শনিবার, ২৫ অক্টোবর, ২০২৫

ঘরোয়া লিপ বাম তৈরি

 



আপনি যদি কেমিক্যাল-মুক্ত এবং প্রাকৃতিক লিপ কেয়ার পছন্দ করেন, তবে এই ঘরোয়া লিপ বাম আপনার জন্য একদম পারফেক্ট। কোকো বাটার, নারিকেল তেল এবং হালকা রঙিন মোম দিয়ে তৈরি এই লিপ বাম ঠোঁটকে নরম, মসৃণ এবং হাইড্রেটেড রাখে। 

উপকরণ:

  • কোকো বাটার – ১ টেবিল চামচ

  • নারিকেল তেল – ১ টেবিল চামচ

  • হালকা রঙিন বিটরুট পাউডার বা লিপ-ফ্রেন্ডলি মোম – ১ চা চামচ

  • (ঐচ্ছিক) ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট বা ইসেন্স – ২-৩ ফোঁটা

 প্রণালী:

  1. একটি ছোট পাত্রে কোকো বাটার, নারিকেল তেল ও মোম একসাথে ডাবল বয়ারের পদ্ধতিতে গলান।

  2. সব উপকরণ ভালোভাবে মিশে গেলে, যদি চাইলে হালকা রঙের বিটরুট পাউডার বা লিপ-ফ্রেন্ডলি রঙ যোগ করুন।

  3. একসাথে ২–৩ মিনিট নেড়ে সমান মিশ্রণ তৈরি করুন।

  4. মিশ্রণটি কাচের ছোট জারে ঢেলে ঠাণ্ডা হতে দিন।

  5. ঠাণ্ডা হলে জার ঢেকে রাখুন। এখন আপনার প্রাকৃতিক লিপ বাম প্রস্তুত।

 ব্যবহার টিপস:

  • প্রতিদিন সকালে ও রাতে প্রয়োগ করলে ঠোঁট নরম ও হাইড্রেটেড থাকে।

জারটি যেকোনো ব্যাগে বা পকেটে সহজে বহন করা যায়।

বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫

ড্যানড্রাফ মুক্ত চুলের জন্য প্রাকৃতিক উপায়

 

 

চুলে খুশকি বা ড্যানড্রাফ শুধু চুলকানি নয়, এর সঙ্গে চুল পড়া, রুক্ষতা এবং স্কাল্পের জ্বালাভাবও দেখা দেয়।
কিন্তু চিন্তা নেই — ঘরোয়া কিছু সহজ উপায়েই আপনি পেতে পারেন খুশকিমুক্ত, মসৃণ ও স্বাস্থ্যকর চুল।


 ১️.নারকেল তেল ও লেবুর ম্যাজিক

  • ২ টেবিল চামচ নারকেল তেলের সঙ্গে ১ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে হালকা গরম করুন।

  • চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন এবং ৩০ মিনিট পর মাইল্ড শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
      এতে স্কাল্প পরিষ্কার হয় এবং লেবুর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ খুশকি দূর করে।


২️.অ্যালোভেরা জেল

  • তাজা অ্যালোভেরা জেল স্কাল্পে লাগিয়ে ২০–২৫ মিনিট রাখুন।

  • তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
      এটি স্কাল্প ঠান্ডা রাখে, খুশকি কমায় এবং চুলে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনে।


 ৩️.মেথি বীজ পেস্ট

  • ২ টেবিল চামচ মেথি বীজ একরাত ভিজিয়ে রেখে সকালে পেস্ট করুন।

  • চুলে ও স্কাল্পে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন, তারপর ধুয়ে ফেলুন।
      মেথিতে থাকা প্রাকৃতিক অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান খুশকি দূর করতে দারুণ কার্যকর।


 ৪️.টি ট্রি অয়েল

  • শ্যাম্পু করার আগে ২–৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে স্কাল্পে লাগান।
      এতে স্কাল্পের ইনফেকশন ও খুশকি দুটোই নিয়ন্ত্রণে থাকে।


 ৫️.চুল পরিষ্কার রাখুন

  • সপ্তাহে অন্তত ২–৩ বার শ্যাম্পু করুন।

  • চুল ভেজা অবস্থায় বেঁধে রাখবেন না।

  • পর্যাপ্ত পানি পান করুন ও তেল-মসলাযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন।


মঙ্গলবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৫

প্রতিদিনের ক্লান্তি দূর করার প্রাকৃতিক ঘরোয়া পানীয়

 



দিনভর কাজ, চাপ আর দৌড়ঝাঁপে শরীর ও মন দুটোই ক্লান্ত হয়ে পড়ে।
এই ক্লান্তি দূর করতে অজস্র এনার্জি ড্রিংক বা কফির দিকে না গিয়ে — ঘরেই তৈরি করে ফেলো কিছু প্রাকৃতিক ঘরোয়া পানীয়, যা শরীরকে চাঙা করে ও ভেতর থেকে রিফ্রেশ রাখে।


 ১. হলুদ দুধ

হলুদে আছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ, যা শরীরের ব্যথা ও ক্লান্তি কমায়।
রাতে ঘুমানোর আগে ১ গ্লাস গরম দুধে আধা চা চামচ হলুদ ও সামান্য মধু মিশিয়ে খেলে:
✅ শরীর রিল্যাক্স হয়
✅ ঘুম ভালো হয়
✅ পরের দিন ফ্রেশ অনুভব করবে

চাইলে একটু দারুচিনি যোগ করলে স্বাদ ও কার্যকারিতা দুটোই বাড়ে।


 ২. তুলসী-লেবু পানি

তুলসী পাতা শরীরের টক্সিন দূর করে, আর লেবু দেয় ভিটামিন C — যা শরীরে এনার্জি বাড়ায়।
প্রস্তুত প্রণালী:
১ কাপ গরম পানিতে কয়েকটি তুলসী পাতা ও আধা লেবুর রস মেশাও।
চাইলে এক চা চামচ মধু দিতে পারো।

সকালে খালি পেটে খেলেই শরীর হালকা ও মন সতেজ লাগবে।


 ৩. আদা-মধুর চা

আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, মধু দেয় ইনস্ট্যান্ট এনার্জি।
প্রস্তুতি:
১ কাপ পানিতে সামান্য আদা ফোটাও → ছেঁকে নিয়ে ১ চা চামচ মধু মিশাও।
ইচ্ছা করলে একটু লেবুর রস দাও।

 এই চা ক্লান্তি দূর করে, গলা পরিষ্কার রাখে ও মন ভালো করে দেয়।


৪. নারকেল পানি ও লেবু মিক্স

প্রাকৃতিক ইলেক্ট্রোলাইটে ভরপুর নারকেল পানি শরীরকে তাৎক্ষণিকভাবে হাইড্রেট করে।
এর সাথে অল্প লেবুর রস ও এক চিমটি লবণ মিশিয়ে নাও —
  এটি গরমে ক্লান্তি দূর করতে সবচেয়ে কার্যকর পানীয়।

প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি এই ঘরোয়া পানীয়গুলো শুধু শরীর নয়, মনকেও ফ্রেশ রাখে।
প্রতিদিন সকালে বা রাতে একবার খেলে ক্লান্তি কমে যাবে এবং ত্বকও পাবে ভেতর থেকে এক নতুন উজ্জ্বলতা! 


সোমবার, ২০ অক্টোবর, ২০২৫

টমেটো ফেস মাস্কে ত্বক ফর্সা রাখার টিপস

 


টমেটো শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, এটি ত্বক উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত রাখতেও দারুণ কাজ করে!
টমেটোর মধ্যে আছে প্রাকৃতিক লাইকোপিন (Lycopene)অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা সূর্যের তাপ ও দূষণজনিত কালচে দাগ দূর করে ত্বককে ফর্সা ও সতেজ করে তোলে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক ঘরে বসেই কিভাবে টমেটো ফেস মাস্ক ব্যবহার করে ত্বককে সুন্দর ও উজ্জ্বল রাখা যায়। 

১. টমেটো ও লেবুর রস ফেস মাস্ক

এই ফেস মাস্ক ত্বকের ট্যান ও কালচে ভাব দূর করতে কার্যকর।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ চা চামচ লেবুর রস

ব্যবহার:
দুইটি উপাদান মিশিয়ে মুখে লাগান।
১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
সপ্তাহে ২–৩ দিন ব্যবহার করলে ত্বক হবে উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত।


 ২. টমেটো ও মধুর ফেস মাস্ক

মধু ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে আর টমেটো ফর্সা রাখে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ চা চামচ মধু

ব্যবহার:
মিশ্রণটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন।
তারপর হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

এই প্যাক ত্বকে ন্যাচারাল গ্লো আনে।


 ৩. টমেটো ও বেসন (চানাচুরের বেসন) ফেস প্যাক

এই প্যাক ত্বক এক্সফোলিয়েট করে মৃত কোষ দূর করে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ বেসন

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল

ব্যবহার:
মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং মুখে লাগান।
শুকিয়ে গেলে আলতোভাবে ঘষে ধুয়ে ফেলুন।
এতে ত্বক মসৃণ ও ফর্সা হয়।

 ৪. টমেটো ও দুধের ফেস মাস্ক

দুধে থাকা ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বক ফর্সা করতে সহায়তা করে।
যা লাগবে:

  • ১ টেবিল চামচ টমেটোর রস

  • ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ

ব্যবহার:
মিশ্রণটি তুলোর বলে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
  এটি বিশেষভাবে শুষ্ক ত্বকের জন্য উপযোগী।


⚠️ সতর্কতাঃ

  • প্রথমবার ব্যবহার করার আগে প্যাচ টেস্ট করে নিন।

  • চোখের চারপাশে টমেটো রস লাগাবেন না।

  • ব্যবহার শেষে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান।

ফলাফলঃ

নিয়মিত টমেটো ফেস মাস্ক ব্যবহার করলে —
ত্বকের কালচে ভাব দূর হয়
রোদে পোড়া দাগ হালকা হয়
ত্বক হয় ফর্সা, মসৃণ ও দীপ্তিময়


রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫

কর্মজীবী নারীর জন্য প্রতিদিনের মেকআপ লুক

 


কর্মজীবী নারীদের ব্যস্ত জীবনে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সুন্দর, প্রফেশনাল এবং হালকা মেকআপ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই লুকটি দ্রুত করা যায় এবং দিনের সব কাজেই আরাম দেয়।

ডেইলি মেকআপ স্টেপস (৫ মিনিটে)

১.ক্লিনজিং ও ময়েশ্চারাইজার:
হালকা ফেস ওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন
লাইট ময়েশ্চারাইজার লাগান

২.বেস
BB ক্রিম বা টিনটেড ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
কনসিলার দিয়ে চোখের নিচের কালচে দাগ ঢেকে দিন।

৩.চোখের মেকআপ
হালকা ব্রাউন বা ন্যাচারাল আইশ্যাডো।
মাসকারা দিয়ে চোখের ভোলিউম বাড়ান।

৪.গাল
লাইট ব্লাশ (পিচ বা রোজ শেড)।
হাইলাইটার ব্যবহার করলে মুখ উজ্জ্বল দেখাবে।

৫.ঠোঁট
Nude বা হালকা পিঙ্ক লিপস্টিক/লিপ গ্লস।

৬.ফিনিশিং
Setting spray দিয়ে মেকআপ ফ্রেশ রাখুন।

 টিপসঃ

  • প্রোডাক্ট ছোট ও বহনযোগ্য রাখুন

  • চোখের জন্য ন্যাচারাল শেড ব্যবহার করুন, অফিসে স্টাইলিশ কিন্তু সাবলীল লাগে

  • হালকা মেকআপে SPF যুক্ত BB ক্রিম ব্যবহার করলে সূর্য থেকে সুরক্ষা মিলবে।

সপ্তাহে একদিন – হেয়ার কেয়ার রুটিন যা চুল ঘন করবে

 


চুল পাতলা হয়ে যাচ্ছে? হেয়ার ফল কমছে না? অথচ সময় নেই প্রতিদিন ঘন্টার পর ঘন্টা হেয়ার কেয়ারে ব্যয় করার? তাহলে এই “সপ্তাহে একদিন” হেয়ার কেয়ার রুটিন তোমার জন্য একদম পারফেক্ট। মাত্র একদিন সময় দিলেই ধীরে ধীরে চুল ঘন, মজবুত ও প্রাণবন্ত হতে শুরু করবে। নিচে দেওয়া হলো ধাপে ধাপে সম্পূর্ণ গাইড:


ধাপ ১: গরম তেল ম্যাসাজ (Hot Oil Treatment)

সময়: ২০-৩০ মিনিট

উপকরণ:

  • নারকেল তেল – ২ চামচ

  • কালোজিরা তেল – ১ চামচ

  • আমলকি তেল (অথবা ভিটামিন E ক্যাপসুল) – ১ চামচ

পদ্ধতি:
১. একটি বাটিতে সব তেল নিয়ে হালকা গরম করে নাও (খুব গরম নয়)
২. আঙুল দিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করো ২০ মিনিট
৩. তারপর পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট থেকে ১ ঘণ্টা রেখে দাও

উপকারিতা: তেল চুলের গোড়া শক্ত করে, চুল পড়া কমায় ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।


 ধাপ ২: হারবাল হেয়ার প্যাক

সময়: ৩০ মিনিট

উপকরণ:

  • মেথি বাটা – ২ চামচ

  • টক দই – ২ চামচ

  • আমলকি গুঁড়া – ১ চামচ

  • অ্যালোভেরা জেল – ১ চামচ (তাজা হলে ভালো)

পদ্ধতি:
১. সব উপকরণ মিশিয়ে পেস্ট বানাও
2. মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে ভালোভাবে লাগাও
3. ৩০ মিনিট রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলো

উপকারিতা: এই প্যাক চুলের গোড়া পরিষ্কার করে, খুশকি কমায় এবং চুল ঘন ও নরম করে।


 ধাপ ৩: মাইল্ড হারবাল শ্যাম্পু দিয়ে ধোওয়া

সময়: ১০-১৫ মিনিট

যেহেতু প্যাক ও তেল দুইই দিয়েছো, তাই হালকা হারবাল বা সালফেট-ফ্রি শ্যাম্পু ব্যবহার করো। চুলে দু’বার শ্যাম্পু করতে হতে পারে।

উপকারিতা: কেমিক্যাল-মুক্ত শ্যাম্পু চুলের স্বাভাবিক ময়েশ্চার ধরে রাখে।


 ধাপ ৪: হেয়ার রিন্স (চুল ধোয়ার পরের ধাপ)

উপকরণ:

  • ১ লিটার পানি

  • ১ চামচ লেবুর রস

  • ১ চামচ গুলঞ্চ/গ্রিন টি/রোজমেরি পাতার পানি (যেকোনো একটাই)

এই পানি দিয়ে শেষবার চুল ধুয়ে নাও। এটা চুলে অতিরিক্ত কেমিক্যাল জমা আটকায় এবং চুল ঝলমলে করে।


ধাপ ৫: চুল শুকানো ও ব্রাশিং

  • চুল তোয়ালে দিয়ে আলতো করে মুছে নাও

  • কখনো ভেজা অবস্থায় আঁচড় দিও না

  • স্বাভাবিক বাতাসে চুল শুকাতে দাও


 অতিরিক্ত টিপস:

  • সপ্তাহে একবার এই রুটিন নিয়মিত করলে ৪-৬ সপ্তাহে পরিবর্তন দেখতে পাবে

  • দৈনন্দিন খাবারে ডিম, বাদাম, কলা, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যোগ করো

  • পর্যাপ্ত পানি খাও এবং ঘুম ঠিক রাখো

  • স্ট্রেস কমাও – কারণ মানসিক চাপ চুল পড়ার বড় কারণ

 

চুলের যত্ন মানেই ব্যয়বহুল প্রসাধনী ব্যবহার নয়। সঠিক রুটিন এবং নিয়মিত যত্নই চুলকে ঘন, সুস্থ এবং সুন্দর করে তোলে। তাই ব্যস্ত জীবনে একদিন সময় বের করো, এবং শুরু করো এই হেয়ার কেয়ার রুটিন।


শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫

ঘুমানোর আগে রাতের স্কিন কেয়ার রুটিন

 




দিনভর ধুলো, রোদ ও দূষণে ত্বক ক্লান্ত হয়ে পড়ে। রাতে ঘুমানোর সময়ই ত্বক নিজেকে রিপেয়ার করে। তাই ঘুমানোর আগে নিয়মিত স্কিন কেয়ার রুটিন মানলে ত্বক হবে নরম, উজ্জ্বল ও দাগমুক্ত

চলুন দেখে নিই, প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে কীভাবে সহজ ৫ ধাপে ত্বকের যত্ন নেওয়া যায়।


 ধাপ ১: মুখ পরিষ্কার করা (Cleansing)

  • সারাদিনের ময়লা, মেকআপ ও ধুলো জমে থাকে — তাই প্রথমেই ভালোভাবে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

  • মেকআপ থাকলে মেকআপ রিমুভার বা নারকেল তেল ব্যবহার করুন।

  • তারপর ফেসওয়াশ দিয়ে আলতোভাবে মুখ ধুয়ে নিন।
    হালকা গরম পানি ব্যবহার করলে পোরস পরিষ্কার হয়।


ধাপ ২: টোনার ব্যবহার

  • টোনার ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স ঠিক রাখে ও পোরস ছোট করে।

  • তুলায় ভিজিয়ে হালকা করে মুখে লাগান।

  • চাইলে ঘরোয়া গোলাপজল বা শসার রসও টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।


 ধাপ ৩: সিরাম বা এসেন্স

  • সিরাম ত্বকের গভীরে পুষ্টি দেয় এবং দাগ, ব্রণ বা রিঙ্কেল কমায়।

  • ত্বকের ধরন অনুযায়ী সিরাম বেছে নিন:

    • ড্রাই স্কিন 👉 হায়ালুরোনিক অ্যাসিড সিরাম

    • অয়েলি স্কিন 👉 নিয়াসিনামাইড সিরাম

    • দাগযুক্ত স্কিন 👉 ভিটামিন C সিরাম


ধাপ ৪: ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার

  • রাতের ত্বক যত্নের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ধাপ এটি।

  • ত্বক যেন সারারাত হাইড্রেটেড থাকে সে জন্য নরম, হালকা ক্রিম লাগান।

  • চাইলে ঘরোয়া ময়েশ্চারাইজার হিসেবে অ্যালোভেরা জেল বা নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন।


 ধাপ ৫: লিপ ও আই কেয়ার

  • চোখের নিচে অল্প আই ক্রিম বা বাদাম তেল লাগান, এতে কালো দাগ ও ফোলা ভাব কমে।

  • ঠোঁটে সামান্য লিপবাম বা মধু লাগান, এতে ঠোঁট নরম থাকবে।


 অতিরিক্ত টিপস:

  • সপ্তাহে ২ দিন স্ক্রাব ব্যবহার করুন মৃত কোষ দূর করতে।

  • অন্তত ৭–৮ ঘণ্টা ঘুম নিশ্চিত করুন — ঘুমই হলো ত্বকের প্রাকৃতিক হিলার।

  • ঘুমানোর আগে মোবাইল বা স্ক্রিন ব্যবহার কমান, এতে ত্বক ও চোখ দুটোই বিশ্রাম পায়।