটি ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
একটি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ টকদই, দুই ফোঁটা গ্লিসারিন, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।
বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫
গরমে ছেলেদের ঘামের গন্ধ দূর করার উপায়
নিয়মিত গোসল:
দিনে অন্তত দুইবার গোসল করা উচিত, বিশেষ করে গরমকালে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমানো যায
ভালোভাবে শরীর পরিষ্কার করা:
সুতির পোশাক পরা:
গরমে সুতির মতো হালকা ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত। সিনথেটিক বা ভারী কাপড় ঘাম শোষণ করতে পারে না, যার ফলে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার:
ডিওডোরেন্ট ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমায় এবং অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ঘামের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান করা:
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ কম হয়।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
মানসিক চাপ কমানো:
মানসিক চাপ ঘাম বাড়াতে পারে, তাই ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
জুতা ও মোজা পরিষ্কার রাখা:
প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরা উচিত এবং জুতাও নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫
মুখের উজ্জ্বলতা ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করুন সহজ ৪ টি প্রাকৃতিক উপায়ে
প্রতিটা মানুষ জন্মগ্রহণের সময় সুন্দর ত্বক নিয়েই পৃথিবীতে আসে। ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার দায়িত্ব শিশুর অভিভাবকের এবং ব্যক্তির নিজের। বিভিন্নভাবে আপনি আপনার ত্বকের ক্ষতি করছেন। কিন্তু ভয় পাবেন না, কারণ ঘরোয়া ও প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করেই উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় ত্বক পাওয়া সম্ভব।। চলুন তাহলে সেই প্রাকৃতিক উপাদানগুলো সম্পর্কে জেনে নিই।
১। কলার খোসা –
কলা খাওয়ার পরে খোসাটা ফেলে দেয়াই আমাদের সবার অভ্যাস কারণ ত্বকের উপর কলার খোসার জাদুকরি প্রভাবের কথা অনেকেই জানেন না। এখন থেকে কলার খোসা ফেলে না দিয়ে এর ভেতরের সাদা অংশটুকু মুখে ও ঘাড়ে ভালো করে ঘসে ঘসে লাগান। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে উষ্ণ গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বক উজ্জ্বল হবে। ভালো ফল পাওয়ার জন্য সপ্তাহে কয়েকবার এটি ব্যবহার করুন।২। মধু ও লেবু –
মধু ও লেবুর সমন্বয়ে তৈরি ফেস প্যাক ত্বক ফর্সা করতে পারে। সমপরিমাণ মধু ও লেবুর রস নিয়ে ভালোভাবে মেশান। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। যদি আপনার ত্বক শুষ্ক হয়ে থাকে তাহলে মধু ও শশার রস ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও মধুর সাথে সমপরিমাণ দুধ মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারে। যদি আপনার ত্বক তৈলাক্ত হয় তাহলে লো ফ্যাট দুধ ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৩। টমেটো –
প্রতিমাসে একবার স্পেনের লা টোমাটিনা ফেস্টিভ্যালে অংশগ্রহণ করতে পারলে ফর্সা ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া সহজ হত। টমেটোতে ত্বকের বর্ণ হালকা করার উপাদান আছে। এটি ত্বকের তেল শোষণ করে এবং ত্বকের উন্মুক্ত ছিদ্রের নিরাময় করে। আপনার ত্বকের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ টমেটো থেঁতলে নিয়ে মুখে ও শরীরের অন্যান্য স্থানে লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৪। চন্দন –
প্রাচীন কাল থেকেই ত্বক ফর্সা করতে ব্যবহার হয়ে আসছে চন্দনের গুঁড়া যাকে কেউ হারাতে পারেনি। চন্দন ও হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এর সাথে কাঠ বাদামের তেল মিশাতে পারেন। তারপর মিশ্রণটি আপনার মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পরে বৃত্তাকারে ম্যাসাজ করুন। কিছুক্ষণ পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটির ব্যবহারে আপনার ত্বকের বর্ণ হালকা হবে এবং আপনার মুখের দ্যুতি ছড়াবে।সব কিছুর শেষ কথা হচ্ছে ক্লিঞ্জিং, টোনিং ও ময়শ্চারাইজিং এই ৩ টির সমন্বয় ছাড়া ত্বক ভালো রাখা সম্ভব নয়। CTM রুটিন ঠিকভাবে অনুসরণ করলেই আপনি আপনার ত্বককে খুব বেশি তামাটে হয়ে যাওয়া রোধ করতে পারবেন। ত্বকের উজ্জ্বলতা অটুট রাখার জন্য ঘরের বাহিরে যাওয়ার পূর্বে ভালমানের সানস্ক্রিন লাগাতে ভুলবেন না যেনো।
আপনার ত্বকে গোলাপি আভা এনে দেবে।