* পানি শূণ্যতার কারণে এসময় ত্বকের আর্দ্রতা কমে গিয়ে প্রাণহীন ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। ময়শ্চারাইজিং ক্রিম বা লোশন ব্যবহারের মাধ্যমে ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে পারেন। যাদের ত্বক সাধারণ বা তৈলাক্ত তারা ওয়াটার বেইজড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। আর যাদের ত্বক শুষ্ক তারা ওয়াক্স বা ইমোলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। এগুলো ত্বকের গভীরে আর্দ্রতা যোগিয়ে ত্বক ফেটে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা করবে।
* রমজান মাসে সব রকমের টোনার জাতীয় প্রসাধন এড়িয়ে চলা উচিত। এই ধরণের প্রসাধনী বেশি ব্যবহারে ত্বক আরও শুষ্ক হয়ে যায়।
* এসময় ঠোঁট অনেক বেশি ফেটে যায়। রাতে ঘুমাবার আগে ঠোঁটে ভাল করে ভ্যাসলিন বা পেট্রোলিয়াম জেলি দিয়ে ঘুমাতে যাবেন। বেশি শুষ্ক ঠোঁটের যত্নে হালকা গরম নারিকেল তেল ম্যাসাজ করে লাগান।
* অ্যালমন্ড বা কাঠবাদাম বাটা, ঠাণ্ডা দুধ এবং গোলাপ জল দিয়ে তৈরি ফেস প্যাক নিয়মিত ব্যবহার করুন। এটি শুষ্ক পানিশূন্য ত্বকের জন্য খুবই উপকারী।
* মুখের সাথে সাথে শরীরেরও যত্ন নিন। নিয়মিত ত্বকের উপযোগী ভাল কোন বডি লোশন ব্যবহার করুন।
* কড়া পারফিউম ব্যবহার না করে মিষ্টি সুবাসের হালকা রোজ ফ্রাগরেন্সের পারফিউম ব্যবহার করুন।
* রমজানে হালকা মেকাপের মাঝে নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখুন। ঘর থেকে বের হবার আগে সামান্য কনসিলার, কমপ্যাক্ট পাউডার লাগান। রোজায় ঠোঁটে কোন প্রসাধনী না লাগানোই ভাল।
* চোখে ব্রাউন বা ন্যাচারাল শেইডের কোন আই শ্যাডো লাগান। কাজল লাগান এবং কাল বা ব্রাউন কোন পেন্সিল লাইনার দিয়ে চোখ এঁকে নিন।
* ইফতার থেকে সেহরির সময় পর্যন্ত প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন। ভাজা পোড়া যথাসম্ভব এড়িয়ে চলুন। ত্বকের যত্নে পানি, স্বাস্থ্যসম্মত খাবারের কোন বিকল্প নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন