নারীদের জন্য দরকারি ৬ টি খাবার-
বীজসমৃদ্ধ খাবার নারীদের খাদ্যতালিকায় থাকা খুবই জরুরি। এসব খাবারে
পুষ্টিগুণ থাকে বেশি, চর্বি থাকে কম এবং প্রয়োজনীয় আমিষের অন্যতম উত্স। এই
গ্রুপের খাদ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক উদ্ভিদ হরমোন যা ক্যানসার প্রতিরোধে
সহায়ক। শিম, বরবটি, মটরশুঁটি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন।
২. পাতাসমৃদ্ধ সবজিঃ-
ফলিক অ্যাসিডে ভরপুর এই জাতীয় সবজি। মহিলাদের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি ভিটামিন হলো বি। গর্ভাবস্থায় এই ভিটামিনের অভাবে হতে পারে শিশুর নিওরাল টিউব ডিফেক্ট। এতে শিশু গর্ভাবস্থায় অথবা জন্ম নেয়ার পর মারা যায়। কেউ কেউ বিকলাঙ্গ হয়ে জন্মায়। বাঁধাকপি, লেটুস পাতা, গাঢ় সবুজ পাতাওয়ালা শাকসবজি খাদ্য তালিকায় রাখুন।
৩. হলুদ রঙের সবজিঃ-
পাকা পেঁপে, আলু, মিষ্টি কুমড়া, গাজর মেয়েদের জন্য সবচেয়ে কাছের বন্ধু! কারণ এসব খাবার নিম্নমাত্রায় ক্যালরিযুক্ত এবং উচ্চমাত্রায় বিটা ক্যারোটিন, ভিটামিন এ এবং প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উপস্থিতি নিশ্চিত করে। এসব উপাদান অকাল বার্ধক্য রোধ করে, কোষ ও টিস্যুর পুনর্গঠন করে। ব্রেস্ট ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে এই গ্রুপের খাবার।
৪. আয়রনসমৃদ্ধ খাবারঃ-
পুরুষের তুলনায় নারীর রক্তে লোহিত রক্ত কণিকা কম থাকে। তাই নারীদের প্রয়োজন অধিক আয়রনসমৃদ্ধ খাদ্য। এক্ষেত্রে চর্বি ছাড়া লাল মাংস আয়রনের একটি বড় উত্স। উদ্ভিজ উত্সের মধ্যে রয়েছে শুকনো এপ্রিকট বা কুল জাতীয় ফল, শিম, সবুজ শাক, কলা, বীজ জাতীয় শস্য, শালগম, ওলকপি, কুমড়ার বিচি ইত্যাদি। রক্ত স্বল্পতা দূরীকরণে এসব খাবার নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে।
৫. ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্যঃ-
সব বয়সী নারীদের হাড় সুদৃঢ় রাখার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম গ্রহণ। ক্যালসিয়ামের সর্বোচ্চ দৈনিক চাহিদা হলো ১২০০ মিলিগ্রাম। ক্যালসিয়ামের অন্যতম একটি উত্স হলো দুধ। তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার রাখুন। ম্যাগনেসিয়াম এমন এক ধরনের উপাদান যা নতুন হাড় তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই বাদাম ও বীজ জাতীয় খাবার খাদ্য তালিকায় রাখা জরুরি। বিশেষ করে গর্ভবতী নারীদের তা বিশেষভাব প্রয়োজন। কারণ এতে গর্ভস্থ শিশুর হাড় গঠন সঠিকভাবে হবে।
৬. মাছঃ-
তেলযুক্ত মাছ বিশেষ করে সামুদ্রিক মাছে রয়েছে
প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ও ভিটামিন ই। যা উচ্চ রক্তচাপ, খারাপ কোলেস্টেরল ও
হৃদরোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে। এছাড়া ডিপ্রেশন, ডায়াবেটিস, বাত ও ক্যানসারের
সম্ভাবনা কমায়। গর্ভস্থ শিশুর মস্তিষ্ক গঠনের জন্য এসব উপাদান খুবই জরুরি।
তাই গর্ভবতী মায়েরা বিষয়টি গুরুত্বের সাথে মনে রাখুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন