রবিবার, ২ জুলাই, ২০২৩

বয়স ধরে রাখার কিছু কৌশল

ব্যায়াম

ব্যায়াম বয়সকে ধরে রাখার সবচেয়ে কার্জকর পন্থা, প্রিতিদিন হালকা ব্যায়াম করুন। অন্তত প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটুন বা বাসাতেই এক স্থানে দাঁড়িয়ে জগিং করুন। একসঙ্গে ৩০ মিনিট সম্ভব না হলে দিনের মধ্যে ৩ বার ১০ মিনিট করে করতে
প্রতিদিন ভিটামিন সি ও ই সমৃদ্ধ খাবার খান। এই দুই ভিটামিনে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা বয়স বৃদ্ধির প্রক্রিয়াকে রোধ করে। খাদ্য থেকেই ভিটামিন গ্রহন ভালো। সম্ভব না হলে সাপ্লিমেন্টা হিসেবে গ্রহন করতে পারেন।

শরীরের পরিবর্তনগুলো খেয়াল করুন

আমাদের শরীরে প্রতি নিয়ত পরিবর্তন ঘটছে। রক্তচাপ কমছে, বাড়ছে হৃদস্পন্দন আবার কখনো কখনো অনিয়মিত হয়ে পড়ছে। ব্যথা-বেদনা হচ্ছে। এসব লক্ষন কখনোই উপেক্ষা করবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহন করুন। বড় কোন সমস্যা ধরা পড়ার আগেই সাবধান থাকা ভালো।

চর্বি ত্যাগ করুন

দৈনিক ৬০ গ্রামের কম চর্বি এবং ২০ গ্রামের কম স্নেহজাতীয় খাদ্য ( যেমন মাখন বা ঘি ) খাওয়ার অভ্যাস করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি চর্বি জাতীয় খাবার একেবারেই ত্যাগ করতে পারেন।

দূষণ এড়িয়ে চলুন

শরীরকে সুস্থ রাখার ও বয়সের ঘোড়াকে থামানোর সবচেয়ে কার্জকর উপায় হল দূষণ এড়িয়ে চলা। আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত দূষণ ঘটে চলেছে- পরিবেশ দূষণ, শব্দ, পানি, বায়ু দূষণ ইত্যাদি। এসব পরিবেশগত সমস্যা তৈরি করছে স্বাস্থ্য সমস্যা। যতটা সম্ভব দূষণ এড়িয়ে চলুন। ধোঁয়া, উচ্চশব্দ, দুষিত পানি থেকে নিজেকে বাচিয়ে রাখুন। দেখবেন বয়সের ঘড়ি উল্টো ঘুরছে।

ওজন নিয়ন্ত্রনে রাখুন

বয়স এবং উচ্চতা অনুপাতে আপনার ওজন ঠিক রাখার চেষ্টা করুন। ওজন ঠিক রাখতে প্রতিদিন হালকা ব্যায়াম ও উচ্চ ক্যালরিযুক্ত খাবার কম খাওয়ার চেষ্ট করুন। পানি, ফল ইত্যাদি প্রচুর পরিমাণে গ্রহন করুন। ওজন নিয়ন্ত্রনে এলে তা ধরে রাখার চেষ্টা করুন।

বদঅভ্যাস ত্যাগ করুন

সব ধরণের বদঅভ্যাস ত্যাগ করে জীবনকে একটি ছকে বেঁধে ফেলুন। অগুছালো জীবন কখনোই শান্তিময় জীবনের নিশ্চয়তা দিতে পারে না। ধূমপান, অ্যালকোহল আসক্তি ত্যাগ করুন। দৈনিক এক প্যাকেট সিগেরেট আপনার আয়ু কমিয়ে দিতে পারে ৮ বছর। ছকে বাঁধা জীবন আপনাকে এনে দিতে পারে কাঙ্ক্ষিত তারুণ্য।

শনিবার, ১ জুলাই, ২০২৩

দিনের শেষে কিভাবে নিজের যত্ন নিবেন

ত্বক পরিষ্কার

কিশোরী বয়সে মেকআপ করা উচিত নয়। তবে কেউ করে থাকলে, মেকআপ না তুলে কোনোভাবেই ঘুমাতে যাওয়া যাবে না। এটি সব বয়সীর জন্য বাধ্যতামূলক হলেও কিশোরী বয়সে বাড়তি খেয়াল রাখতে হবে। এই বয়সের ত্বক বেশি সংবেদনশীল থাকে। মেকআপ দেওয়া না থাকলেও শোবার আগে মুখ পরিষ্কার করে ধুতে হবে। ফেসওয়াশ বা ক্লিঞ্জিং মিল্ক দিয়ে ভালো করে মুখের ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। প্রতিদিনই করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকে বাইরের ধুলোবালি ও ময়লা থেকে আসা ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাক বাসা বাঁধতে পারবে না। ত্বক থেকে নিঃসৃত অতিরিক্ত তেলও জমবে না। লোমকূপগুলোর মুখ পরিষ্কার থাকায় ত্বক উজ্জ্বল থাকবে।

ফেসওয়াশ বা ক্লিঞ্জিং মিল্কের পরিবর্তে চালের গুঁড়ো, বেসন ও শসার রস দিয়ে ঘরে তৈরি ক্লিঞ্জিংও ব্যবহার করা যেতে পারে। এতে উপকার বেশি হবে।
সেই সঙ্গে সপ্তাহে এক দিন অথবা দুদিন ত্বকে টোনিং করতে হবে। কাঁচা দুধ অথবা ডাবের পানি দিয়ে টোনিং করা যায়।

মুখের ত্বক নিয়মিত পরিষ্কার করুন, মিষ্টি খাবার অল্প খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুনময়েশ্চারাইজার
সুস্থ ও সুন্দর ত্বকের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হলো পানি। সাধারণত ত্বকের ভেতরের অংশ থেকে পানি ওপরের স্তরে এসে ত্বকের লাবণ্য ধরে রাখে। ত্বকে পানির অভাব হলেই ত্বক হয়ে পড়ে শুষ্ক ও খসখসে। ময়েশ্চারাইজার ত্বকের নিচের স্তর থেকে পানিকে ওপরের স্তরে আনার কাজ করে থাকে। প্রতি রাতেই ত্বক পরিষ্কার করার পরে মুখে ময়েশ্চারাইজার লোশন লাগাতে হবে। মুখের ত্বকের জন্য ক্রিম ব্যবহারের সময় খেয়াল রাখুন—

* ময়েশ্চারাইজার যেন অবশ্যই মুখের ত্বকের মানানসই হয়।
* ময়েশ্চারাইজারের ধরনটি হতে হবে হালকা, অর্থাৎ ঘন বা কোনো প্রকার তেলযুক্ত হওয়া চলবে না।

হাত-পায়ের যত্ন

শুধু মুখের ত্বকের প্রতি যত্নবান হলেই চলবে না। সেই সঙ্গে যত্ন নিতে হবে হাত ও পায়ের। শোবার আগে অবশ্যই পুরো হাত-পা পরিষ্কার করে ধুতে হবে। সারা দিনের বিভিন্ন কাজে হাত-পায়ে অনেক ধুলোবালি ও ময়লা জমে থাকে। সেগুলো পরিষ্কার করতে হবে। এরপর হাত-পায়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। তবে এই ময়েশ্চারাইজার অপেক্ষাকৃত ঘন প্রকৃতির হবে। হাতের কুনুই, পায়ের গোড়ালিতে পেট্রোলিয়াম জেলি লাগালে ত্বক নরম হয়। এ ছাড়া কেউ চাইলে হাতের জন্য আলাদা হ্যান্ড ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন।

ঠোঁট

ঠোঁটের যত্নটা একটু আলাদা। কেননা, এর ত্বক সবচেয়ে কোমল। প্রতিদিন রাতে যাদের ঠোঁট ফাটে, তারা তো অবশ্যই, যাদের ফাটে না, তাদেরও উচিত আঙুল দিয়ে আলতো ঘষে ঠোঁট পরিষ্কার করে এতে লিপ বাম লাগিয়ে ঘুমানো।

চোখ

চোখের চারপাশের ত্বক মুখের ত্বকের তুলনায় পাতলা হয়। সে কারণে সম্ভব হলে ভিটামিন এ, সি, ই অথবা কে যুক্ত আই ক্রিম ঘুমানোর আগে ব্যবহার করা। এটি চোখের নিচের কালো দাগ দূর করে।

দাঁত

নিয়মিত রাতে ঘুমানোর আগে দাঁত ব্রাশ করা উচিত। এতে দাঁতের ফাঁকে খাবারের কণা জমে থাকতে পারে না।
এ তো গেল ত্বকের বাহ্যিক পরিচর্যার কথা। রাতের বেলা ত্বকের পরিচর্যার পাশাপাশি খাবার গ্রহণের পরিমাণ ও সময়ের দিকেও রাখতে হবে। পরিপূর্ণ পরিচর্যা তখনই হবে যখন ত্বকের বাহ্যিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই সমান গুরুত্ব পাবে। গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের খাদ্য ও পুষ্টি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক সাজেদা আক্তার জানালেন, কিশোরী বয়সটাতে মেয়েদের খাবারে প্রোটিন ও আয়রন থাকতে হবে। এক গ্লাস দুধ ও একটি ডিম তো আবশ্যক। সেই সঙ্গে সপ্তাহে অন্তত একদিন হলেও গরুর/খাসির কলিজা খেতে হবে লেবু দিয়ে। এ ছাড়া যে কাজগুলো করা উচিত:
* রাত আটটার মধ্যে রাতের খাবারের পর্ব চুকিয়ে ফেলতে হবে।
* রাত আটটার পর থেকে ভারী খাবার খাওয়া যাবে না। পানিও পরিমাণে কম খেতে হবে।
* ১২টায় ঘুমালে, রাত ১০টা সাড়ে ১০টার দিকে হালকা খাবার খেতে হবে। মিষ্টি জাতীয় যেমন: পুডিং, পায়েস, দুধ বা মিষ্টি দধি অল্প পরিমাণে খাবেন।
* রাতের খাবারের পর থেকে আধা গ্লাস-এক গ্লাসের বেশি পানি পান না করাই উত্তম।
* আট ঘণ্টা ঘুম এই বয়সে আবশ্যক।
* হাসিখুশি থাকা এই বয়সটাতে সবচেয়ে জরুরি। মানসিকভাবে যেমন প্রয়োজন, তেমনি হাসিখুশি থাকাটা শরীরের জন্যও উপকারী। কিশোরী বয়সে হাসিখুশি একটা মুখ। প্রাণবন্ত ও লাবণ্যময়ী হতে আর কী লাগে!
সুস্থ থাকতে পরিমিত ঘুম জরুরিআরও টিপস
শোবার আগে বালিশের কভার পাল্টিয়ে বা বালিশের ওপর একটা ধোয়া কাপড় বিছিয়ে নিতে পারেন। বালিশের কভারে জমে থাকা ধুলোবালি ত্বকের ক্ষতি করতে পারবে না।

চুলের যত্ন

প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে চুল ভালো করে আঁচড়িয়ে বেঁধে ঘুমালে চুল দ্রুত বাড়ে। সুন্দরও থাকে। চুলে বেণি করেই ঘুমোতে হবে তা নয়, উঁচু করে জাপানিজ পনিটেইল অর্থাৎ ঝুঁটি করেও শোয়া যায়। চুল যদি কেউ একেবারেই বাঁধতে না চায়, তাহলে একটি কাপড় দিয়ে পেঁচিয়ে ঘুমোতে পারে। এটি চুলকে আগা ফাটা থেকে রক্ষা করবে। সেই সঙ্গে সকালে চুলে এনে দেবে একটা ওয়েভি ভাব। এতে চুল ঘন দেখাবে।

পানি চিকিৎসা

মুখে সজোরে, শব্দ করে একনাগাড়ে ২৫ বার পানির ঝাপ্টা দেওয়া। দিনে যতবার খুশি ততবার। প্রতিদিন করতে পারেন। চেহারার সতেজ ভাব ধরে রাখবে আজীবন।

বুধবার, ৩১ মে, ২০২৩

চর্বি / ভুঁড়ি কমানোর ৬টি কার্যকর পরামর্শ


পেটের চর্বি শুধু দেখতে খারাপ লাগে না বরং পেটের এই অতিরিক্ত চর্বির কারণে বেড়ে যায় ওজন এবং এর চাপ পড়ে পায়ের ওপর। এর ফলে অসময়েই ক্ষয়ে যেতে পারে পায়ের হাড়! এছাড়াও হতে পারে আরো নানান শারিরীক সমস্যা। পেটের এই বাড়তি চর্বি / ভুড়ি কমাবার জন্যে রইলো কিছু কার্যকর পরামর্শ।







১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।

৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।

মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩

ঘরোয়া যত্নে সতেজ সুন্দর

নিয়ম মেনে ত্বকের যত্ন নিন

ঘরে থাকা বিভিন্ন উপকরণ দিয়েই করা যাবে রূপচর্চা। ত্বক ও চুল থাকবে সতেজ ও সুন্দর

নিয়ম করে আগের মতো সৌন্দর্যসেবা কেন্দ্রে যাওয়ার সুযোগ হচ্ছে না এখন। তাই ত্বক ও চুলের যত্নে বাড়িতে দিতে হচ্ছে বাড়তি সময়। ত্বক ও চুলের যত্নে ঘরোয়া উপাদানের ব্যবহার অনেকেই করে থাকেন। তবে সঠিক ফল পেতে জেনে নিতে হবে সঠিক উপকরণ ব্যবহারের প্রয়োগ।

বাড়িতে রূপর্চচা করার সময় সঠিক উপকরণের ব্যবহার জরুরি। বলছিলেন হার্বস আয়ুর্বেদিক ক্লিনিকের রূপবিশেষজ্ঞ শাহীনা আফরিন। এ–ও জানালেন, তা না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে। সব ধরনের ত্বক ও চুলের সঙ্গে মানিয়ে যাবে, এমন কিছু ঘরোয়া উপকরণ রয়েছে। সেসবের মিশ্রণে তৈরি প্যাক দিয়ে নেওয়া যাবে ত্বক ও চুলের যত্ন।

ত্বকের জন্য

মুখের ত্বকের যত্নে মুলতানি মাটির বিকল্প খুব কমই আছে। এ জন্য ১ টেবিল চামচ মুলতানি মাটি, সঙ্গে তিন থেকে চার ফোঁটা লেবুর রস, ১ টেবিল চামচ কাঁচা হলুদের রস, ১ টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে মুখের ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে ১ দিন লাগিয়ে ৮ থেকে ১০ মিনিট রাখুন। এরপর ভালো করে পানিতে ধুয়ে ফেলুন মুখ।

যাঁদের ব্রণের সমস্যা আছে, তাঁদের বেশ চিন্তায় পড়তে হয়। এর রয়েছে সহজ সমাধান। যেমন ২ থেকে ৩ ইঞ্চি পরিমাণ দারুচিনি ও ৫টি লবঙ্গ ১ টেবিল চামচ পানিতে ভিজিয়ে গুঁড়া করে নিন। এরপর মিশ্রণটি লাগিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। সপ্তাহে তিন দিন এই মিশ্রণের ব্যবহার ব্রণের দাগ দূর করবে।

এদিকে চলে আসছে ঈদুল আজহা। নিতে পারেন বাড়তি যত্ন। ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতে ১ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ, আধা চা–চামচ ভিনেগার, ১ চা–চামচ চালের গুঁড়া ও ১ চা–চামচ ময়দা একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকের স্ক্র্যাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এই মিশ্রণ সপ্তাহে তিন দিন ৫ মিনিট মালিশ করলে ত্বকে দ্রুত উজ্জ্বলতা আসবে।

বিটরসের প্যাকে ত্বক হবে উজ্জ্বল

হাতের যত্নে

১টি পুরো বিট নিয়ে রস বের করতে হবে। এই রসের সঙ্গে ৬ টেবিল চামচ ময়দা মিশিয়ে নিন। এবার ১ চা–চামচ মধু আর লেবুর খোসা বাটা মিশিয়ে হাতের ত্বকে যতক্ষণ না শুকায় ততক্ষণ অপেক্ষা করুন। এই মিশ্রণটি সপ্তাহে এক দিন ব্যবহার করলেই চলবে।

পায়ের যত্নে

দুটি ডিমের কুসুমের সঙ্গে একটি লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার ২ টেবিল টেবিল ডালের গুঁড়া মিশিয়ে ঘষে পা পরিষ্কার করে নিন। সপ্তাহে এক দিন কুসুম গরম পানিতে পা ধুয়ে নিলেই উজ্জ্বল হবে ত্বক।

গলার ত্বক

যাঁদের গলার ত্বক একটু গাঢ় রঙের তাঁরা এই মিশ্রণটি ব্যবহার করে দেখতে পারেন। আধা কাপ লেবুর রসের সঙ্গে মসুর ডাল বাটা ও দুধ মিশিয়ে গলার ত্বকে মেখে ১০ মিনিট ঘষে নিন। এই প্যাকের ব্যবহার সপ্তাহে এক দিন করলেই যথেষ্ট।

চুলের যত্ন

চুল ধোয়ার জন্য এ সময়ে ব্যবহার করতে পারেন বৃষ্টির পানি। তবে সরাসরি বৃষ্টিতে ভিজে নয়, চুল ধোয়া নয়। কিছুক্ষণ বৃষ্টি হওয়ার পর সেই পানি কোনো পাত্রে ধরে রাখতে হবে, এরপর সেটি চুল ধোয়ার কাজে ব্যবহার করতে হবে। এবার দেখুন না কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে আপনার চুল।

এ ছাড়া অন্য একটি প্যাক ব্যবহার করতে পারেন চুলের যত্নে। ২ টেবিল চামচ আমলকীর গুঁড়া, ১ টেবিল চামচ মেথিগুঁড়া এবং ১ টেবিল চামচ মেহেদিগুঁড়া কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। এবার মাথার তালুতে এই মিশ্রণটি লাগিয়ে না শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বাড়িতে শ্যাম্পু করার পর অনেকের চুলই তৈলাক্তভাব রয়ে যায়। এটা এড়াতে শ্যাম্পুর সঙ্গে একটু লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারেন।

এই সময় পরিচ্ছন্ন থাকাটাও জরুরি। নিয়মিত গোসল করার সময় গোসলের পানিতে নিমের পানি মিশিয়ে নিন। এ ছাড়া গোসলের পানিতে কয়েকটি গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দিতে পারেন। এর সুগন্ধ এই মন খারাপের সময়ও আপনার মনকে রাখবে সতেজতায় ভরপুর।

কোন উপাদানের কী গুণ

ভেষজ উপাদান চুলে দেবে বাড়তি উজ্জ্বলতা

মুলতানি মাটি

মুলতানি মাটি বা ফুলারস আর্থ, একধরনের মাটিজাতীয় রূপচর্চার উপকরণ। শুধু উজ্জ্বলতা বাড়াতেই নয়, ত্বকে জীবাণুনাশক (অ্যান্টিসেপটিক) হিসেবেও কাজ করে এই মুলতানি মাটি। তবে রূপচর্চার উপকরণ হিসেবে ব্যবহারের আগে এই মুলতানি মাটি আসল কি না, তা জেনে নেওয়াটা খুব জরুরি। যদি পানিতে গোলানোর পর একটু ঘন হয়, তবে এটি আসল মুলতানি মাটি। আর যদি বালুর মতো হাতে কিছু অনুভূত হয়, তবে তা আসল নয়।

কাঁচা হলুদ

হলুদে আছে কারকিউমিন, যা জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া হলুদে আছে এসেনশিয়াল অয়েল, যে কারণে ত্বক হয় দ্রুত উজ্জ্বল।

আমলকীর গুঁড়া

আমলকীর গুঁড়ায় আছে ভিটামিন সি ও ডি, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এ ছাড়া আমলকীর ভিটামিন সি চুলে স্বাভাবিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে বেশ কাজে দেয়।

কাঁচা দুধ

কাঁচা দুধে আছে ল্যাকটিক অ্যাসিড, যে কারণে লোমকূপে জমে থাকা ময়লা ভালোভাবে পরিষ্কার হয়। এ ছাড়া ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সহায়তা করে।

 

গরমে ত্বকের যত্নে ৭টি টিপস

পানি পান করুন
পানি শুধু শরীরে আর্দ্রতা জোগায় না, ত্বককে করে তোলে সজীব। তাই ত্বক সুন্দর রাখতে এ সময়ে প্রচুর পানি পান করুন।

টোনার ব্যবহার করুন
টোনার ত্বকের রোমকূপ বন্ধ ও ত্বককে শীতল রাখতে সাহায্য করে। বাজার থেকে ভালো কোম্পানির টোনার দেখে কিনুন। ঘরোয়া টোনার হিসেবে গোলাপজল ভালো কাজ করে।

ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন
গরমের সময়ও ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার বন্ধ করবেন না। কারণ ময়েশ্চারাইজার ত্বকে আর্দ্রতা জোগানোর পাশাপাশি ত্বককে নরম রাখে। তবে গরমের সময় ওয়াটার বেজ ময়েশ্চারাইজার বেছে নিন ত্বকের যতেœ।

ত্বক পরিষ্কার রাখুন
সকালে ও রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অবশ্যই ত্বক পরিষ্কার করুন। যদি এমন হয় সারা দিন বাইরে বের হননি তবুও রুটিন করে ত্বক পরিষ্কার করতে ভুলবেন না।

এক্সফোলিয়েট করুন
গরমের সময় ত্বকের মরা কোষ দূর করে রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর জন্য ত্বককে এক্সফোলিয়েট করা জরুরি। কারণ এ সময় ধুলাময়লা জমে ত্বক অপরিচ্ছন্ন হয় বেশি। চার-পাঁচ চামচ বেসনের সাথে এক চামচ হলুদ, পাঁচ-ছয় ফোঁটা গোলাপজল ও দুধ মিশিয়ে পেস্টের মতো তৈরি করে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা পর ঘষে ঘষে তুলে ফেলুন।

রোদ এড়িয়ে চলুন
বেসন ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর করতে খুব কার্যকর। বেসনের সাথে টক দই ও কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলতে হবে। রোদে পোড়া দাগ দূর করতে লেবুর রস ভালো কাজ করে। পেঁপে প্রাকৃতিক কিনজার হিসেবে ভালো কাজ করে। তাই ত্বক পরিষ্কার করতে দুই টেবিল চামচ চটকানো পেঁপের সাথে এক চা চামচ মধু ও একটা ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ত্বককে শীতল রাখুন
গরমে ত্বক শীতল রাখা খুব প্রয়োজন। এক টেবিল চামচ কোরানো শসার সাথে এক টেবিল চামচ টক দই মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে রাখুন। ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। খুবই সতেজ অনুভব করবেন। এ ছাড়া পুষ্টিকর খাবার, ব্যায়াম ও পর্যাপ্ত ঘুম ত্বক ভালো রাখার জন্য খুবই জরুরি। লেখাটি ভালো লাগলে শেয়ার করতে ভুলবেন না

বুধবার, ১৭ মে, ২০২৩

পায়ের কালো দাগ দূর করার উপায়

  •  

    সঠিক মাপের জুতা পরুন

পায়ের দাগের অন্যতম একটি কারণ হলো আকারে ছোট কিংবা শক্ত জুতা পরার কারণে। তাই পায়ের জন্য সঠিক মাপের জুতা বেছে নিন। সেই সঙ্গে জুতার ভেতরে ফোম দেয়া, কাপড়ের কিংবা নরম চামড়ার জুতা পরুন। এতে পায়ে দাগ পড়বে না।
  • সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

জুতার বদলে স্যান্ডেল পরলে সরাসরি রোদ লাগে পায়ে। ফলে পায়ে রোদে পোড়া ছোপ ছোপ দাগ পড়ে যায়। আর এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পায়েও ব্যবহার করতে হবে সানস্ক্রিন। এতে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাবমুক্ত থাকবে আপনার সুন্দর পায়ের পাতাগুলো।
  • পা ঢেকে রাখুন

দাগমুক্ত সুন্দর পায়ের জন্য পা ঢাকা জুতা পরুন কিংবা সবসময়ে মোজা পরুন। এতে পায়ে পোড়া দাগ পরবে না কিংবা ধুলা ময়লা লেগে পায়ে ছোপ ছোপ দাগ পরবে না।
এবার আসা যাক, ঘরোয়া উপায়ে  কি করে পায়ের ফুল কেয়ার নেয়া যায় –
  • স্ক্র্যাবিং

পায়ের দাগ দূর করার জন্য স্ক্র্যাবিং এর জুড়ি নেই। স্ক্র্যাবিং পায়ের ত্বকের ডেড সেল দূর করে এবং জমে থাকা ধুলা ময়লা পরিষ্কার করে। ফলে পায়ের ছোপ ছোপ দাগ দূর হয় এবং রুক্ষতা কমে যায়। স্ক্র্যাবিং এর জন্য বেকিং পাউডার, ওটমিল, চিনি কিংবা লবন ব্যবহার করতে পারেন।
  • লেবুর রস কিংবা টমেটোর রস

লেবুর রস এবং টমেটোর রস হলো প্রাকৃতিক ব্লিচিং উপাদান। তাই পায়ের ত্বকের পোড়া দাগ দূর করতে এবং পায়ের রং উজ্জ্বল করে তুলতে এই উপাদান দুটির জুড়ি নেই। লেবুর রসে সামান্য পানি মিশিয়ে কিংবা সসার রস মিশিয়ে পায়ে লাগিয়ে ১ ঘন্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। কিংবা টমেটোর রস লাগিয়ে রেখে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করে হালকা ঘষে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করলে পায়ের ত্বক উজ্জ্বল হবে ধীরে ধীরে।
  • অ্যালোভেরা জেল

অ্যালোভেরা ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করে। আর তাই পায়ের দাগ দূর করতে এবং পায়ের ময়েশ্চারাইজিং এর জন্য ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেল। প্রতিদিন রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে অ্যালোভেরা জেল পায়ের ত্বকে লাগিয়ে মোজা পড়ে ঘুমিয়ে যান। সকালে ঘুম থেকে উঠে পা ধুয়ে ফেলুন। কিছুদিন ব্যবহার করলেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন আপনি।
  • আলুর রস

আলুও ত্বকের দাগ দূর করে সহজেই। আলু ব্লেন্ড করে রস ছেকে পায়ে লাগিয়ে রাখুন ১ ঘন্টা। এরপর পা ধুয়ে ফেলুন। সহজেই কাজটি করতে চাইলে আলু স্লাইস করে কেটে ঘষে ঘষে পায়ের ত্বকে লাগিয়ে নিন। এরপর ১ ঘন্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা পানি দিয়ে। সপ্তাহে তিন থেকে চারবার ব্যবহার করুন।

রবিবার, ১৪ মে, ২০২৩

ওজন কমাতে দারুণ সুস্বাদু সালাদ

 
উপকরণ
✿ – কাঁচা পেঁপে দেড় কাপ ( চিকন ঝুরি ঝুরি হবে)
✿ – চেরি টমেটো ৮-১০ টি (দুই ফালি করে কেটে নিন। এটা না পেলে রেগুলার টমেটো ব্যবহার করুন)
✿ – গাজর ১/৪ কাপ (ছবি দেখে কেটে নিন)
✿ – বর বটি ২ টি লম্বা পিস করা
✿ – বাদাম
✿ – ফিস সস ২ টেবিল চামচ
✿ – লেবু ২ টি
✿ ব্রাউন সুগার ২ টেবিল চামচ (যারা ডায়েট করবেন তাঁরা যতটা সম্ভব কম দিন কিংবা দেবেন না)
✿ – লাল কাঁচা মরিচ ৩-৪ টি [ স্বাদ মত কম বেশি হতে পারে ]
✿ – রশুন ৩-৪ কোয়া
প্রণালি
► প্রথমে একটি হামান দিস্তা নিয়ে রশুন আর কাঁচা মরিচকে হাল্কা করে ছেঁচে নিন।
► এর পর ফিশ সস , লেবু রস , চিনি , টমেটো , বর বটি ছেড়ে দিন। হাল্কা ভাবে আবারো ছেঁচে নিন । খেয়াল রাখবেন যেন বেশি ছেঁচা না হয় ।
► এর পর পেঁপে এবং গাজর দিয়ে আবারো ছেঁচে নিন। ভালভাবে সব কিছু মিক্স করে নিন ।
► প্লেটে পরিবেশন করুন। উপর দিয়ে বাদাম ছড়িয়ে দিন।

কেন কমবে ওজন?
ভাত বা রুটির তুলনায় এই সালাদে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। যদি চিনিটা বাদ দিয়ে দেন তাহলে তো কথাই নেই। ডায়েট খাবার যেমন বিস্বাদ হয় খেতে, এটি মোটেও তেমন নয়। তাই আপনার একঘেয়েমিও লাগবে না। সবজি গুলো ব্যবহার করা হচ্ছে কাঁচা, ফলে অটুট থাকছে পুষ্টি গুণ। আছে ফাইবার, ফলে পেট ভরা ভাবটাও থাকবে অনেকক্ষণ। কাঁচা পেঁপে, রসুন ইত্যাদি মেটাবোলিজম বৃদ্ধিতে সহায়ক ফলে ওজন কমাতেও সহায়ক।