তবে হ্যাঁ, মনে রাখতে হবে যে ৫টি মাস্ক থেকে যে কোন একটি বেছে নেবেন এবং সেটা নিয়ম করে প্রতিদিন পালন করবেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে রাতারাতি কোন ফল পাওয়া যায় না। কিন্তু একটু ধৈর্য ধরে অবলম্বন করলে খুব দারুণ ও স্থায়ী ফল লাভ করা যায়।
চন্দনের মাস্কঃ
১ টেবিল চামচ চন্দন গুঁড়োকে অর্ধেক লেবু ও প্রয়োজনীয় পরিমাণ শসার রস দিয়ে পাতলা পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট থাইয়ের কালো দাগের অঞ্চলে মেখে রাখুন। শুকিয়ে গেলে উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। শরীরের অন্যান্য স্থানের কালো দাগ দূর করতেও এই পদ্ধতি বেশ ভালো কাজ করে।
গুঁড়ো দুধের মাস্কঃ
গুঁড়ো দুধ, মধু ও লেবুর রস প্রতিটি ১ টেবিল চামচ করে নিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। ঘরে আমন্ড তেল বা ভিটামিন ই যুক্ত যে কোন তেল থাকলে কয়েক ফোঁটা যোগ করুন। এই মিশ্রণ থাইতে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট রাখুন , তারপর ধুয়ে ফেলুন। শরীরের যে কোন রোদে পোড়া দাগ দূর করতেই এই উপায় খুবই কার্যকর।
কমলা খাওয়ার পর কী করেন? খোসাটি ফেলে দেন নিশ্চয়ই? এই খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। তাপর মধুর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে থাইয়ে লাগান। ১৫/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। থাইয়ের কালো দাগ দূর করতে কমলার খোসা খুব ভালো কাজ করে, কারণ এতে আছে প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট। অল্প কিছুদিন ব্যবহারেই ফল পেতে শুরু করবেন।
নারিকেল তেলঃ
নারিকেল তেল ত্বকের কালো দাগ দূর করতে ও পুনরায় দাগ পড়া দূর করতে খুবই কার্যকর। ৩ টেবিল চামচ নারিকেল তেল ১ টেবিল চামচ লেবুর রসের সাথে মিশিয়ে নিন। কালো দাগের স্থাকে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। তারপর সামান্য উষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে শুকিয়ে নিন। দিনে দুইবার করতে পারলে খুব ভালো ফল পাবেন।
বেসনের মাস্কঃ
বেসনের সাথে টক দই ও হলুদ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এটা প্রতিদিন ২০ মিনিট থাইয়ে ম্যাসাজ করে লাগান। রোজ ব্যবহারে অল্প কিছুদিনের মাঝেই ফল দেখতে পাবেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন