শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

ছেলেদের চুলের যত্ন


 


  • চুলের যত্নে মেয়েরা যতটা সচেতন, ছেলেরা ততটা নয়। এ কারণে অল্প বয়সেই অনেকের চুল ঝরে যায়। দিনের পর দিন যত্ন না নেওয়ার কারণে মাথার ত্বকে খুশকি হয়। ত্বক শুষ্ক হয়ে চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে যায়। চুল সতেজ ও সুন্দর রাখতে সঠিক উপায়ে নিয়মিত যত্ন নিতে হবে। 
    মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন: মাথার ত্বক পরিষ্কার না করলে তৈলগ্রন্থি থেকে নিঃসৃত সিরাম ও ত্বকের মরা কোষ মিলেমিশে মাথায় এক ধরনের আস্তরণ ও তেল চিটচিটে ভাবের সৃষ্টি করে। এতে ত্বক ও চুল দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই দু’দিক সমন্বয় করেই মাথার ত্বকের যত্ন নিতে হবে।
    চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু-কন্ডিশনার: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চুলের জন্য সপ্তাহে দু-তিন দিন শ্যাম্পু করতে হবে। যদি সম্ভব হয়, সালফেটমুক্ত শ্যাম্পু এবং সিলিকনমুক্ত কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। চুল শ্যাম্পু করার পর সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। ঢেউ খেলানো চুলের জন্য এমন শ্যাম্পু ব্যবহার করা উচিত, যাতে চুল খুব বেশি শুষ্ক বা খুব বেশি তৈলাক্ত না হয়। শ্যাম্পুর আগে চুলে চার-পাঁচ মিনিটের মতো কন্ডিশনার লাগিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুল যদি কোঁকড়া হয়, তাহলে কন্ডিশনার একটু বেশি ব্যবহার করুন। সে ক্ষেত্রে সিরামও খানিকটা বেশি পরিমাণে ব্যবহার করবেন। 
    সপ্তাহে ক’দিন চুল ধুবেন: চুল যদি স্ট্রেট হয়, তাহলে সপ্তাহে তিন দিন চুল ধুতে পারেন। কোঁকড়া চুল শুষ্ক ধরনের হয়। কোঁকড়া চুল সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত। সপ্তাহে তিনবারের বেশি এ ধরনের চুল ধোবেন না।
    যাদের চুল ওয়েভি, তাদের সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার ধোয়া উচিত। ওয়েভি চুলের মতো ফ্রিজি চুলও সপ্তাহে দু’বার ধোয়া উচিত। 
    গরম পানির ব্যবহার এড়ানো: শীত হোক বা গরম সব সময়ই চুল ধোয়ার পানির তাপমাত্রা সঠিক হতে হবে। গোসলের পর নরম তোয়ালে দিয়ে চুল কিছুক্ষণ জড়িয়ে রাখুন। এর পর চুল কিছুটা আর্দ্র থাকতেই ময়েশ্চারাইজার, নারকেল বা জলপাই তেল লাগিয়ে নিন। এতে চুল থাকবে ঝলমলে ও মসৃণ।
    চুলের যত্নে সুষম খাবার: গবেষণায় দেখা গেছে, ভিটামিন বি-১২ ও ডি, বায়োটিন, রাইবোফ্লাভিন, আয়রনসহ অন্যান্য পুষ্টির ঘাটতি চুল পড়ার সঙ্গে জড়িত। ডায়েটে প্রোটিন ও বায়োটিনের অভাব হলে চুল পড়ে। প্রোটিন ও বায়োটিনের ভালো উৎস হলো ডিম, যা চুলের বৃদ্ধির জন্য দ্রুত পুষ্টি জোগায়। ছেলেদের ডায়েটে ডিম, সবুজ শাক ও চর্বিযুক্ত মাছের মতো উচ্চ পুষ্টি রয়েছে, এমন খাবার রাখা উচিত।
    সপ্তাহে দু’দিন তেল দিন: সুস্থ ও সুন্দর চুলের জন্য সপ্তাহে অন্তত দু’দিন তেল দিন। নারকেল তেল, আমন্ড অথবা জলপাই তেল ব্যবহার করতে পারেন। বাজারে আমলকী হেয়ার অয়েলসহ অর্গানিক অনেক ধরনের তেল পাওয়া যায়। এগুলো চুলের পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করে। সবচেয়ে ভালো হয় তেল হালকা গরম করে স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করলে।  
    উপকারী প্যাক: চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী ডিমের কুসুমের সঙ্গে এক চা চামচ নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। চুলের দৈর্ঘ্য অনুসারে একটি বা দুটি ডিমের কুসুম ব্যবহার করতে পারেন। মিশ্রণটি চুলে লাগিয়ে রাখুন প্রায় ৩০ মিনিট। এরপর শ্যাম্পু করে নিন।
    একটি ডিমের সঙ্গে এক টেবিল চামচ টকদই, দুই ফোঁটা গ্লিসারিন, এক টেবিল চামচ লেবুর রস, এক চা চামচ মধু, এক টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি চুলের গোড়া থেকে শুরু করে পুরো চুলে ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে নিন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন