আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রায়ই কার্যকর কিছু টিপস জানা না থাকায় কিংবা
ভুল জানার কারণে রূপচর্চায় খানিক ব্যাঘাত ঘটে। অথচ টিপসগুলো জানা থাকলে
সময়ও বাঁচে, আবার রূপচর্চায় তৃপ্তিও পাওয়া যায়। আজকে সেরকম কিছু টিপস নিয়েই
আলোচনা করব আপনাদের সাথে। তো শুরু করা যাক!
০১। বেশিরভাগ চুল পরিচর্যার পণ্যগুলো চুল ভেজা থাকা অবস্থায় লাগাতে হয়। যেমনঃ জেল, মুজ, কন্ডিশনার ইত্যাদি। কারণ ভেজা চুলে এই পণ্যগুলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কিন্তু হেয়ার স্প্রের মত পণ্যগুলো ব্যবহার করতে হয় শুকনো চুলে।
০২। যখন দেখবেন তেল এবং ফাউন্ডেশান ক্রিম আলাদা আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝে নেবেন যে এই ফাউন্ডেশানটি ফেলে দেয়ার সময় হয়ে এসেছে। ক্রিম ও বেশি তেলযুক্ত ফাউন্ডেশানের সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। মেয়াদ বেশিদিন ধরে রাখতে ব্রাশ ব্যবহার করুন হাত দিয়ে ধরার বদলে।
০৩। স্কিন কন্ডিশনার তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ মিল্ক ক্রিম মেশান। কয়েক মিনিট রেখে ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুব ভালো কাজে দেয়!
০৪। ত্বকের বলিরেখা কমাতে, রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে টমেটোর কোন তুলনাই নেই! তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত টমেটো রাখার চেষ্টা করুন।
০৫। শক্ত ও উজ্জ্বল নখের জন্য সপ্তাহে একদিন নখের ওপর ১০ মিনিট জলপাইয়ের তেল ও লবণ লাগিয়ে রাখুন।
০৬। মেহেদির রঙ গাঢ় করার জন্য মেহেদি শুকানোর পর হাতে খানিকটা ভিক্স নিয়ে মেখে রাখুন ৫/৬ ঘণ্টার জন্য। ফলাফল নিজের চোখেই দেখে নিন!
০৭। প্রতি ২/৩ মাস পরপর ম্যাস্কারা বদলে নিন। কিন্তু খুব দরকারের সময় ম্যাস্কারা যদি শুকিয়ে থাকে, তাহলে গরম পানিতে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে আবার!
০৮। চিকন ঠোঁটকে মোটা দেখাতে চাইলে হালকা শেডের একটি লিপ্সটিক লাগিয়ে ওপর ও নিচের ঠোঁটের মাঝখানে একটু গ্লস লাগিয়ে নিন। আলোর প্রতিফলনে ঠোঁটকে মোটা দেখাবে।
০৯। সঠিক ভ্রু শেইপ বোঝার জন্য একটি পেন্সিল নাকের পাশ থেকে চোখের কোণা বরাবর ধরুন। এখান থেকেই ভ্রু শুরু হয়। এরপর পেন্সিলটি নাকের পাশ থেকে চোখের শেষ মাথায় ধরুন। এখানে এসেই ভ্রু শেষ হয়।
১০। ঘরোয়াভাবে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য কয়েকটি অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খুব মিহি একটি মিশ্রণ তৈরি হলে পরে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত ধরে। সকাল বেলায় ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাস্পিরিনের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণের কারণে ব্রণ চলে যাবে এবং লালচে ও ফোলা ভাব দূর হবে।
১১। ব্ল্য্যাক হেডস দূর করতে পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ৫/৭ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফলাফল নিজেই দেখুন।
১২। ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে বেকিং সোডার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এবার দন্ত বিকশিত করে হাসুন।
১৩। পার্টি থেকে ফিরে চুলের জট ছাড়াতে পারছেন না? চিরুনি নিয়ে যুদ্ধ করা বন্ধ করুন। চুলে নারিকেল তেল দিয়ে সারা রাত অপেক্ষা করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে দেখুন আবার কেমন ঝরঝরে হয়ে গেছে আপনার চুল!
১৪। মেকআপ রিমুভার শেষ? অসুবিধে নেই। খানিকটা জলপাইয়ের তেল কিংবা ভ্যাসেলিন নিয়ে মেখে নিন সারামুখে। এবার আলতো তুলো দিয়ে ঘষে তুলে ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেকআপ তোলা নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা নেই।
১৫। পছন্দের রঙের লিপস্টিক খুঁজে পেলেন না? তাতে কী হয়েছে? আপনার আই শ্যাডো প্যালেটে নিশ্চয়ই সেই রংটি রয়েছে! খানিকটা সেখান থেকে চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে ভ্যাসেলিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। কাজ চলে যাবে!
আশা করি টিপসগুলো কাজে লাগবে আপনাদের। ভালো থাকুন।
০১। বেশিরভাগ চুল পরিচর্যার পণ্যগুলো চুল ভেজা থাকা অবস্থায় লাগাতে হয়। যেমনঃ জেল, মুজ, কন্ডিশনার ইত্যাদি। কারণ ভেজা চুলে এই পণ্যগুলো ভালোভাবে ছড়িয়ে পড়ে সবখানে। কিন্তু হেয়ার স্প্রের মত পণ্যগুলো ব্যবহার করতে হয় শুকনো চুলে।
০২। যখন দেখবেন তেল এবং ফাউন্ডেশান ক্রিম আলাদা আলাদা হয়ে যাচ্ছে, তখন বুঝে নেবেন যে এই ফাউন্ডেশানটি ফেলে দেয়ার সময় হয়ে এসেছে। ক্রিম ও বেশি তেলযুক্ত ফাউন্ডেশানের সাধারণত ২ বছর পর্যন্ত মেয়াদ থাকে। মেয়াদ বেশিদিন ধরে রাখতে ব্রাশ ব্যবহার করুন হাত দিয়ে ধরার বদলে।
০৩। স্কিন কন্ডিশনার তৈরি করতে ১ টেবিল চামচ মধুর সাথে ২ টেবিল চামচ মিল্ক ক্রিম মেশান। কয়েক মিনিট রেখে ত্বক ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন খুব ভালো কাজে দেয়!
০৪। ত্বকের বলিরেখা কমাতে, রোদে পোড়া ত্বকের যত্নে এবং ত্বকের তৈলাক্ততা কমাতে টমেটোর কোন তুলনাই নেই! তাই আপনার খাদ্যাভ্যাসে নিয়মিত টমেটো রাখার চেষ্টা করুন।
০৫। শক্ত ও উজ্জ্বল নখের জন্য সপ্তাহে একদিন নখের ওপর ১০ মিনিট জলপাইয়ের তেল ও লবণ লাগিয়ে রাখুন।
০৬। মেহেদির রঙ গাঢ় করার জন্য মেহেদি শুকানোর পর হাতে খানিকটা ভিক্স নিয়ে মেখে রাখুন ৫/৬ ঘণ্টার জন্য। ফলাফল নিজের চোখেই দেখে নিন!
০৭। প্রতি ২/৩ মাস পরপর ম্যাস্কারা বদলে নিন। কিন্তু খুব দরকারের সময় ম্যাস্কারা যদি শুকিয়ে থাকে, তাহলে গরম পানিতে ২০ মিনিট ডুবিয়ে রাখুন। ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে আবার!
০৮। চিকন ঠোঁটকে মোটা দেখাতে চাইলে হালকা শেডের একটি লিপ্সটিক লাগিয়ে ওপর ও নিচের ঠোঁটের মাঝখানে একটু গ্লস লাগিয়ে নিন। আলোর প্রতিফলনে ঠোঁটকে মোটা দেখাবে।
০৯। সঠিক ভ্রু শেইপ বোঝার জন্য একটি পেন্সিল নাকের পাশ থেকে চোখের কোণা বরাবর ধরুন। এখান থেকেই ভ্রু শুরু হয়। এরপর পেন্সিলটি নাকের পাশ থেকে চোখের শেষ মাথায় ধরুন। এখানে এসেই ভ্রু শেষ হয়।
১০। ঘরোয়াভাবে ব্রণ প্রতিরোধের জন্য কয়েকটি অ্যাস্পিরিন ট্যাবলেট গুঁড়ো করে পানিতে মিশিয়ে নিন। খুব মিহি একটি মিশ্রণ তৈরি হলে পরে ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখুন সারারাত ধরে। সকাল বেলায় ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। অ্যাস্পিরিনের অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল গুণের কারণে ব্রণ চলে যাবে এবং লালচে ও ফোলা ভাব দূর হবে।
১১। ব্ল্য্যাক হেডস দূর করতে পানির সাথে বেকিং সোডা মিশিয়ে ৫/৭ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফলাফল নিজেই দেখুন।
১২। ঝকঝকে সাদা দাঁত পেতে বেকিং সোডার সাথে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে দাঁত ব্রাশ করে নিন। এবার দন্ত বিকশিত করে হাসুন।
১৩। পার্টি থেকে ফিরে চুলের জট ছাড়াতে পারছেন না? চিরুনি নিয়ে যুদ্ধ করা বন্ধ করুন। চুলে নারিকেল তেল দিয়ে সারা রাত অপেক্ষা করুন। সকালে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে দেখুন আবার কেমন ঝরঝরে হয়ে গেছে আপনার চুল!
১৪। মেকআপ রিমুভার শেষ? অসুবিধে নেই। খানিকটা জলপাইয়ের তেল কিংবা ভ্যাসেলিন নিয়ে মেখে নিন সারামুখে। এবার আলতো তুলো দিয়ে ঘষে তুলে ফেইস ওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মেকআপ তোলা নিয়ে আর কোন দুশ্চিন্তা নেই।
১৫। পছন্দের রঙের লিপস্টিক খুঁজে পেলেন না? তাতে কী হয়েছে? আপনার আই শ্যাডো প্যালেটে নিশ্চয়ই সেই রংটি রয়েছে! খানিকটা সেখান থেকে চামচ দিয়ে তুলে নিয়ে ভ্যাসেলিন মিশিয়ে ঠোঁটে লাগাতে পারেন। কাজ চলে যাবে!
আশা করি টিপসগুলো কাজে লাগবে আপনাদের। ভালো থাকুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন