১। ক্লিঞ্জার
তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের সালফেট সমৃদ্ধ ক্লিঞ্জার ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এই ধরণের ক্লিঞ্জার দিয়ে ঘন ঘন মুখ ধুলে র্যাশ হতে পারে। দিনে ২-৩ বার ক্লিঞ্জার দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে পারেন। কিন্তু এর চেয়ে বেশিবার ধোয়ার প্রয়োজন হলে শুধুমাত্র পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
২। টোনিং
তৈলাক্ত ত্বকের জন্য টোনিং অত্যাবশ্যক নয়। যদি আপনার টোনিং ব্যবহার করার অভ্যাস থাকে তাহলে ব্যবহার করতে পারেন। যদিও এর অতিরিক্ত ব্যবহার আপনার ত্বকের ক্ষতি করে থাকে।
৩। ময়েশ্চারাইজার
দিল্লীর ডারমাটোলজিস্ট ডা. দীপালী ভরদ্বাজ বলেন, “তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের ভিটামিন ই ও প্যারাবেন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার এড়িয়ে চলা উচিৎ, এর ব্যবহারে ব্রণ হতে পারে”। ওয়াটার বেইজড পণ্য ব্যবহার করুন। পেট্রোলিয়াম জেলী এড়িয়ে যাওয়া ভালো এমনকি শীতকালেও। শিয়া বাটার ব্যবহার করলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বন্ধ হয়ে যায় এবং ত্বককে আরো বেশি তৈলাক্ত করে তুলে।
৪। মেকআপ
ডা. শিরিসার মতে, আঠালো ফাউন্ডেশন ব্যবহার অবশ্যই এড়িয়ে চলুন। এগুলোতে অনেক বেশি পরিমাণে তেল থাকে। ফলে এই ধরণের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করলে আপনার মুখটি একটি তেলের থালা মনে হবে। পাউডার বেইজড ব্লাশন ও আই শ্যাডো ব্যবহার করুন।
৫। ফেশিয়াল
খুব ঘন ঘন মুখ পরিষ্কার করলে মুখে যন্ত্রণা হতে পারে এবং মুখের ত্বকের ছিদ্রগুলো বড় হয় ও খুলে যায়। ক্রিম বেইজড ফেশিয়াল আপনার ত্বকের কোন উপকার করেনা। বরং জেল বেইজড ফেশিয়াল করুন।
টিপস :
· অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ও ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার খান
· মেকাপের পূর্বে পাউডার প্রাইমার লাগিয়ে নিন
· ঘুমের সময় বালিশের উপর একটি পরিষ্কার তোয়ালে বিছিয়ে নিন যাতে মুখের অতিরিক্ত তেলটুকু শুষে নিতে পারে এবং বালিশের কভারটি পরিষ্কার থাকে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন