মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই, ২০১৮

রিবন্ডেড চুলের যত্ন

১. চুল রিবন্ডিং করে আসার পরে ২-৩ দিন চুল ভেজাবেন না। এরপর রিবন্ডেড চুলের জন্যে উপযুক্ত শ্যাম্পু বেছে বেছে নিবেন। আজকাল বাজারে রিবন্ডেড হেয়ারের জন্য ভালো মানের উপযোগী শ্যাম্পু পাওয়া যায়। এছাড়া প্রতিবার শ্যাম্পুর পর কন্ডিশনার লাগাতে একদমই ভুলবেন না। আবারো বলছি, কন্ডিশনার কিন্তু লাগাতেই হবে মাস্ট। এই বেসিক জিনিস গুলো অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে।

২. চুল রিবন্ডিং করার ফলে চুলে যে ড্যামেজ-টা হয়েছে, সেটা সারিয়ে চুল হেলদি করে তুলতে পারে কোকোনাট অয়েল। তবে সপ্তাহে ৩ দিন অন্তত চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত অয়েল ম্যাসাজ করতেই হবে।

৩. অনেকেরই অভ্যাস থাকে হট শাওয়ার নেওয়ার। কিন্তু চুল রিবন্ডিং করা থাকলে এই অভ্যাসটি আপনাকে ছাড়তে হবে। হট ওয়াটার আপনার চুলকে পুরোপুরিভাবে ড্যামেজ করে দিবে। তাই চেষ্টা করবেন ঠান্ডা পানিতে শাওয়ার নেওয়ার।

৪. চুলের আগা রেগ্যুলার ট্রিম করতে ভুলবেন না। এতে করে চুলের আগা ফেটে গিয়ে আপনার চুলের সৌন্দর্য নষ্ট হবে না এবং দেখতেও ভালো লাগবে। এছাড়া এতে করে রিবন্ডিং বেশ সময় পর্যন্ত লাস্টিং-ও করে।

৫. চুল রিবন্ডিং করা অবস্থায় অন্যসব কেমিক্যাল প্রোডাক্ট যেমন হেয়ার কালার অন্তত ৬ মাসের মধ্যে না করাই ভালো। কালার করার পর কোকোনাট অয়েল দিয়ে ময়েশ্চারাইজ করাটাতো মাস্ট। এছাড়াও হেয়ার স্টাইলিং টুলস ব্যবহার থেকেও বিরত থাকুন। যদি ব্লো ড্রায়ার খুব বেশী দরকার পড়ে, তবে কুলিং সেটিং-এ রেখে ব্যবহার করুন।

৬. বাইরে বের হলে সাথে হ্যাট অথবা ছাতা সাথে রাখবেন। কারণ, বাইরের সূর্যের ইউভি রে, বৃষ্টির পানি, দূষণ আপনার চুলের জন্য বেশ ক্ষতিকর।

৭. হুট করে যদি বৃষ্টিতে চুল ভিজে গিয়ে থাকে, তবে যত দ্রুত সম্ভব চুল ওয়াশ করে ফেলতে হবে। কারণ, বৃষ্টির পল্যুটেন্টস এবং সল্ট চুলে প্রচুর ড্যামেজ করতে পারে। তারপর চাইলে একটা হট অয়েল ম্যাসাজ নিয়ে নিতে পারেন চট করে!

৮. যেহেতু রিবন্ডিং এ চুলে একটা বিশাল ধরনের ড্যামেজ হয়ে থাকে, তাই চেষ্টা করবেন নিজে একটু হেলদি ডায়েট-এ থাকতে। কারণ, হেলদি ডায়েট চুলের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে অনেকটা সাহায্য করবে।

৯. চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে হেয়ার মাস্ক হতে পারে আপনার অন্যতম বন্ধু। কারণ, আমাদের চুলের ড্যামেজ রিপেয়ার করতে ময়শ্চার এবং প্রোটিন দরকার হয়। হেয়ার মাস্ক চুলে এসব পুষ্টি দিয়ে চুলকে ডিপ কন্ডিশনিং করতে সাহায্য করে।

হেয়ার মাস্ক হিসেবে ২ টি কার্যকরী ডিপ কন্ডিশনিং মাস্কের কথা জেনে নিন-

একটি বাটিতে ৪ টেবিল চামচ কোকোনাট অয়েল, ১/৩ কাপ টকদই, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল ও হাফ চা চামচ ভিটামিন ই অয়েল ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এটি চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালোমত লাগিয়ে ১ ঘন্টা পর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

এবার আসি সেকেন্ড মাস্ক-এ। একটি ব্লেন্ডারের জগে একটা পাকা অ্যাভোক্যাডো/কলা, ১ টা ডিম, ১ টেবিল চামচ নারিকেল তেল, ১ টেবিল চামচ এলোভেরা জেল নিয়ে ব্লেন্ড করে নিন ভালোভাবে।এই মাস্ক-টি চুলে লাগিয়ে ১ ঘন্টা অপেক্ষা করুন। এরপর শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনার লাগিয়ে নিন।

১০. প্রতিবার গোসলের পর ভেজা চুলে লিভ-ইন-কন্ডিশনার অথবা হেয়ার সিরাম লাগাবেন। এটি আপনার চুলের শ্যাফট-এ একটা প্রটেক্টিভ ব্যারিয়ার তৈরী করবে এবং চুল থেকে ময়েশ্চার লস হতে দেবে না।

১১. প্রতি ১৫ দিন অন্তর চুলে স্টিম নিবেন, হতে পারে সেটা ঘরেও। ঘরে স্টিম নিতে কুসুম গরম পানিতে একটি টাওয়েল চুবিয়ে অতিরিক্ত পানিটুকু ঝরিয়ে নিয়ে ওই টাওয়েল-টা পুরো চুলে পেঁচিয়ে রাখবেন। এরপর ১৫ মিনিট ওয়েট করে আবার রিপিট করবেন ২-৩ বার। স্টিমিং-এর ফলে হেয়ার সফট, হাইড্রেট এবং ময়েশ্চারড হবে।

১২. চুল আঁচড়ানোর সময় অবশ্যই মোটা দাঁতের উডেন চিরুনি ব্যবহার করবেন। এতে চুল ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।

বৃহস্পতিবার, ১৯ জুলাই, ২০১৮

বয়স কমান,সুন্দর থাকুন


লেবুতে আছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকে কোলাজেনের উৎপাদন বৃদ্ধি করে। ত্বকের টানটান ভাব ফিরিয়ে দিতে খুবই কার্যকর। একটি লেবুর রস নিংড়ে তাতে কিছুটা চিনি মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি তুলা দিয়ে ভালোকরে মুখে লাগান। মিনিট দশেক অপেক্ষা করে হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। এবার দেখুন ত্বক ফিরে পেয়েছে দারুন কোমলতা। এবার ত্বক উপযোগী ময়েশচারাইজার লাগিয়ে নিন। প্রতিদিন এই প্যাকটি একবার ব্যবহারেই অটুট থাকবে আপনার আসল সৌন্দর্য।

ডিমের ফেসপ্যাক- 
দুটি ডিমের সাদা অংশ, দুই টেবিল চামচ টক দই ও সামান্য চিনি একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। প্যাকটি মুখে, গলায় ও হাতে মাখুন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর হালকা ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ এই ফেস প্যাক কয়েক দিনেই আপনার ত্বককে করে তুলবে তারুণ্যদীপ্ত ও সুন্দর। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার ব্যবহার করলেই যথেষ্ট।

সোমবার, ১৬ জুলাই, ২০১৮

ফেসিয়াল করুন ঘরে বসেই

ঘরোয়া ফেসিয়ালের নিয়ম-কানুন
ধাপ-১:
ফেসিয়াল করার আগে একটু বড় গলার জামা ব্যবহার করুন। মাথার চুল আঁচড়ে পেছন দিকে ভালো করে বেঁধে ফেলুন, যাতে মুখ বা কপালের ওপর এসে না পড়ে। সাবান দিয়ে ভালো করে দুহাত ধুয়ে নিন। অল্প পরিমাণে লোশন নিয়ে মুখমণ্ডল, গলা ও ঘাড়ে ম্যাসাজ করতে থাকুন। ক্লিনজিং করার পরই ফ্রেশনিং করবেন। তুলা পানিতে ভিজিয়ে বাড়তি পানি বের করে নিন। এবার ভেজা তুলায় ৫-৬ ফোঁটা ফ্রেশনার ঢেলে নিন। মুখ, গলা ও ঘাড়ে তুলা বুলিয়ে নিন। আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা মিশ্র হলে ফ্রেশনিং করার সময় টোনার ফ্রেশনার বা স্কিন টনিক ব্যবহার করবেন। এবার ময়েশ্চারাইজিং লোশন ভালো করে সারা ত্বকে মেখে নিন। পাঁচ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।
ধাপ-২:
এবার ফ্রেসপ্যাক লাগানোর পালা। এ ক্ষেত্রে ত্বক বুঝে ফেসপ্যাক নির্বাচন করতে হবে। স্বাভাবিক ত্বকে মুলতানি মাটির মাস্ক, চন্দনের মাস্ক, মধু ও গাজরের ফেসপ্যাক, অলিভঅয়েল ও ডিমের ফেসপ্যাক, বেসন ও গাজরের ফেসপ্যাক, ময়দা ও মধুর মাস্ক লাগাতে পারেন। তৈলাক্ত ত্বকে ওটমিল মাস্ক, মধুর মাস্ক, শসা ও ডিমের ফেসপ্যাক, কমলালেবু ও ডিমের ফেসপ্যাক, আপেল ও মধুর ফেসপ্যাক উৎকৃষ্ট। ত্বক শুষ্ক হলে দুধ ও ময়দার মাস্ক, দুধের সর ও মধুর মাস্ক, মাখন ও মধুর ফেসপ্যাক, বেসন ও মধুর ফেসপ্যাক, দুধের সর ও বাদাম তেলের ফেসপ্যাক ব্যবহার করতে পারেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক মোটামুটি একই জিনিস। দুয়ের মধ্যে পার্থক্য হলো মাস্ক এক ধরনের মিশ্র বস্তুর উপাদানে তৈরি, যা পুরু করে মুখমণ্ডলের ত্বকে সরাসরি লাগাতে হয়। আর ফেসপ্যাক হলো ভিন্ন বস্তুর উপাদান দিয়ে তৈরি।
ধাপ-৩:
মাস্ক মুখে লাগানোর পর মুখ তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় ও ত্বকের ওপর শক্ত হয়ে প্রলেপ পড়ে। কিন্তু ফেসপ্যাক সে তুলনায় ধীরে ধীরে শুকাতে থাকে। বাড়িতে মাস্ক বা ফেসপ্যাক ব্যবহারের সময় কিছুটা সতর্কতা পালন করা দরকার। যেমন মাস্ক বা ফেসপ্যাক তৈরি করার সময় যে পানি ব্যবহার করবেন সেই পানি দশ মিনিট ফুটিয়ে ঠাণ্ডা করে নেবেন। মাস্ক বা ফেসপ্যাক রাখার পাত্র হিসেবে কাচ বা চীনামাটির পাত্র ব্যবহার করবেন। মিশ্রণের জন্য প্লাস্টিক বা কাঠের চামচ ব্যবহার করা উচিত। মাস্ক বা ফেসপ্যাক লাগানোর সময় বা লাগানোর পর কথা বলবেন না। চোখ বন্ধ করে ২০ মিনিট বিশ্রাম করুন। এ সময় কচি শসা গোল করে কেটে চোখ ঢেকে দিন। ২০ মিনিট পর প্রথমে কুসুম গরম পানি ও পরে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখের মাস্ক বা ফেসপ্যাক ধুয়ে ফেলুন।

শুক্রবার, ১৩ জুলাই, ২০১৮

চুল ছিঁড়া ও ভাঙা রোধ করার ২ টি অব্যর্থ্য হেয়ার মাস্ক

১। ডিম ও মেয়োনিযের হেয়ার মাস্কঃ

এতোদিন জানতেন মেয়োনিয খাওয়ার জিনিস, কিন্তু শুনে অবাক হবেন, চুল ভাঙা প্রতিরোধে মেয়োনিয চমৎকার কাজ করে। এটি আপনার চুলকে পুষ্টি যোগায়, সাথে সাথে চুলে নরম ও উজ্জ্বল ভাবও নিয়ে আসে! আর ডিমে থাকা প্রোটিন চুলকে শক্তিশালী করে।
উপকরণ :
  • দুটি ডিম
  • আধ কাপ মেয়োনিয

  • পদ্ধতি : বাটিতে দুটি ডিম ভেঙে ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মেয়োনিয মিশিয়ে চামচ দিয়ে ভালো ভাবে নাড়ুন যেন দুটি উপকরণ একেবারে মিশে যায়। এরপর এই ক্রিমের মতো মাস্কটি চুলের আগা-গোড়ায় ভালোভাবে লাগান। খেয়াল রাখবেন যেন প্রতিটি চুলে মাস্কটি পৌঁছায়। মোটা দাঁতের চিরুনী দিয়ে চুল আঁচড়ে নিন, এতে মাস্কটি ভালোভাবে চুলে লেগে যাবে। চুলে প্রসেসিং ক্যাপ পড়ে নিন। তোয়ালে গরম পানিতে ভিজিয়ে ক্যাপের চারপাশে পেঁচিয়ে নিয়ে এক ঘন্টা রাখুন। তোয়ালে ঠান্ডা হয়ে গেলে আবার গরম পানিতে ভিজিয়ে নেবেন।
    এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল ভালোভাবে ধুয়ে ফেলুন। মনে রাখবেন, গরম পানি ব্যবহার করবেন না। এই মাস্কটি মাসে দু বার ব্যবহার করুন। এটি চুল ভাঙা প্রতিরোধে অত্যন্ত কার্যকর।

    ২। ডিম ও মধুর তৈরি হেয়ার মাস্কঃ
    ডিম প্রোটিনের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। আমাদের চুল মূলত প্রোটিনের তৈরি, তাই ডিমের ব্যবহার চুলের ফলিকলগুলোকে শক্তিশালী করে। এছাড়াও ডিম চুলকে করে নরম এবং সুন্দর, জট ছাড়াতে এবং ভাঙন প্রতিরোধে সহায়তা করে।

    উপকরণ :
  • একটি ডিমের কুসুম
  • দু টেবিলচামচ অলিভ অয়েল
  • এক টেবিলচামচ মধু

  • পদ্ধতি : সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে চুলে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই মাস্কটি সপ্তাহে অন্তত একদিন ব্যবহার করুন। চুল ভাঙা চলে যাবে।
    চুল ও উপকারী হেয়ার মাস্ক,  চুল ছিঁড়া ও ভাঙা রোধে হেয়ার মাস্ক, চুল ছিঁড়া ও ভাঙা রোধ করার ২ টি হেয়ার মাস্ক, ২ টি অব্যর্থ্য হেয়ার মাস্ক, চুলের ২ টি হেয়ার মাস্ক

শনিবার, ৭ জুলাই, ২০১৮

চুলের যত্নে ডিম ব্যবহারের গুরুত্ব


ডিমের প্রোটিন প্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে: 
প্যাকটি বানাতে আপনার যা যা  লাগবে :
ডিম -২ টা
১/২ অলিভ অয়েল
১/২ টক দই
১/২ বিয়ার(আপনি  বিয়ারের পরিবর্তে ভিনেগার ইউজ করতে পারেন , তবে ২ টেবিল চামচ পরিমাণ)
যাদের চুল খাটো তাদের জন্য এই প্যাকটি।মাথার চুলের পরিমাণের উপর নির্ভর করে এই প্যাকটি পরিমাণমত বানান।জট থাকলে চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে গোড়া থেকে আগা পর্য
ন্ত ভালো করে লাগান।৪৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।এরপর ম্রাম্পু করে ফেলুন।তবে কন্ডিশনার দিতে ভুলবেন না। ফলাফল দেখে আশর্চ হবেন নিজে।

ডিম ও হেনা প্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে:
প্যাকটি বানাতে আপনার যা যা  লাগবে :
১ টা ডিম
১ টেবিল চামচ খাটি মধু
২ টেবিল চ
মচ নারিকেল তেল
প্যাক রৈী করে চুলে লাগিয়ে আধা ঘন্টা লাগিয়ে রাখুন।যদি চুল রঙ করতে চান তবে এক থেকে দেড় ঘণ্টা রাখুন। এবার শ্যাম্পু দিয়ে চুল পরিষ্কার করে ফেলুন। এই প্যাকটি মাসে দুই বার ব্যবহার করাই যথেষ্ট।বেশি পুষ্টির জন্য এই প্যাকটি ব্যবহার করা হয়।

ডিম ও আমলা পাউডার প্যাক ব্যবহারের মাধ্যমে:
আমলা চুলের জন্য একটি অসাধারণ উপাদান। এটি চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করে আর ডিম চুলের প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে চুলকে করে সিল্কি, শাইনি ও প্রাণবন্ত। কাজেই এই দুই উপাদান একসঙ্গে ব্যবহার করলে তা যে চুলকে স্বাস্থ্যজ্জ্বল ও মজবুত করে তুলবে সে ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। একটা ডিম ভালো করে ফেটে নিন। এবার এতে আমলা পাউডার মেশান। কাটাচামচ দিয়ে ভালো করে ফেটুন যাতে করে কোনো দানা দানা না থাকে। এবার মাথা ও চুলে লাগিয়ে আধা ঘণ্টা রাখুন। তারপর কোনো ভালো শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন এবং কন্ডিশনার লাগান। এই প্যাকটি সপ্তাহে দুইদিন ব্যবহার করতে পারলে ভালো হয়। যদি সম্ভব না হয় অন্তত সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।

বৃহস্পতিবার, ৫ জুলাই, ২০১৮

ওজন কমানোর উপায়

১) দুপুরের ঘুম পরে নয়, আগে
দুপুরে ঘুমানোটা অনেকেরই মারাত্মক একটি বদ অভ্যাস। বিশেষ গৃহিণীরা যারা ঘরে থাকেন, তাঁরা তো অনেকেই লাঞ্চের পর বিকাল পর্যন্ত একটু ঘুমিয়ে নেন। এই কাজটি কখনোই করবেন না। দুপুরের ঘুম আপনার হজম শক্তিকে বাধাগ্রস্থ করে এবং ওজন বৃদ্ধিতে মারাত্মক ভূমিকা রাখে। একান্তই ঘুমাতে হলে লাঞ্চ করার আগে ঘুমিয়ে নিন, এতে কোন অসুবিধা নেই।

২) গোসলটা লাঞ্চের আগেই সারতে হবে
আমাদের দেশে সাধারণত দুপুরে ভাত খাওয়ার আগে গোসল করাটাই নিয়ম, সেভাবেই আমরা বেড়ে উঠি। কাজের ব্যস্ততায় কিংবা আলসেমীতে দুপুরে খাওয়ার আগে আজকাল অনেকেরই গোসল হয় না। এই কাজটি যতটা সম্ভব পরিহার করুন। গোসলের সময় আপনার হজমক্ষমতা ধীর হয়ে আসে, যা ওজন বৃদ্ধির মূল কারণ। গোসল করতে হলে কমপক্ষে ২/৩ ঘণ্টা পর করুন। সবচাইতে উত্তম খাওয়ার আগেই গোসল সেরে নেয়া।

৩) ফলটা খালি পেটেই ভালো
ফল খেতে নিঃসন্দেহে সকল চিকিৎসকই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আর যারা ডায়েট করেন, তাঁরা তো অবশ্যই ফল খেয়ে থাকেন অনেক বেশী। অনেকের ডায়েট চার্টেও পুষ্টিবিদ ফল দিয়ে থাকেন। রাতের বেলা হালকা ডিনারের পর ফল খাওয়া যেতে পারে, কিন্তু দুপুরে নয়। কেননা আমাদের দেশে দিনের সবচাইতে ভারী খাবারটা আমরা দুপুরেই খেয়ে থাকি। ফল হজম হতে সময় কম লাগে, এদিকে ভারী খাবারের সময় লাগে বেশী। ফলে দুটি খাবারের একটিও ঠিক মত হজম হয় না। হজমের সমস্যা তো হয়ই, সাথে ওজনও বাড়ে। ফল খেতে চাইলে খাওয়ার ১ ঘণ্টা আগে বা পরে খেতে হবে।

৪) খাওয়ার পর মিষ্টিমুখ আর না
খাওয়ার পর একটু মিষ্টি কোন খাবার মুখে দেয়ার অভ্যাস আমাদের অনেকেরই আছে। মিষ্টি পান হোক বা অন্য যে কোন খাবার বা পানীয়, মিষ্টি মানেই বাড়তি ক্যালোরি। তাই এই অভ্যাসটি আপনাকে পরিহার করতে হবে একেবারেই।

৫) চা/ কফি পান বিকালেই হোক, লাঞ্চের পর নয়
ঘুমের ব্যাঘাত হবে ভেবে রাতের বেলা চা/কফি পান করেন কেউই, কিন্তু দুপুরে লাঞ্চের পর চা-কফি পানের অভ্যাস অনেকেরই আছে। বিশেষ করে যারা অফিসে থাকেন, তাদের তো লাঞ্চের পর চা-কফি ছাড়া চলেই না। ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যাসটি ত্যাগ করতে হবে। চায়ের পাতা এসিডিক, যা হজমকে বাধাগ্রস্থ করে। দুপুরে বলাই বাহুল মাছ/মাংস/ডাল ইত্যাদি প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া হয়, চা খাওয়ার ফলে এই প্রোটিন সহজে হজম হয় না। এছাড়া খাবার থেকে আয়রন শোষণেও বাঁধা দেয় চা। এছাড়া চায়ের দুধ-চিনির বাড়তি ক্যালোরি তো আছেই।

৬) লাঞ্চের পর কায়িক পরিশ্রমের আছে নিয়ম
অনেকেই দুপুরের পর হাঁটতে যান বা ব্যায়াম করেন, যেহেতু রাতে সেটা সম্ভব হয় না। বিশেষ করে যারা ওজন কমাতে চান, তাঁরা তো অবশ্যই করেন এটা। অফিসে থাকলেও অনেকে দুপুরে খাওয়ার পর হাঁটাহাঁটি করেন এই ভেবে যে এতে বাড়তি ক্যালোরি ঝরিয়ে ফেলা যাবে। অথচ ফলাফল কিন্তু হয় উল্টো! হ্যাঁ, খাওয়ার পর হাঁটা ভালো, এটা খাবার হজম করতে এবং ওজন কমাতে খুব সহায়ক। কিন্তু হাঁটা আপনাকে হাঁটতে হবে খাওয়ার অন্তত ২০ থেকে ৩০ মিনিট পর। খুব জোরে হাঁটা চলবে না, কেবল হালকা পায়চারী। এবং অবশ্যই কোন ভারী ব্যায়াম বা পরিশ্রম করবেন না। এতে হজমে সমস্যা, বুক জ্বালা পোড়া, এসিডিটি ইত্যাদি নানান সমস্যা দেখা দেবে।

মঙ্গলবার, ৩ জুলাই, ২০১৮

নারকেল তেলের অভিনব ব্যবহার শীতের রূপচর্চায়

শীত মানেই শুষ্ক ত্বক আর রুক্ষ চুলের সমস্যা? তাই চুল ও ত্বকের সুস্থতায় অবশ্যই পরিচর্যা করুন। আপনার হাতের কাছে থাকা খুব সাধারণ একটি জিনিস হল নারকেল তেল, আর এই তেল দিয়েই আপনি শীতে বেশ ভাল করে নিজের পরিচর্যা করতে পারেন। তাই এখন থেকেই পরিচর্যা করা শুরু করুন নারকেল দিয়ে, সুন্দর ত্বক ও কোমল চুল পেয়ে যান আপনার হাতের মুঠোয়।

ময়েশ্চারাইজার
শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় হাত ও পায়ের ত্বকে ময়েশ্চারের অভাব দেখা দেয়। ফলে ত্বক ক্রমশ শুষ্ক ও রুক্ষ হতে শুরু করে। তাই এই সমস্যায় ব্যবহার করতে পারেন নারকেল তেল, তবে বিশেষ করে হাতে ও পায়ে। প্রতিদিন গোসল করার আগে নারকেল তেল সামান্য গরম করে হাতে ও পায়ে ভাল করে লাগিয়ে নিন।

বডি স্ক্রাবার
কোমল ত্বক পেতে বা ত্বকের কালো দাগ দূর করতে, ত্বক এক্সফলিয়েট করা অত্যন্ত জরুরি। নারকেল তেল বডি স্ক্রাবার হিসেবে বেশ ভাল কাজ করে। আধা কাপ নারকেল তেল ও সামান্য বেসনের সঙ্গে বড় দানার চিনি বা লবন মিশিয়ে সারা শরীরে ঘষুন। যতক্ষণ না চিনি গলে যাচ্ছে ততক্ষণ হালকা হাতে ঘষতে থাকুন। এইভাবে সপ্তাহে দু’দিন ব্যবহার করুন।
ঠোঁটের যত্ন
শীতে যাদের ঠোঁট ফাটে তাঁরা লিপবাম হিসেবে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। একটা পাত্রে নারকেল তেল নিয়ে রুম টেম্পারেচারে রেখে দিন। সেমি লিকুইড হয়ে গেলে লিপবাম হিসেবে ব্যবহার করুন। এটা দিনের যেকোন সময়ই লাগাতে পারেন। এই উপায়ে ঠোঁট ফাটার সমস্যা থেকে তো রেহাই পাবেনই ঠোঁট ও কোমল হবে।

আই ক্রিম
রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে তুলোতে নারকেল তেল লাগিয়ে চোখের উপর রেখে দিন। আইপ্যাড হিসেবে ব্যবহার করুন। চোখ বন্ধ করে কিছুক্ষণ রিল্যাক্স করুণ। এই উপায়টি দারুন কাজে দেয়। শুধু তাই নয় প্রতিদিনের ব্যবহারে দেখবেন ধীরে ধীরে চোখের চারপাশের ডার্ক সারকেল গায়েব হয়ে গেছে।

মেক-আপ রিমুভার
সুন্দর থাকতে আমরা সবাই কম বেশি মেক-আপ করে থাকি। কিন্তু সেই মেক-আপ নিয়ে তো আর বসে থাকা যায়না। তাই সুন্দর ভাবে মেক-আপ তুলতে নারকেল তেল খুব ভাল কাজে দেয়। সেক্ষেত্রে তুলোয় নারকেল তেল নিয়ে মুখে , গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে নিন। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে তুলো দিয়ে মুখ মুছে নিন। দেখবেন কড়া মেক-আপও সহজে উঠে যাবে।

চুলের যত্নে
শীতে রুক্ষ চুলের সমস্যাতে সপ্তাহে অন্তত একদিন হট ওয়েল ম্যাসেজ করুন। নারকেল তেল সামান্য গরম করে চুলের গোড়ায় ও চুলে লাগিয়ে নিন। তারপর আঙুলের ডগা দিয়ে হালকা করে কিছুক্ষণ ম্যাসেজ করুন। এতে ব্লাড সার্কুলেশন ভাল হবে। তারপর তোয়ালে হালকা কুসুম গরম পানিতে ভিজিয়ে নিংড়ে নিয়ে মাথায় পাঁচ মিনিয় জড়িয়ে রাখুন। এই পদ্ধতিটা ৩/৪ বার ট্রাই করুণ। এতে সহজে চুলের গোড়ায় তেল ঢুকবে ও পুষ্টি জোগাবে। চুল নরম ও চকচকে হবে। চুল সহজে ম্যানেজ করতে পারবেন। সবশেষে শ্যাম্পু করে নিন।