ত্বক উজ্জ্বল করে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মেশান। ভালো করে নেড়ে মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকে ফিরে আসবে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা।
ত্বকের ময়লা দূর করে
বড় হয়ে যাওয়া লোমকূপের ভেতর থেকে ময়লা বের করে ত্বক পরিষ্কার রাখে দই। ১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে পরিমাণ মতো দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন ১৫ থেকে ২০ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার লাগান।
বলিরেখা দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে অর্ধেকটি কলা চটকে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ধুয়ে ফেলুন ঠাণ্ডা পানি দিয়ে। মুখ মুছে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে
দইয়ের অ্যাসিডিক উপাদান ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে ব্রণমুক্ত রাখে ত্বক। দইয়ের সঙ্গে ১ চিমটি জয়ফল গুঁড়া মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেল ধুয়ে ফেলুন।
খুশকি দূর করতে
১ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ বেসন মিশিয়ে তৈরি করুন হেয়ার প্যাক। মিশ্রণটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ভেষজ শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। নিয়মিত ব্যবহারে খুশকি দূর হবে। এছাড়া দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
চুল পড়া কমাতে
সমপরিমাণ দই ও নারকেলের দুধ মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটি মাথার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। এটি চুল কমানর পাশাপাশি চুলে নিয়ে আসবে ঝলমলে ভাব।
শুষ্ক চুলের যত্নে
শুষ্ক ও রুক্ষ চুলে প্রাণ ফেরাতে দইয়ের হেয়ার প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। ৩ টেবিল চামচ দইয়ের সঙ্গে ২ টেবিল চামচ নারকেল তেল ও ৪ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন চুলে। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে শ্যাম্পু ব্যবহার করুন। চুলের রুক্ষতা দূর হবে।
চুল ঝলমলে করতে
দই ভালো করে ব্লেন্ড করে চুলে লাগান। একটু তোয়ালে দিয়ে চুল ঢেকে নিন। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন চুল। চুল হবে উজ্জ্বল ও ঝলমলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন