তৈলাক্ত চুলের প্যাক
সাধারণ চুলের প্যাক
শুষ্ক চুলের প্যাক
আমার হেয়ার হচ্ছে অয়েলি ধরণের। শ্যাম্পু
করার পরদিনই মনে হয় চুলে তেল দিয়ে রেখেছি। চুলের স্কাল্প এবং চুল তেলতেলে
হয়ে যায়। তো এই ধরণের চুলের জন্যে আমি যে হেয়ার প্যাকটা ব্যবহার করতে পছন্দ
করি, তার রেসিপিই দিচ্ছি। এটি চুলের এক্সটা অয়েলিনেস দূর করে চুলকে ঝরঝরে
এবং স্মুদ বানিয়ে দেয়।
- মেহেদির গুঁড়া
- আদার রস
- টি ট্রি অয়েল
- চায়ের লিকার
- আপেল সাইডার ভিনেগার
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটিতে ৩ টেবিল চামচ
মেহেদির গুঁড়া নিয়ে নিন। পারলে তাজা মেহেদি পাতা বাটা ব্যবহার
করুন। আদাটুকু বেটে নিয়ে এর থেকে রসটা ছেঁকে নিন যেন ২ টেবিল চামচ পরিমাণ
হয়। ২-৩ ফোটা টি ট্রি অয়েল, ২ টেবিল চামচ ঠান্ডা চায়ের লিকার এবং ১ টেবিল
চামচ অ্যাপেল সাইডার ভিনেগার নিয়ে নিন। উপকরণগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে একটি থিক
পেস্ট তৈরি করুন। হাতের সাহায্যে চুলে সিঁথি কেটে কেটে এই প্যাকটি লাগিয়ে
নিন এবং ৪০ মিনিট অপেক্ষা করে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
নরমাল চুলগুলো অতিরিক্ত অয়েলি / ড্রাই
ধরণের হয় না। এই ধরণের চুলে বিশেষ করে কমবেশি সব প্যাকই স্যুট করে। তবে
নরমাল চুলের জন্যে নিচের হেয়ার প্যাকটি বেশ ভালো কাজে দিবে। এটি চুলের
গোড়াকে শক্তিশালি করে চুলকে সফট বানিয়ে দেবে এবং চুল পড়াও কমিয়ে আনবে।
- নারকেলের দুধ
- অ্যালোভেরা জেল
- টক দই
- জবা ফুল এবং পাতা
প্রথমে একটি পরিষ্কার ব্লেন্ডারে ৩ টেবিল
চামচ নারিকেলের দুধ নিন। অ্যালোভেরা পাতাটির দুই পাশের কাটা এবং উপরের সবুজ
অংশ ছুরি দিয়ে কেটে জেল-টুকু বের করে নিন। তাজা অ্যালোভেরা না পেলে কৌটার
অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করতে পারেন। ১ টেবিল চামচ পরিমাণে। জবা ফুলের
পাপড়িগুলো ছিড়ে নিন এবং পাতাগুলো ধুয়ে নিয়ে ব্লেন্ডারে নিয়ে নিন। এক্ষেত্রে
২ টি জবা ফুল এবং ৫-৬ টি পাতা হলেই যথেষ্ট। ২ টেবিল চামচ টক দইও নিয়ে নিন
ব্লেন্ডারে। এবার সবকিছু ব্লেন্ড করে নিন। ব্লেন্ড করা হয়ে গেলে আপনার
প্যাক রেডি। এবার চুলের গোড়া এবং পুরো চুলে লাগিয়ে নিন প্যাকটি। ৩০-৪০
মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগাতে ভুলবেন না।
এই ধরণের চুলগুলো গোড়াসহ পুরো চুলই ড্রাই এবং রুক্ষ থাকে। চাই ডিপ কন্ডিশনিং প্যাক।
- মেয়োনিজ
- ওটস
- কাঁচা দুধ
প্রথমে একটি পরিষ্কার বাটিতে ২ টেবিল চামচ
ওটস নিয়ে এতে ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ মিলিয়ে নিন। এরপর অপেক্ষা করুন
যতক্ষণ না ওটস নরম হয়। ওটস নরম হয়ে এলে হাত দিয়ে কঁচলে নিন ভালোমতো। এবার
এর মধ্যে ৩-৪ টেবিল চামচ মেয়োনিজ নিয়ে সবকিছু ভালোমতো মিশিয়ে নিন। হাতের
সাহায্যে চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। ৩০ মিনিট
অপেক্ষা করে শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।
এই তো ছিলো, চুলের ধরণভেদে ৩ টি হেয়ার প্যাকের রেসিপি। নিজের চুলের ধরণ বুঝে এগুলো ব্যবহার করলে আশা করি ভালো ফল পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন