রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

শিশুর ত্বক এর যত্ন


সংসারে একজন নতুন অতিথি আসার মত আনন্দ বোধহয় আর কিছুতে নেই! কোন দম্পতির ঘর আলো করে যখন সন্তান আসে, তখন সেই মুহুর্তটিকে মনে হয় বেশ সুখের, তৃপ্তির। শুরু থেকে নতুন অতিথির স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার জন্য প্রয়োজনীয় সবই প্রস্তুতি নিতে থাকেন বাবা মা। শিশুর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ তো বটেই, সেই সাথে শিশুর নাজুক শরীরের সুরক্ষার জন্যও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। সবকিছুর পাশাপাশি শিশুর ত্বকের যত্ন নেওয়া খুবই প্রয়োজন। আমরা আজকে জানাবো কিভাবে ১০টি উপায়ে নিবেন শিশুর ত্বকের যত্ন! তো চলুন দেখে নেই কিভাবে ১০ টি উপায়ে করবেন শিশুর ত্বকের যত্ন ।

শিশুর ত্বকের যত্ন করার উপায়

 . নবজাতক শিশুর ত্বক 

নবজাতকের জন্মের পর অন্য সবকিছুর পাশাপাশি শুরু থেকেই এ ব্যাপারটির উপর বাবা মায়ের গুরুত্ব দেয়া জরুরী সেটি হচ্ছে শিশুর ত্বক। মনে রাখবেন, জন্মের পর নবজাতক শিশুর ত্বক বেশ নাজুক থাকে। সেই সাথে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাও। তাই একদম শুরুতেই হঠাৎ করেই কোন ধরণের ক্রিম, তেল, সুগন্ধী বা কাপড় ব্যবহার করলে তা শিশুর চামড়ায় শুষ্কতা, এমনকি লালচে র‍্যাশের মত সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্যাপারগুলো নিয়ে সন্তান জন্মের আগে থেকে সাবধান হওয়া উচিৎ।

২. ভারনিক্স 

সন্তান জন্মের পর শিশুর জন্য কোমল এবং উষ্ণ আরামদায়ক জায়গার ব্যবস্থা করা। শিশু জন্মের পর তার শরীরের চামড়ায় ভারনিক্স  নামের এক ধরণের তেল জাতীয় পদার্থ থাকে। এই পদার্থ অনেকটা অ্যান্টিবডির  মত কাজ করে। বাইরের ধুলো বালি কিংবা অন্য কিছু যা শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে সব ত্বকের সংস্পর্শে আসতে বাধা দেয়।

৩. শিশুর গোসলের নিয়ম

আমাদের দেশের মায়েদের মধ্যে একটি খুবই সাধারণ ব্যাপার দেখা যায়, সন্তান জন্মের পর তার শিশুকে যত দ্রুত সম্ভব গোসল করিয়ে ফেলতে চান। সত্যি কথা বলতে এই ধরনের কাজ থেকে নিজেকে বিরত রাখা উচিৎ। কারণ গোসল করালে শিশুর ত্বকে প্রাকৃতিক যে তেলের স্তরটি থাকে তা সরে যাবে এবং নাজুক হয়ে পড়বে। একজন নবজাতকের জন্য গোসলের নিয়ম হচ্ছে সপ্তাহে তিনবার। তবে অবশ্যই সেটা পানি ঢেলে গোসল নয়, স্পঞ্জ কিংবা নরম কাপড় হালকা কুসুম গরম পানিতে চুবিয়ে শরীর মুছে ফেললেই হবে। এর বেশি গোসল করালে শিশুর ঠান্ডা লেগে যাবে, সেই সাথে ত্বকের তেলের আস্তর সরে গেলে একজিমার মত ভয়াবহ চামড়ার রোগ হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।

৪. নবজাতক শিশুর পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা

সাধারণত মুখের লালা এবং ডায়াপার ছাড়া নবজাতক শিশু খুব একটা নোংরা হয় না। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার স্পঞ্জ দিয়ে গা মুছে দিলেই যথেষ্ট। আর দিনে একবার ক্লিনজার কিংবা অল্প একটু পানি দিয়ে মুখের ভেতরটা পরিষ্কার করে নিলেই হবে। শিশুর জন্মের পর অন্তত এক বছর এই নিয়ম অনুসরণ করা উচিৎ।

৫. বেবী প্রোডাক্ট ব্যবহার

শিশুর জন্মের পর তাদের শরীরে বিভিন্ন দেশী বিদেশী বেবী প্রোডাক্ট ব্যবহার করে থাকি। সেক্ষেত্রে কিছু বিষয় যেমন…

  • শিশুর জন্মের পর অন্তত প্রথম ৬ মাস বেবী প্রোডাক্ট সাবধানে ব্যবহার করা।
  • আপনার বংশে যদি এলার্জি কিংবা অ্যাজমা এর রেকর্ড থেকে থাকে, তাহলে ব্যবহার না করা। কারণ নামে উপকারী হলেও এইসব বেবী প্রোডাক্ট শিশুর শরীরের প্রাকৃতিক আবরণ নষ্ট করে, যার কারণে শিশুর ত্বকে স্কিন ইনফেকশন  হতে পারে।

৬. শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড়

নিয়মিত শিশুর বিছানাপত্র এবং কাপড় গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এক্ষেত্রে  যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন…

  • সুগন্ধী ডিটারজেন্ট  ব্যবহার থেকে বিরত থাকা।
  • পরিবারের অন্য সদস্যদের জামা কাপড়ের সাথে শিশুর কাপড় না মেলানো।

৭. শিশুর ডায়াপার

 আপনার শিশুর ডায়াপার নিয়মিত চেক করবেন। অধিক সময় ধরে নোংরা ডায়াপার পরা থাকলে শিশুর চামড়ায় র‍্যাশ হতে পারে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর।

৮. বেবী ওয়াইপ

 শিশুর ত্বক মোছার জন্য বাজারের বেবী ওয়াইপ  না ব্যবহার করাই ভালো, কারন বেবী ওয়াইপে থাকা ক্যামিক্যাল শিশুর ত্বকের জন্য ক্ষতিকারক হতে পারে। তাই এর পরিবর্তে পরিষ্কার নরম কাপড় ব্যবহার করুন।

৯. পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার

শিশুর স্পর্শকাতর অঙ্গগুলোতে পেট্রোলিয়াম জেলী ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া যদি বেবী ট্যালকম পাউডার ব্যবহার করেন, তবে লক্ষ্য রাখবেন পাউডার যাতে শিশুর মুখের দিকে না যায়। এতে শিশুর শ্বাসের সমস্যা হতে পারে।

১০. শিশুর ত্বক ম্যাসাজের নিয়ম

শিশুর ত্বক কে আরো স্বাস্থ্যকর কর তুলতে ম্যাসাজ করতে পারেন। তবে সেটা অবশ্যই জন্মের অন্তত দশ সপ্তাহ পর থেকে। রিসার্চে দেখা গেছে শিশুকে কিভাবে স্পর্শ করা হচ্ছে, তার উপর শিশুর সুস্থতা ও বৃদ্ধি খানিকটা নির্ভর করে। শিশুর শরীর ম্যাসাজের জন্য স্পেশাল কোন টেকনিক নেই। একটি উষ্ণ রুমে শিশুকে ভাঁজ করা কম্বলের উপর উপুড় করে শোয়ান। এরপর স্বাস্থ্যকর ও নিরাপদ বেবী লোশন কিংবা বেবী অয়েল হাতে মেখে নিয়ে আলতো করে শিশুর শরীরে বুলান। মনে রাখবেন, শিশুর শরীরে যাতে চাপ না লাগে। এতে শিশু ব্যাথা লাগতে পারে। সাবধানে আলতো ভাবে সারা শরীরে ম্যাসাজ করুন। এতে শিশুর চামড়া নরম এবং স্বাস্থ্যকর হবে।

সুস্থ ও হাসিখুশি একজন নতুন অতিথি কে না চায়? তাই আপনার নবজাতকের ভবিষ্যৎ সুন্দর জীবনের নিশ্চয়তার লক্ষ্যে জন্ম থেকেই তার যত্ন নেওয়া জরুরী।

রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪

শীতকালে চুলের যত্ন



চুলের যত্নে -
  • বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকার কারণে শীতে চুল হয়ে উঠে রুক্ষ এবং খুশকির উপদ্রব হয়। খুশকির জন্য ভালো শ্যাম্পু ব্যবহার করবেন।
  • চুল সাধারণত দু’রকম, তৈলাক্ত ও শুষ্ক। তৈলাক্ত চুলের ক্ষেত্রে স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখা জরুরি। একদিন অন্তর অন্তর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুলে ভালো। আর শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রে হটওয়েল থেরাপি ভালো কাজ করে। সামান্য গরম অলিভ অয়েল চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করে তারপর গরম পানিতে তোয়ালে ভিজিয়ে মাথায় জড়িয়ে রাখতে হবে। এরপর চুলের উপযোগী শ্যাম্পু ব্যবহার করে চুল ধুয়ে ফেলবেন।
  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে পারলে বজ্রাসনে বসে চুল আঁচড়াবেন। এতে চুল পড়া বন্ধ হবে এবং আপনি মানসিক চাপমুক্ত হয়ে ঘুমাতেও পারবেন।
  • শীত কালে অনেকেরই চুল রুক্ষ হয়ে যায় এং আগা ফেটে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে শীতের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুলে নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল গরম করে ম্যাসাজ করেন নিন। চুলের আগায় ও গোড়ায় ভালো করে হালকা গরম তেল ম্যাসাজ করে ঘুমিয়ে যান। সারা রাত চুলে তেলের উপস্থিতিতে চুলের রুক্ষ ভাব কেটে যাবে এবং চুল হয়ে উঠবে ঝলমলে উজ্জ্বল।
  • ভিটামিন-ই চুলের জন্য অনেক ভালো। ২ দিন পর পর যেকোন তেলের সাথে ভিটামিন-ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে এর তেলটি মিশিয়ে মাথায় ভালো ভাবে লাগিয়ে ২-৩ ঘণ্টা রাখুন। সারারাত রাখলে ভালো হয়। সকালে ধুয়ে ফেলুন। তবে বেশি গরম পানি দিয়ে কখনো চুল ধুবেন না।
শীতকালে ত্বকের ও চুলের যত্নে কিন্তু আপনাকে খাওয়া-দাওয়ার ব্যাপারেও মনোযোগী হতে হবে। শীতের শাকসবজি ও ফল সুন্দর স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বক ও চুলের জন্য প্রয়োজন। শিম, বরবটি, নানারকম শাক, মটরশুঁটি, ফুলকপি ইত্যাদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখুন। হাতের নাগালের সব ফলই প্রতিদিন খাবেন। যেমন-আপেল, আমলকী কিংবা আমড়া সে যা-ই হোক না কেন।
শীতে এইসহজ কিছু পদ্ধতিগুলো অনুসরন করলেই ত্বক এবং চুল উজ্জ্বল, মসৃন রাখা যায়।

বুধবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিয়ের মেহেদি টিপস

কণের মনটা থাকবে ভাঙ্গা
না যদি হয় হাত মেহেদি-রাঙা

কণের প্রেম কি বিয়ের শাড়ি? নাকী গহনা? দিব্যি দিয়ে বলছি- শড়ি বা গহনার চেয়েও একজন কণের মানে বেশি স্রোত জাগায় বেলি ফুলের মালা! সুবাসিত বিয়ের সাজের সাথে রঙিন হাত না হলে কণের মন ভাংবেই। সেই অঘটন ঘটানোর কি বা দরকার! মেহেদি দেওয়ার জন্য আগে যেমন বোন ভাই ভরসা ছিল – এখন তো সেই গণ্ডি ভেঙেছে বহু আগে! সাজ সজ্জার কেন্দ্রগুলোতে মেহেদির পসরা সাজানো হয়েছে বহু আগে থেকেই। ঘরে এসেও মেহেদি দিয়ে হাত রাঙিয়ে যায় প্রশেনাল মেহেদিবাজরা। তাদের কথা না হয় একটু পরেই শোনা যাক! আপাতত আমার সাথে একটু নাহয় উকিঝুকি মারা হোক যেমন চাওয়ার তেমন মেহেদি সাজে!

হাতে সূয্যিমামা:

 যতই নতুন ট্রেন্ড আসুক কিম্বা না আসুক! আঙুরের মাথায় গাঢ় লাল আর তালুতে গোল একটা সূয্যিমামা. বাংলার চিরায়ত মেহেদি সাজ চলে এসেছে আবার ঘুরে ফিরে হাতে হাতে। অনেকেই বাসার ছোটভাইবোনদের কাজে লাগিয়ে সিম্পল সাজে নিজের কণে সাজকে করছেন সম্পূর্ণ! আর এইভাবে সাজাতে খুব বেশি ভাবনার কিছু নেই। কিছু কিচু আনন্দ না হয় ঘরের মানুষরাই শুধু ভাগ করে নিক।

হাতের আঁজলায় ফুলের ডালা

ইদানিং বেশ ট্রেন্ড চলছে শাপলা ফুলের! শাড়িতে শাপলা, কপালে শাপলা এমনকি গহনাতেও! মেহেদীর সাজেও যদি শাপলা আসে তবে মন্দ কী! হাতের পিঠে ফোটা শাপলার শুদ্ধতায় মন ভালো হবে । আর হ্যা ছবিও কিন্তু ভালো আসবে। এছাড়াও নানা রকমের ফুল তো প্রিয় মোটিফ মেহেদির সাজের জন্য। চার পাপড়ির ফুল বা গোলাপ বা যেকোনও কলি- মেহেদির সুবাসে ফুলের সাজ- মন্দ হয় না একদমই।

রিকশার মোটিফ:

এই মজার এক্সপেরিমেন্টটা কিন্তু করাই যায়। রিকশার পেছনে থাকা হংশমিথুন হাতের পিঠে চলে আসতেই পারে। আসতে পারে দস্যি কণের হাতে ”পালাবি কোথায়”। আসলে রিকশা পেইন্টে এতো এতো মোটিফ আছে সবগুলোর যেকোনও দুই তিনটিও যদি ফোটানো যায় তাহলে তো কথাই নেই। চাঁদ-তারা, ফুল, পাখি – কতকিছু যে আসতে পারে। আর তার সাথে মিলিয় ধরুন আপনার হলুদের সেটটা হলো রিকশার আসন! বাড়ির সজ্জায় থাকলো রিকশা মোটিফ! পুরো হলুদ কিন্তু একবারেই জমে যাবে!

 


রবিবার, ৪ আগস্ট, ২০২৪

ঘরে বসেই করুন গোল্ড ফেসিয়াল

ত্বকের পুরনো লাবণ্য, উজ্জ্ব্বলতা ফিরিয়ে আনতে গোল্ড ফেসিয়ালের জুড়ি নেই। ত্বকে লুকিয়ে থাকা ধূলো ময়লা, বিষাক্ত পদার্থ বের করে আনার ক্ষমতা সোনার অসীম। নতুন কোষ জন্মানোর জন্য সোনার অবদান অনেক। ৩৫ এর উপরে বয়স হলে এই ফেসিয়াল করলে যৌবনের সেই নরম তুলতুলে ত্বক ফিরে । এবার জেনে নিন কিভাবে ঘরে বসেই করবেন এই ফেসিয়াল।

একটি গোল্ড ফেসিয়াল কিটে থাকে গোল্ড ক্লিনজার, গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব, গোল্ড ফেসিয়াল ক্রিম বা জেল, গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক।

– প্রথমে গাঁদা ফুলের নির্যাস থেকে তৈরি গোল্ড ক্লিনজার দিয়ে মুখ ক্লিন করুন তারপর গোল্ড ফেসিয়াল স্ক্রাব দিয়ে মুখের সব মরা কোষ দূর করুন। ৩০ সেকেন্ড ধরে সার্কুলার মুভমেন্টে স্ক্রাব করুন। তারপর উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

-এবার গোল্ড ক্রিম দিয়ে মুখ ম্যাসাজের পালা। এতে আছে গোল্ড ফয়েল, গোল্ড পাউডার, মধু, স্যাফ্রন, এলোভেরা আর চন্দন। যা আপনার ত্বকে বুলিয়ে দেবে কোমল পরশের ছোঁয়া। হালকা হাতে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

-এবার ধীরে ধীরে গোল্ড ফেসিয়াল মাস্ক পুরো মুখে লাগিয়ে নিন। আর অপেক্ষা করুন মাস্ক শুকানো পর্যন্ত। তারপর ভেজা কটন প্যাড দিয়ে মাস্ক তুলে ফেলুন। মাস্কে বিদ্যমান হলুদ, গোল্ড ফয়েল, আর এলোভেরা আপনার ত্বকে এনে দেবে সোনালি আভা। এই ফেসিয়াল করার পর ৩০% পর্যন্ত পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪

জাফরানের ফেসপ্যাক ব্যবহার করবেন কেন?


ভিটামিন এ, বি, সি, জিঙ্ক, পটাসিয়াম ও সোডিয়ামের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান পাওয়া যায় জাফরান থেকে। খাবারে চমৎকার ফ্লেভার যোগ করা জাফরান ত্বকের যত্নেও তাই অনন্য। প্রাচীনকাল থেকে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে জাফরান। জাফরানের ফেসপ্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বিবর্ণ ভাব দূর হয়ে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা। ত্বকের কালচে দাগ ও রোদে পোড়া দাগও দূর করতে পারে এটি। জেনে নিন জাফরানের কয়েকটি ফেসপ্যাক সম্পর্কে।

চন্দন, দুধ ও জাফরান
আধা কাপ ঘন দুধের মধ্যে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। এবার ১ টেবিল চামচ চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে নিন জাফরানমিশ্রিত দুধে। পেস্ট তৈরি হলে মুখ ও গলার ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধা ঘণ্টা পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।

জাফরান, লেবু ও দুধ
৫ টেবিল চামচ কুসুম গরম দুধের সঙ্গে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। দুধ ফেটে গেলে এক চিমটি জাফরান মিশিয়ে নেড়ে নিন। ফেসপ্যাকটি গরম থাকতে থাকতে ত্বকে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে ত্বকের রোদে পড়া ভাব কমে যাবে।

গোলাপজল ও জাফরান
প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন গোলাপজল ও জাফরানের মিশ্রণ। টোনার ত্বকের মরা চামড়া ও অতিরিক্ত তেলতেলে ভাব দূর করতে পারে। ২ টেবিল চামচ গোলাপজলে দুই চিমটি জাফরান ভিজিয়ে রাখুন ১ ঘণ্টা। তুলা ডুবিয়ে চেপে চেপে মুছে নিন ত্বক। চাইলে এই টোনার ফ্রিজে রেখেও ব্যবহার করতে পারবেন।

জাফরান ও পুদিনা পাতা
ব্রণ দূর করতে এই ফেসপ্যাকের জুড়ি নেই। ১ টেবিল চামচ গোলাপজলে আধা চা চামচের কম জাফরান ভিজিয়ে রাখুন। মুঠোভর্তি পুদিনা পাতা বেটে জাফরানের মিশ্রণ মেশান। ত্বকে আধা ঘণ্টা লাগিয়ে রাখুন এই পেস্ট। নিয়মিত ব্যবহারে দূর হবে ব্রণ।

মধু ও জাফরান
১ টেবিল চামচ মধুর সঙ্গে দুই চিমটি জাফরান মেশান। ১০ মিনিট পর ত্বকে ম্যাসাজ করুন মিশ্রণটি। চক্রাকারে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করার পর অপেক্ষা করুন ১৫ মিনিট। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ত্বক। এটি ত্বকের রুক্ষতা দূর করবে।

বৃহস্পতিবার, ১ আগস্ট, ২০২৪

ফাউন্ডেশন ব্যবহারে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস

ফাউন্ডেশন স্কিনে দিলে তা ফেটে ফেটে যায় কিছুক্ষন পর। এজন্য, আপনাকে ফাউন্ডেশন ব্যবহারের আগে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে নিতে হবে। তবে আর এই সমস্যাটি হবে না। অনেককেই দেখি ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমার ব্যবহারের সাথে সাথেই ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নেয়। এটা করা যাবে না।অবশ্যাই ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমারটা স্কিনে সেট হতে সময় দিতে হবে। এজন্য ময়েশ্চারাইজার এবং প্রাইমারের ৫-১০ মিনিট সময় পর ফাউন্ডেশন লাগাবেন।
  • ফাউন্ডেশন লাগিয়ে অনেকেই হাত দিয়ে ব্লেন্ড করে ফেলে। যার ফলে ফাউন্ডেশন স্কিনে ভালোভাবে বসে না এবং ভেসে ভেসে থাকে। এটি কখনো করবেন না। সবসময় ফাউন্ডেশন ভেজা বিউটি স্পঞ্জ অথবা ব্রাশের সাহায্যে ব্লেন্ড করবেন। সময় নিয়ে ব্লেন্ড করবেন। যতো ব্লেন্ড করবেন ফাউন্ডেশন  ততো সুন্দর স্কিনে বসবে।
  •  
  • সবসময় ফাউন্ডেশন আগে এবং এর পরে কনসিলার ব্যবহার করবেন। কনসিলার যদি ফাউন্ডেশন এর আগে ব্যবহার করেন, তবে ফাউন্ডেশন পুরো মুখে ব্লেন্ড করার সময় কনসিলার সরে যেতে পারে। তাই আগে ফাউন্ডেশন লাগাবেন। যেহেতু ফাউন্ডেশন মুখের দাগ – ছোপ অনেকটাই কভার করে নেয়, তাই ফাউন্ডেশনের পর শুধু যেখানে যেখানে আপনার দাগ দেখা যায় সেখানে সেখানেই কনসিলার ব্যবহার করুন।
  •  
  • অনেককেই দেখা যায়, মেকাপ করার পর মুখ এক রকম গলার এড়িয়া দেখতে অন্যরকম লাগে। এর কারন, গলায় ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করা। যা দেখতে খুবই অদ্ভুত এবং বাজে লাগে। তাই ফাউন্ডেশন লাগানোর সময়টাতে গলায়ও ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিবেন।
  •  
  • অনেকে ভাবেন, মুখে একগাদা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলেই যেন সুন্দর লাগবে। এই ধারনা মন থেকে চিরদিনের মতো বিদায় করে দিন। একগাদা ফাউন্ডেশন ব্যবহারে আপনার মুখ শুধু আনন্যাচারালই না কেকিও লাগবে। তাই মুখে যতটুকু ফাউন্ডেশন প্রয়োজন, ঠিক ততটুকুই ব্যবহার করবেন।
  •  
  • ফাউন্ডেশন ব্যবহারের পর তা পাউডার দিয়ে সেট করে নিবেন। কিন্তু কখনোই পাউডার ঘষে ঘষে ব্যবহার করবেন না। তাহলে, নিচের ফাউন্ডেশন সরে যেতে পারে। পাউডার সবসময় ব্রাশে নিয়ে হালকা চেপে চেপে ব্যবহার করবেন।
  •  
  • দিনশেষে অবশ্যই ফাউন্ডেশন এবং মেকাপ রিমুভ করতে ভুলবেন না। আপনি নিশ্চয়ই পরদিন সকালে মুখ ভর্তি ব্রণ নিয়ে উঠতে চান না। তাই ফাউন্ডেশন তুলতে ভালো মানের মেকাপ রিমুভার ব্যবহার করুন।

বুধবার, ৩১ জুলাই, ২০২৪

কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায়

ঠোঁট সৌন্দর্য্যের একটি অন্যতম অংশ। আপনাদের জন্য কোমল গোলাপি ঠোঁট পাবার ১১টি উপায় নিম্নে দেওয়া হলোঃ-

সুন্দর গোলাপি ঠোঁট পেতে যা করবেন_
১. একটি পাতলা লেবুর টুকরোর ওপরে খানিকটা চিনি ছিটিয়ে প্রতিদিন ঠোঁটে ঘষুন। চিনি ঠোঁটের মরা চামড়াগুলোকে পরিষ্কার করতে এবং লেবু সূর্যের ফলে কালো হয়ে যাওয়া ঠোঁটের চামড়াকে উজ্জবল করতে সাহায্য করে।
২. মধুর সাথে চিনি এবং কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে ১০ মিনিট ঠোঁটে ঘষুন।
৩. ঠোঁটকে উজ্জ্বল করতে ল্যাক্টিক এ্যাসিড খুব উপকারী। নিয়মিত দুধ খাবার সাথে সাথে খানিকটা দুধ তুলোয় করে ঠোঁটে ঘষে নিন। শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলার মাধ্যমে দুধ ঠোঁটের কালো হওয়াকেও প্রতিরোধ করে।
৪. গোলাপের পাপড়িও ঠোঁটের গোলাপী ভাব আনতে সাহায্য করে। এজন্য গোলাপের পাপড়ি দুধের মধ্যে রেখে তাতে মধু ও গ্লিসারিন মিশিয়ে নিন। প্রলেপটি ১৫ মিনিট ঠোঁটে মাখুন। এরপর দুধ দিয়ে ঠোঁটকে মুছে নিন। প্রতিদিন এই প্রলেপটির ব্যবহার আপনার ঠোঁটকে করে তুলবে আকর্ষনীয়।
৫. লেবুর ভেতরের এসিড ঠোঁটের শুষ্ক চামড়াকে তুলে ফেলতে সাহায্য করে। তবে লেবুর রসের সাথে খানিকটা চিনি ও মধু মিশিয়ে ঘরে বসেই নিতে পারেন ঠোঁটের পুরোপুরি যত্ন। প্রলেপটি মাখার একঘন্টা পর ধুয়ে নিন।
৬. লেবুর রসের সাথে খানিকটা গ্লিসারিন মিশিয়ে ঠোঁটে মাখুন। কয়েকদিনেই আপনি পাবেন চমত্কার ফলাফল।
৭. বাদামের তেল, মধু ও চিনির মিশ্রন করুন। প্যাকটি আপনার ঠোঁটকে কেবল সুন্দরই করবে না, কোমলতাও বাড়াবে।
৮. ঘুমানোর আগে ঠোঁটে পালং পাতা ঘষে নিন। সাথে রাখতে পারেন জাফরানও। এই দুটি সহজলভ্য উপাদানের নিয়মিত ব্যবহার আপনার শুষ্ক ঠোঁটকে সারিয়ে তুলবে এক নিমিষেই।
৯. কমলালেবু খাবার সময় এর বীচিগুলোকে সংরক্ষণ করুন এবং নিয়মিত ঠোঁটকে এগুলোর দ্বারা পরিষ্কার করুন।
১০. প্রতিদিন টমেটো পেষ্ট করে ঠোঁটে মাখুন। আপনার ঠোঁট হবে উজ্জ্বল।
১১. শশার রসও ঠোঁটের কালো হওয়কে প্রতিরোধ করে। ফলাফল পেতে প্রতিদিন অন্তত ৫ মিনিট শসার রস ঠোঁটে ঘষুন।

মনে রাখবেন-
১. ধুমপান ঠোঁটের জন্যে ক্ষতিকর। তাই ধুমপান থেকে বিরত থাকুন।
২. রাতে ঘুমাতে যাবার আগে লিপস্টিক তুলে ফেলতে ভুলবেননা।
৩. জিহ্বা দিয়ে অবিরত ঠোঁট ভেজানো বন্ধ করুন। এতে সাময়িক আরাম মিললেও আসলে ঠোঁটের সৌন্দর্য হানি হয়। বদলে ব্যবহার করুন লিপজেল।
৪. ফাস্টফুডের পরিবর্তে শাক-সব্জী খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান।
৫. চা এবং কফির পরিবর্তে পানি খাবার পরিমাণ বাড়ান। প্রচুর পরিমাণে পানি আপনার ঠোঁটকে রাখতে পারে সুস্থ ও স্বাভাবিক সৌন্দর্যময়।

মঙ্গলবার, ৩০ জুলাই, ২০২৪

প্রাকৃতিকভাবে চুল সোজা করার উপায়

যা যা লাগবে

(১) ২ কাপ কোড়ানো নারিকেল
(২) ৬ টেবিল চামচ ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল (অ্যালোভেরার পাতা ভেঙে শ্বাসটা বের করে নিবেন)
(৩) ৬০ এম.এল. পানি
(৪)  ২ টেবিল চামচ লেবুর রস
(৫) ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার
(৬) ১ টেবিল চামচ এক্সট্রা ভার্জিন ক্যাস্টর অয়েল

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

ব্লেন্ডারে ২ কাপ কোড়ানো নারিকেল, ৬ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল এবং ৬০ এম.এল. পানি দিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন। বেশ ঘন একটা ক্রিমি স্ট্রাকচারের পেস্ট তৈরি হবে। একটি পাতলা কাপড়ে পেস্টটা নিয়ে কাপড়টা বেঁধে একটি পাত্রের উপর রেখে নিংড়ে নিন। নারিকেলের দুধ পেয়ে যাবেন।

আরেকটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ কর্ণফ্লাওয়ার, ২ টেবিল চামচ লেবুর রস আর ১ টেবিল চামচ ক্যাস্টর অয়েল ভালো করে মিক্স করে নিন।এবার চুলায় একটি ননস্টিক প্যান/হাড়ি দিয়ে চুলার আঁচ একদম কমিয়ে তাতে নারিকেলের দুধ আর পরে বানানো কর্ণফ্লাওয়ার, লেবুর রস আর ক্যাস্টর অয়েলের মিশ্রণটি ঢেলে নিয়ে দ্রুত হাতে নাড়তে থাকুন। বেশ ক্রিমি পেস্টের মতো হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে মিশ্রণটি আধা ঘণ্টা ঠাণ্ডা হবার জন্য রেখে দিন।

এবার পুরো মাথার চুলকে কয়েক ভাগে ভাগ করে আস্তে আস্তে পুরো মাথায় মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। চুলের গোঁড়া এবং আগা পর্যন্ত সব জায়গাতেই আস্তে আস্তে লাগিয়ে নিন। এবার এক-দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। (মিশ্রণটি যত দীর্ঘ সময় রাখতে পারবেন ফল তত ভালো পাবেন।) এ সময় গায়ে একটি টাওয়েল বা পুরানো টিশার্ট দিয়ে রাখুন, চুল বাঁধবেন না, চিরুনি দিয়ে সোজা অবস্থায় আঁচড়ে নিন এবং ঐ অবস্থায়ই রাখুন।

এবার আপনার রেগুলার ব্যবহারের শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে নিন। ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে আঁচড়ে নিন।

এবার দেখুন তো, আপনার কোঁকড়া /ঢেউ খেলানো অবাধ্য চুল গুলো কতটা সুন্দর, সফট, মসৃণ, প্রাণবন্ত আর ন্যাচারালি সোজা দেখাচ্ছে। এই প্যাকটি মাথার স্ক্যাল্পে লাগানোর কারণে এটি আপনার চুলকে গোঁড়া থেকেও পুষ্টি জোগায় এবং সেই সাথে সোজা করে চুলের কোনরকম ক্ষতি করা ছাড়াই।
ভালো ফলাফল পেতে প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন। এটি আপনার ডীপ কন্ডিশনিং এর কাজ ও করবে।

কিডনি পরিষ্কার রাখতে আদা-লেবুর পানীয়

অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ কিডনি শরীরের ছাঁকন যন্ত্র হিসেবে কাজ করে। শরীরের বিষাক্ত পদার্থগুলো কখনো কখনো কিডনির কাজকে ব্যাহত করে। তাই কিডনি পরিষ্কার রাখা দরকার। কিডনির মধ্যে বিষাক্ত পদার্থ জমা হলে সংক্রমণ হয়। কিডনি রোগের কিছু লক্ষণ হলো বমিবমি ভাব, হজমে অসুবিধা ইত্যাদি।

উপাদান--- সতেজ আদার শেকড়
দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস
এক গ্লাস বিশুদ্ধ পানি

প্রণালী

সবগুলো উপাদানকে একত্রে নিয়ে ব্লেন্ড করুন। এরপর পানিটিকে ছাঁকুন। পরে পানীয়টি পান করুন।খালি পেটে পানীয়টি পান করুন। তবে আগে অল্প একটু পান করে দেখুন যে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না। আর শরীরে যদি জটিল কোনো রোগ থাকে তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই খাওয়া ভালো।


দুই থেকে তিন টুকরো আপেল
দুই থেকে তিন টেবিল চামচ লেবুর রস

সোমবার, ২৯ জুলাই, ২০২৪

ওজন কমাতে দারুণ সুস্বাদু সালাদ

 
উপকরণ
✿ – কাঁচা পেঁপে দেড় কাপ ( চিকন ঝুরি ঝুরি হবে)
✿ – চেরি টমেটো ৮-১০ টি (দুই ফালি করে কেটে নিন। এটা না পেলে রেগুলার টমেটো ব্যবহার করুন)
✿ – গাজর ১/৪ কাপ (ছবি দেখে কেটে নিন)
✿ – বর বটি ২ টি লম্বা পিস করা
✿ – বাদাম
✿ – ফিস সস ২ টেবিল চামচ
✿ – লেবু ২ টি
✿ ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ (যারা ডায়েট করবেন তাঁরা যতটা সম্ভব কম দিন কিংবা দেবেন না)
✿ – লাল কাঁচা মরিচ ৩-৪ টি [ স্বাদ মত কম বেশি হতে পারে ]
✿ – রশুন ৩-৪ কোয়া
প্রণালি
► প্রথমে একটি হামান দিস্তা নিয়ে রশুন আর কাঁচা মরিচকে হাল্কা করে ছেঁচে নিন।
► এর পর ফিশ সস , লেবু রস , চিনি , টমেটো , বর বটি ছেড়ে দিন। হাল্কা ভাবে আবারো ছেঁচে নিন । খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ছেঁচা না হয় ।
► এর পর পেঁপে এবং গাজর দিয়ে আবারো ছেঁচে নিন। ভালভাবে সব কিছু মিক্স করে নিন ।
► প্লেটে পরিবেশন করুন। উপর দিয়ে বাদাম ছড়িয়ে দিন।

কেন কমবে ওজন?
ভাত বা রুটির তুলনায় এই সালাদে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। যদি চিনিটা বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো কথাই নেই। ডায়েট খাবার যেমন বিস্বাদ হয় খেতে, এটি মোটেও তেমন নয়। তাই আপনার একঘেয়েমিও লাগবে না। সবজি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা, ফলে অটুট থাকছে পুষ্টি গুণ। আছে ফাইবার, ফলে পেট ভরা ভাবটাও থাকবে অনেকক্ষণ। কাঁচা পেঁপে, রসুন ইত্যাদি মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক।

শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

পেয়ারা ও পেয়ারা পাতার স্বাস্থ্য উপকারিতা

১)মুখ গহ্বরের স্বাস্থ্য পরিচর্যায়–
দাঁতে প্লাক জমা মুখের ভেতরের একটি বড় সমস্যা। পেয়ারা পাতা এন্টিপ্লাক বিশিষ্টের জন্য খুব কার্যকর। ভেষজবিদরা মুখ গহ্বরের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার জন্য কচি পেয়ারা পাতার পেস্ট ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। এই পাতার প্রদাহনাশক, বেদনাশক এবং জীবানুনাশক গুনাগুনের জন্য এটা মাড়ির প্রদাহ, মাড়ির ফোলা, মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে, দাঁতের ব্যাথা, মুখের ঘা সারাতে বেশ কার্যকর। পেয়ারা গাছের ডাল দাঁতের মাজন হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। প্রতিদিন ১/২ টি পেয়ারা পাতা মুখে নিয়ে চিবালে ভালো ফল পাবেন। পেয়ারা পাতা দিয়ে তৈরি করতে পারেন মাউথওয়াশ, ৫/৬টি পেয়ারা পাতা পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করে সেই পানি দিয়ে দিনে ১/২ বার কুলি করতে পারেন।

২)হৃদ স্বাস্থ্যের উন্নতিকরনে-
১৯৯৩ সালে “Journal of Human Hypertension” এ প্রকাশিত হয় যে নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্ত চাপ ও রক্তের লিপিড কমে কারন পেয়ারাতে উচ্চ পটাশিয়াম, ভিটামিন সি এবং দ্রবনীয় আঁশ থাকে। পটাশিয়াম নিয়মিত হৃদস্পন্দনের এবং উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। নিয়মিত ভাবে লাইকোপিন সমৃদ্ধ গোলাপি পেয়ারা খেলে কার্ডিওভাস্কুলার রোগের ঝুঁকি কমায়। পেয়ারা পাতা ভালো করে শুকিয়ে চা বানিয়ে খেলে সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল,খারাপ কোলেস্টেরল(LDL)এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা কমায়।

৩)ডায়রিয়ার চিকিৎসায়-
পেয়ারা পাতার চা ব্যাকটেরিয়ার কারনে সংঘটিত ডায়রিয়া প্রতিরোধ করে। কারণ এটার রস “Stephylococcus Aureus” নামক ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। তাই ডায়রিয়া হলে দিনে কয়েকবার এই চা খেলে পায়খানার পরিমাণ, পানির মতো ভাব, পেট ব্যাথা কমিয়ে দ্রুত সুস্থ করে তুলবে। পেয়ারার এন্টি ব্যাকটেরিয়াল গুনাগুনের জন্য হজম ক্রিয়া ভালো হয়, এটা ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণুর বৃদ্ধিতে বাধা দেয় এবং এর আঁশ হজম ও নিঃসরণকে উন্নত করে।

৪)ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে-
অনেকবছর ধরে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় চীনা ঔষধে পেয়ারা ব্যবহৃত হয়ে আসছে।১৯৮৩ সালে “The American journal of Chinese medicine”এ প্রকাশিত হয় যে পেয়ারার রসের হাইপোগ্লাইসেমিক গুনের প্রভাব ডায়াবেটিস মেলাইটাসের চিকিৎসায় খুবই কার্যকর। উচ্চআঁশ ও নিম্নগ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পেয়ারা রক্তের সুগারের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া যারা ডায়াবেটিসের উচ্চমাত্রার ঝুঁকিতে রয়েছে পেয়ারা পাতার চা ও খেতে পারেন। কচি পেয়ারা পাতা শুকিয়ে মিহি গুঁড়ো করে ১ কাপ গরম পানিতে ১ চা চামচ দিয়ে ৫ মিনিট ঢেকে রেখে তারপর ছেঁকে নিয়ে পান করতে পারেন প্রতিদিন।

৫)দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে-
উচ্চ মাত্রার ভিটামিন সি সমৃদ্ধ পেয়ারা দেহকে ঠাণ্ডা, সর্দি, কাশিসহ অসংখ্য রোগ সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে দেহের প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন ১টি পেয়ারা বা এর তৈরি সালাদ, স্মোদি বা পেয়ারা পাতার চা বানিয়ে খেতে পারেন।

৬)ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়-
পেয়ারাতে থাকা বেশ কিছু যৌগিক পদার্থ যেমন লাইকোপিন, ভিটামিন সি এবং বেশ কিছু পলিফেনল থাকাতে এর রয়েছে ক্যান্সার ও টিউমার বিরোধী গুনাগুন। এগুলো শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে যা মুক্ত র‍্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে দেহকে রক্ষা করে। ২০১০ সালে প্রকাশিত “Nutrition & Cancer” জার্নালে গবেষক বলেন যে পেয়ারার রস প্রোস্টেট টিউমারের আকার ছোট করে এবং প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।এছাড়া নিয়মিতভাবে পেয়ারা খেলে বিভিন্ন ক্যান্সার ধরনের যেমন স্তন, মুখের, ত্বকের, পাকস্থলীর, অন্ত্রের এবং ফুসফুসের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।

৭)দৃষ্টিশক্তি উন্নত করে-
পেয়ারাতে থাকা উচ্চ মাত্রার ভিটামিন এ দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে, কর্নিয়াকে সুস্থ, স্বচ্ছ রাখতে ও চোখের কোষকে সুরক্ষিত রাখতে এবং রাতকানা রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে। এছাড়া এর ভিটামিন সি কৌশিক নালীকে উন্নত করে রেটিনাল কোষের সঠিক কার্যক্রমে সাহায্য করে। তাই খাবারের মাঝে কাঁচা পেয়ারা বা এর জুস রাখলে তা দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো।

৮)জ্ঞানশক্তিকে উদ্দীপিত করতে-
পেয়ারার দ্বারা মস্তিস্কের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গকে সুস্থ রাখা সম্ভব। এই সেরা খাবারটি জ্ঞানশক্তিকে উদ্দীপিত করার সাথে সাথে মনোযোগকে তীক্ষ্ণ করে। শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সি থাকার কারনে এই ফলটি মানসিক ও মস্তিস্কের কার্যক্রমকে উন্নত করে। এছাড়া এতে থাকা ভিটামিন বি৩ ও বি৬ মস্তিস্কের রক্ত চলাচলকে উন্নত করতে সাহায্য করে।পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম মস্তিস্কের তড়িৎ পরিবহনে সাহায্য করে যা চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে বাড়ানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।তাই প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এই ফলটি রাখতে ভুলবেন না।

৯)সুস্থ ত্বকের জন্য-
বিশেষ করে গোলাপি পেয়ারাতে রয়েছে শক্তিশালী এন্টিঅক্সিডেন্ট যা কোষকে নষ্ট করার জন্য দায়ী ফ্রী র‍্যাডিকেলকে নিরপেক্ষ করে। ফ্রী র‍্যাডিকেলের জন্য সাধারণত ত্বকে বয়সের চিহ্ন যেমন শুষ্ক, রুক্ষ, ভাঁজ ও অনুজ্জ্বলতার ছাপ পড়ে। ত্বকের নমনীয়তা ও ইলাস্ট্রিসিটি রক্ষা করে পেয়ারাতে থাকা ভিটামিন সি। এছাড়া পেয়ারা ও এর পাতার সংকোচন বৈশিষ্টের কারনে এটা আমাদের ত্বককে উন্নত করতে, সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মির থেকে এবং ত্বকের সমস্যা যেমন ব্রণ ও ফুসকুড়ি থেকে রক্ষা করে। তাই সুন্দর ত্বক পেতে পেয়ারা খেতে পারেন অথবা কচি পাতা বা পেয়ারা পেস্ট করে মুখে মাখতে পারেন।

১০)থাইরয়েডের সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে-
থাইরয়েড জন্য উপকারী কপারের খুব ভালো উৎস হচ্ছে পেয়ারা। এটি আমাদের দেহের খুব গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থি যা দেহের হরমোন ও অর্গান সিস্টেমকে নিয়ন্ত্রণ করে।আর কপার দেহের হরমোন উৎপাদন ও শোষণকে নিয়ন্ত্রণে সাহায্য এবং এর পটাশিয়াম ও শক্তিশালী প্রদাহনিরামক গুনাগুন থাইরয়েডের কাজকে উন্নত করতে সহায়তা করে।।তাই থাইরয়েড সংক্রান্ত সমস্যা দূর করার জন্য পেয়ারা ও পেয়ারা পাতাকে খাদ্য তালিকার গুরুত্বপূর্ণ অংশ করে নিতে হবে।এছাড়াও পেয়ারা দেহের শক্তি বৃদ্ধি ও ওজন কমানোর কাজকে সহজ করে দেয়।

শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪

গরমে শিশুর যত্ন❤

 

গরমে বড়দের থেকে শিশুদের বেশি কষ্ট হয়। গরমে শিশুরাই বেশি ঘেমে যায়। তাই এই সময় বাবা-মায়েরা শিশুদের নিয়ে একটু বেশিই চিন্তিত থাকে। আর গরমে শিশুরাই বেশি অসুস্থ হয়ে যায়। এ কারণে গরমে ছোট সোনামণিদের বিশেষ যত্ন নেওয়া অপরিহার্য। তাদের খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে সবকিছুই খেয়াল রাখতে হবে।

এই গরমে কি কি উপায়ে শিশুর সঠিক পরিচর্যা করা সম্ভব তা একুশে টিভি অনলাইনে দেওয়া হলো-

শিশুর খাদ্য-

গরমে শিশুদের খাদ্য তালিকায় হালকা, পুষ্টিকর ও সহজপাচ্য খাবার রাখতে হবে। সেটা হতে হবে অবশ্যই নরম খাবার। তবে খেয়াল রাখতে হবে গরমে শিশুদের খাবার যাতে বাইরের না হয়। ঘরেই সহজপাচ্য খাবার বানিয়ে শিশুকে খাওয়ান। গরমের দিন মাছ-মাংস একটু কম করেই খাওয়ানো উচিত।

গরমে শিশুকে যথেষ্ট পরিমাণে ঠাণ্ডা পানি পান করান। কেননা এ সময় শিশুরা খুবই ঘেমে যায়। এতে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণে পানি ঝরে যায়। তবে খেয়াল রাখবেন পানি যেন ফ্রিজের না হয়। এছাড়া গরমকালে বিভিন্ন রসালো ফল পাওয়া যায়। শিশুদের অবশ্যই গরমে এসব ফল খাওয়াবেন। ফলের জুসও খাওয়াতে পারেন।

শিশুদের পোশাক-

গরমে আপনার শিশুর পোশাকের দিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। গরমের দিনগুলোতে শিশুকে সুতির নরম ও পাতলা পোশাক পরান। হাতা কাটা পোশাক পরানো প্রয়োজন। ডিসপোজেবল ন্যাপির পরিবর্তে সুতির পাতলা কাপড়ের ন্যাপি পরানো ভালো। কেননা ডিসপোজেবল ন্যাপিগুলো ঘাম ও তাপ শোষণ করতে পারে না তাই র‌্যাশ, ঘামাচি প্রভৃতি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

নিয়মিত গোসল-

গরমে শিশুদের খুব দ্রুত র‌্যাশ ও ঘামাচি উঠে। তাই গরমের দিনে শিশুকে নিয়মিত গোসল করাতে হবে। গোসলের সময় ভাঁজযুক্ত জায়গা যত্ন সহকারে পরিষ্কার করতে হবে। গোসলের পানিতে ডেটলও দিতে পারেন।

শিশুর চুলের যত্ন-

এই গরমে আদরের ছোট্ট সোনামণির চুলের দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। গরমে শিশুর বেশিরভাগ চুলের গোড়া ঘেমে যায়। এতে মাথায় খুশকি ও ঘামাচি বের হয়। তাই গরমের শুরুতেই শিশুর চুল ছোট রাখতে হবে। ন্যাড়া করে দিলে আরও ভালো হয়।

শিশুর আবাসস্থল

গরমে শিশুকে ঠাণ্ডা রাখার জন্য ঘরে যেন প্রচুর আলো-বাতাস ঢুকতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। দম বন্ধ করা ঘরে রাখলে শিশু অসুস্থ হয়ে যাবে। তাই বলে ঠাণ্ডার জন্য এসি ব্যবহার করা যাবে না। মাঝে মাঝে আপনার শিশুকে বারান্দায় নিয়ে যাবেন।

শিশুর প্রসাধনী-

গরমে শিশুকে গোসলের পর তেল, লোশন প্রভৃতি প্রসাধনীর ব্যবহার বন্ধ রাখতে হবে। শিশুকে গোসল করানোর পর শরীর শুকিয়ে আসলে গলা, পায়ের ভাঁজে ইত্যাদিতে পাউডার ব্যবহার করুন। এতে ঘামাচি ওঠা রোধ করবে।

শিশুর স্বাস্থ্য-

শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি ব্যবহার করতে হবে। শিশুর সুস্থতার জন্য ঘর পরিষ্কার রাখতে হবে। কোন রকম শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যেতে হবে।

ব্রণের উপদ্রব কমানোর জন্য চন্দনের ৪টি ফেইস প্যাক


ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখতে কতো কিছুই না করেন। খাবার দাবারে সচেতনতা থেকে শুরু করে রূপচর্চার নানা ধরন আপনার মুখস্ত। তারপরও মুখে চলছে ব্রণের উপদ্রব। ক্রমেই ত্বকে বেড়ে যাচ্ছে অনাকাঙ্ক্ষিত দাগের পরিমাণ।

আপনার নাজুক ত্বকের ব্রণ দূর করে রূপ-লাবণ্য ধরে রাখতে নিয়মিত চন্দন ফেস প্যাক ব্যবহারই যথেষ্ট। আর তাই জেনে নিতে হবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী চন্দন প্যাক ব্যবহার।

* ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে চন্দনের জুড়ি নেই। মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বকের জন্য হলুদ বাটা ও চন্দনের গুঁড়া মিশিয়ে লাগান। কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল হবে।
* দুই চা চামচ চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এবার এই প্যাক মুখে লাগিয়ে নিয়ে ১৫ মিনিট রাখুন। এবার ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকের জন্য এই ফেস প্যাক খুবই উপকারী।

* চন্দন গুঁড়ার সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই পেস্ট মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে নিন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হবে সহজেই।

* রোদে পোড়া ভাব দূর করতে চন্দন বেশ উপকারী। শসার রস, চন্দনের গুঁড়া, দই ও গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে রোদে পোড়া ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ত্বক ধুয়ে ফেলুন। এই ফেসপ্যাক রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করবে।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০২৪

খাওয়ার পর যে কাজগুলো করবেন না


খাওয়ার পরে অলসতা লাগেই। মনে হয়, একটুখানি গড়াগড়ি করে নিতে পারলে বা ভাতঘুম দিতে পারলে বেশ হতো! আবার খাওয়ার পরপরই এককাপ চা না হলে ভালোলাগে না। এই অভ্যাসগুলিই ধীরে ধীরে হয়ে উঠতে পারে আপনার বিপদের কারণ। চলুন জেনে নেই খাওয়ার পরে কোন কাজগুলো করবেন না-

ঘুম
খাওয়ার পরপরই ঘুমের অভ্যাস রয়েছে অনেকেরই। এটি একেবারেই অনুচিত। কারণ এতে হজমপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়। পাশাপাশি নাক ডাকা, স্থুলতার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। এরচেয়ে বরং হালকা হাঁটাহাঁটি করুন।

গোসল
হজমের জন্য আমাদের শরীরে প্রচুর শক্তি ক্ষয় হয়। এই পুরো প্রক্রিয়াটার জন্য পাকস্থলীতে প্রচুর পরিমাণ রক্তচলাচলের প্রয়োজন হয়। ফলে খাওয়ার পরে শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। কিন্তু গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রায় তারতম্য হয় এবং পুরো প্রক্রিয়ায় ভারসাম্য রাখতে গিয়ে হজমপ্রক্রিয়ায় ব্যঘাত ঘটে। 
 
ফল খাওয়া
খাওয়ার শেষে ফল খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আজই বাদ দিন। কারণ ফল হজম হতে খুব বেশি সময় নেয় না। কিন্তু অন্যান্য খাবারের সঙ্গে ফলও খেলে হজমের জন্য অনেক বেশি সময় লাগে। ততক্ষণে ফল তার পুষ্টিগুণ হারিয়ে ফেলে। তখন উপকারের বদলে অপকারই বেশি হয়।

ঠান্ডা বা গরম কিছু খাওয়া
খাবার পরে বেশি গরম পানীয় বা অনেক ঠান্ডা পানীয় কোনভাবেই পান করা উচিত নয়। এতে হজমের সমস্যা হয়, পাকিস্থলিতে গণ্ডগোল হতে পারে। আমরা জানি আমাদের হজমের মূলে রয়েছে হাইড্রোক্লোরিক এসিড(HCL) আমরা যদি লাঞ্চ বা ডিনারের পরে অধিক গরম বা ঠান্ডা জাতীয় কিছু খাই তবে উক্ত এসিড স্বাভাবিকভাবে নিঃসরণ হতে পারে না। আর সেই কারণে খাবার হজমে সমস্যা হয়। দীর্ঘদিন এই অনিয়ম চলতে থাকলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা হতে পারে।


বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০২৪

রোদে পোড়া ত্বকের দাগ দূর করতে

রোদে কুঁচকানো ত্বক :
২৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সীদের ত্বকে দিনের পরিবর্তনের মাত্রাটা একটু বেশিই থাকে। এ বয়সী কারও কারও ত্বক রোদে পোড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুঁচকে আসতে থাকে। এটা এ বয়সী প্রত্যেকের শরীরের জন্য খুবই ভয়ানক। তাই এ ক্ষেত্রে হাত-পায়ের ত্বকে এমন কিছু প্যাকের ব্যবহার আনতে হবে যা কি-না রোদে পোড়া বা কুঁচকানো ত্বককে স্বাভাবিক করে তুলতে পারে। এজন্য চন্দন গুঁড়া, কাঁচা হলুদ, মাষ কলাইয়ের ডাল ও মুগ ডাল একসঙ্গে মিশিয়ে হাত-পায়ের ত্বকে লাগিয়ে ১৫/২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলতে হবে। এতে ত্বকের টানটান ভাব ফিরে আসবে, হাত-পায়ের পুড়ে যাওয়া টোনিংটা চলে যাবে এবং ত্বক আগের মতই সৌন্দর্য ফিরে পাবে।

শুষ্ক ত্বকের জন্য :
যাদের হাত-পায়ের ত্বক খুবই শুষ্ক এবং ত্বকে রোদে পোড়া ভাব রয়েছে তাদের জন্য এটি একটি উপকারী প্যাক হিসেবে ব্যবহার হতে পারে। এজন্য সয়াবিন পাউডার, দুধের সর, কাঁচা হলুদ, গাজরের রস একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/১৫ মিনিট পরে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি শুষ্ক ত্বকের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে অনেকটা চমকের মতোই কাজ করবে।

স্বাভাবিক ত্বক :
যাদের ত্বক অতিমাত্রায় তৈলাক্ত নয় আবার শুষ্কও নয় ঠিক এমন ত্বককেই স্বাভাবিক ত্বক হিসেবে ধরা হয়। স্বাভাবিক ত্বক যাদের, তাদের জন্য এখানে দুটি প্যাক দেওয়া হলো। প্রথমটি হতে পারে কাঁচা হলুদের সঙ্গে দুধ, মধু ও অলিভ অয়েল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে রেখে ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে। আর দ্বিতীয় প্যাকটি হতে পারে ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ বেসন ও দুধ দিয়ে তৈরি সহজ একটি প্যাক। প্যাক ব্যবহারের ১০/১৫ মিনিটে ত্বক ধুয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। এ প্যাক দুটি ব্যবহারে ত্বক তার হারানো লাবণ্য ফিরে পাবে।

তৈলাক্ত ত্বক :
যাদের ত্বক খুবই তৈলাক্ত তারা মসুরের ডাল বাটা, শসার রস ও ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য খুবই ফলপ্রসূ। তাই প্রথমে প্যাকটি তৈরি করে তারপর ত্বকে ভালো করে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে ১০/২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলতে হবে।

স্ক্রাবের ব্যবহার :
হাত-পায়ের কালো দাগ দূর করতে সপ্তাহে একদিন স্ক্রাব ব্যবহার করতে পারেন। এ জন্য প্রয়োজন হবে এক টেবিল-চামচ করে চালের গুঁড়া, ময়দা, দুধ, শসার রস ও লেবুর রস। এর সঙ্গে মেশাতে হবে এক টেবিল চামচ নারকেল অথবা তিলের তেল। আবার অলিভ অয়েলও মেশানো যেতে পারে। এর সঙ্গে আরও লাগবে আধা চা চামচ মধু। প্যাকটি ক্রিমের মতো করে মিশিয়ে প্রতিটি দাগে ঘষতে হবে। তারপর ধুয়ে টোনিং করতে হবে।

টোনিং করতে শুধু দুধ ও মধুর ক্রিমের মতো মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন। হালকা ঘষে পানিতে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজিং লোশন বা ক্রিম লাগাতে হবে।

আরও সহজ পদ্ধতিতেও দাগ দূর করতে চাইলে এক চা-চামচ লেবুর রসে এক চা-চামচ মধু মিশিয়ে দাগে ঘষতে পারেন। তবে সরাসরি কখনও লেবুর রস দাগে মাখাবেন না। লেবুর রস ত্বকে সহ্য না হলে অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী ব্যবহার করতে পারেন। দুই টেবিল-চামচ ঘৃতকুমারীর শাঁসে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দাগে মাখালেও দাগ ধীরে ধীরে কমে আসবে।

আমাদের কিছু কিছু ত্বকের জন্য ত্বকের প্যান্টোনিংটা কিছুতেই দূর করা সম্ভব হয় না। সেক্ষেত্রে ত্বকের প্যান্টোনিং ভাবটা দূর করতে ত্বকে কাঁচা হলুদের ব্যবহারটা বাড়ানো যেতে পারে। তবে ত্বকের বাহ্যিক অংশে আমরা যদি নিয়মিতভাবে সানবার্ন ব্যবহার করি তবেও আমাদের হাত-পায়ের কালো দাগ অনেকাংশে কমে আসবে।

রোদের মাঝেও ত্বকের ব্রাইটনেস বাড়াতে আমরা কেউ কেউ বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকি। অথচ রোদে যাওয়ার জন্য এসব প্রসাধনী ত্বকের জন্য মোটেই সুফল বয়ে নিয়ে আসে না বরং ত্বককে আরও রুক্ষ-শুষ্ক করে তুলে ত্বকের পুড়ে যাওয়া কালো দাগকে বেশি করে ফুটিয়ে তোলে। এই প্যাকগুলো নিয়মিত ব্যবহারে আমরা আমাদের শরীরের রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বক ও হাত-পায়ের কালো দাগকে সহজেই দূর করতে পারি। রোদ থেকে বাঁচতে নিত্যদিনের ব্যবহারে সুতি কাপড়, সানগ্গ্নাস ও রোদ প্রটেক্টেড ছাতা ব্যবহার করতে পারি। তাহলে খুব সহজেই আমাদের ত্বক রোদে পুড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পাবে। তাই যতটা সম্ভব তীব্র রোদের হাত থেকে দূরে থাকতে হবে।

সোমবার, ১৫ জুলাই, ২০২৪

শরীর ভালো রাখতে প্রতিদিন দই খান

আসুন আজ জেনে নিন দইয়ের ১০ টি গুণাবলীঃ

১/ দইয়ের মধ্যে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড যা কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে।

২/ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা মেটাতে পারে দই।

৩/ দই দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ফলে খুব সহজেই জ্বর কিংবা ঠান্ডা লেগে যাওয়ার সমস্যা কমে যায়।

৪/ দই শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সহায়তা করে। ফলে প্রচন্ড গরমের সময়ে দই খেলে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫/ ওজন জনিত সমস্যায় ভুগলে অবশ্যই দই খান- উপকার পাবেন।

৬/ দই এ আছে প্রচুর পরিমানে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি। ফলে নিয়মিত দই খেলে দাঁত ও হাড় মজবুত থাকে।

৭/ টক দই রক্তের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দেয়।

৮/ দই রক্ত থেকে বিষাক্ত উপাদান কমিয়ে দিয়ে রক্তকে বিশুদ্ধ করে তোলে।

৯/ দই হজমে সহায়ক তাই রোজ পরিমিত পরিমান দই খেলে হজম ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা কমে যায়।

১০/ সম্প্রতি গবেষনা থেকে জানা গেছে প্রতিদিন পরিমিত দই খেলে ক্যান্সারের মত মারনরোগ আটকানো যায়।

রবিবার, ৩০ জুন, ২০২৪

হালকা মেকআপ করার পদ্ধতি




halka

হালকা মেকআপ যেভাবে করবেনঃ


হালকা মেকাপ করা তুলনামূলক সহজ এবং কম সময়ে নিজেকে সাজানো যায়। হালকা মেকাপ কিভাবে করবেন সে সম্পর্কে জেনে নিই- 
  • প্রথমেই মুখ ভালোমানের ক্লিনজার দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। অথবা পছন্দমাফিক যেকোনো ফেসপ্যাক লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে নিতে হবে।
  • মুখ পরিষ্কার কাপড় বা টিস্যু দিয়ে মুছে নিতে হবে।
  • ময়েশ্চারাইজিং ব্যবহার করার পর সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
  • ভালোমানের প্রাইমার সেট করে নিন।
  • পরিমান মতো বিবি ক্রিম লাগান।
  • ডার্ক সার্কেল দূর করতে পরিমাণ মতো কনসিলার ব্যবহার করুন।
  • ভেজা স্পঞ্জ কিংবা পরিষ্কার হাত দিয়ে ফাউন্ডেশন ভালোভাবে ব্লেন্ড করুন।
  • ব্লেন্ড করার সময় উপর থেকে নিচের দিকে ব্লেন্ড করুন।
  • ফেস পাউডার সেট করে নিন।
  • সবশেষে মেকাপ সেটিং স্প্রে দিয়ে মেকাপ সেট করে নিন।

শনিবার, ২৯ জুন, ২০২৪

ঘরোয়া উপায়ে চুল কালো করার ৫ টি উপায়



hair

(১)
 
উপকরণ:
৫-৬ টা আলু ছাড়িয়ে তার খোসা
২ কাপ জল

পদ্ধতি:
জলের মধ্যে আলুর খোসা ফেলে ফুটতে দিন
মিনিট পাঁচেক পরে বন্ধ করে জলটা ছেঁকে নিন
ঠাণ্ডা হতে দিন
শ্যাম্পু করার পরে ওই জলটা দিয়ে চুল ধুয়ে নিন
এরপর আর তক্ষুনি চুলে জল দেবেন না
সপ্তাহে ১-২ বার করুন


(২)
উপকরণ:
এক কাপ কারি পাতা
৪ টে. চা খাঁটি নারকেল তেল

পদ্ধতি:
সসপ্যানে নারকেল তেল আর কারি পাতা একসাথে ফুটতে দিন
কালো মিশ্রণ তৈরি হওয়া শুরু হলে বন্ধ করে দিন
তেল ঠাণ্ডা হলে চুল ও স্ক্যাল্পে ম্যাসাজ করুন
এক ঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করুন
সপ্তাহে ২-৩ বার লাগাবেন

(৩) 
উপকরণ:
১ টে চা পাতিলেবুর রস
২ টে চা নারকেল তেল

পদ্ধতি:
উপকরণগুলি ভালো করে মিলিয়ে নিন
চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন
আধঘণ্টা পরে শ্যাম্পু করে নিন
সপ্তাহে ২-৩ বার করুন

(৪) 
উপকরণ:
৩ চা চামচ আমলা পাউডার
২ চা চামচ কফি পাউডার
১-১.৫ কাপ হেনা পাউডার
অলিভ অয়েল ২ চা চামচ

পদ্ধতি:
সব উপকরণগুলি একটি কাঁচের বাটিতে ভালো করে মেলান
প্রয়োজনে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মসৃণ পেস্ট বানিয়ে নিন
পুরো চুলে ভালো করে লাগান
এক ঘণ্টা পরে মাইলড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে নিন
মাসে ১ বার যথেষ্ট

(৫) 
উপকরণ:
এক কাপ নারকেল তেল
আধা কাপ মেথি দানা

পদ্ধতি:
একটি পাত্রে নারকেল তেল ফুটতে দিন
তেল ফুটে এলে মেথি দানা দিয়ে দিন এবং ৮-৯ মিনিট ফোটান
তেল ঠাণ্ডা করে ছেঁকে নিন
রাতে পুরো চুল ও স্ক্যাল্পে ভালো করে ম্যাসাজ করুন
সকালে শ্যাম্পু করুন
সপ্তাহে ৩ বার করুন

বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন, ২০২৪

ত্বক ঠিক রাখার জন্য পানি খাওয়ার উপকারিতা অনেক






প্রচুর জল খান 

জল খাওয়া শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই নয়, ত্বকের জন্যও খুব ভালো । উজ্জ্বল ত্বকের সেরা রহস্য হল দিনে 4 লিটার জল নিয়ম করে খাওয়া। এতে আপনার শরীর ডিটক্স হবে, শরীর থেকে ব্যাকটেরিয়া বেরিয়ে আসবে। আর এতে ত্বক স্বাভাবিকভাবেই উজ্জ্বল হবে।

মুলতানি মাটি দিয়ে ফেস প্যাক 
মুলতানি মাটি ত্বকের জন্য খুবই উপকারী । সৌন্দর্যের জন্য এর ব্যবহার হাজার হাজার বছর ধরে চলে আসছে এবং এর থেকে অনেক চমৎকার ফলাফল দেখা গেছে। আপনি মুলতানি মাটির একটি ফেসপ্যাক তৈরি করতে পারেন। এই প্যাকটি তৈরি করতে আধা চা চামচ মুলতানি মাটিতে এক চা চামচ চন্দন গুঁড়ো, 1/4 চা চামচ হলুদ গুঁড়ো এবং এক চা চামচ গোলাপ জল বা দুধ মেশান। এটি মুখে লাগান, এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত রেখে দিন এবং তারপরে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম
বিউটি স্লিপ কথাটির সঙ্গে তো আপনি নিশ্চয়ই পরিচিত। এটা কোনও মিথ্যে প্রবাদ নয়। ঘুম আপনার শরীর এবং সৌন্দর্য উভয়ের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম শরীরে রক্ত চলাচল বাড়ায় এবং ত্বক ভালো রাখে আপনার। ঘুমের সময় নিয়ে কাটাছেঁড়া করবেন না। যদি ঘুম কম করেন তাহলে আপনার চেহারা নিস্তেজ হয়ে পড়তে পারে। এছাড়া অকাল বার্ধক্য এবং প্রাণহীন দেখাতে পারে। আপনি যদি আপনার ডার্ক সার্কেল, বলিরেখা এবং ফাইন লাইনস মসৃণ করতে চান তবে আপনাকে ঘুমের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিতেই হবে।

ভিটামিন সি রয়েছে এমন ফল খান 
ভিটামিন শরীরে কতটা প্রয়োজনীয়, সেই বিষয়ে কত কয়েক বছরে সচেতন হয়েছে মানুষ। তবে কমলালেবু খেতে কিন্তু কেউ কোনওদিনই ভোলেনি। আর কিছু থাক না থাক। ডায়েট চার্টে একটা কমলালেবু অবশ্যই তাকে। এটি একটি বিউটি ফল হিসেবেও পরিচিত, যা আপনি ডায়েট থেকে শুরু করে ঘরে তৈরি ফেসপ্যাকেও অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন । কমলা ছাড়াও আপনার ডায়েটে লেবু এবং পেঁপেও রাখতে পারেন।

বেসনের উবটান
ত্বক যদি আপনি পরিষ্কার পেতে চান, তাহলে অবশ্যই মরা চামড়াকে আপনার ভালোভাবে ত্বক থেকে বিদায় জানাতে হবে। আপনি যদি একটু চর্চা করেন এসব বিষয় নিয়ে তাহলে এই বিষয়টি আপনি বুঝতে পারবেন। আগেকার দিনে এই সমস্ত ফেসিয়াল, ক্লিন আপ কোথায় ছিল? তাই বলে কি মানুষের ত্বক পরিষ্কার থাকত না? ছোট ছোট ঘরোয়া টোটকাই ছিল সুন্দর ত্বকের রহস্য। এরমধ্যে অবশ্যই রয়েছে বেসন।

নিয়মিতভাবে ব্যায়াম করুন
নিয়মিত ব্যায়াম করলে ত্বকের কোষে রক্ত চলাচল বৃদ্ধি পায় এবং শরীরে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৃদ্ধি পায়। যার কারণে ত্বকে ভালো গ্লো আসে এবং আপনার স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

নারকেল তেলের ব্যবহার
বর্তমান সময়ে অনেক ধরনের বাটার অয়েল, ইন্সট্যান্ট অয়েল এবং এসেন্সিয়াল অয়েল এসেছে। এখন এই সমস্ত তেলের ব্যবহার বাড়লেও একসময় তো মানুষের সঙ্গে এসবের পরিচয়ই ছিল না। আর তখন সবক্ষেত্রেই ব্যবহার হত একটি তেলেরই। সেটি হল নারকেল তেল। আগেকার দিনের মানুষ নারকেল তেল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করতেন। আজও বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন নারকেল তেলেই সব সমস্যার সমাধান সম্ভব।

চন্দনের ফেসপ্যাক 

আগেকার দিনে মানুষ তাদের সৌন্দর্য বাড়াতে চন্দনের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতেন। চন্দনের ব্যবহার ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটির ব্যবহারে ব্রণ ও কালো দাগও সেরে যায়। সপ্তাহে একবার এই ফেসপ্যাকটি অবশ্যই ব্যবহার করবেন।

হলুদের ব্যবহার
আগেকার দিনে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে এবং উজ্জ্বল মুখের সৌন্দর্যের জন্য হলুদ বেশি পরিমাণে ব্যবহার করা হত । স্বাস্থ্যকর ত্বকের জন্য নানাভাবে উপকারী হলুদ। ফেসপ্যাক হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন এবং ফুটিয়ে নিতে পারেন।

গোলাপ জল 
গোলাপ জল একটি ন্যাচারাল স্কিন টোনার এবং ত্বক টাইট করতে এটি কাজ করে। টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন এটি। ফেসপ্যাকের সাথেও ব্যবহার করা যেতে পারে

বুধবার, ২৬ জুন, ২০২৪

আইলাইনার ব্যবহারের সঠিক নিয়ম




পেন লাইনার

শুধু চোখের পাপড়ি স্পর্শ করিয়ে খুব চিকন করে যারা আইলাইনার দিতে পছন্দ করেন, তাদের জন্য পেন লাইনার। এর আকৃতি খানিকটা কলমের মতো। এর ফর্মুলা এমনভাবে তৈরি যেন তা দেওয়া মাত্রই শুঁকিয়ে যায়। ফলে যারা নতুন মেকআপ করছেন বা শিখতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এটি খুব ভালো একটি অপশন। পেন লাইনারের দাম লিকুইড লাইনার থেকে একটু বেশি হয়ে থাকে। তবে, আপনি যদি চোখকে ক্যাট আই লুক দিতে চান তাহলে কিনে নিতে পারেন পেন লাইনার।

জেল লাইনার
চোখকে গাঢ় কালো রঙে রাঙাতে জেল লাইনারের জুড়ি নেই। চোখের সাজে স্মোকি আই লুক আনার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এটি। কারণ, এটি ব্যবহার করা হয় আলাদা ব্রাশের সাহায্যে। এতে করে এটি নিজের প্রয়োজন মতো ব্লেন্ড করা যায়। অন্য যে কোনো লাইনারের চেয়ে জেল লাইনারের দাম বেশি। একটি ভালো জেল লাইনার দাম শুরু হয় ৮০০ টাকা থেকে। তবে আপনি যদি স্মোকি আই ভালোবাসেন তাহলে এই অর্থ খুব বেশি মনে হবে না।

পেন্সিল আইলাইনার
পেন্সিল আইলাইনারকে কাজলের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলার সুযোগ নেই। এটি কাজলের চেয়ে বেশি গাঢ় হয় এবং ব্যবহারের কিছু সময় পরেই শুঁকিয়ে যায়। ওয়াটারপ্রুফ ও স্মাজপ্রুফ এই পেন্সিল লাইনার সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় রঙের বিভিন্নতার জন্য। বাজারে বিভিন্ন কালারের পেন্সিল আইলাইনার পাওয়া যায়। এর দামেও নাগালের মধ্যেই। ২০০ থেকে ৬০০ টাকার মধ্যেই পেয়ে যাবেন পেন্সিল আইলাইনার। ছোট হওয়ায় রেখে দিতে পারবেন ব্যাগেও।

গ্লিটার লাইনার
সম্প্রতি গ্লিটার লাইনার জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। আগে আলাদা গ্লিটার ব্যবহারে করে চোখে চিকিমিকি লুক দেওয়া হতো। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতো এক প্রকারের আঠা। কিন্তু গ্লিটার আইলাইনার আসার সেটি আর লাগছে না। ভালো গ্লিটার লাইনার পেতে পারেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যেই।

লক্ষ্য রাখবেন
মেয়াদ উত্তীর্ণ কোনো আইলাইনার ব্যবহার না করাই ভালো। দিন শেষে মুখ থেকে মেকআপ তোলা খুবই জরুরি। অনেক সময় মেকআপ তোলার সময় আমাদের চোখ থেকে সম্পূর্ণ মেকআপ উঠে আসে না। সেজন্য ডাবল ক্লিঞ্জিং পদ্ধতিতে মেকআপ উঠাতে পারেন। তেলযুক্ত মেকআপ রিমুভার বা মিসেলার ওয়াটার ব্যবহার করলে সহজেই আইলাইনার উঠে আসবে।

সোমবার, ২৪ জুন, ২০২৪

নাকের ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা দূর করার উপায়





ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা দূর করার জন্য ১ চা চামচ বেকিং সোডা, ১/২ চা চামচ লেবুর রস, ১/২ চা চামচ নুন আর ১ চা চামচ গোলাপ জল নিন। প্রথমে একটি পাত্রে এই সব উপাদানগুলো নিন। ভাল করে মিশিয়ে নেবেন। এবার এই মিশ্রণটি প্রথমে নাকে লাগান। এটি ৫ মিনিটের জন্য রেখে দিন।
এই মিশ্রণটি লাগালে ত্বকে হালকা জ্বালাভাব অনুভূত হতে পারে। আসলে, বেকিং সোডা একটি খুব ভাল এক্সফোলিয়েটিং এজেন্ট এবং এটি ত্বকের মরা চামড়া দূর করে। এছাড়াও এটি সহজেই কালো দাগ দূর করে। আপনি যদি নুন ব্যবহার করতে না চান তবে আপনি চালের গুঁড়ো ব্যবহার করতে পারেন।
৫ মিনিট পর ধীরে ধীরে নাক ঘষে তারপর হালকা গরম জল দিয়ে নাক পরিষ্কার করুন। এবার একটি নরম তোয়ালে নিয়ে তা দিয়ে নাক ঘষুন। খুব জোরে ঘষবেন না, এতে নাক লাল হয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি র‍্যাশের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই পদ্ধতির পরপরই আপনার নাকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে নাকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যায়। এতেই দেখবেন দূর হয়ে গিয়েছে ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা। নাক ছাড়াও যদি মুখের অন্যান্য জায়গা ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডসের সমস্যা থাকে তাহলেও ব্যবহার করতে পারেন এই পদ্ধতি।

রবিবার, ২৩ জুন, ২০২৪

চোখের নিচে কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া উপায়





চোখের নিচের এই কালো দাগ থেকে রেহাই পেতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরি। বিশেষ করে ভিটামিন বি-৬ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।বি-৬ সমৃদ্ধ খাবারের অভবে চোখের নিচের এই কালো দাগ বা ডার্ক সার্কেল তৈরি হয়।
ঘরোয়া মিশ্রণের প্রস্তুত প্রণালী ও ব্যবহার ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ঠাণ্ডা টি ব্যাগ চোখের উপর রাখলে ডার্ক সার্কলের স'মস্যায় ভালো ফল পাবেন। রাতে শোবার আগে অন্তত মিনিট পনেরো নিয়মিত রাখতে হবে।
শসার রস ২টি কটন বল শসার রসে ডুবিয়ে চোখের উপর অন্তত ১৫ মিনিট রাখুন। এভাবে নিয়মিত শসার রস চোখের উপর লাগাতে পারলে দ্রুত উপকার পাবেন।
আলু আলু খোসাসহ বেটে বা পেস্টের মতো করে চোখের উপরে মাখিয়ে কিছুক্ষণ রাখুন। দ্রুত উপকার পাবেন। কাজু বাদাম কাজু বাদাম বেটে দুধের সঙ্গে গুলিয়ে, পেস্টের মতো তৈরি করে চোখের চারপাশে লাগাতে পারেন। এতেও উপকার মিলবে।এছাড়া চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে মালিশ করলেও দ্রুত উপকার পাবেন।

টমেটো

এক চা চামচ টমেটোর রসের সঙ্গে এক চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। ১০ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার অন্তত এই প্যাক লাগাতে হবে।

দুধ

ঠাণ্ডা দুধে একটি কটন বল ভিজিয়ে চোখে লাগান। দশ মিনিট প'র পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে চোখের ফোলাভাব কমে যাবে এবং কালো দাগ দূর হবে।

কমলা

কমলার রসের সঙ্গে দুই ফোঁটা গ্লিসারিন মিশিয়ে চোখের নিচে লাগান। এটা কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি আরও উজ্জ্বল করে তোলে।

বাদাম তেল

রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আ'গে চোখের চারপাশে বাদাম তেল দিয়ে ম্যাসাজ করতে পারেন। এতে চোখের কালো দাগ দূর হওয়ার পাশাপাশি চোখের চামড়া টানটান হবে।

শনিবার, ২২ জুন, ২০২৪

ঈদের পর মুখের বিশেষ যত্ন




মুখের যত্নে ক্লিনজিং ফেশিয়াল ভালো হবে। এতে ত্বক পরিষ্কার হবে এবং ব্রণ কম উঠবে। বাসায় বাড়তি যত্নের জন্য ব্যবহার করতে হবে প্যাক। রোদে পুড়ে যাওয়া ভাব দূর করতে শসার রস ফ্রিজে রেখে সেটা তুলা দিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। ঠিক একইভাবে লাগাতে পারেন আলুর রসও। এতে চোখের নিচের কালো দাগ দূর হয়।
বেসনের সঙ্গে দুই চামচ টকদই ও গোলাপ পানি দিয়ে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রেখে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের ত্বক সতেজ এবং উজ্জ্বল হয়। মসুর ডাল পেস্ট করে তার সঙ্গে কাঁচা হলুদ বেটে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ রাখার পর দুই হাত দিয়ে আলতো করে ঘষে নিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে মুখের ময়লা পরিষ্কার হয় এবং ত্বকের কোষগুলোর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায়।
রুটিনের বাইরে চলার কারণে স্পর্শকাতর ত্বক যাদের, তাদের ব্রণের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। এটি নিয়ে দুশ্চিন্তা না করে রাতে ঘুমানোর আগে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর একটু পানিসহ মুখে দুই হাতের তালুতে গ্লিসারিন নিয়ে হালকা করে লাগান। সকালে উঠে দেখবেন ত্বক অনেক নরম হয়ে আছে। এতে নতুন করে আর ব্রণ উঠবে না।
মুখের যত্ন তো থাকবেই, সেই সঙ্গে নিন হাত-পায়ের যত্ন। নিয়মিত ম্যানিকিওর-পেডিকিওরের মাধ্যমে পরিচ্ছন্ন রাখুন হাত-পা। আর ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে কাঁচা দুধ ও মধু মেখে ৫ মিনিট পর গোসল করে ফেলুন। এতে রোদে পোড়া ভাব দূর হবে।

শনিবার, ১৫ জুন, ২০২৪

ঈদের দিনের সাজ



ঈদের সাজ নিয়ে কিছু কথা

ঈদের সকালের জন্য বেছে নিতে হবে হালকা পাতলা সুতি কাপড়ের পোশাক। যদি কেনাকাটা না করে থাকেন (অনলাইনে অনেকেই কেনাকাটা করেছেন), তাহলে আলমারি থেকে প্রিয় শাড়িটি বের করে পরতে পারেন। যে কোনো রঙের শাড়ি পরতে পারেন। মাংস নিয়ে সন্ধ্যায় হয়তো কিছু আত্মীয়স্বজন আসতে পারে। সন্ধ্যায় যে কোনো অনুষ্ঠানে কালো রঙের শাড়ি বেশি মানায়।

শাড়ির সঙ্গে মন ভালো রাখার জন্য অলঙ্কার পরতে পারেন। আইব্রোটা এঁকে নিতে হবে। হালকা কাজল আর ছোট্ট একটা টিপ দিতে ভুলে গেলে চলবে না। ঠোঁটে ন্যুড শেডের কোনো লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন। সালোয়ার-কামিজ বা টপসের সঙ্গেও মেকআপ হওয়া চাই হালকা। চুল পনিটেল করে নিলে পোশাকের সঙ্গে ভালো মানাবে।

চুল খুলে রাখতে চাইলে কার্ল করে নিতে পারেন নিচের চুলগুলো। কানে ছোট্ট দুল, ভারি করে মাসকারা ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার আর কাজল দিন। ইউটিউবে চুলের স্টাইলের টিউটোরিয়াল দেখে সুন্দর কোনো হেয়ারস্টাইল করে নিতে পারেন। এখন শিখে রাখলে পরে কাজে লাগবে।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০২৪

মুখের কালো দাগ দূর করতে রাতে ঘুমানোর আগে কিছু টিপস

কী ব্যবহার করবেন?

মুখের দাগ দূর করতে আমরা ব্যবহার করবো লেবু। একটু লক্ষ্য করলেই দেখবেন যে সকল অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম লেবুর কথা বলে। কারণ একটাই, লেবু প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসাবে কাজ করে। তবে লেবু এই রূপচর্চাটি কেবল রাতের বেলায় করতে হবে এই কারণে যে সূর্যের আলো আপনার ত্বকে রিঅ্যাকশন করতে পারে। রাতের বেলায় রূপচর্চাটি করলে সূর্যের আলো বা গরমে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই এবং ত্বক সম্পূর্ণ ৮-১০ ঘণ্টা পাচ্ছে দাগ দূর করার জন্য।

কী করবেন?

দুটি পদ্ধতি অবলম্বন করতে পারেন আপনি। যদি আপনার ত্বক হয়ে থাকে স্বাভাবিক, তাহলে মাত্র ৫ মিনিটের একটি কাজ করতে হবে আপনাকে। যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ হয়ে থাকে, তাহলে সময় লাগবে ৩০ মিনিট।
  • -মুখ খুব ভালো করে পরিষ্কার করে নিন। ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে তোয়ালে দিয়ে মুছে নিন।
  • -যদি স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বক হয়, তাহলে তাজা পাকা লেবুর রস (যে লেবু পেকে হলদে হয়ে গেছে, অর্থাৎ লেমন) সরাসরি মুখের কালো দাগে লাগিয়ে নিন। লেবুর রসের সাথে সামান্য মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন। তারপর শুকাতে দিন। এবং লেবুর রস মুখে নিয়েই ঘুমিয়ে যান। স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত ত্বকে কোন সমস্যা হবে না। সকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ মুছে নিন।
  • -আর যদি শুষ্ক বা সেনসিটিভ ত্বক হয়, তাহলে পাকা লেবুর রসের সাথে মুলতানি মাটি ও মধু মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ ধোয়া মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ মিলিয়ে যাবে।
টিপস-
ত্বকে লেবুর রস দেয়ার পর যদি কোন রকম অস্বস্তি অনুভব করেন, তাহলে অবিলম্বে মুখে ধুয়ে ফেলুন এবং পুনরায় ব্যবহার করবেন না।

বুধবার, ২৯ মে, ২০২৪

ফেস মাস্ক সম্পর্কে খুটিনাটি বিষয়




চর্মরোগবিশেষজ্ঞরা সাধারণত সপ্তাহে একবার মাস্ক ব্যবহার করতে সুপারিশ করেন।

ত্বকের ধরন বুঝে সঠিক ফেস মাস্ক

(১) প্রথমে ফেস মাস্ক লাগানোর আগে একটি ভালো ফেসিয়াল ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করে নিতে হবে। ক্লিনজিং ত্বককে মাস্ক থেকে পুষ্টি এবং সক্রিয় উপাদান শোষণের জন্য প্রস্তুত করতে সাহায্য করতে।

(২) তবে ফেস মাস্ক প্রয়োগ করার প্রথম ধাপ হলো, ত্বকের ধরন অনুযায়ী সঠিক মাস্কটি বেছে নেওয়া। যেমন হাইড্রেটিং ক্রিম বা শিট মাস্ক শুষ্ক ত্বকের জন্য ভালো। সর্বোচ্চ হাইড্রেশনের জন্য বিশেষজ্ঞরা এই মাস্ক রাতে ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

(৩) অন্যদিকে ক্লে মাস্ক তৈলাক্ত বা মিশ্র ত্বকের জন্য ভালো কাজে দেয়। ব্রণপ্রবণ ও সংবেদনশীল ত্বকের জন্য ভালো জেল ও বাবল মাস্ক। হাইপারপিগমেন্টযুক্ত ত্বকের জন্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ক্রিম বা জেল মাস্ক ব্যবহার ভালো কাজে দেবে।


(৪)ত্বকের ধরন অনুযায়ী মাস্ক বাছাইয়ের পর এবার ব্যবহারের পালা। মাস্কের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য ত্বকে ম্যাসেজ করলে উপকার পাওয়া যাবে। আর অবশ্যই যেকোনো মাস্ক ব্যবহার করার সময় ঠোঁট, চোখ এবং ভ্রু এড়িয়ে চলুন।

মাস্ক ওঠাব কীভাবে
বেশির ভাগ মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে ২০ মিনিটের বেশি রাখা উচিত নয়। বেশিক্ষণ থাকলে মাস্ক শুকিয়ে ত্বকও শুকিয়ে যেতে থাকে। তাই ব্যবহারের পর মুখ থেকে মাস্কটি আলতোভাবে আঙুলের ব্যবহারে, সাধারণ পানি দিয়ে তুলে ফেলতে হবে।

শিট মাস্ক ও পিল-অব মাস্কের ক্ষেত্রে আলতো করে মুখ থেকে মাস্ক সরাতে হবে। ত্বক কোনোভাবেই জোরে ঘষা যাবে না। সময় নিয়ে ধৈর্যসহকারে কাজটা করতে হবে। ধোয়ার পর ত্বকে ভালো একটা ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। ফলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকবে।

বাড়িতে তৈরি ফেস মাস্ক
ফেস মাস্ক কেনার পরিবর্তে বাড়িতে থাকা উপাদানগুলো ব্যবহার করে অর্থ এবং সময় বাঁচাতে পারেন।

মঙ্গলবার, ২৮ মে, ২০২৪

দীপ্তিময় ত্বকের সহজ কিছু টিপস



ত্বকের যত্নে সহজ কিছু টিপস
১/
চালের গুঁড়া মুখের স্ক্রাব হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে। এক কাপ চায়ের পানি ঠাণ্ডা করে নিন। এবার এর সাথে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া এবং আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট করে মাস্ক এর মত করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর হাত দিয়ে সার্কুলার ভাবে ম্যাসাজ করে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এতে ইন্সট্যান্ট ত্বকে ফর্সাভাব আসবে।

২/এক টেবিল চামচ ওটস পানিতে ভিজিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট করে নিন। এবার এর সাথে এক টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এবার পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। আপনার ত্বক যদি সেন্সিটিভ হয় তাহলে লেবুর রসের সাথে একটু পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।

৩/২ টেবিল চামচ আটা, আধা চামচ হলুদ, ১ টেবিল চামচ লেবুর রস এবং একটু দুধ একসাথে ভালো ভাবে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এটাকে ৫ মিনিট মুখে ঘষে ঘষে লাগিয়ে ২০ মিনিট শুকানোর জন্য অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এতে মুখের ময়লা কেটে গিয়ে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।

৪/যেকোনও ধরনের পার্টি তে যাওয়ার আগে একটা কলা চটকে, তার সাথে পাকা পেঁপে মিশিয়ে ভালো করে পেস্ট তৈরি করে নিন। তারপর সেটা পুরো মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ধুয়ে দেখুন আপনার কাঙ্ক্ষিত উজ্জ্বলতা।

৫/একটা টমেটোর রস এর সাথে একটু হলুদ মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এবার এটাকে মুখে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন যতক্ষণ না এটি পুরোপুরি শুকিয়ে যায়। এরপর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। এটি কিছুক্ষণের মধ্যে গায়ের রঙ উজ্জ্বল করার ক্ষেত্রে বহুল প্রচলিত একটি পদ্ধতি।

৬/কমলার খোসা রোদে শুকিয়ে নিন। এবার এটাকে গুঁড়ো করে এক কাপ ফ্রেশ টকদই এর সাথে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর মুখ ধুয়ে নিন। এতে আপনার ত্বকের ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব এর সাথে সাথে ত্বকে উজ্জ্বলও হবে।

৭/এক চামচ কাঁচা দুধ এর সাথে এর চামচ মধু ও কয়েক ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে পরিষ্কার মুখে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। দুধ এবং লেবুর রস ত্বকের ময়লা পরিষ্কার করে দেয়। মুখে লেবু লাগানোর কারণ হল এটি ব্লীচের একটি প্রধান উপাদান। এটি মুখের স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনবে।

৮/কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই সহজলভ্য কিছু উপাদান যেমন গ্লিসারিন, শশা, গোলাপজল আপনার ত্বককে খুব দ্রত উজ্জ্বল এবং সুন্দর করে দিতে পারে। কয়েক টুকরা শশার সাথে পরিমাণ মত গোলাপজল এবং গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট করে ঘুমা্নোর আগে মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে। লক্ষ্য রাখতে হবে যেন পেস্টটি খুব বেশি পাতলা না হয় অথবা ঘন না হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে তারপর মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে।

৯/ত্বকে আলুর রস লাগালে মুখের পোড়াভাব দূর হয় এবং তাৎক্ষনিকভাবে মুখের উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।

১০/তৈলাক্ত ত্বকের জন্য লেবুর রস এর সাথে পেঁপে মিক্স করে মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। রঙ পরিষ্কার হবে। এবং মুখের তেলতেলে ভাব কেটে যাবে। ফলে আপনাকে ফর্সা দেখাবে।

১১/ডিমের সাদা অংশ ভালো ভাবে ফেটে নিয়ে মুখে লাগান। এতে স্কিন অনেক নরম ও উজ্জ্বল হয়।

১২/জিঙ্ক এবং ল্যাক্টিকএসিড স্কিন এর জন্য অনেক ভালো। তাই টক দই ভালো ভাবে পেস্ট করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পর মুখ ধুয়ে দেখুন ইন্সট্যান্ট ফর্সাভাব।

১৩/মুখের স্কিন এর ক্ষেত্রে গোলাপজল একটি গুরুত্বপুর্ন উপাদান। প্রতিদিন তুলায় গোলাপজল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন। রঙ ফর্সা হবে তাৎক্ষণিকভাবে।

বর্ষার মৌসুমেও নিজেকে ঠিক রাখুন




মাথার ত্বকের যত্ন


এ আবহাওয়ায় বাতাসের মাধ্যমে চুলে প্রচুর ধুলাবালি আটকায়। চুল ভেজা থাকলে ময়লা দ্রুত মাথার ত্বকে গিয়ে জমে। ফলে মাথার ত্বকে খুশকি ও চুলকানি হয়। এ ছাড়া বর্ষার স্যাঁতসেঁতে আবহাওয়া, ভ্যাপসা গরম, মাথায় ঘাম, ভেজা চুল প্রভৃতি কারণে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়, ছত্রাক বাসা বাঁধে। তা থেকে ত্বকে প্রদাহ, চুল পড়া, চুলের আগা ফেটে যাওয়া, চুল রুক্ষ হয়ে যাওয়া সহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ সময় মাথার ত্বকের যত্নে যে সব বিষয় মেনে চলা জরুরি তা হলো

  •  ছত্রাক সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সবসময় মাথার ত্বক পরিষ্কার রাখুন।
  • নিয়মিত শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করুন। প্রতিদিন বাইরে গেলে একদিন পরপর শ্যাম্পু করতে পারেন।
  • চুল পরিষ্কারে চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু নির্বাচন করুন।
  • শ্যাম্পু ব্যবহারের পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন।
  • চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।
  • গোসলের পর চুল আলতোভাবে মুছে বাতাসে শুকিয়ে নিন।
  •  ভেজা চুল আঁচড়াবেন না।

চুলের যত্ন
অন্যান্য ঋতুতে যদি একজন মানুষের প্রতিদিন গড়ে ৬০ থেকে ৮০টি চুল পড়ে, বর্ষায় সেটি বেড়ে আরও বেশি হয়ে যায়। ফলে খুশকি, চুলপড়াসহ চুলের নানা সমস্যা বেড়ে যায়। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় অনেকের চুল সহজে শুকায় না। ফলে মাথার ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এতে চুলের গোড়া নরম হয়ে অতিরিক্ত চুল পড়ে। কিছু ঘরোয়া যত্নের মাধ্যমেই চুলের এসব সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। যেমন:

  •  গোসলের পরপরই ফ্যানের বাতাসে চুল শুকিয়ে নেওয়া।
  •  বর্ষার মৌসুমে অ্যান্টিফাঙ্গাল শ্যাম্পু ব্যবহার করা।
  • রোদে খোলা চুলে বাইরে গেলে সান-প্রটেক্টর ক্রিম ব্যবহার করা।
  •  রোদে বাইরে গেলে ছাতা ব্যবহার করা বা ওড়না দিয়ে চুল ঢেকে রাখা।
  •  প্রতিদিন পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করলেও একদিন পরপর শ্যাম্পু ব্যবহার করা। 
  • মাথার ত্বকে শ্যাম্পু এবং চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করা।
  • মাসে অন্তত দুই থেকে তিনবার চুলে তেল ব্যবহার করা।

সতর্কতা
বর্ষায় মাথার ত্বক ও চুলের সমস্যায় সবচেয়ে বেশি ভোগেন তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা। তৈলাক্ত ত্বকে আর্দ্র আবহাওয়ায় সহজেই ছত্রাক জন্মাতে পারে। তাই এ সময় মাথার ত্বক ও চুলের যত্নে একটু বেশি সাবধানতা অবলম্বন করা দরকার। অনেকেই মনে করেন, বর্ষায় চুলে তেল ব্যবহার করলে চুল আরও তেলতেলে হয়ে যাবে। এ ভয়ে অনেকেই তেল ব্যবহার করেন না। তেল ব্যবহার না করা কোনো সমাধান নয়। চুলের যত্নে সবচেয়ে প্রাচীন যে উপাদানটি ব্যবহৃত হয়ে আসছে তা হচ্ছে তেল। মাথার ত্বকে সপ্তাহে অন্তত দুদিন তেল ব্যবহার করুন। এতে চুলের গোড়া যেমন মজবুত হবে, তেমনি চুলের উজ্জ্বলতাও বাড়বে। বর্ষায় কন্ডিশনার ব্যবহার করেন না কেউ কেউ। এটি ঠিক নয়। এতে চুল আরও রুক্ষ হয়ে পড়ে।

শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। কন্ডিশনার চুলের প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায় এবং চুলকে আরও মসৃণ করে তোলে। এছাড়া ভেষজ উপাদান ব্যবহার করতে পারেন। যেমন- মেথি, অ্যালোভেরা। অ্যালোভেরা মাথার ত্বক ও চুলের জন্য দারুণ কার্যকর। এতে থাকা ভিটামিন-ই মাথার ত্বক পরিচর্যার জন্য আদর্শ এক উপাদান।

মাথার ত্বক ও চুলের পরিচর্যা শুধু বাইরে থেকে করলেই হবে না। পুষ্টিকর খাবার নিয়মিত খেতে হবে। সে সঙ্গে প্রচুর পানি পান ও পর্যাপ্ত ঘুম নিশ্চিত করতে হবে। চুলের পরিচর্যায় ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করতে পারেন। তবে নিজে নিজে ওষুধ সেবন করা যাবে না। চুলের সমস্যা বেড়ে গেলে বা ছত্রাক দেখা দিলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

রবিবার, ২৬ মে, ২০২৪

মুখের ব্রন দুর করার ৬ টি ঘরোয়া উপায়




বাড়িতে হাতের কাছেই রয়েছে এমন অনেক উপাদান, যা দিয়ে অতি সহজে সমাধান করা যায় মুখের ব্রণের

শসা


কেবল খাদ্যগুণই নয়, শসার নানা গুণ রয়েছে। তার মধ্যে একটা অবশ্যই ত্বকের কাজে লাগা। এতে রয়েছে ভিটামিন এ, ডি এবং ই। এর প্রতিটিই ত্বকের জন্য মারাত্মক ভালো। শসা থেঁতো করে মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন। ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে নিন মুখ। এছাড়াও শসাকে অন্যভাবে ব্যবহার করতে পারেন। শসা গোল গোল করে কেটে অন্তত একঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেই পানি খেয়েও নিতে পারেন, বা ওই পানি দিয়ে মুখও ধুয়ে নিতে পারেন।

টুথপেস্ট

ফেসপ্যাকের মতো করে ব্যবহার করতে পারেন টুথপেস্ট। মুখের অতিরিক্ত তেল টেনে নেওয়ায়র ক্ষমতা আছে এই পেস্টের। ফলে তৈলাক্ত ত্বকের কারণে যাদের মুখে ব্রণ বা গোটা বেরয়, তারা টুথপেস্ট ব্যবহার করে উপকার পেতে পারেন। তবে বেশি নয়, খুব অল্প পরিমাণে ব্যবহার করুন ব্রণের জায়গায়। সমস্যা না হলে পরিমাণ বাড়ান।

গ্রিন টি


গ্রিন টি গোটা বা ব্রণের বিরুদ্ধে খুবই কার্যকরী। গরম পানি গ্রিন টি বানান। তারপর সেই গ্রিন টি একদম ঠাণ্ডা করে ব্রণ বা গোটার জায়গায় ব্যবহার করুন। তুলায় ভিজিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সে ক্ষেত্রে ভালো করে ত্বকের ওপর মিশতে পারবে চায়ের মিশ্রণটি। যদি টি ব্য়াগ থেকে গ্রিন টি বানান, তাহলে ঠাণ্ডা গ্রিন টি ব্যাগটিও রাখতে পারেন ত্বকের ওপর। মিনিট ২০ রাখার পর ধুয়ে নিন।

অ্যাসপিরিন

খাওয়ার ওষুধ হিসেবেই নয়, ব্রণ বা গোটা সারাতেও এই ওষুধের জুড়ি নেই। এতে থাকা স্যালিসাইলিক অ্যাসিড ব্রণ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে দেয়। চার-পাঁচটা ট্যাবলেট প্রথমে গুঁড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো অল্প পানির সঙ্গে মেশান। এমনভাবে মেশাবেন, যাতে একটা পেস্ট তৈরি হয়। রাতে শুতে যাওয়ার আগে পেস্ট আক্রান্ত জায়গায় লাগান। সকালে উঠে ধুয়ে ফেলুন। ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে, কয়েক মিনিট লাগিয়ে রেখে ধুয়ে নিতে পারেন।

রসুন

রসুন ব্রণের বড় শত্রু। এটি ব্যবহার করাও খুব সহজ। এক-দুই কোয়া রসুন দুই টুকরা করে কেটে নিন। তারপর ব্রণের জায়গায় রসটা লাগান। মিনট পাঁচেক পরে ধুয়ে ফেলুন। রাতে শুতে যাওয়ার আগে এটা করলে পরদিন সকালে ত্বকের উন্নতি টের পাবেন।

লেবুর রস

তুলায় করে লেবুর রস ব্রণের জায়গায় লাগিয়ে নিতে পারেন। লেবুর রসের সঙ্গে দারুচিনির মিশ্রণ তৈরি করে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে সেটা ব্রণের ওপর লাগিয়ে রাখতে পারেন। সকালে হালকা উষ্ণ পানিতে ধুয়ে নেবেন।

শনিবার, ২৫ মে, ২০২৪

এত গরমেও নিজের মেকআপ ঠিক রাখুন


হালকা মেকআপ


গরমে ভারী মেকআপ না করাই ভালো। এসময় যতটা সম্ভব হালকা মেকআপ করবেন। চুল বেঁধে রাখলে গরম কম লাগবে। সঙ্গে টিস্যু বা রুমাল রাখবেন। যাতে মেকআপ ঠিকঠাক করা সহজ হয়। মেকআপ ব্যবহারের আগে মুখ ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এরপর শুকনা ও পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুছুন। এরপর আইস ব্যাগ ব্যবহার করুন। এতে মেকআপের স্থায়িত্ব বাড়বে। মুখ শুকিয়ে গেলে মেকআপ শুরু করুন।

প্রাইমার ব্যবহার

মেকআপ দীর্ঘ সময় ধরে রাখতে চাইলে প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে। তাই মেকআপের শুরুতে প্রাইমার লাগিয়ে নিন। এরপর ব্যবহার করুন ফাউন্ডেশন। খুব সুন্দরভাবে ব্লেন্ড করে নিন। এতে ত্বক মসৃণ দেখাবে।


চোখের মেকআপ

গরমের সময়ে সবার আগে গলতে শুরু করে চোখের মেকআপ। তাই চোখের সাজের দিকে নজর রাখা জরুরি। চোখের সাজ যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য ওয়াটার প্রুফ কাজল বা আই লাইনার ব্যবহার করুন। এতে চোখের সাজ লেপ্টে যাওয়ার ভয় থাকবে না। শ্যাডোর ক্ষেত্রে চেষ্টা করুন গাঢ় রংগুলো এড়িয়ে যেতে। গরমে ভারী সাজে দেখতে সুন্দর লাগবে না। হালকা বা ন্যুড শেডের শ্যাডো ব্যবহার করুন। সেইসঙ্গে সেটি যেন ওয়াটার প্রুফ হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন।

ঠোঁটের সাজ

সব রঙের লিপস্টিক সবাইকে মানায় না। লিপস্টিকের কিছু শেড আছে যেগুলোতে হয়তো আপনাকে দেখতে বয়স্ক লাগতে পারে বা আপনাকে কম মানাতে পারে। সেসব শেড এড়িয়ে চলুন। এটি শুধু গরমে নয়, সব সময়েই করবেন। গাঢ় লাল, বেগুনি, হলুদ ইত্যাদি রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করলে বয়স্ক বেশি লাগে। তাই এগুলো বাদ দিন। এসময় যতটা সম্ভব ম্যাট ফিনিশ লিপস্টিক ব্যবহার করুন। কারণ ক্রিমি লিপস্টিকের থেকে ম্যাট লিপস্টিক দীর্ঘস্থায়ী হয়।

মেকআপ শেষে

মেকআপ করা শেষ হলেই উঠে চলে যাবেন না। স্থির হয়ে বসুন আয়নার সামনে। খেয়াল করে দেখুন সব ঠিক আছে কি না। আপনাকে সত্যিই মানাচ্ছে কি না। কোনো অসঙ্গতি থাকলে ঠিক করে নিন। আর হ্যাঁ, মেকআপের শেষে অবশ্যই ফিক্সার স্প্রে করে নেবেন।

বৃহস্পতিবার, ২৩ মে, ২০২৪

মেছতা দূর করার ৬ টি ঘরোয়া উপায়




মেছতা বড় বেহায়া সংক্রামক! একবার মুখে বসতে পারলে আর ওঠাউঠির নাম নেই। মেছতা দূর করতে কতজনের কত রকমই না প্রচেষ্টা। তবে মেছতা দূর করতে বাজারের বিভিন্ন কেমিক্যাল উপাদানের চেয়ে ঘরোয়া উপায়ই উত্তম। থাকলো মেছতা দূর করার ঘরোয়া কিছু উপায়-

১। টমেটো
টমেটোর ভিটামিন সি মেছতা দূর করতে অনেক উপকারী। একটা টমেটো কেটে মেছতার অংশটুকু প্রতিদিন ৫ থেকে ৮ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এতে মেছতা খুব দ্রুত হালকা হয়।

২। দারচিনি ও দুধের সর
এক চিমটি দারুচিনি গুড়ো এবং সামান্য দুধের সর হাতের তালুতে আঙুল নিয়ে ভালো করে মেশান। এরপর এই মিশ্রণটি মেছতার দাগের ওপর লাগান। এরপর ১৫ মিনিট অপেক্ষা করে শুকিয়ে এলে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে আলতো ঘষে তুলে ফেলুন। এটি প্রতদিন ঘুমানোর আগে ব্যাবহার করলে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

৩। লেবুর রস ও চিনি
প্রথমে একটা লেবু চিপে নিয়ে তা পরিষ্কার তুলা দিয়ে সরাসরি মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এরপর ১৫ মিনিট পর আরেক টুকরা লেবুর উপর আধা চামচ চিনি ছড়িয়ে নিয়ে মেছতার উপর হালকা করে ৫ মিনিট ঘষে নিন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি প্রতিদিন ব্যবহারে দ্রুত মেছতা দূর হয়।

৪। ছোলার ডাল
যাদের মুখে বয়সের জন্য মেছতা পড়ে তারা ছোলার ডাল ব্যবহার করে অনেক উপকার পেতে পারেন। এজন্য প্রথমে ছোলার ডাল সারাদিন ভিজিয়ে রেখে দিন। এরপর আধা কাপ ছোলার ডালের সাথে ১ চামচ মধু মিশিয়ে পানির পরিবর্তে কাচা দুধ দিয়ে মিহি করে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এটি মেছতার সাথে সাথে ত্বকের রিঙ্কেলস দূর করতেও সাহায্য করে।

৫। এলোভেরা
এলোভেরার পাল্প ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক উপকারী। একটি এলোভেরা কেটে এর জেলো এক চামচ মধুর সাথে মিশিয়ে মেছতার উপর লাগিয়ে নিন। এবার ২০ মিনিট পর হালকা আঙ্গুল দিয়ে ঘষে কুসুম গরম পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

৬। টক দই
মুখের মেছতা দূর করতে টকদইয়ের বিকল্প নেই। ২ চামচ টকদই এর সাথে আধা চামচ মধু মিশিয়ে পেষ্ট তৈরী করে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন। এটি সপ্তাহে ৪ দিন ব্যাবহারে খুব দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়।

সোমবার, ২০ মে, ২০২৪

ত্বকের উজ্জলতায় ৫ টি ঘরোয়া উপায়

           





পুষ্টিকর ও প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে দিনে মাত্র সহজ ৫টি বিউটি টিপস ফলো করলেই ফল পাবেন।


১। ঘাড়ে কালো দাগ দূর করতে বেসন ব্যবহার করুন

ঘাড়ের কাছে কালো ছোপ পরিস্কার করতে রান্নাঘরে মজুত করা বেসন পাউডার ব্যবহার বহুযুগ ধরেই চলে আসছে। বেসন হল সবচেয়ে সহজলোভ্য ও সস্তায় ঘরোয়া উপকরণ। জল বা দুধের সঙ্গে মিশিয়ে ঘাড়ের কালো ছোপের উপর ব্যবহার করতে পারেন। কয়েক মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। ত্বককে এক্সফোলিয়েট করতে ও ছিদ্রগুলি পরিস্কার করতে সাহায্য করে।

২। উজ্জ্বলতার জন্য হলুদ ব্যবহার করতে পারেন

হলুদের ব্যবহার ভারতে প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। হলুদ যেমন রান্নায় রঙ ও স্বাদ আনতে সাহায্য করে, তেমন মহিলাদের ত্বকে প্রাকৃতিকভাবে উজ্জ্বলতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে। স্নান করা সময় মুখে ও গায়ে-পায়ে সতেজ হলুদ বাটা বা পাউডার ব্যবহার করলে সৌন্দর্যে নারীত্ব ছোঁয়া পায়। হলুদে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতি রয়েছে।

৩। শসা ও আইস কিউব

শসার টুকরো মনকে শিথিল করে না, বরং চোখের নীচে কালো ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। হালকা অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট বৈশিষ্ট্যের উপস্থিতির কারণে এটি সম্ভব। তাজা শসার টুকরো চোখের উপর রাখলেই চলবে। এই সময় চোখ বুজে পছন্দের গান বা মিউজিক শুনলে হ্যাপি হরমোনগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। আর এটাই হল সবচেয়ে সহজ ও অসাধারণ বিউটি টিপস।

৪। পায়ের সঠিক যত্ন

গোটা মুখের ও হাতের যত্ন নেওয়ার পাশাপাশি পায়ের পরিচর্চা করতে ভুলবেন না যেন। কারণ পায়ের উপরই গোটা শরীরটির ওজন বহন করার দায়িত্ব রয়েছে। ক্লান্ত ও শুষ্কতা থেকে মুক্তি পেতে হালকা গরম জলে পা ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন পুনরুজ্জীবিত করুন।

৫। সঠিক খাবার খান

সঠিক ধরনের খাবার খান। ভিটামিন, প্রোটিন, ফাইবার ও অন্যান্য-সহ প্রয়োজনীয় পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার খান। আপনি কি খাবার খাচ্ছেন, তার প্রকাশ পাবে ত্বকে। তাই স্বাস্থ্য়কর খাবার গ্রহণ করলে ত্বক থাকবে সুস্থ, কোমল ও উজ্জ্বল।