পোলিও এর প্রকোপ একসময় যেভাবে দেখা দিয়েছিল এখন সেভাবে না থাকলেও এখনো কোন কোন দেশের ৫ বছরের নিচের বয়সের শিশুরা এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং প্যারালাইজড হয়। প্যারালাইসিসের ক্ষেত্রে পায়ের অংশই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আক্রান্ত হয় এবং এর ৫ থেকে ১০ শতাংশ আক্রান্ত শিশু শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগে মারা যায়।
বেশিরভাগ রোগ সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব নয়। পোলিও অল্প কিছু রোগের মধ্যে একটি যেটি পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল করা সম্ভব। কারণ পোলিও এর জীবাণু মানুষের শরীরের বাইরে বেশীক্ষণ বাঁচতে পারে না।
বিশ্বব্যাপী এখন পর্যন্ত পোলিও প্রায় ৯৯ শতাংশ দূর করা সম্ভব হয়েছে।
আফগানিস্থান, পাকিস্থান ও নাইজেরিয়া শুধুমাত্র এই তিনটি দেশের স্বাস্থ্যনীতি, স্যানিটেশন ব্যবস্থা দূর্বল হওয়ার কারণে এখনও এখানে শিশুরা উল্লেখযোগ্য হারে পোলিও রোগে আক্রান্ত হয়।
পোলিও দূর করার জন্য যে ভ্যাকসিন ব্যবহার করা হয় তা কমমূল্যের ও সহজলভ্য। আর বাংলাদেশের সকল জায়গায় এই ভ্যাক্সিন বিনামূল্যে সকল শিশুকে দেয়া হয়।
পোলিও দূরীকরণের এই প্রকল্প বিশ্বের সর্ববৃহৎ সরকারী-বেসরকারী দ্বৈত সহায়তায় পরিচালিত স্বাস্থ্য প্রকল্প।
পোলিও দূরীকরণের জন্য প্রত্যেকটি শিশুর ভ্যাকসিন গ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
পোলিও দূরীকরণ প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত ত জনবল, অর্থ বর্তমানে শিশুদের অন্যান্য স্বাস্থ্য ও পুষ্টি উন্নয়নের কাজেও ব্যবহৃত হয় যা বিশ্বব্যাপী প্রায় দেড় মিলিয়ন শিশুকে মৃত্যুর থেকে বাঁচিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাপকভাবে সারা দেশে প্রায় বছর ধরে চলা ই,পি,আই নামক টিকাদান কর্মসূচী পোলিও নির্মূলে প্রধান অবদান রেখেছে, এছাড়া প্রতি বছর আয়োজন করা জাতীয় পোলিও টিকা দিবসের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
বাংলাদেশে ২০০০ সালের পর আর কোন নিশ্চিত পোলিও রুগী পাওয়া যায়নি, কিন্তু তখনও ভারতে পোলিও নির্মূল না হওয়াতে এই এলাকাকে পোলিও মুক্ত ঘোষণা করা হয় নি.এর তিন বছর পর দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে WHO ২০১৪ তে পোলিওমুক্ত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন