সোমবার, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২১

আকর্ষণীয় সুন্দর নখ পেতে হলে যা করবেন

কল্পনা করুন খুবই আকর্ষনীয় এবং ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন একজন নারী। কিন্তু যখনই তিনি হাতটি উপরে তুললেন, তখন তার নখের ধরণ দেখে তার প্রতি জন্ম নেয় ইতিবাচক ধারণা নেতিবাচকে পরিণত হলো। তার ময়লা এবং বিবর্ণ নখ অযত্ন এবং অজ্ঞতারই পরিচয় বহন করে। এটি যে শুধু সৌন্দর্যহানীকর তা নয়, অস্বাস্থ্যকরও বটে।
একই কথা খাটে পায়ের নখের ক্ষেত্রে। এর যত্নে অবহেলা আপনার ব্যক্তিত্ব খর্ব করার জন্য যথেষ্ট। সুতরাং আপনার মুখ এবং ত্বকের যত্ন যেমন গুরুত্বপূর্ণ, সমানভাবে নখের দিকেও যথেষ্ট গুরুত্ব দিতে হবে। আর এই জন্য দেখে নিন আকর্ষণীয় সুন্দর নখ পেতে হলে যা করবেন আপনি।

নখের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা

নখ পরিষ্কার রাখা খুবই সহজ। এর জন্য ভালো মানের হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করবেন। হাতের নখের ময়লাগুলো আলতো করে পরিষ্কার করুন। বেশি চাপ প্রয়োগ করবেন না। অনেক সময় দৈনন্দিন কাজে নখ এবং এর আশেপাশের ত্বকে দাগ পরে যায়। এই দাগ দূর করতে সহ্য করার মতো গরম পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে হাত ডুবিয়ে রাখুন। লেবুর রস দাগও দূর করবে আর আপনার নখের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে। পায়ের নখ পরিষ্কার করতে একটি সুতি কাপড়ে সবান পানি দিয়ে ঘষুন। এই সৌন্দর্য ধরে রাখতে প্রতিদিন দুইবার নখ পরিষ্কার করা উচিত।
এর সাথে সপ্তাহে একবার মেনিকিউর-পেডিকিউরও করা উচিত।

নখের কোমলতা

নখ পরিষ্কার করার পর একটি তোয়ালে দিয়ে নখে জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন। নখে পানি জমে থাকলে তা থেকে ইনফেকশন হতে পারে। এবার পায়ের নখে কোনো ভালো মানের ময়শ্চারাইজিং ক্রিম নখ এবং এর আশপাশের ত্বকে লাগিয়ে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার নখের চারপাশের ত্বক কোমল থাকবে। হাতের নখের জন্য অলিভ অয়েল, এলমন্ড কিংবা ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।

নখের সুস্বাস্থ্য

আপনার সুন্দর নখ প্রকাশ করে আপনার ব্যক্তিত্ব এবং সুস্বাস্থ্য। যদি নখ হয় কোমল, মসৃণ এবং গোলাপী তাহলে বোঝা যাবে আপনার শরীরও সুস্থ্য আছে। ভাঙা, বিবর্ণ এবং দাগযুক্ত নখ কোন রোগ বা শারীরিক ভারসাম্যহীনতার চিহ্ন বহন করে। বেশি করে ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন দুগ্ধজাত খাদ্য, ফল-মূল, শুষ্ক ফল এবং সবুজ শাক-সবজি খেলে শরীরের সাথে সাথে নখও কোমল, মসৃণ এবং উজ্জ্বল থাকবে।

বুধবার, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

মেকআপের কিছু অজানা টিপস

আপনার ত্বক যদি বেশ উজ্জ্বল হয়ে থাকে তাহলে কোনো ধরনের ফাউন্ডেশন ব্যবহার করার দরকার নেই। এর জন্য শুধু চোখের নিচে কনসিলার ব্যবহার করুন। পাশাপাশি চোখের শ্যাডোর সঙ্গে ত্বকের উজ্জ্বলতা ঠিক করে নিন।

* মেকআপ করার আগে মুখের ত্বককে পরিষ্কার এবং ময়েশ্চারাইজ করে নিন। এতে করে মেকআপটি ত্বকে ভালোভাবে বসে যাবে এবং বেশ কমনীয় ও নমনীয় দেখাবে। ব্রোনজার মুখের মেকআপে এক ধরনের গ্লামার নিয়ে আসে। এটি কপালে এবং গালে ব্যবহার করলে একটি গ্লামারাস লুক তৈরি করে।

* ত্বকের কালার টোন বুঝে সঠিক ফাউন্ডেশনটি ব্যবহার করুন। ফাউন্ডেশনের গায়ে স্কিন টোন অনুযায়ী নম্বর দেওয়া আছে। এ নিয়মটিকে অনুসরণ করুন। তাহলে মেকআপটি আপনার ত্বকের রংয়ের সঙ্গে মিশে যাবে।

* স্কিনের টোন অনুযায়ী মুখের মেকআপ গাঢ় করুন। এতে করে মেকআপটি বেশ উজ্জ্বল হবে। কখনোই নিজের ত্বকের চেয়ে হালকা রঙের মেকআপ নির্বাচন করবেন না। যদি দ্বিধায় পড়ে যান, তাহলে কাছাকাছি হালকা ও গাঢ় দুটি রংই নিন এবং কাঙ্ক্ষিত রং পেতে ব্যবহারের সময় দুটো মিশিয়ে ব্যবহার করুন।

* ঠোঁটের মেকআপটি ন্যাচারাল করলে ভালো দেখাবে। যেমন- ত্বকের রংয়ের সঙ্গে যায় এমন রংয়ের লিপস্টিক ব্যবহার করুন। ফর্সাদের উজ্জ্বল রঙে বেশ ভালো মানিয়ে যায়। পার্টি মেকআপে অবশ্যই উজ্জ্বল লিপস্টিক ব্যবহার করুন। তবে গায়ের রংটাও মাথায় রাখতে ভুলবেন না যেন।

* ফ্রেশ এবং তারুণ্যতা ফুটিয়ে তুলতে চোখে জেল লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। এটি চোখের মেকআপটিকে প্রাণবন্ত করে তুলবে। অন্যের কথার চেয়ে নিজের দৃষ্টির ওপর ভরসা করুন। মেকআপের জন্য যে রংটি আপনার কাছে ত্বকের সঙ্গে সবচেয়ে মানানসই লাগে, সেটিই বাছুন।

* মুখের সৌন্দর্য অনেকটাই নির্ভর করে আইব্রোর ওপর। মেকআপে আইব্রো অাঁকার সময় শেষটা কখনোই হঠাৎ করে করা যাবে না। এতে আপনাকে অনেক বেশি বয়স্ক দেখাবে। এ জন্য আইব্রোর শেষ পর্যন্ত এঁকে সঙ্গে সঙ্গে আরও একটু বাড়িয়ে নিন হালকা করে। তাহলে চেহারায় বেশ একটা শার্পনেস চলে আসবে।

* ফটোগ্রাফিক লুক আনার জন্য মেকআপটিতে হাইলাইটস ব্যবহার করুন। আইব্রোর নিচে এবং নাকের মাঝখানে হাইলাইটস ব্যবহার করলে মুখের আকৃতি শার্প হবে। ফলে ছবি ভালো আসবে।

* চোখের ক্লান্তিভাব দূর করতে বেগুনি এবং সবুজ লাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চোখের সাজে শ্যাম্পেন কালারড আইশ্যাডো লাগান। চোখের ওপরের পাতায় মোটা রেখায় কালো আইলাইনার লাগান। চোখের নিচের পাতায় কাজল দিয়ে রেখা টানুন। ঘন করে মাশকারা লাগান চোখের পাপড়িতে।

সোমবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ঠোঁটের উপর রোমশ আভা দূর করার উপায়

কারণ

ঠোঁটের উপরে কালো দাগের প্রথম এবং প্রধান কারণ হচ্ছে ঠোঁটের পাতলা লোমের স্তর। যে কারণে ঠোঁটের উপরের অংশকে চেহারার অন্য অংশের থেকে কালো দেখায়। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এই গোঁফের মতো পাতলা লোমের স্তর ফেলে দিলেও দাগ দূর হয় না।

ড. মেঘনা গুপ্তা বলেন, “এর কারণ হতে পারে হরমোনের প্রভাব। বয়ঃসন্ধিতে এবং গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তনের সময় ঠোঁটের উপরে কালো দাগ পড়তে পারে।”
এ ছাড়াও, ভিটামিন-ই এবং আয়রনের অভাবে কালো ছোপ পড়ে। কেউ যদি জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ব্যবহার করেন বা অন্যান্য ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াতেও এমনটা হতে পারে।

আলকাতরার উপাদান আছে এমন উপকরণে সমৃদ্ধ ক্রিম ব্যবহারে দাগ পড়াও বিরল নয়। এ ছাড়াও ত্বকের মেলালিন ঘটিত রোগ মেলানোসিস এবং সূর্যের আলোতে বেশি সময় কাটালে ঠোঁটের উপর কালো ছোপ পড়তে পারে।

যদিও ঠোঁটের উপরের লোম ফেলে দিলে কালো ভাবটা দূর হয় তবে বার বার ঠোঁটের উপরের লোম উপরে ফেলতে থাকলে স্থায়ীভাবে কালো দাগ পড়ে যায়।

পরিত্রাণের উপায়

১। কী খাচ্ছেন সেই বিষয়ে লক্ষ রাখুন। একজন মানুষের শরীরে প্রতিদিন ৭২ ধরনের ভিটামিন ও মিনারেলের প্রয়োজন হয়। এসব পুষ্টি উপাদান প্রতিদিনের খাবারে নিশ্চিত করতে নানান ধরনের ফল ও সবজি প্রতিদিন খেতে হবে জানিয়েছে মুম্বাইয়ের রেজিস্টার্ড পুষ্টিবিদ ড. স্মিতা নন্দা।
তার মতে, “প্রতিদিন প্রচুর পরিমাণে পানি খেতে হবে। ফল চিবিয়ে খেতে হবে। তবে এর রস পান করা যাবে না। পাশাপাশি প্রতিদিন যেন প্রচুর পরিমাণে সবজি খাওয়া হয় সেই বিষয়েও যত্নশীল হতে হবে। যে সব খাবারে ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি এসিড রয়েছে যেমন: ঘানিতে ভাঙা তেল, তোকমা দানা, আখরোট ইত্যাদি আপনাকে উপকৃত করতে পারে।

২। এই দাগ একটা সতর্ককারী সংকেত হতে পারে যে, আপনার দেহে হয়ত কিছু একটা ঠিক নেই। তাই একটি স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। চেষ্টা করতে হবে এমন সব ওষুধ সেবন করতে যেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই অথবা তুলনামূলক কম।
কিছু খাবার আছে যেগুলো আপনার ক্ষতি করবে কিন্তু সেগুলোর লোভ সামলানো খুবই কষ্টসাধ্য, এই খাবারগুলো কম করে খাওয়ার চেষ্টা করুন। চর্বিযুক্ত খাবার, বেশি পরিমাণে খাবার, ক্যাফেইনযুক্ত খাবার আপনার ধারণার থেকে বেশি ক্ষতি করে থাকে।
অন্তত সাত ঘণ্টা ঘুমান, এই সাত ঘণ্টার বিষয়ে কোনো প্রকার আপোষ করবেন না।
মনে রাখবেন, প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ শ্রেয়। তাই, নিয়মিত রক্ত পরীক্ষা করা, শরীরচর্চা করা, ধ্যান করা, গান শোনা, নিজেকে প্রশ্রয় দেওয়া, ম্যাসেজ করার মতো কাজগুলো করবেন। এতে মন প্রফুল্ল থাকে এবং কাজ করতে ভালো লাগে।

৩। আপনার ত্বকের নিয়মিত যত্ন নিন। ত্বকে এসপিএফ ফিফটি মানের সানস্ক্রিন মাখুন, শুধু গরমে নয় শীতকালেও। ঘর থেকে বের হওয়ার অন্তত ৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখুন। ঠোঁটের উপরের লোম ওয়াক্স করার বদলে সুতা দিয়ে তুলুন।

৪। রূপ-ত্বক বিশেষজ্ঞরা বলেন, ত্বকের রং হালকা করার ক্রিম, পিল অফ মাস্ক, ত্বকের উপরের ত্রুটিপূর্ণ দাগ তুলে ফেলার জন্য করা কসমেটিক চিকিৎসা, লেজার দিয়ে করা চিকিৎসার সাহায্যেও ঠোঁটের উপরের কালো দাগ দূর করা যায়।

সোমবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রূপচর্চায় বেসন এর ব্যবহার


- মুখের কালচে ভাব দূর করতে ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস, ১ চা চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে এবং ঘাড়ে লাগিয়ে শুকান পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বক কে নরম এবং উজ্জ্বল করে। ভালো ফলাফলের জন্য সপ্তাহে ৪-৫ বার ব্যবহার করুন।

- ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে লেবু এবং বেসনের ফেইস প্যাক খুব কার্যকর। ৪ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ লেবুর রস এবং এক চামচ কাঁচা দুধ ভালো মতো মিশিয়ে পেস্ট করে মুখে সারকুলার মোশনে স্ক্রাবের মতো মাখুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

- যাদের ত্বক তৈলাক্ত তারা ৩ চা চামচ বেসন এর সাথে ২ চা চামচ কাঁচা দুধ অথবা ২ চা চামচ টক দই মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল কমানোর সাথে সাথে ত্বকের ময়লা দূর করে।

- ব্রণের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করুন এন্টি পিম্পল বেসন মাস্ক। ২ চা চামচ বেসন, ২ চা চামচ স্যানডালউড পাউডার, এক চা চামচ দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে শুকালে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

- ঘাড় এবং আন্ডারআর্মের কালো দাগ নিয়ে বিব্রত অবস্থায় পড়তে হয় অনেককেই। এসব জায়গার কালো দাগ দূর করতে বেসনের একটি প্যাক খুব কার্যকর। বেসন, টক দই এবং কাঁচা হলুদ পরিমাণ মতো নিয়ে ঘাড়ে এবং আন্ডারআর্মের কালো জায়গায় লাগান। ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এরপর মুছে সেখানে তিলের তেল দিয়ে ম্যাসাজ করুন। সপ্তাহে কমপক্ষে ৩ বার ব্যবহার করুন।

- মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে বেসন। মেথি গুঁড়ো এবং বেসনের সাথে পানি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখের যেসব জায়গায় লোম রয়েছে সেখানে এই মিশ্রণটি লাগান। শুকালে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন এই ফেইস প্যাকটি ব্যবহার করুন।

- ব্রণের কালো দাগ দূর করতে বেসনের সাথে শশা এবং লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ব্রণের দাগ হালকা হয়ে যাবে।

- চেহারায় মুহূর্তের মধ্যে উজ্জ্বলতা আনতে ২ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ শুকনো কমলার খোসার গুঁড়ো এবং আধা চা চামচ দুধ মিশিয়ে মুখে এবং ঘাড়ে লাগান। লাগানোর সময় মুখে হালকা ভাবে সারকুলার মোশনে ম্যাসাজ করুন। ১৫ মিনিট রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাকটি ত্বককে উজ্জ্বল এবং মসৃণ করে।

রবিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ব্রণ দূর করে কলার ফেসপ্যাক


নরম ও কোমল ত্বকের জন্য কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। বলিরেখা ও ব্রণ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল রাখে এটি

উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
ত্বকের রুক্ষতা দূর করতে কার্যকর কলার ফেসপ্যাক। ১টি কলা ব্লেন্ড করে ১ চা চামচ মধু মেশান। ত্বকে মিশ্রণটি ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে একবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক প্রাণবন্ত হবে।

ব্রণ দূর করতে
ব্রণ ও ব্রণের দাগ দূর করতে কলার ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন নিয়মিত। একটি কলা চটকে ১ চা চামচ মধু ও ১ চা চামচ লেবুর রস মেশান। মিশ্রণটি ২০ মিনিট ত্বকে লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
শুষ্ক ত্বকের যত্নে
শুষ্ক ত্বকের যত্নে কলার ফেসপ্যাক অতুলনীয়। অর্ধেকটি কলা চটকে ১ চা চামচ ওটমিল গুঁড়া, ১ চা চামচ মধু ও ১টি ডিমের কুসুম মেশান। মিশ্রণটি ত্বকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে দুইবার এটি ব্যবহার করলে ত্বক হবে নরম ও কোমল।

শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২১

রূপচর্চায় ভেষজ উপাদানের ব্যবহার


কাঁচা হলুদ
কাঁচা হলুদ বেটে নিয়মিত মুখে লাগালে কেবল যে ত্বকের রং উজ্জ্বল হয়, তা-ই নয় বরং এটা ব্রণ ও চর্মরোগ থেকে দেয় মুক্তি। এক গ্লাস দুধের সঙ্গে দুই টেবিল-চামচ কাঁচা হলুদের রস মিশিয়ে খান, দেখবেন ত্বকও ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে উজ্জ্বল। কেননা, এটি রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

থানকুনি পাতা
থানকুনি পাতা বেটে মাথায় লাগালে মাথা ঠান্ডা হবে। সেই সঙ্গে কমবে চুল পড়ার হার। নিয়ম করে থানকুনি পাতার রস খেলে মনে রাখার ক্ষমতাও বাড়বে দিন দিন।

ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরা
এক চামচ ইসবগুলের ভুসি ও দুই চামচ অ্যালোভেরার রস পানির সঙ্গে মিশিয়ে খেয়েই দেখুন। বাড়তি মেদ পালানোর পথ পাবে না। দূর হবে বাতের ব্যথাও। অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল গজাবে। মধুর সঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের দাগ দূর করে ত্বক করে তুলবে আরও উজ্জ্বল।

আমলকী
আমলকী খেলে মুখের রুচি বাড়ে, চুল পড়া বন্ধ হয় এবং ত্বক ও চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। আর আমলকীর গুঁড়া ও তিলের তেল মিশিয়ে মুখে লাগালে যেমন শুষ্ক ত্বক কোমল হবে, তেমন ত্বক ফর্সাও করবে। আবার চুলে আমলকীর রস এক ঘণ্টা লাগিয়ে ধুয়ে ফেললে চুলের অকালপক্বতা দূর হবে।

তিল
তিল লাগালে চুল পড়া বন্ধ হয়ে চুল কালো হবে, ত্বকের দাগ দূর হবে। এটা খেলে বাতের ব্যথাও দূর হয়। তিলের সঙ্গে মধু ও দুধ মিশিয়ে মুখে লাগালে ত্বকের রোদে পোড়া ভাব দূর হয়।

কাঠবাদাম
কাঠবাদাম খেলে স্নায়বিক শক্তি বাড়ে। আবার কাঠবাদামের সঙ্গে দুধ ও মধু মিশিয়ে ত্বকে লাগালে সেটা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং ত্বকে কোমলতা আনে।

লবঙ্গ
যদি মুখে অনেক ব্রণ থাকে, তাহলে এটি গুঁড়া করে ব্রণের ওপর লাগান। ব্রণ কমে যাবে।

মেথি
মেথি বেটে চুলে লাগালে চুল পড়া কমে, চুলের উজ্জ্বলতা বাড়ে। ফলাফল পেতে ব্যবহার করেই দেখুন!

লেবু
লেবু খেলে একই সঙ্গে চুল, ত্বক ও দাঁতের মাড়ি শক্ত হয়। লেবু ও মধু মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন। ভালো ক্লেনজারের কাজ করবে। সমপরিমাণ লেবু ও নারকেল তেল মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে এক ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। খুশকির যন্ত্রণা আর হবে না।

এছাড়াও……  
* এক চা-চামচ অ্যালোভেরা ও এক টেবিল-চামচ লেবুর রস শ্যাম্পুতে মিলিয়ে চুল ধুয়ে নিন। চুলের তৈলাক্ত ভাব কমবে।
* জায়ফল গুঁড়া করে দুধের সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করলে ব্রণের সমস্যায় উপকার পাবেন। দারচিনি বেটে মধুর সঙ্গে মিলিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। সমপরিমাণ শসাবাটা এবং গোলাপজল একসঙ্গে ব্যবহার করলে ব্রণের বিরুদ্ধে খুব ভালো কাজ করবে।
* শসা ও লেবুর রস তুলার বলের সাহায্যে ব্যবহার করলে পিগমেন্টেশন দূর হবে।
* সমপরিমাণ দারচিনির গুঁড়া এবং লেবুর রসের পেস্ট সারা রাত লাগিয়ে রেখে সকালে ধুয়ে নিতে পারেন। ব্ল্যাক হেডস দূর হবে।
* রাতেই কিছুটা মেথি বেটে হোয়াইট হেডস হয়েছে এমন স্থানে লাগিয়ে রেখে সকালে ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সমস্যা কেটে যাবে। চন্দনের গুঁড়া ও গোলাপজল একসঙ্গে মিলিয়ে পেস্ট বানিয়ে ব্যবহারেও উপকার পাবেন। ২০-৩০ মিনিট পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
* অল্প কিছু কালো এলাচ গুঁড়া করে  ফ্রিজে রেখে দিন। ১০টি তেজপাতা সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে এই পানির সঙ্গে এলাচ গুঁড়া ও মুলতানি মাটি মিলিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে গোসলের আগে ব্যবহার করুন। শরীরের দুর্গন্ধ দূর হবে ও ঘাম কমবে।
* মেথি দিয়ে প্রস্তুতকৃত চা খেলে, লবঙ্গ চিবালে, এলাচের দানা চিবালে মুখের দুর্গন্ধ দূর হবে।
* কাঠবাদামের পাতা বেটে ত্বকের আক্রান্ত অংশে লাগালে অ্যালার্জি দূর হবে।
* চুল পড়া কমাতে এক চা-চামচ দারচিনির গুঁড়া, এক টেবিল-চামচ মধু এবং এক টেবিল-চামচ অলিভ অয়েল মিলিয়ে শ্যাম্পু করার পাঁচ-দশ মিনিট আগে ব্যবহার করতে পারেন। শ্যাম্পু শেষে কন্ডিশন করে নিন।

বুধবার, ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২১

লেবুর খোসার উপকারিতা



১/রান্নার কাজেঃ
চিকেন রোস্ট রান্নার সময় খাবারে লেবুর সুঘ্রাণ পেতে দুই-এক টুকরো লেবুর খোসা দিতে পারেন। সুঘ্রাণের পাশাপাশি খাবারও হবে সুস্বাদু।

২/চিনি ঝরঝরে রাখতেঃ
রান্নাঘরের চিনির কৌটায় রেখে দিতে পারেন এক টুকরো লেবুর খোসা। এর ফলে চিনি থাকবে একেবারে ঝরঝরে।

৩/মুখের দুর্গন্ধ এড়াতেঃ
 মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে জুড়ি নেই লেবু বা কমলার খোসার। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এবং কিছুক্ষণ পরপর সারাদিন লেবু বা কমলার খোসা চিবাতে পারেন। এতে যেমন আপনার মাড়ি ভালো থাকবে তেমনি নিঃশ্বাসে থাকবে প্রাকৃতিক সজীবতা।

৪/পোকা-মাকড়ের হাত থেকে রক্ষা পেতেঃ 
আলমারি বা ওয়ারড্রবকে কীটপতঙ্গ থেকে মুক্ত রাখতেও লেবুর খোসার জুড়ি নেই। লেবুর শুকনো খোসা শুকিয়ে একটি ছোটো পলিপ্যাকে নিয়ে মোজা কিংবা অন্তর্বাসের ড্রয়ারে রেখে দিন। দুর্গন্ধ তো দূর হবেই, সাথে সাথে আপনার পোশাক হবে দারুণ সুরভিত।

৫/ফ্রিজ সতেজ রাখতেঃ
ফ্রিজের ভেতরে দুর্গন্ধ এড়াতে রেখে দিতে পারেন দুই এক টুকরো লেবুর খোসা। এতে ফ্রিজ থাকবে লেবুর সুগন্ধময়।

৬/ডাস্টবিনে দুর্গন্ধ এড়াতেঃ 
দুর্গন্ধময় ময়লা-আবর্জনায় লেবুর খোসা নিক্ষেপ করুন। লেবুর খোষা দুর্গন্ধ শুষে নিবে।

৭/চায়ের কেটলি বা কফি পট পরিষ্কার করতেঃ
জমে থাকা চা কিংবা কফির পট পরিষ্কার করতে পারেন লেবুর খোসা দিয়ে। এক্ষেত্রে কেটলিতে পানি নিয়ে লেবুর খোসা দিয়ে কিছুক্ষণ সেদ্ধ করতে হবে। এরপর ময়লা জায়গা পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।

৮/কাটিং বোর্ড পরিষ্কার করতেঃ
কাটিং বোর্ডের সব ময়লা দাগ পরিষ্কার করতে লেবুর খোসা কেটে কয়েক ঘণ্টা রেখে দিন। দেখবেন একেবারে ঝকঝকে হয়ে গেছে।

৯/মাইক্রোওয়েভ পরিষ্কার করতেঃ
মাইক্রোওয়েভের তেল চিটচিটে হলে বাটিতে পানি দিয়ে লেবুর খোসা ছেড়ে গরম করতে হবে। এরপর পানি দিয়ে শুকনো কাপড় দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। এতেই মাইক্রোওয়েভ ঝকঝকে হয়ে যাবে।

১০/ত্বক উজ্জ্বল করতেঃ
ত্বকে মেসেজ করে ধুয়ে ফেললে নরম, কোমল ও উজ্জ্বল ত্বক পাওয়া যায়।

১১/বয়সের দাগ দূর করতেঃ
মানুষের যখন বয়স বাড়ে তখন শরীরে বয়সের দাগ পড়ে যায়। এই দাগের ওপর লেবুর খোসা ঘসলে তা উঠে যায়।

১২/স্কিন টনিক হিসাবেঃ
লেবুর খোসা ত্বকে অল্প ঘষে ধুয়ে ফেললে এটি ত্বকের স্কিন টনিক হিসাবে কাজ করবে।

ফর্সা নিখুঁত সুন্দর ত্বকের জন্য গুঁড়ো দুধের ৭ ফেসপ্যাক ব্যবহারের নিয়ম


চা বা কফি তৈরির অন্যতম একটি উপাদান হলো গুঁড়ো দুধ । শুধু খাবার নয় ত্বকের যত্নেও গুঁড়ো দুধের অনেক ব্যবহার রয়েছে । ব্ল্যাক হেডসের সমস্যা , ত্বকে কালো দাগ কিংবা ব্রণের কালো দাগ দূর করতে গুঁড়ো দুধের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন । নিখুঁত , নরম ফর্সা কোমল ত্বক পেতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন গুঁড়ো দুধের এই প্যাকগুলো । (অবশ্যই ফুল ক্রিম মিল্ক পাউডার ব্যবহার করবেন) ।

১। গুঁড়ো দুধ , পেঁপে এবং গোলাপ জল

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ , এক টেবিল চামচ পাকা পেঁপে চটকানো এবং ছয়-সাত ফোঁটা গোলাপ জল একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন । শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

২। গুঁড়ো দুধ এবং লেবুর রস

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধের সাথে দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন । এই পেস্টটি মুখ এবং ঘাড়ে লাগিয়ে রাখুন । ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন । এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন ।

৩। গুঁড়ো দুধ এবং চালের গুঁড়ো

একটি পাত্রে চাল এবং গুঁড়ো দুধ পানিতে গুলিয়ে দুই ঘন্টা রেখে দিন । এরপর এই মিশ্রণটি বেটে পেস্ট করুন । এই পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন । আপনি চাইলে এতে লেবুর রস মেশাতে পারেন । এটি ত্বক নরম করার সাথে সাথে স্ক্রাবের কাজ করবে ।

৪। গুঁড়ো দুধ এবং হলুদ

এক চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে কাঁচা দুধ মেশান । দুধ এবং হলুদের পেস্টটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন । শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে মধু মেশাতে পারেন । প্যাক ব্যবহারের আগে মুখ কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন । এতে ত্বকের রোমকূপ খুলে যাবে এবং প্যাক ভালভাবে ত্বকে কাজ করবে ।

৫। গুঁড়ো দুধ এবং কমলার খোসা

কমলার খোসা গুঁড়োর সাথে দুধ মিশিয়ে নিন । এই প্যাকটি ত্বকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। শুকিয়ে গেলে চক্রাকারে ম্যাসাজ করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন । প্যাকটি তুলে ফেলার পর ত্বকে বরফ ঘষুন পাঁচ মিনিট । তাৎক্ষনিক ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে এই প্যাকটি ।

৬। গুঁড়ো দুধ এবং মুলতানি মাটি

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ এবং দুই চা চামচ মুলতানি মাটির সাথে কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ২০ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

৭। গুঁড়ো দুধ এবং মধু

এক টেবিল চামচ গুঁড়ো দুধ , দুধ চা চামচ মধু এবং কয়েক ফোঁটা গোলাপ জল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন । এই প্যাকটি ত্বকে ব্যবহার করুন । ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন ।

শুক্রবার, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১

ত্বকের যত্ন ফেশিয়াল এর পরে ত্বকের যত্ন

ফেশিয়াল করার পর প্রথম কয়েকদিন ত্বক দেখায় খুব উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত কিন্তু কিছুদিন চলে যাওয়ার পরেই আগের মতো ত্বক হয়ে যায় তৈলাক্ত, দেখা দেয় ব্রনের উপদ্রব ইত্যাদি আরও নানা সমস্যা। তাই ফেশিয়াল করার পরেও কী করে ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা ঠিক রাখবেন জেনে রাখুন প্রয়োজনীয় টিপস।এ জন্য যা করবেন:

১। সতর্কতার পরিষ্কার করুণ। আপনার ত্বক যদি তৈলাক্ত হয় তাহলে ফেশিয়াল এর পরে প্রতিদিন অবশ্যই প্রাকৃতিক ক্লিনজার দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেবেন। এ ক্ষেত্রে দুধের সঙ্গে মধু মিশিয়ে পুরো মুখে মেখে তুলা দিয়ে মুছে ফেলুন। এই ক্লিনজার মুখের তেল, ময়লা দূর করে সহজেই। এ ছাড়া ওটসের সঙ্গে টকদই মিশিয়ে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপানার ত্বকের উজ্জ্বলতা বজায় থাকবে।

২। ফেশিয়াল এর পরে ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজিং খুবই কার্যকরী। ক্লিনজিংয়ের পর ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করে কিছুক্ষণ পর ফেসিয়াল করুন। দেখবেন এতে ত্বক অনেক নরম ও মসৃণ হবে।

৩। ভালো পণ্য দিয়ে মুখ ধোবেন। এ জন্য সাবানের বদলে ভালো মানের ফেসওয়াস ব্যাবহার করতে পারেন।

৪। বাইরে বেরুনোর সময় সান্সক্রিম ব্যাবহার করতে ভুলবেন না।

৫। সপ্তাহে ২/৩ দিন ফেশিয়াল স্ক্রাবার ব্যবহার করুন।

৬। সপ্তাহে দুই একবার গোলাপ জ্বল, লেবুর রস মুলতানি মাটির সাথে মিশিয়ে মুখে লাগান। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। একইভাবে মধু, লেবুর রস, ডিমের সাদা অংশ একসঙ্গে মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন।

এই উপায়ে প্রতিদিন ত্বকের যত্ন নিলে দেখবেন ফেশিয়ালের পরেও ত্বকের স্বাস্থ্যও ভালো থাকবে এবং উজ্জ্বলতা থাকবে অটুট। তবে শুধুমাত্র ঘরোয়া রূপচর্চা করলেই যে ত্বকের স্বাস্থ্য ও উজ্জ্বলতা ভালো থাকবে তা নয়। নিজের ডায়েট মেন্যুতে রাখতে হবে স্বাস্থ্যকর খাবার।