টকদই ও টমেটো
টকদই এবং টমেটো দুটোতেই প্রাকৃতিক ব্লিচিং
উপাদান আছে। এজন্য সানট্যান দূর করতে এদের জুড়ি নেই। এক টেবিল চামচ টকদই
আর এক টেবিল চামচ টমেটো বাটা একসাথে মিশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০
মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। একটানা সাতদিন করলেই দেখবেন ট্যান তো দূর
হয়েছেই, সেই সাথে ত্বকের রংও কিছুটা হালকা হয়ে গেছে।
বেসন, লেবুর রস ও টকদই
বেসন প্রাকৃতিকভাবে ত্বক পরিষ্কার করে। আর
লেবুর রস এবং টকদই ব্লিচিং এর মাধ্যমে ত্বকের রঙ হালকা করে। ফলে এই
প্যাকটি নিয়মিত ব্যবহারে সানট্যান দূর হওয়ার সাথে সাথে ত্বকে লেগে থাকা
ধুলো-ময়লা সাফ হয়ে যাবে। এর জন্য এক চা চামচ বেসন, এক চা চামচ টকদই ও এক চা
চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে ট্যানড ত্বকের উপর লাগিয়ে রাখতে হবে ২০
থেকে ২৫ মিনিট। তারপর ভালো করে ধুয়ে ফেললেই হবে । ভালো ফল পেতে সপ্তাহে
অন্তত তিনদিন ব্যবহার করতে হবে ।
মসুর ডাল বাটা , টকদই ও হলুদ
এই তিনটি উপাদানই ত্বকের রঙ হালকা করে।
ফলে এদের নিয়মিত ব্যবহারে অনেক কড়া ট্যানও আস্তে আস্তে দূর হয়ে যায়। এক
টেবিল চামচ মসুর ডাল বাটা নিন। এর সাথে মিশান এক চামচ টকদই ও এক চিমটি হলুদ
গুঁড়ো । এবার এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন আধা ঘন্টা। এরপর ভালো করে মুখ
ধুয়ে ফেলুন। তবে একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। হলুদ গুঁড়োটা যেন খাটি হয়।
বাজারের যেনতেন নকল হলুদ গুঁড়ো ব্যবহারে উল্টো ফল হতে পারে।
চন্দন , বেসন ও লেবুর রস
এক চা চামচ চন্দনের গুঁড়ো , এক চা চামচ
বেসন আর এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মশিয়ে মুখে ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ২০
থেকে ২৫ মিনিট। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে
ট্যান আস্তে আস্তে কমে যাবে।
অ্যালোভেলা জেল ও লেবুর রস
এক চা চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে হাফ চা
চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার এটি মুখে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ।
প্যাকটি হালকা শুকিয়ে আসলে হাত দিয়ে আলতোভাবে মিনিট দুই ম্যাসাজ করে মুখ
ধুয়ে ফেলুন। একটা বিষয় খেয়াল রাখবেন। এই প্যাকটি দেবার এক ঘন্টার মধ্যে
রোদে বের হবেন না বা চুলায় রান্না করবেন না। তাহলে ত্বক আরো পুড়ে যাবে।
আলুর রস ও লেবুর রস
সমপরিমাণ আলু ও লেবুর রস মিশিয়ে ট্যানড
ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। এরপর ত্বক ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন একবার করে এই
প্যাকটি লাগিয়ে দেখুন। ট্যান কমবেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন