চুল ভাঙার আরেকটি কমন কারণ হল হার্ড ওয়াটার। পানির কারণে অনেকেরই চুল পড়া এবং ভেঙে যাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। কারণ, হার্ড ওয়াটার-এ ক্লোরিন এবং হেভি মেটাল থাকার ফলে তা চুলের কিউটিকল ড্যামেজ করে দেয়। ফলাফল- চুল ভাঙা।
চুলে স্টাইল করতে কে না পছন্দ করে। চুল স্ট্রেইট, কার্ল, পার্ম ইত্যাদি করতে চুলে প্রচুর হিট দেয়া হয়। যা চুলের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর ফলে প্রচুর চুল ভাঙা শুরু হয়। চুলে যতটা সম্ভব হিট কম ব্যবহার করুন। একান্তই যদি প্রয়োজন পরে তবে, অবশ্যই প্রথমে হিট প্রোটেক্টর স্প্রে চুলে লাগিয়ে নিন। এতে করে হিটের ক্ষতি থেকে চুল বেঁচে যাবে।
গোসলের পর সবসময় আলতো করে চেপে চুলের পানি শুষে নেওয়ার চেষ্টা করবেন। টাওয়েলের পরিবর্তে পুরোনো টি শার্ট ব্যবহার করতে পারেন এক্ষেত্রে। আর হেয়ার ড্রায়ার থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকা যায় ততই ভালো।
চুল সব সময় আগার দিক থেকে শুরু করে আস্তে আস্তে আঁচড়ে উপরের দিকে উঠতে হবে। এতে খুব বেশি জটা জমা হবে না এবং চুলও ভাঙবে/ছিঁড়বে কম।
চুল বেঁধে রাখতে আমরা রাবার ব্যান্ড ব্যবহার করে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে একদম রাবারের তৈরি চিকন ব্যান্ডগুলো থেকে চুলকে দূরে রাখলেই ভালো করবেন। কারণ এসব ব্যান্ড চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুব একটা ভালো নয়। তাছাড়া, যখন ব্যান্ড চুল থেকে খুলতে যাবেন, তখন দেখবেন এই ইলাস্টিক ব্যান্ড-এর সাথে অনেকগুলো চুল ছিঁড়ে চলে এসেছে। তাই, কাপড়/ উলের তৈরি ব্যান্ডগুলো ব্যবহার করবেন। এছাড়াও চুল বেশি শক্ত করে বাঁধতে যাবেন না।
আমরা স্কিন এক্সফোলিয়েট করে থাকি যেন স্কিন সুন্দর এবং গ্লোয়িং হয়। চুল ট্রিম করাটাকেও তেমনই বলা যায়। এতে চুল দেখতেও সুন্দর লাগে। কারণ, অনেকেই চুল লম্বা করার শখে চুলের আগা ট্রিম করেন না। যার ফলে পুরোনো চুলগুলো দুর্বল হয়ে গিয়ে আগা ফাটে, চুলে জট সৃষ্টি করে এবং চুল ভাঙে।
ওভার ব্রাশিং এর ফলে চুল ড্যামেজ হয়ে যায় এবং আগা ফাটা বেড়ে যায়। একটা সময়ে চুল ভাঙা শুরু হয়। তাই ওভার ব্রাশিং থেকে দূরে থাকুন। এছাড়াও সবসময় মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করতে চেষ্টা করবেন।
প্রপার ডায়েট, ভিটামিন-এর অভাব, স্ট্রেইস ইত্যাদির কারণেও চুল ভাঙতে পারে।নিয়মিত নারিকেল তেল না দেয়ার কারণে চুলের ময়েশ্চার নষ্ট হয়ে চুল নিষ্প্রাণ হয়ে পড়ে। ফলে চুল ভাঙা ও চুল পড়াও বেড়ে যায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন