প্রতি মৌসুমেই ত্বকের আলাদা রকম যত্ন
দরকার। কখনো শুষ্কতা কেড়ে নেয় ত্বকের কোমলতা, কখনো গরমে পড়ে কালো ছোপ।
বিশেষ করে বৃষ্টির এই সময়টা পায়ের ত্বকের যত্ন নিতে হয় বেশি। কেননা, এ সময়
পা জোড়ার ওপর দিয়েই বেশি ধকল যায়। রাস্তার নোংরা পানি, কাদা এমন অনেক কিছুর
ওপর দিয়েই চলতে হয়। আর যখন-তখন বৃষ্টির পানিতে ভেজা তো আছেই। জেনে নিন
পায়ের যত্নে কী করা উচিত এই সময়ে।
হাত ও মুখ ধোয়ার মতো প্রতিদিন পায়ের যত্ন
নেওয়া জরুরি। গোসলের সময়ই ব্রাশ ব্যবহার করে পা ধুয়ে নেওয়ার পরামর্শ দেয়
রূপবিশেষজ্ঞরা। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে পা ধুয়ে লোশন, তেল বা
পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে রাখুন। এ ধরনের যত্নগুলো প্রতিদিন নিলে পায়ের
ত্বকের সমস্যা কমে আসবে অনেকটা।
রূপবিশেষজ্ঞরা জানান, এ সময়টায় পায়ে
ফুসকুড়ি পড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। বিশেষ করে যাঁদের ত্বক সংবেদনশীল। এ
ক্ষেত্রে পায়ে মোম লাগিয়ে পেডিকিওর করার পদ্ধতিটা আরাম দেবে। বর্ষার সময় ১৫
দিন পরপর পেডিকিওর করানো উচিত। বাড়িতে সপ্তাহে দুই দিন স্ক্রাব ব্যবহার
করতে পারেন। চালের গুঁড়ার সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন। পায়ে র্যাশ
ওঠার প্রবণতা থাকলে নিমপাতার পেস্ট যোগ করে নিন। উজ্জ্বলতা বাড়াতে চাইলে
হলুদের গুঁড়া যোগ করে নিন স্ক্রাবের পেস্টে। বাড়িতে পেডিকিওর করার সময়
হালকা গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে নিন। এক টেবিল চামচ শ্যাম্পু এক গামলা পানিতে
মিশিয়ে নিয়ে সেটাতেও পা ভিজিয়ে রাখতে পারেন কিছুক্ষণ। চামড়া নরম হয়ে এলে
ঝামা দিয়ে ঘষে নিন।
নখ পরিষ্কার করার সময় পুশার ব্যবহার করতে
পারেন। যাঁদের বহুমূত্র রোগ আছে, তাঁরা কাঠের কাঠি ব্যবহার করুন। শাসলিকের
কাঠির আগা ভেঙে নিয়েও এ কাজে লাগাতে পারেন। নখের ওপরের অংশ পরিষ্কার করার
আগে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগিয়ে নিন। এরপর লেবুর টুকরা নিয়ে নখ ঘষলেই চকচকে
ভাব চলে আসবে। পা জোড়াকে ভালোমতো ময়েশ্চার করতে সবার শেষে পেট্রোলিয়াম জেলি
লাগাতে পারেন। এতে শুষ্কতা কমে আসবে অনেকখানি।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন