গরমে ঘামের গন্ধ দূর করার জন্য নিয়মিত গোসল করা, অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করা, এবং ঘামাচি ও শরীরের ভাঁজগুলোতে ভালোভাবে পরিষ্কার করা প্রয়োজন। এছাড়াও, সুতির হালকা পোশাক পরা, ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার করা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
নিয়মিত গোসল:
দিনে অন্তত দুইবার গোসল করা উচিত, বিশেষ করে গরমকালে। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল সাবান ব্যবহার করে শরীর ভালোভাবে পরিষ্কার করলে ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমানো যায
ভালোভাবে শরীর পরিষ্কার করা:
শরীরের যে অংশগুলোতে বেশি ঘাম হয়, যেমন বগল, কুঁচকি ইত্যাদি ভালোভাবে পরিষ্কার করা উচিত।
সুতির পোশাক পরা:
গরমে সুতির মতো হালকা ও বাতাস চলাচল করতে পারে এমন পোশাক পরা উচিত। সিনথেটিক বা ভারী কাপড় ঘাম শোষণ করতে পারে না, যার ফলে দুর্গন্ধ হতে পারে।
ডিওডোরেন্ট বা অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ব্যবহার:
ডিওডোরেন্ট ঘামের দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি কমায় এবং অ্যান্টিপারস্পাইরেন্ট ঘামের পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে।
পর্যাপ্ত জল পান করা:
শরীরকে হাইড্রেটেড রাখা খুবই জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করলে ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের হয়ে যায় এবং দুর্গন্ধ কম হয়।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
বেকিং সোডা ও লেবুর রস ব্যবহার:
বেকিং সোডা ঘাম শোষণ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক অ্যান্টিসেপটিক হিসেবে কাজ করে, যা ঘামের দুর্গন্ধ কমাতে সহায়ক।
মানসিক চাপ কমানো:
মানসিক চাপ ঘাম বাড়াতে পারে, তাই ধ্যান বা যোগব্যায়ামের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর চেষ্টা করা উচিত।
জুতা ও মোজা পরিষ্কার রাখা:
প্রতিদিন পরিষ্কার মোজা পরা উচিত এবং জুতাও নিয়মিত পরিষ্কার করা প্রয়োজন।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করলে গরমে ঘামের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন