(১) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ ব্রেইনের রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। যার ফলে চুল পড়া বন্ধ হয় এবং নতুন চুল গজায়।
(২) জীবনের বিভিন্ন সময়
অনেক কঠিন হয়ে পড়ে আমাদের জন্য। দুশ্চিন্তা, কাজের চাপ, মানসিক অশান্তি
অনেক কারণেই ব্রেইন-এর রক্ত সঞ্চালন বন্ধ হয়ে যায়, ঘুম কম হয়, ব্যথা বাড়ে।
তখন হালকা গরম তেল দিয়ে চুলের যত্নে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ খুব ভাল কাজে আসে।
আপনি আরামবোধ এর পাশাপাশি অনেকটাই সতেজ অনুভব করবেন।
(৪) গরম তেল দিয়ে স্ক্যাল্প ম্যাসাজ করলে চুলের ফলিকল-গুলো রিল্যাক্স হয়। তালু এবং চুল যত শক্ত অনুভব হবে তত চুল পড়া বেড়ে যাবে।
(৫) স্ক্যাল্প ম্যাসাজ যদি ভালো মানসম্পন্ন তেল যেমন আমলকী, মেথি এবং অ্যালোভেরাযুক্ত অয়েল” দিয়ে
হয় তাহলে তো চুলের স্বাস্থ্য নিয়ে আর চিন্তাই করার দরকার নেই কোন। আমলকী
কিন্তু আমাদের হেয়ার রুট শক্ত ও মজবুত করে হেয়ারফল একদম কমিয়ে দেয়। আর
মেথিতো চুলকে পরিপুষ্ট করে অতিরিক্ত চুল পড়া বন্ধ করতে পটু, এ আমাদের সবার
জানা! অপরদিকে ন্যাচারাল কন্ডিশনার হিসেবে অ্যালোভেরার জুরি নেই। আর এই
তিনটি উপাদানকে কম্বাইন করে প্যারাসুট অ্যাডভান্সড এক্সট্রা কেয়ার হেয়ার
অয়েল দিচ্ছে হেলদি হেয়ারের জন্য একটি পারফেক্ট সল্যুশন।
তাই হাতে যদি সময় না থাকে, তো ১-২ঘন্টা
চুলে এই তেল রেখে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেললেই হবে। নিয়মিত হেয়ার কেয়ারের
মাধ্যমে ঝলমলে চুল নিশ্চিত করতে এই প্রসেস-টা খুবই ইফেক্টিভ।
(৬) প্রতিদিন তেল দেয়া
সম্ভব নয়। কিন্তু সপ্তাহে অন্তত ২দিন তেল দেয়াটা চুলের জন্য উপকারি। তেল
ছাড়াও প্রতিরাতে চুল ভালভাবে আঁচড়িয়ে উপুড় হয়ে ঘাড়-এর অংশ থেকে ১০ মিনিট
ম্যাসাজ আপনার চুল পড়া একেবারে কমিয়ে দিবে এবং চুলকে করবে আকর্ষণীয়।
(৭) সঠিক স্ক্যাল্প ম্যাসাজ চুলের খুশকি রোধ করে, পরিমিত ঘুমে সহায়তা করে এবং মুখের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
(৮) যাদের থাইরয়েড-এর অসুবিধা আছে, তাদের এই অসুখ নিয়ন্ত্রণে থাকে, সাথে শরীরের সঠিক তাপমাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
(৯) নিয়মিত স্ক্যাল্প ম্যাসাজ ডিপ্রেশনের সমস্যা দূর করে।
(১০) চোখের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ এর তুলনা হয় না, হাইপারসেন্সিটিভিটি বা নার্ভাসনেস দূর করে।
(১১) যাদের মাইগ্রেইন বা মাথা ব্যথার অসুবিধা আছে, তাদের জন্য স্ক্যাল্প ম্যাসাজ বেশ কার্যকরী।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন