চালের গুড়া যেভাবে কাজ করবে –
- চালের গুড়ায় থাকে খুবই উচ্চমানের PABA (Para aminobenzonic acid), যা খুব ভালো সানস্ক্রিন হিসেবে কাজ করে। ফলে সুর্যের অতি ক্ষতিকর রশ্মি থেকে স্কিন থাকে সুরক্ষিত ।
- চালের গুড়ায় থাকা allantoin নামের উপাদান রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করে ও ক্ষতিগ্রস্ত ত্বক রিপেয়ার করে।
- চালের গুড়ায় থাকা tyrosinase নামক উপাদান স্কিনের মেলানিন উৎপাদনের হার কমিয়ে আনে।
- চালের গুড়া স্কিনের অতিরিক্ত অয়েল ও সেবাম উৎপাদন দূর করে।
- চালের গুড়ায় থাকে অতি উচ্চমানের ভিটামিন বি, যা ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত কোষ নতুন করে উৎপাদন করে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে
- চালের গুড়া ত্বকের কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায় এবং ঝুলে পরা রোধ করে টানটান করে তুলে।
এই চালের গুড়া দিয়ে বেশ কয়েকভাবে মাস্ক
বানানো যায়। তবে এখানে আমি তিনটি ফেসমাস্ক বানানোর কথা আপনাদের জানাবো যা
আপনাদের স্কিনে ম্যাজিকের মতো কাজ করবে। ফেস থেকে দাগ-ছোপ দূর করবে, টানটান
করবে, ফর্সা ও উজ্জ্বল করবে কয়েক সেড পর্যন্ত।
(১) চালের গুড়া, আটা ও দুধের মাস্ক
- এক চা চামচ চালের গুড়া
- এক চা চামচ আটা
- এক চা চামচ গুড়া দুধ/ দুই চা চামচ লিকুইড দুধ
সব উপাদান ভালো করে মিশাতে হবে। এরপর মুখ
ধুয়ে মিক্সারটা মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম
পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে ভালো করে। খেয়াল রাখতে হবে মুখে যেন কিছু
থেকে না যায়। সপ্তাহে ২/৩ বার লাগাতে হবে মাস্কটা। এক মাসের মধ্যেই দেখবেন
স্কিন ঝলমল করসে।
(২) চালের গুড়া,মুলতানি মাটি ও টমেটোর মাস্ক
- এক চা চামচ চালের গুড়া
- আধা চা চামচ মুলতানি মাটি
- অর্ধেকটা টমেটোর রস
এক সাথে সব উপাদান ভালো করে মিশিয়ে নিতে
হবে। এবার মুখ ধুয়ে মাস্কটা মুখে ও গলায় লাগাতে হবে। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে
ফেলতে হবে। এটি আপনার স্কিনের অতিরিক্ত তেল, সেবাম দূর করবে আর স্কিন
উজ্জ্বল করবে ভীষণ রকম। এই মাস্কটিও সপ্তাহে ২/৩ দিন লাগাতে হবে। তবে খুব
ভালো হয় যদি রোজ একবার লাগানো যায়। তবে সপ্তাহের মধ্যেই রেজাল্ট পাওয়া
শুরু করবেন।
(৩) চালের গুড়া ও অ্যালোভেরা মাস্ক
এই মাস্কটি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং প্যাক
হিসেবে কাজ করে। স্কিনের মরা চামড়া দূর করে খুব এফেক্টিভ-ভাবে। এর জন্যে
আপনাকে যা করতে হবে তা হল-
- এক চা চামচ চালের গুড়া
- দুই চা চামচ অ্যালোভেরার রস
মিক্স করে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০
মিনিট। ২০ মিনিট পর মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করে করে মাস্ক
তুলে ফেলতে হবে। এরপর যথারীতি প্রচুর পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ফেলতে
হবে। সপ্তাহে দুই বার করলেই হবে।
যে কোন হোমমেড মাস্কে সাধারণত কেমিক্যাল
ফ্রি হয়। তাই এইসব মাস্ক কাজ করতে একটু সময় নেয়। কেমিক্যালযুক্ত প্রোডাক্ট
খুব দ্রুত কাজ করে ঠিকই কিন্তু তার সাইড এফেক্টও থাকে। মাঝে মাঝে সাইড
এফেক্টের প্রভাব হয় খুব ক্ষতিকরভাবে। তাই সময় একটু বেশি লাগলেও
কেমিক্যাল ফ্রি হোমমেড মাস্কগুলোই স্কিনের জন্যে ব্যবহার করা ভালো। এতে
স্কিনের ক্ষতি তো হয়ই না বরং নিয়মিত ব্যবহারে দীর্ঘমেয়াদী ফল পাওয়া যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন