যা যা লাগবে –
(১) হালকা গরম লিকুইড দুধ
– তরল দুধ অথবা গুড়ো দুধ যেকোনো একটা হলেই চলবে।
– গুড়ো দুধ গরম পানিতে গুলে নিবেন।
– দুধটা খুব বেশী গরম হওয়ার দরকার নেই। এমন গরম হতে হবে, যাতে আপনার হাতের আঙুল ডুবালে তা সহনীয় হয়।
(২) আনফ্লেভারড জেলাটিন
– গুড়ো দুধ গরম পানিতে গুলে নিবেন।
– দুধটা খুব বেশী গরম হওয়ার দরকার নেই। এমন গরম হতে হবে, যাতে আপনার হাতের আঙুল ডুবালে তা সহনীয় হয়।
(২) আনফ্লেভারড জেলাটিন
– জেলাটিন বিশেষ করে
জেলী তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এটি আপনি যেকোনো সুপার শপে পেয়ে যাবেন। খেয়াল
রাখবেন জেলাটিনে যেন কোনো ফ্লেভার দেয়া না থাকে।
(৩) ভ্যানিলা এসেন্স
– এই উপকরণটি অপশনাল।
যেহেতু আনফ্লেভারড জেলাটিনের গন্ধ অনেকেই পছন্দ করেন না তাই ভ্যানিলা
এসেন্স ব্যবহার করতে পারেন। তবে না ব্যবহার করতে চাইলেও কোনো সমস্যা নেই।
প্রস্তুত প্রণালি-
একটি বাটিতে ২ টেবিল
চামচ জেলাটিন নিন। এর মধ্যে অল্প অল্প করে গরম দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি
যেন খুব বেশী ঘন বা পাতলা না হয়। এর মধ্যে চাইলে ২ ফোটা ভ্যানিলা এসেন্স
যোগ করে নিন এবং মিশিয়ে নিন। মিশ্রনটি বানানোর সাথে সাথেই ফেসে ব্যবহার করে
নিবেন।
ব্যবহার বিধি-
প্রথমে মুখ ভালোভাবে
ফেসওয়াসের সাহায্যে পরিষ্কার করে নিন। এবারে একটি পরিষ্কার তোয়ালে গরম
পানিতে চুবিয়ে নিংড়ে নিন। আপনার ফেসে যে যে স্থানে ব্লাকহেডস অথবা
হোয়াইটহেডস আছে, সেই স্থানে এই গরম তোয়ালেটি চেপে রাখুন কিছুক্ষণ। এতে
ত্বকের পোরগুলো ওপেন হয়ে যাবে। ব্লাকহেডস অথবা হোয়াইটহেডস সহজে উঠে আসতে
সাহায্য করবে। এবার তৈরিকৃত মিশ্রণটি হাতের আঙুলের সাহায্যে আপনার ফেস এর
যে যে স্থানে ব্লাকহেডস/ হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম রয়েছে সেখানে
পুরুভাবে লাগিয়ে নিন। এরপর ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন, যতক্ষণ না পর্যন্ত
মাস্কটি শুকিয়ে যায়।
মাস্কটি শুকিয়ে গেলে
মাস্কের এক সাইড ধরে আস্তে আস্তে টান দিন এবং তুলে ফেলুন। মাস্কটি তুলে
ফেলার পর আপনি নিজেই দেখতে পারবেন, মাস্কের সাথে আপনার ব্লাকহেডস
/হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোমগুলো উঠে এসেছে। এরপর ভালো মানের টোনার
অ্যাপ্লাই করুন।
বিঃ দ্রঃ
এই মাস্কটি খুব ঘন ঘন
ব্যবহার না করাই ভালো। যখন, প্রয়োজন পড়বে শুধুমাত্র তখনই ব্যবহার করবেন।
এই তো, জেনে নিলেন কীভাবে ১ টি ফেস মাস্ক ব্যবহার করেই মুখের ব্লাকহেডস,
হোয়াইটহেডস এবং অবাঞ্ছিত লোম দূর করবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন