বর্তমানে অনেকেরই কম বয়সে চুল পাকার
প্রবণতা দেখা যায়। এগুলোর মধ্যে ভেজাল খাবার, দূষণ, অনিয়মিত জীবনযাপন ও
ক্ষতিকর কেমিক্যালযুক্ত প্রসাধনীর ব্যবহার অন্যতম। অকালে চুল পাকা প্রতিরোধ
করতে জেনে নিন কয়েকটি আয়ুর্বেদিক উপায়-
১) হরতকীর গুঁড়া ১ চা চামচ, মেহেদি পাতা
বাটা দুই চা চামচ এবং আধাকাপ নারকেল একসাথে মেশান। এবার ভালো করে ফুটিয়ে
নিয়ে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করুন। পুরো চুলে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে
ধুয়ে ফেলুন।
২) ১০ গ্রাম মেহেদিপাতা, ১০ গ্রাম
কেশুতপাতা, হরীতকীর ছাল, ২টি আমলকী, ৭-৮টি জবুফলের মাঝের অংশ ও বিটের রস
ভালো করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে হেয়ার টনিক তৈরি করুন। এই টনিক নিয়মিত পুরো
চুলে লাগান। ৪০ মিনিট রেখে ভালো করে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। অসময়ে
চুল পাকা প্রতিরোধ করতে পারবেন খুব সহজেই।
৩) আমলকীর রস, বাদামের তেল ও লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে সপ্তাহে কমপক্ষে ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করুন। চুল পাকা কমে যাবে।
৪) একটি দুটি করে চুল সাদা হতে শুরু করলেই
মেহেদি, ডিমের কুসুম ও টকদই একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে চুলে লাগান।
সপ্তাহে এক বার এই প্যাক ব্যবহার করুন। এই প্যাক চুল পাকা প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে।
৫) ১ কাপ নারকেল তেল, ১ টেবিল চামচ মেথি
গুঁড়া, ২ টেবিল আমলকী গুঁড়া একসাথে মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। তেল
বাদামি রঙ ধারণ করলে নামিয়ে ফেলুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে ছেঁকে নিন। এই তেল
সপ্তাহে ২ দিন চুলের গোড়াসহ পুরো চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। ২ ঘণ্টা পর
শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল পাকার সমস্যা দূর হবে দ্রুত।
এছাড়া চুলের ধরন অনুযায়ী নিয়মিত ভালো
ব্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। নিয়মিত ফলমূল, রঙিন
শাকসবজি, পুষ্টিকর খাবার খান ও প্রচুর পরিমাণে পান করুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন