বুধবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৭

সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকে আনুন সতেজভাব

ম্যাসাজ
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে এটা হলও সবচাইতে সহজ ও দ্রত একটি উপায়। কিছু পরিমাণ অলিভ অয়েল হাতের তালু ও আঙ্গুলে নিয়ে নিজের আঙ্গুলের সাহায্যে পুরো মুখে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের রক্ত চলাচল দ্রুত হবে। যার ফলে, চেহারার মাঝে থাকা ক্লান্তির ছাপ একেবারেই চলে যাবে। 

এক্সফলিয়েশন
সুস্থ ত্বকের জন্য এক্সফলিয়েশন খুবই জরুরি। নিয়মিত এক্সফলিয়েট করার ফলে ত্বকের গভীরে থাকা ময়লা ও মরা চামড়া উঠে যায়। যার ফলে ত্বক তার স্বাভাবিক রং ও কোমলতা ফিরে পায়। তবে এক্সফলিয়েট করার জন্য খুব ভালো মানের কোন স্ক্রাবার ব্যবহার করা উচিৎ। 

ফেসমাস্ক
অফিস থেকে বাসাতে এসে ঘরে তৈরি যে কোন ফেসমাস্ক ব্যবহার করা সবচাইতে উপকারী একটি উপায়। যা একই সাথে ত্বকের আর্দ্রতা ঠিক রাখতে, ত্বকের ময়লা দূর করতে, ত্বকে পুষ্টি জোগাতে সাহায্য করবে। ঘরে তৈরি এই ফেসমাস্ক এর জন্য খুব বেশী উপাদানের প্রয়োজন নেই। এই ফেসমাস্ক মধু-কলা দিয়ে তৈরি হতে পারে, অথবা টমেটো-লেবুরও হতে পারে। 

স্কিন টোনার
এটা হলো ত্বকের ক্লান্তি দূর করার অন্যতম সহজ ও দারুণ একটি উপায়। কর্মব্যস্ততা শেষে ত্বকের জন্য মানানসই টোনার ব্যবহারে সতেজভাব চলে আসে মুখের মাঝে। প্রতিদিনের ব্যবহৃত ফেসওয়াশ দিয়ে মুখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে এরপর তুলার বলের সাহায্যে ত্বকে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ব্যবহারে ত্বকের রোমকূপ ছোট হয়ে যায় এবং ত্বক টানটান থাকে। 

গোলাপজল
ত্বকের যত্নে ও ত্বকের পরিচর্যার জন্য গোলাপজন বহুল ব্যবহৃত একটি সাধারণ ও প্রচলিত উপাদান। গোলাপজল ব্যবহারে ত্বকের হাইড্রেশন বৃদ্ধি পায়, যার ফলে ত্বকের ক্লান্তি দূর হয়ে ত্বক তার স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ও রং ফিরে পায়। একটি তুলার বলে গোলাপজল নিয়ে পুরো মুখ ও ঘাড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে দেবার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

বরফের টুকরা
বাইরে থেকে ফেরার পর ত্বকে ঠাণ্ডা কিছু লাগালে তাৎক্ষণিকভাবে ত্বকে সতেজভাব চলে আসে। এর জন্যে দুই-তিন টুকরা বরফ একটি তুলার কাপড়ের মাঝে নিয়ে এরপর পুরো মুখ জুড়ে ভালোভাবে ম্যাসাজ করতে হবে। এর ফলে ত্বকে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং ত্বকে উজ্জ্বলতা চলে আসে। 

অ্যালোভেরা জেল
ত্বকের উপকারের জন্য অ্যালোভেরা জেলের গুণ অগণ্য। বিভিন্ন উপায়ে এবং বিভিন্ন প্রয়োজনে প্রাকৃতিক অ্যালভেরা জেল ব্যবহার করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। সারাদিন পর অল্প পরিমাণে অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করলেও উপকার পাওয়া যাবে অনেকটা। কিছু পরিমাণ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে ভালোভাবে ঘষে ১৫-৩০ মিনিত সময়ের জন্য রেখে দিতে হবে।  এরপর ঠাণ্ডা পানি অথবা সাধারণ তাপমাত্রার পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। 

শসা
সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষে যখন চেহারার মাঝ থেকে ক্লান্তির ছাপ দূর করার প্রশ্ন আসে, তখন শসা হলো সবচাইতে উপকারী একটি উপাদান। শসাতে থাকা বেশ কিছু প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের ক্ষেত্রে উপকারী ভূমিকা রাখে।  যে কারণ শসা ব্যবহারে খুব দ্রুত ভালো ফল পাওয়া সম্ভব হয়। এছাড়াও, শসাতে থাকে প্রচুর পরিমাণে পানি। যা ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধিতে কাজ করে থাকে। শসা ব্যবহার করতে চাইলে, কিছু পরিমাণ শসা থেঁতলে নিয়ে পুরো মুখের উপরে ছড়িয়ে দিতে হবে। এইভাবে ২০-২৫ মিনিট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে হালকা ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। 

ফেসিয়াল ষ্টিম
ষ্টিম বা গরম পানি ভাপ নেওয়ার ফলে মুখের ত্বকের রোমকূপগুলো খুলে যায় এবং তার ভেতরে থাকা ময়লা বের হয়ে আসে। এতে করে ত্বক তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী সতেজ মনে হতে থাকে। ষ্টিম নিতে চাইলে গরম পানির উপর মুখ ঝুঁকিয়ে রেখে মাথার উপরে তোয়ালে দিয়ে দিতে হবে। ১০ মিনিট পর্যন্ত এইভাবে থাকলেই ত্বক তার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পাবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন