কনুই এবং হাঁটুতে কালচে দাগ হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে-
(১) কনুই এবং হাঁটুতে মরা চামড়ার আস্তরণ পড়ার ফলে স্থানগুলো কালচে হয়ে যায়।
(২) কনুই এবং হাঁটুতে অতিরিক্ত প্রেসার পড়ার ফলেও কালচে দাগ পড়ে যায়।
(৩) অতিরিক্ত ওজনও এই কালচে দাগের কারণ।
(৪) এছাড়াও ড্রাই স্কিন, জেনেটিক, ইম্প্রপার হাইজিন ইত্যাদি এর কারণ হতে পারে।
প্রথম ধাপ (স্কিন সফটেনিং)
আমরা স্কিনকে পরবর্তী ধাপের জন্য তৈরি করে
নিব। কনুই এবং হাঁটুর এড়িয়া অনেক বেশি ড্রাই হয়ে থাকে। তাই একে সফট এবং
হাইড্রেট করে নেওয়ার জন্য শসা অত্যন্ত ভালো কাজ করে। শসা চাক চাক করে কেটে
নিয়ে কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের উপর ১০-১৫ মিনিট ঘষে নিতে হবে। এরপর ৫
মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
শসা স্কিনকে ময়েশ্চারাইজ করে। এতে
ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা কালচে দাগ হালকা করতে সাহায্য করে।
এছাড়াও এতে ভিটামিন সি, ই এবং এ রয়েছে, যা আমাদের স্কিনকে রেডিয়েন্ট
ইফেক্ট এবং সান প্রোটেকশন দেয়।
দ্বিতীয় ধাপ (এক্সফ্লোয়েটিং)
প্রথম ধাপে শসা দিয়ে স্কিনকে দ্বিতীয়
ধাপের জন্য তৈরি করা হয়ে গিয়েছে। আর এই ধাপে আমরা কনুই এবং হাঁটুতে
এক্সফ্লোয়েটিংয়ের মাধ্যমে স্কিন স্মুদ করার পাশাপাশি তৃতীয় ধাপের জন্য
প্রস্তুত করব।
এই এক্সফ্লোয়েটোর তৈরি করতে বেকিং পাউডার
এবং কাচা দুধ লাগবে। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ বেকিং সোডা এবং ২ টেবিল
চামচ কাচা দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুতে ৫ মিনিট
ম্যাসাজ করুন। ৫ মিনিট পর হালকা গরম পানিতে ধুয়ে ফেলুন।
বেকিং সোডা একটি জেন্টল স্কিন ক্লিঞ্জার
এবং ন্যাচারাল স্ক্রাবার হিসেবে কাজ করে। এটি কনুই এবং হাঁটুর মরা চামড়া
দূর করে এবং জীবাণু নাশ করতে সাহায্য করবে এবং পরবর্তীতে যেই প্যাকটি আমরা
ব্যবহার করব তা ত্বককে শুষে নিতে সাহায্য করবে আর কাচা দুধ আমাদের স্কিনকে
ক্লিন এবং ময়েশ্চারাইজিং করে।
তৃতীয় ধাপ (হোয়াইটেনিং প্যাক)
দ্বিতীয় ধাপের পর এবার প্যাক লাগানোর
পালা। তার আগে তো হোয়াইটেনিং প্যাকটি তৈরি করতে হবে। হোয়াইটেনিং প্যাক তৈরি
করতে লাগছে- পেঁয়াজ, লেবুর রস, মধু এবং বেসন। একটি বাটিতে ২ টেবিল চামচ
পেঁয়াজের পেস্ট, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস, হাফ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল
চামচ বেসন নিয়ে মিক্স করে নিন। এই মিশ্রণটি কনুই এবং হাঁটুর কালচে দাগের
উপর লাগিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। এর পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
পেঁয়াজ স্কিনকে নারিশ করে, স্কিনের
ইম্পিউরিটি দূর করে এবং কালচে দাগ রিমুভ করে। লেবুর রসে ৬% সাইট্রিক এসিড
রয়েছে, যা স্কিন টোন কে লাইট করতে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। মধুতে
ন্যাচারাল ব্লিচিং এজেন্ট রয়েছে, যা স্কিনকে ক্লিয়ার এবং ময়েশ্চারাইজ করে।
বেসনে রয়েছে স্কিন লাইটেনিং এজেন্ট যা স্কিনকে লাইট করে তোলে। এছাড়াও এটি
স্কিনের ডেড স্কিন সেল রিমুভ করে।
সবশেষ ধাপ (ময়েশ্চারাইজিং)
হোয়াইটেনিং প্যাকের পরে আপনার পছন্দমত যে কোনো ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন। এছাড়াও প্রতিদিন ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
এই প্রসেসটি সপ্তাহে ২-৩ দিন করবেন। একটু নিজের জন্যে সময় বের করে ধৈর্য ধরে করে নিলেই হলো।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন