বৃহস্পতিবার, ২৯ জুন, ২০১৭

লালচে চুল কালো করার প্রাকৃতিক উপায়

১) কালো চুল লালচে হয়ে যাওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে কড়া রোদ। রোদে চুল খুলে রাখলে চুলের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি হয়। এবং চুলের রঙ ব্লিচ হয়ে কালো থেকে লালচে কিংবা কালচে বাদামী রঙ ধারণ করে। রোদে বেরুনোর সময় অবশ্যই একটি স্কার্ফ মাথায় বেঁধে নেবেন কিংবা সাথে একটি ছাতা রাখবেন চুলকে রোদ থেকে বাঁচাতে।

২) ১ টি ডিম, ১ কাপ টকদই, ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ও নারকেল তেল/ অলিভ অয়েল/ আমন্ড অয়েল দিয়ে খুব সহজে আপনি তৈরি করে নিতে পারেন এই প্রোটিন প্যাক। ডিম ফেটিয়ে এতে দই, ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙে দিয়ে সামান্য তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এটি পুরো চুলে এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০-৪০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারেই ভালো ফল পাবেন।

৩) চুল স্ট্রেইট করার কাজে স্ট্রেইটনার এবং কার্ল করতে কার্লার ব্যবহার করেন তাহলে চুল হিটের কারণে লালচে হয়ে যেতে পারেন। কারণ এইসকল ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের ব্যবহারে চুলের কোলাজেন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও চুলের রঙ কালো থেকে লালচে হয়ে আসে। তাই এগুলো কম ব্যবহার করুন। এবং হেয়ার ড্রায়ার দিয়ে চুল না শুকিয়ে বাতাসে চুল শুকানোর অভ্যাস করুন।

৪) শ্যাম্পু কেনার সময় খুব ভালো কোনো ব্র্যান্ডের অল্প কেমিক্যাল সমৃদ্ধ শ্যাম্পু কিনুন। সম্ভব হলে হারবাল শ্যাম্পু কিনে ব্যবহার করুন। কারণ ক্ষার ও কেমিক্যালের কারণে চুলের রঙ পরিবর্তিত হয়ে যায় এবং চুল রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়ে। মৃদু শ্যাম্পু হলে চুল সুস্থ থাকে।

বাড়িতেই তৈরী করুন নাইটক্রিম

যা যা লাগবে:
– ১ মুঠো কাঠবাদাম
– আধা চা চামচ হলুদ গুঁড়ো
– ১ টেবিল চামচ টক দই
– ২ চা চামচ লেবুর রস
– পরিমাণমতো চন্দন গুঁড়ো

পদ্ধতি ও ব্যবহারবিধি:
– কাঠবাদাম সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে এই কাঠবাদাম পিষে নিন মিহি করে।
– এরপর কাঠবাদামের সাথে চন্দন গুঁড়ো বাদে সব উপকরণ একসাথে দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন।
– তারপরও অল্প অল্প করে চন্দনের গুঁড়ো মেশাতে থাকুন যাতে নরম পেস্টের মতো তৈরি হয়। ক্রিমের মতো ঘন মিশ্রন তৈরি করতে যতোটা লাগে চন্দন গুঁড়ো দিন।
– ভালো করে মিশিয়ে তৈরি করে নিন নাইট ক্রিমটি। পরিষ্কার একটি কৌটায় ভরে ১ সপ্তাহ পর্যন্ত সংরক্ষণ করতে পারেন।
– প্রতিদিন রাতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ত্বক পরিষ্কার করে এই ক্রিমটি লাগিয়ে নিন ত্বকে। কিছুদিনের মধ্যেই ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে পেতে থাকবেন।

বুধবার, ২৮ জুন, ২০১৭

ত্বক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন যে খাবার খাবেন

লাল ক্যাপসিকাম: রান্না করা লাল ক্যাপসিকাম কিংবা কাঁচা যে কোনওভাবে খেতে পারেন৷ এতে ৩০ ক্যালরি রয়েছে৷ প্রতিদিনের ভিটামিন-সি-এর চাহিদা পূরণ করে লাল ক্যাপসিকাম৷ এছাড়াও এতে যথেষ্ট পরিমাণ ভিটামিন বি৬ থাকে৷ এতে থাকা ক্যারোটিনেড ত্বকের কুঁচকে যাওয়া রোধ করে ও ত্বকের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করে৷ এর ফলে আপনাকে অনেক বেশি তরতাজা এবং কমবয়সী দেখাবে৷

ডার্ক চকোলেট: চকোলেট প্রিয় মানুষদের কাছে বোধ হয় এটাই সবচেয়ে সুখবর হতে পারে৷ প্রতিদিন ডার্ক চকোলেট খান৷ এতে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি অক্সিডেন্টস, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফ্লেভানলস থাকে৷ ডার্ক চকোলেটের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ত্বকের রুক্ষতা দূর করে উজ্জ্বল করে তোলে৷ সূর্যের প্রখর আলট্রাভায়োলেট রশ্মির হাত থেকেও রক্ষা করে৷ চকোলেটে থাকা কোকোয়া ত্বকের রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে৷

স্যামন মাছ: দুশ্চিন্তা, মানসিক চাপ ও হতাশা থেকে দূরে থাকার জন্য সেরা খাদ্য স্যামন মাছ৷ আর মন সুস্থ থাকলেই শরীর সুস্থ থাকে একথা কে না জানে৷ এছাড়াও স্যামনে প্রতিদিনকার প্রয়োজনীয় ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে৷ ভিটামিন ডিতে হৃৎপিন্ড, হাড়, কোলন এবং স্নায়ুকে সুস্থ রাখে৷ স্যামন মাছ খেলে কোলনে ক্যান্সার হওয়ার প্রবণতা কমে যায়৷ এতে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও বর্তমান যা আপনার ত্বককে ভেতর থেকে হাইড্রেট করে৷ স্যামন খেলে চুলও ঘন হয়৷

নারকেল তেল: এতে প্রচুর পরিমাণে সম্পৃক্ত ফ্যাট থাকে৷ এতে থাকে লিউরিক অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন ই৷ ফলে এটি খেলে ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখে, ত্বক নরম থাকে৷ ত্বক থাকে দাগমুক্ত৷ এছাড়াও নারকেল তেল খেলে ওজন কমানো যায়৷ নারকেল তেলকে যদি বডি ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে চান তবে তবে ১ টেবিল চামচ কাঁচা নারকেল তেল প্রতিদিন শরীরে মাখুন৷

গ্রিন টি: সাধারণত মানুষজন ব্ল্যাক টি খেতেই পছন্দ করেন৷ এবার গ্রিন টি ট্রাই করে দেখুন৷ এতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস, অ্যামাইনো অ্যাসিড ও লিথানাইন রয়েছে৷ এগুলি শরীরকে খুবই রিল্যাক্স করে ও স্ট্রেস দূর করে৷ যার প্রভাব আপনার ত্বকে পড়বেই৷ এছাড়াও গ্রিন টি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পছন্দ করে৷

শাক: আপনার প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় শাকপাতা থাকা বাধ্যতামূলক৷ শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, সি, এ, উদ্ভিদ প্রোটিন, অ্যান্টি অক্সিডেন্টের প্রভূত উপকরণ, ক্লোরোফিল, ম্যাগনেশিয়াম৷ এগুলি আপনার ত্বককে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তুলবে৷ রোজ কিছু না কিছু শাক প্রতিদিন খান আর ত্বককে ভেতর থেকে উজ্জ্বল করে তুলুন৷

পেঁপে: যদি ওজন কমাতে চান তাহলে পেঁপে সেরা উপকরণ৷ পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে যদি ওজন কমাতে চান তাহলে পেঁপে সেরা উপকরণ৷ পেঁপেতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন ইত্যাদি থাকে যা আপনার ত্বককে সূর্যের রশ্মি থেকে রক্ষা করবে৷ আর এছাড়াও ওজন কমাতে হলে অব্যর্থ উপায় পেঁপে৷ কারণ এতে ক্যালরির পরিমাণ খুব কম৷ প্রতি ১০০ গ্রামে ৩৯ ক্যালরি রয়েছে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে কোলেস্টেরলমুক্ত৷

গাজর: গাজরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে৷ আর এই ভিটামিন এ ত্বকের ক্যান্সারকে প্রবণতা কমিয়ে দেয়৷ এই রোগে দায়ী কোষগুলিকে নিষ্ক্রিয় করে দেয়৷

সোমবার, ২৬ জুন, ২০১৭

ড্রাই চুলের জন্য ডিমের ৫ টি হেয়ার প্যাক

০১. ডিম, লেবু ও অলিভ অয়েল-
একটা ডিম ফেটে বাটিতে নিয়ে নিন সাথে একটা লেবুর অর্ধেকটা রস মিশিয়ে ভালোভাবে একটি চামচ দিয়ে নাড়তে থাকুন। এটা প্রায় মিশে আসলে ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মেশান এতে। সব উপাদান পুরোপুরি মিশে গেলে এটা আপনার সম্পূর্ণ চুলে লাগিয়ে নিন। খেয়াল রাখুন আপনার পুরো চুলটা যেন এই প্যাক দিয়ে কভার হয়ে যায়। এবার এই প্যাকটি মিনিমাম ৩০ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন এবং নরমালি শ্যাম্পু করে ফেলুন।

০২. ডিম, দই ও অলিভ অয়েল-
ডিম ও দই এই দুই উপাদানই প্রচুর প্রোটিন এ ভরপুর যা চুলের রুক্ষতা ঝেড়ে ফেলে চুলে নতুন চমক আনে। একটা ডিমের পুরোটা, এক টেবিল চামচ দই ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে একসাথে ভালোভাবে মিশান। যখন এই দুই উপাদান সুন্দর ভাবে মিশে যাবে তখন এটি আপনার চুলে প্রয়োগের উপযোগী হয়ে উঠবে। এটি আপনার চুলের গোঁড়া ও স্কাল্পে ভালোভাবে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও শ্যাম্পু করে ফেলুন।

০৩. ডিম, বেসন ও অলিভ অয়েল-
এটা আরেকটি রিচ-প্রোটিন হেয়ার প্যাক। এই প্যাক চুল শক্ত ও মজবুত করার সাথে সাথেই প্রাকৃতিকভাবে কন্ডিশনিং করে। একটি ডিম, ১ টেবিল চামচ বেসন ও ২ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল একসাথে নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে আপনার মাথার ত্বকসহ পুরো চুলে লাগিয়ে নিন। এবার এই প্যাক শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন এবং পরে ধুয়ে ফেলুন।

০৪. ডিম, কলা ও মধু-
কলা চুলের জন্য একটা অসাধারণ ময়েশ্চারাইজার। আপনাকে যা করতে হবে তা হল একটি কলা ভালোভাবে চটকে তার  সাথে একটা ডিম ফেটে আর খানিকটা অলিভ অয়েল মিশিয়ে সবটা একসাথে মিশাতে হবে। ৩০ মিনিট এটি আপনার চুলে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলে শ্যাম্পু করে নিন।

০৫. ডিম, মেয়নেজ ও অলিভ অয়েল-
ডিম, মেয়নেজ ও অলিভ অয়েল এই ৩ উপাদান একসাথে নিয়ে ভালোভাবে পেস্ট করে আপনার চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। মেয়নেজ চুল থেকে যেতে একটু সময় নেয় তাই আপনিও একটু সময় নিয়েই সেটি চুল থেকে ছাড়াতে চেষ্টা করুন।
ডিমের হেয়ার প্যাক নেওয়ার সময় যে ব্যাপারটা সব সময় মনে রাখতে হবে তা হল এই প্যাক ব্যবহারের পর চুল ধোয়ার জন্য কখনই গরম পানি ব্যবহার করা যাবে না। ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মাথা ধুয়ে ফেলার পর স্বাভাবিকভাবে শ্যাম্পু করে নিন আর পান বাউন্সি, হেলদি ও স্ট্রং চুল।

শনিবার, ২৪ জুন, ২০১৭

ত্বকের যত্নে চন্দনের ৫ ফেসপ্যাক

>>>চন্দনের উপকারীতা
>চন্দনের গুঁড়া ত্বকের কালো দাগ দূর করে থাকে।
>ব্রণের দাগ, সান টান দূর করে থাকে।
>এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে ত্বকে একটি আলাদা আভা নিয়ে আসে।
>বলিরেখা দূর করে থাকে।
>এটি ত্বকে একটি শীতল ভাব এনে দেয়।
>চন্দনের গুঁড়া দিয়ে তৈরি কিছু ফেইস প্যাক, যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করার সাথে সাথে বলিরেখাও দূর করে থাকে।

১। চন্দন, মধু, ও হলুদের ফেস প্যাক
১/২ চা চামচ চন্দন গুঁড়া, ২ চা চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদ, এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। মুখ ও ঘাড়ে ভাল করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। প্রতিদিন এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি খুব দ্রুত ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে ত্বকে একটি গোলাপি আভা নিয়ে আসবে।

২। চন্দন, মুলতানি মাটির ফেস প্যাক
চন্দন গুঁড়া, মুলতানি মাটি এবং গোলাপ জল দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি ঘাড় ও মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের বলিরেখা দূর করে দিবে। ত্বকের রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে র‍্যাডিক্যল প্রতিরোধ করে বলিরেখা পড়া রোধ করে।

৩। চন্দন ও দুধের ফেস প্যাক
১ চা চামচ গুঁড়া দুধ, কয়েক ফোঁটা চন্দনের তেল বা চন্দন গুঁড়া, এবং গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ২০-১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এটি অনেক কার্যকরী প্যাক। এই প্যাক ত্বকের পিএইচ লেভেল ঠিক রাখে। ত্বকের রুক্ষতা দূর করার সাথে সাথে এই প্যাক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে থাকে।

৪। চন্দন ও টমেটোর ফেস প্যাক
১/২ চা চামচ চন্দন গুঁড়া, ১/২ চা চামচ টমেটোর রস, ১/২ চা চামচ মুলতানি মাটি, কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি মুখে, ঘাড়ে ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। তৈলাক্ত ত্বকে এটি অনেক বেশি কার্যকরী। ত্বকের অতিরিক্ত তেল ও ময়লা দূর করে থাকে। ত্বকের লোমকূপ পরিষ্কার করে হোয়াট হেডেস ব্ল্যাক হেডেস দূর করে থাকে।

৫। চন্দন, মধু ও গোলাপ জল ফেইস প্যাক
১ চাচামচ গোলাপ জল, ৩/৪ চা চামচ চন্দন গুঁড়া, মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। দিনে দুইবার এই প্যাক ব্যবহার করুন। মধু ত্বকের ব্রণ প্রতিরোধ করে, চন্দন ও গোলাপ জল তেল দূর করে বলি রেখা পড়া রোধ করে থাকে।

শুক্রবার, ২৩ জুন, ২০১৭

রূপচর্চায় হলুদের ব্যবহার

  • কাঁচা হলুদের রস ও মুলতানি মাটি এসাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। প্যাকটি শুকিয়ে এলে গোলাপজল দিয়ে ভালো ভাবে নরম কাপর দিয়ে মুছে নিন।
  •  
  • সামান্য এক টুকরা কাঁচা হলুদবাটা আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে মুখে লাগাতে পারেন। এতে আপনার ত্বক উজ্বল হবে।
  •  
  • হলুদের গুঁড়োর সাথে শসার রস অথবা লেবুস রস মিশিয়ে লাগান। ১০- ১৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন ত্বক মসৃণ হবে।
  •  
  • হলুদ বেটে সমস্ত শরীরে স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করুন। এতে আপনার ত্বক হয়ে উঠবে কোমল।
  •  
  • দুধের ক্রিমের সাথে হলুদ মিশিয়ে লাগালে ত্বক হবে কোমল, মসৃণ আর সতেজ।
  •  
  • হলুদের গুঁড়া ব্রণ প্রতিরোধ করে। হলুদ বাটা ক্ষত স্থানের ব্যথা দ্রুত কমায় এবং ঘা প্রতিরোধ করে।
  •  
  • টমেটোর রস, কাঁচা হলুদ আর মধু মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে ত্বকে ব্যবহার করুন। এই প্যাকটি দাগ বা ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
  •  
  • যাদের ব্রণের সমস্যা আছে তারা কাঁচা হলুদের রস, মুলতানি মাটি ও নিমপাতার রস এক সঙ্গে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগান। প্যাক শুকিয়েএলে গোলাপজল দিয়ে আস্তে আস্তে ম্যাসাজ করে প্যাকটি নরম করে নিন এবং পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
  •  
  • কাঁচা হলুদ ও মসুরির ডাল একসাথে বেটে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগিয়ে ১০-২০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেললে ত্বক উজ্জ্বল হয়ে উঠবে।
  •  
  • প্রতিদিন গোসলের আগে কাঁচা হলুদ, মধু, ডিমের কুসুম ও নারিকেল তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে পুরো মুখে-গলায় লাগিয়ে রাখুন। আধঘণ্টা বাদে তুলে ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন হলুদ দিয়ে কখনও রোদে বের হবেন না। তাহলে ত্বক পুড়ে যাবে। হলুদ দিয়ে রূপচর্চা করবেন রাতের বেলা। কখনই দিনের বেলা নয়।

রবিবার, ১৮ জুন, ২০১৭

ঈদের আগে ঘরে বসেই করুন হেয়ার স্পা

কিভাবে ঘরে বসেই হেয়ার স্পা করবেন।
* চুলে তের ম্যাসাজ করুন: হেয়ার স্পার প্রথম ধাপ হচ্ছে মাথার স্ক্যাল্প ও চুলে তেল ব্যবহার করুন। এজন্য আপনি নারিকেল তেল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল নিতে পারেন। চাইলে তেল হালকা গরম করে নিতে পারেন। চুলে তেল দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।
* চুলে গরম ভাপ দিন: চুলে দেয়ার পরের কাজ হলো ভাপ দেয়া। একটি পাত্রে পানি গরম করে নিন। এরপর একে একটি তোয়ালে চুবিয়ে অতিরিক্ত পানি নিংড়ে নিন। এবার তোয়ালেটি মাথায় পেঁচিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন।
* শ্যাম্পু করুন: গরম ভাপ দেয়ার পর চুলের ধরন অনুযায়ী শ্যাম্পু করুন।
* কন্ডিশনিং করুন: শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। বাজারে বিভিন্ন ধরনের কন্ডিশনার পাওয়া যায়। প্রাকৃতিক কন্ডিশনার ব্যবহার করতে চাইলে চা ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। এজন্য গরম পানিতে চা পাতা সেদ্ধ করে ছেঁকে ঠান্ডা করে নিন। এরপর এতে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।
* হেয়ার মাস্ক লাগান: হেয়ার স্পার শেষের ধাপ হেয়ার মাস্ক। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের হেয়ার মাস্ক কিনতে পাওয়া যায়। তবে প্রাকৃতিকভাবে হেয়ার মাস্ক তৈরি করে নিতে পারেন। দুইটি ডিমের সাথে সামান্য নারিকেল তেল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। এবার এই মাস্কটি চুলে লাগান। ২০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

ঘরেই তৈরি করুন হারবাল শ্যাম্পু

যা যা লাগবে:

  • রিঠা
  • শিকাকাই
  • আমলকি

যেভাবে তৈরি করবেন:

১। ৫০০ মিলিলিটার পানিতে ৬-৭টি শিকাকাই, ৫-৬টি রিঠা এবং কয়েকটি আমলকি সারারাত ভিজিয়ে রাখুন।
২। পরের দিন সকালে এই মিশ্রণটি চুলায় দিন। বলক আসলে চুলা নিভিয়ে দিন।
৩। এটি ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
৪। এটি করার সময় খেয়াল করবেন উপাদানগুলো থেকে প্রচুর ফেনা তৈরি হয়েছে।
৫। এবার এই মিশ্রণটি শ্যাম্পুর মত ব্যবহার করুন।
৬। এত ঝামেলায় যেতে না চাইলে আমলকি, রিঠা এবং শিকাকাই সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন, পরের দিন এই পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এটিও শ্যাম্পুর মত কাজ করবে।
৭। রিঠা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে পরের দিন সকালে সেটির পেস্ট তৈরি করে নিন। এর সাথে শিকাকাই গুঁড়ো ভাল করে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এটি চুলে ব্যবহার করুন, আপনি চাইলে এর সাথে শ্যাম্পু মিশিয়ে নিতে পারেন।

যেভাবে কাজ করে:

আমলকি চুল পড়া রোধ করে। এর সাথে বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিড চুলকে নরম, কোমল করে তোলে। এর ফ্ল্যাভোনয়েড, ভিটামিন, মিনারেল, প্রোটিন  নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে থাকে। রিঠা খুব ভাল পরিষ্কারক, ময়লা দূর করে ইনফেকশন রোধ করে থাকে। শিকাকাই চুলের জন্য খাদ্যস্বরূপ। এতে পিএচ লেভেল অনেক কম যার কারণে এটি চুলের প্রাকৃতিক তেল নষ্ট হতে দেয় না। এরসাথে এটি চুল মজবুত করে তোলে।  এমনি খুশকি সমস্যাও সমাধান করে থাকে।
হারবাল শ্যাম্পু ব্যবহার করুন আর পেয়ে যান সুন্দর স্বাস্থ্যজ্বল ঝলমলে চুল।

শনিবার, ৩ জুন, ২০১৭

নতুন চুল গজাতে রসুনের প্যাক

 

১। রসুন এবং তেল

তেল এবং রসুন নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। এমনকি মাথার তালুর ইনফেকশন এবং ব্যাকটেরিয়া দূর করে দেয় রসুনের তেল। এক টেবিল চামচ রসুনের রসের সাথে আধা কাপ নারকেল তেল মিশিয়ে অল্প আঁচে জ্বাল দিন। কুসুম গরম হয়ে আসলে এটি মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে লাগান। এক ঘন্টা বা তারচেয়ে বেশি সময় এটি চুলে রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

২। রসুনের রস

রসুনের কয়েকটি কোয়া নিয়ে রস করে নিন। এটি সরাসরি মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে লাগান। গোসলের আগে চুলে এটি লাগিয়ে নিন। কিছুসময় এটি মাথায় রাখুন। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না যেন।

৩। কাঁচা রসুনের সিরাম

চুল পড়া রোধের একটি পরীক্ষিত পদ্ধতি হল কাঁচা রসুনের সিরাম। রসুনের তেলের সাথে এক টেবিল চামচ কাঁচা রসুনের রস মিশিয়ে নিন। এবার একটি তুলোর বলে সেটি লাগিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করে লাগান। কয়েক মিনিট মাথার তালু ম্যাসাজ করুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ভাল করে চুল ধুয়ে ফেলুন। ভাল ফল পাওয়ার জন্য এটি প্রতিরাতে ব্যবহার করুন।

৪। রসুন এবং অলিভ অয়েল

অলিভ অয়েলের বোতলে এক টুকরো রসুন দিয়ে দিন। এটি এভাবে এক সপ্তাহ রাখুন। এরপর প্রতিদিন রাতে এই তেল চুলে ব্যবহার করুন। পরের দিন সকালে চুল শ্যাম্পু করে নিন। কয়েক সপ্তাহের মাঝে পরিবর্তন দেখতে পাবেন।

৫। রসুনের কন্ডিশনার

রসুনের কোয়া রোদে শুকিয়ে নিন। তারপর এটি গুঁড়ো করে পাউডার তৈরি করুন। এবার কন্ডিশনার সাথে রসুনের পাউডার মিশিয়ে নিন। এটি চুলে কন্ডিশনার হিসেবে ব্যবহার করুন। আপনি চাইলে এতে রসুনের রসও মেশাতে পারেন। এটি চুল পড়া রোধ করতে সাহায্য করবে।

৬। রসুনের প্যাক

রসুনের সেলিনিয়াম যখন ভিটামিন ই এবং ডিমের প্রোটিনের সাথে মিশে চুলের পড়া রোধ করে করে। নতুন চুল গোঝাতে সাহায্য করে। একটি ডিমের সাদা অংশ ভাল করে ফেটে নিন এরসাথে এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং এক টেবিল চামচ রসুনের রস মেশান। এবার প্যাকটি চুলে ভাল করে ম্যাসাজ করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এই প্যাকটি ব্যবহার করুন। এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করবে।