মঙ্গলবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৮

চুল খুব দ্রুত ঘন ও কালো করার ঘরোয়া উপায়

পেঁয়াজের ব্যবহার
সেই প্রাচীন কাল থেকে চুল বৃদ্ধির কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে পেঁয়াজ। পেঁয়াজের রসে রয়েছে সালফার যা চুলের কোলাজেন টিস্যুর বৃদ্ধি উন্নত করে এবং চুল বাড়তে সাহায্য করে দ্রুত।
লাল পেঁয়াজ ছোট ছোট করে কেটে নিয়ে একটি পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে রেখে চিপে রস বের করে নিন। এই পেঁয়াজের রস পুরো মাথার ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট পর মৃদু কোনো সাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ দিন ব্যবহার করুন এই পেঁয়াজের রস।

ডিমের হেয়ার মাস্ক
ডিমের উচ্চ মাত্রার প্রোটিন চুলের ফলিকলে পুষ্টি প্রদান করে এবং চুল দ্রুত বৃদ্ধি নিশ্চিত করে। এই মাস্কের সালফার, জিংক, আয়রন, সেলেনিয়াম, ফসফরাস এবং আয়োডিন চুল দ্রুত বৃদ্ধি করে।
১ টি ডিমের সাদা অংশ নিন। এতে ১ টেবিল চামচ মধু এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। চুলে ভালো করে লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর শ্যাম্পু করে চুল ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

আলুর রসের ব্যবহার
চুলের বৃদ্ধির কাজে আলুর রসের ব্যবহার অনেকেই জানেন না। কিন্তু আলুর ভিটামিন এ, বই এবং সি চুলের দ্রুত বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক।
আলু একেবারে ঝুড়ি করে নিয়ে খুব দ্রুত এর রস বের করে নিন। এই রস সরাসরি মাথার ত্বকে ভালো করে ঘষে লাগান। ১৫ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহার করলে ভালো ফলাফল পাবেন।

মেহেদীর হেয়ার মাস্ক
মেহেদী চুলের জন্য অনেক বেশি ভালো একটি উপাদান। চুল ঘন কালো ও লম্বা করতে মেহেদীপাতার তুলনা নেই।
১ কাপ পরিমান শুকনো গুড়ো মেহেদী অর্ধেক কাপ টকদই দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এই মেহেদীর মিশ্রণ চুলের আগা থেকে গোঁড়া এবং মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করবেন।

সোমবার, ১৬ এপ্রিল, ২০১৮

ত্বকের যত্নে কমলালেবু

পদ্ধতিঃ১

১।কমলালেবুর খোসা ভালমত বেটে নিন।
২।এর সাথে পরিমাণমতো ভেসন ও গোলাপজল ভালো করে মিশিয়ে নিন।মিশ্রণ টি ঘন হতে হবে।
৩।পুরা মুখ ও গলা তে এই মিশ্রণটি লাগান। শুকালে হাল্কা করে সার্কুলার মুভমেন্টে ঘসে নিন।এরপর নরমাল পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন দিন ব্যবহার করুন ।

পদ্ধতিঃ২
১।কমলালেবুর খোসা শুকিয়ে নিন। এরপর শুকনো খোসাগুলো গুড়ো করে নিন।
২।এর সাথে সমপরিমান গোলাপজল ও গ্লিসারিন মিক্স করে পেস্ট তৈরি করুন।মুখে লাগান।শুকালে ধুয়ে নিন।
এই প্যাকটি সপ্তাহে তিন বা চার দিন ব্যবহার করুন ।
ত্বকে জমে থাকে সব ময়লা ,ধুলাবালি দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল করতে এই প্যাক দুটি খুব উপকারি।

রবিবার, ১৫ এপ্রিল, ২০১৮

ঘরোয়া উপায়ে খুশকি দূর করুন

জেনে নিন কীভাবে দূর করবেন বেয়াড়া খুশকি———-

১. জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই : খুশকি দূর করতে আপনার হাতের নাগালে থাকা জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই ব্যবহার করতে পারেন। জবা ফুল, আমলকি ও জলপাই একসঙ্গে বেটে পেস্ট করে চুলে লাগান। আধ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন, খুশকি কমে যাবে।


২. দুর্বা ঘাস ও নিমপাতা : খুশকি দূর করতে দুর্বা ঘাস ও নিমপাতার জুড়ি নেই। দুর্বা ঘাস ও নিমপাতা বাটা, ভিনেগার ও শসার রস মিশিয়ে পেস্ট করে মাথার তালুতে লাগান। এরপর আধঘণ্টা পর শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। খুশকি চলে যাবে।

৩. আমলকির রস ও নারিকেল তেল: কাঁচা আমলকি ছেঁচে রস করে নারকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে চুলায় গরম করুন। এরপর রোদে ২-৩ দিন শুকিয়ে বোতলে ভরে রেখে দিন। সপ্তাহে ২ দিন সেই তেল মাথার তালুতে ঘষুন। খুশকি চলে যাবে।

৪. মেথি বাটা : মেথি বাটা, আমলকির রস, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই পানিতে পেস্ট করে মাথায় লাগিয়ে দিয়ে আধ ঘণ্টা পর্যন্ত রেখে দিন। এরপর চুল শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন তাতেও খুশকি চলে যাবে।

৫. আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো : আমলকি ও শিকাকাই গুঁড়ো, নারকেল তেলের সঙ্গে পেস্ট করে চুলে দিন। শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করলে খুশকি চলে যাবে।

৬. পেঁয়াজের রস: খুশকি দূর করতে পেঁয়াজের রসে বেশ উপকারি। পেয়াজ রস করে মাথার তালুতে লাগান। ২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এতে ভালো ফল পাওয়া যাবে।

৭. লেবু রস : লেবুর রস খুশকি দূর করে। এজন্য শ্যাম্পু করার পর এক মগ পানিতে লেবু মিশিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। আর এতে করে চুলে সুগন্ধ বের হবে।

৮. লেবুর রস ও নারকেল তেল : খুশকি দূর করতে লেবুর রসের সঙ্গে নারকেলের তেল মাথার তালুতে লাগানো যেতে পারে। এক চা চামচ লেবুর রসের সঙ্গে ৫ চা চামচ নারকেলের তেল ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর মাথার তালুতে লাগিয়ে ৩০-৩৫ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। এভাবে ব্যহারের কিছুদিন পর দেখবেন খুশকি দূর হয়ে গেছে।

বুধবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৮

চুলের যত্নে কার্যকরি ডিম হেয়ার প্যাক


উপকরণ: ১।ডিমের কুসুম ২ টা ২।অলিভ অয়েল ২ টেবিল চামচ যদি চুল বেশি হয় তবে আপনি ডিমের কুসুম ও তেলের পরিমাণ বাড়িয়ে দিবেন। মনে রাখবেন ১ টি কুসুমের সাথে ১ টেবিল চামচ তেল যোগ হবে।

ব্যবহার বিধি: ১।ডিম ভেঙ্গে কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করে নিন। আপনার চুল যদি রুক্ষ হয় তবে শুধু কুসুম নিবেন। স্বাভাবিক চুলের অধিকারী ব্যক্তি এই প্যাক ব্যবহার করলে সম্পূর্ণ ডিম নিবেন অর্থাৎ সাদা অংশ+কুসুম। কুসুম ভাল করে ফেটিয়ে নিয়ে এর মধ্যে অলিভ অয়েল দিন।ডিম ও তেল ভাল করে মিশিয়ে চুলে লাগান।
যদি পেস্টটি বেশি আঠালো মনে হয় বা লাগাতে সমস্যা হয় তাহলে এর মধ্যে কয়েক ফোঁটা পানি যোগ করুন। ভাল ফল পেতে প্যাকটি ১ ঘন্টার বেশি সময় মাথায় রাখুন। গোসলের সময় প্রথমে গরম পানি দিয়ে ভাল করে ধুয়ে নিন যাতে তেল ও ডিম বের হয়ে যায়। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।শ্যাম্পু করে চুলে পানি দিলে আপনি পার্থক্য বুঝতে পারবেন সেটার জন্য চুল শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করা লাগবে না।

টিপস: ১।যদি আপনার হাতের কাছে অলিভ অয়েল না থাকে তবে পুরো ডিমটি ফেটিয়ে মাথায় লাগান। ১৫-২০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি আপনার চুলকে প্রাকৃতিক ভাবে মস্চারাইজ করবে ও চুলে কন্ডিশোনারের কাজ করবে।

২।যদি আপনার চুল অতিরিক্ত রুক্ষ,ভঙ্গুর ও খসখসে হয় তবে এই প্যাকে আরো কিছু জিনিস মিশিয়ে নিন। মধু,অ্যালোভেরা জেল,দুধ ও পাঁকা কলা। এগুলো চুল নরম ও কোমল করতে অনেক সাহায্য করে।

৩।যদি আপনার চুল রুক্ষ না হয়ে অন্য প্রকৃতির হয় তবে জেনে নিন ডিমের সাথে কোন তেল দিলে কি হয়। এটি আপনাকে তেল বাছাই করতে সাহায্য করবে। *যোযোবা অয়েল:তৈলাক্ত চুল স্বাভাবিক করতে।

*আমন্ড অয়েল:স্বাভাবিক চুল কে শুষ্ক করে। *নারিকেল তেল:শুষ্ক চুলকে স্বাভাবিক করে।
আপনি নিজের চুলের ধরণ অনুযায়ি তেল ব্যবহার করুন।না জেনে অন্যের কথায় কিছু ব্যবহার করবেন না।অন্যের চুলে যেটা ভাল কাজ করেছে সেটা আপনার জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।ত্বকের মতো চুলেরও অনেক ধরণ আছে।তাই ত্বকের ক্ষেত্রে যেমন আপনি সচেতন তেমন নিজের চুলের যত্নেও সচেতন হোন।

সোমবার, ৯ এপ্রিল, ২০১৮

কোন ত্বকে কেমন সানস্ক্রিন উপযোগী

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য সাধারণ যে কোন সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বাড়ে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অবশ্যই পানির মাত্রা বেশি অর্থাৎ ওয়াটার বেইজড সানস্ক্রিন বাছাই করা উচিৎ। এতে করে রোদ এবং ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। সানস্ক্রিনের এসপিএফ অবশ্যই ৩০ মাত্রার অধিক ব্যবহার করবেন।

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্য

শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকের জন্যও আলাদা ধরণের সানস্ক্রিন ব্যবহার করার প্রয়োজন রয়েছে। রুক্ষ ত্বকে সাধারণ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বক আরও বেশি শুষ্ক এবং রুক্ষ হয়ে পরে। তাই রুক্ষ এবং শুষ্ক ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার সমৃদ্ধ সানস্ক্রিন বাছাই করতে হবে। একই সাথে এসপিএফ ৩০ মাত্রার অধিক সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।

সাধারণ ত্বকের জন্য

সাধারণ ত্বকের জন্য সানস্ক্রিন বাছাইয়ের ক্ষেত্রে খুব বেশি বাছাবাছি করার প্রয়োজন নেই। কারণ সাধারণ ত্বকের ৩০ থেকে ৫০ এসপিএফ মাত্রার সানস্ক্রিন ভালোভাবেই কাজ করে। সাধারণ ত্বকের জন্য শুধুমাত্র ভালো ওয়াটারপ্রুফ সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিৎ। এতে করে ত্বক ঘেমে গেলেও সানস্ক্রিন ত্বকে থাকবে।

রবিবার, ৮ এপ্রিল, ২০১৮

ব্রণ থেকে নিস্তার পেতে জেনে নিন কিছু প্রাকৃতিক সাধারণ টিপস্

ব্রণ কমিয়ে আনতে আপনার কিছু সাধারণ কাজ করতে হবে যা ব্রণ কমার পাশাপাশি আপনার লাইফ স্টাইলেও ভালো প্রভাব ফেলবে। চলুন জেনে নিই আপনাকে যা যা করতে হবে।
রাত জাগা পরিহার rat
আপনাকে অবশ্যই ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে হলে বেশি রাত জাগা যাবেনা। রাত জাগলে আপনার ত্বকে ব্রণ বৃদ্ধি পাবেই। আপনি রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যাবেন এবং সকালে তাড়াতাড়ি উঠে যাবেন। এভাবে নিয়মিত পরিমিত ঘুম আপনার ত্বকে ব্রণ অনেকটাই কমিয়ে দিবে।

খাবারের অভ্যাস

fruit
ত্বকে ব্রণ উঠার সাথে আপনার খাদ্যাভ্যাস অনেকটাই সম্পর্কিত। আপনি যদি ব্রণ থেকে নিস্তার পেতে চান, তবে অবশ্যই তৈলাক্ত খাবার, অর্থাৎ ভাঁজা পোড়া খাবার, অধিক তেল যুক্ত খাবার পরিহার করতে হবে। এছাড়া চকলেট খাওয়া কমিয়ে দিন। মনে রাখবেন চকলেট আপনার ব্রণ বৃদ্ধিতে বিশেষ ভুমিকা রাখে।

অপ্রয়োজনে মুখে খোঁচাবেন না

মুখে সব সময় হাত দিয়ে খুঁটা খুঁটি অনেকের স্বভাব। আপনার যদি ব্রণ থাকে তবে আপনাকে মুখে হাত লাগানো এবং বিভিন্ন জিনিস দিয়ে মুখে খোঁচানো পরিহার করতে হবে। যতটা সম্ভব মুখে হাত কিংবা অন্যান্য কিছু দিয়ে স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকুন।

মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে

mukh
মুখ ধোয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। আপনার যদি ব্রণ হয় তবে নিশ্চিত ভাবে বুঝতে হবে আপনার ত্বক তৈলাক্ত। ফলে সব সময় ত্বকে তেল জমতে বাঁধা দিতে হবে। কিভাবে দিবেন? হ্যা ওয়েল ফ্রি ফেস ওয়াস দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন নিয়মিত। যখনি ত্বকে তেল জমছে মনে হবে তখনই মুখ ধুবেন। এতে ত্বকে তেল জমতে না পারলে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমে যাবে।
এবার চলুন জেনে নেয়া যাক আপনার ত্বককে ব্রণ থেকে রক্ষা করতে কি ধরণের প্যাক ব্যবহার করতে পারেন

আলুর প্যাক

alu
আলুর প্যাক ব্যবহার করতে পারেন, আলুতে প্রচুর পরিমাণে তন্তু ও ভিটামিন-এ রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। ত্বকের যত্নেও আলুকে ব্যবহার করা যায়।
যেভাবে আলু ব্যবহার করবেন- আলুকে পাতলা এবং গোল করে কেটে আপনার ব্রণের উপরে রাখুন, এছাড়া আলু ব্লেন্ড করে রস মুখে লাগালে ব্রণ কমে এবং দাগ দূর হয়।

দারুচিনি ব্যবহার

daru
ব্রণের জন্য দারুচিনি হচ্ছে অত্যন্ত কার্যকরী ওষুধ। আপনি যদি দারুচিনি পাউডার করে মধুর সাথে মিশিয়ে মুখের ত্বকে প্রয়োগ করেন তবে ব্রণ কমে যাবে।

কমলার খোসা ব্যবহার

komo
আপনি আপনার ব্রণ দূর করতে কমলার খোসা বেটে ত্বকে প্রয়োগ করতে পারেন। এতে কমলার খোসায় থাকা প্রচুর পরিমাণে সাইট্রিক এসিড এবং ভিটামিন সি আপনার ত্বককে সতেজ করে এবং ব্রণ দূর করতে সাহায্য করবে।
অতএব, উপরের এসব প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করেই আপনি চাইলে আপনার ত্বকের ব্রণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। তবে শুরুতেই বলেছি ব্রণ কমাতে হলে সবার আগে প্রয়োজন নিয়মতান্ত্রিক লাইফ স্টাইল। আপনার মানসিক শান্তি এবং সুন্দর জীবনযাপন প্রক্রিয়া আপনার ব্রণ কমিয়ে দিবে নিশ্চিত করে বলা যায়।

সোমবার, ২ এপ্রিল, ২০১৮

সুন্দর থাকতে ঘুমানোর আগে এই ছোট রুটিন মেনে চলুন

কেবল ভালো ঘুমের জন্যই নয়, যদি সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য দুটোই ধরে রাখতে চান তাহলে রাতের বেলা ঘুমের আগে কিছু কাজ অবশ্যই করা উচিত। এগুলোর কিছু আপনি জানেন, বাকিটা হয়তো জানেন না। চলুন, আজ তাহলে জেনে নিই রাতের বেলার রুটিনের আদ্যোপান্ত।

১) ঘুমানোর আগে ঢিলেঢালা সুতির কাপড় পরিধান করুন অবশ্যই। এতে ঘুমটা হবে খুবই আরামের।

২) ঘুমানোর আগে মুখের ত্বক ভালো করে পরিষ্কার করে নেয়া জরুরী। তুলোয় ক্লিনজিং মিল্ক নিয়ে মুখটা পরিষ্কার করে নিন। তারপর ভালো ফেসওয়াশ ও কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

৩) ঘুমানোর আগে মুখের ত্বক ময়েশ্চারাইজ করা খুব জরুরী। যাদের একটু বয়স হয়েছে, তারা অ্যান্টি রিংকেল ক্রিম মাখবেন। অন্যরা নিজের ত্বকের ধরণ বুঝে সাধারণ ময়েসচারাইজার।

৪) ঘুমানোর আগে চুল সম্পূর্ণ শুকনো রাখুন। লম্বা চুল হলে বেঁধে ফেলাই ভালো।

৫) হাত পা কেও অবহেলা করবেন না। ভালো ব্রান্ডের ক্রিম বা লোশন মাখুন।

৬) খুব ভালো হয় যদি ঘমের আগে বিছানাটা বদলে নিতে পারেন। বিছানার চাদর, বালিশ সব বদলে ফেলুন। এটা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। তাছাড়া সুতির নরম চাদরে ঘুম ভালো হয়।

৭) যাদের ঘুমের সমস্যা, তারা ঘুমের আগে এক গ্লাস উষ্ণ দুধ পান করবেন। খুব ভালো হয় সাথে একটি কলা খেলে। এতে ঘুম হবে চমৎকার।
৮) ঘুমানোর অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে ডিনার সেরে ফেলুন।