বুধবার, ১৯ জুন, ২০১৯

মেথি ব্যবহার করে ওজন কমাবার ৫টি দারুণ কৌশল

ওজন কমানোর জন্য আমরা কত ভাবেই না যুদ্ধ করি। তবে তার মানে এই না যে শুধুমাত্র মোটা হওয়ার কারনে এইসব চেষ্টা। দেহকে একটি সুন্দর আকৃতি দেয়ার জন্যও এই ধরনের চেষ্টা আমরা করে থাকি। কারণ যাই থাকুক না কেন ভাল থাকার জন্য দেহের সুন্দর আকৃতি ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই ওজন কমানোর উদ্যোগকে আরো ফলপ্রসূ করতে আজ আপনাদের কিছু জাদুকরি উপায় জানাবো। ভেষজ মশলা হিসেবে মেথি বীজ আমাদের সবার কাছে বেশ পরিচিত। সেই সাধারণ মেথিও কিন্তু আপনার ওজন কমানোতে দারুণ ভূমিকা রাখতে পারে। কীভাবে? যেমন আপনি জানেন কি, মেথি ভেজানো পানি খেলে খব দ্রত ওজন কমে? চলুন, জেনে নিই মেথি ব্যবহার করে ওজন কমানোর ৫টি দারুণ কৌশল।





ভাজা মেথিবীজ-এটি হচ্ছে ওজন কমানোর জন্য চমৎকার একটি উপায় যার জন্য অন্য কোন ঔষধ খেতে হবে না। কিছু মেথিবীজ একটি প্যানে নিয়ে কম আঁচে ভেজে নিয়ে সেটাকে গ্রাইন্ডারে গুড়ো করে পাউডার করতে হবে। তারপর কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেতে হবে এবং সেই সাথে এই মেথিবীজের পাউডার চাইলে তরকারিতেও ব্যবহার করতে পারেন ওজন কমানোর জন্য।
মেথিবীজ পানিতে ভিজিয়ে-
মেথিবীজ ভেজানো পানি খেলে তা ওজন কমাতে সহায়ক হয়। কারণ এটি খেলে তা খাবারের পরিতৃপ্তি এনে দেয়। যার ফলে ক্ষুধা কম অনুভূত হয় এবং বেশি খাওয়ার ইচ্ছেটা কমে যায়। এর ফলে খুব দ্রুত ওজন কমে। আরো এক ভাবে খেতে পারেন। ১ কাপ মেথিবীজ পানিতে সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর পানি ছেঁকে নিয়ে ভেজানো সেই মেথিবীজ গুলো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে চিবিয়ে খেতে হবে।

অঙ্কুরিত মেথিবীজ-
অঙ্কুরিত মেথিবীজে উচ্চ মাত্রার ক্যারোটিনয়েড, ভিটামিন এ, বি, সি এবং ই, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, পটাসিয়াম, অ্যামাইনো এসিড, হজম সহায়ক খনিজ পদার্থ এবং আরো অনেক কিছু রয়েছে। একটি বাটিতে মেথিবীজ নিয়ে তা একটি পাতলা কাপড় পানিতে ভিজিয়ে নিয়ে ঢেকে রেখে তার উপর ভারি কিছু দিয়ে ৩ রাত এভাবে রেখে দিতে হবে।তারপর দেখা যাবে মেথিবীজ অঙ্কুরিত হয়েছে এবং সেই বীজগুলো খেতে পারেন।

মেথিবীজের চা-
চমৎকার মেথিবীজের এই চা দুইটি কাজে সাহায্য করে,ওজন কমাতে এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রনে। এছাড়া হজমের ক্ষেত্রে ও রক্তচাপ নিয়ন্ত্রনেরও তা ভাল কাজ করে।সামান্য পানি দিয়ে কিছু মেথিবীজ পেস্ট করতে হবে।একটি পাত্রে পানি ফুটিয়ে নিয়ে তাতে সেই পেস্ট দিতে হবে। চাইলে তাতে কিছু ভেষজ মশলা দেয়া যায় যেমন আদা এবং দারুচিনি। তারপর পাত্র ঢাকনা দিয়ে ঢেকে ৫ মিনিট ফুটিয়ে নিতে হবে। প্রতিদিন এই চা খালি পেটে খেতে হবে।

মেথিবীজ ও মধু চা-
দেহের আকর্ষণীয় আকৃতি পেতে ও ওজন কমাতে মধুমিশ্রিত মেথিবীজের চা চমৎকার কাজ করে। মেথিবীজ গ্রাইন্ডারে গুড়ো করে নিতে হবে। সেই পাউডার পানিতে দিয়ে ফুটিয়ে নিয়ে ঠাণ্ডা করতে হবে এবং এভাবে ৩ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। তারপর সেই পানিটা ছেকে নিয়ে তাতে লেবুর রস ও মধু যোগ করতে হবে। ভাল ফলাফল পেতে এই চা টি প্রতিদিন সকালে খেতে হবে।

এই পাঁচটি উপায়ই হচ্ছে মেথিবীজ ব্যবহার করে কার্যকর ভাবে ওজন কমানোর প্রক্রিয়া। তাহলে আর দেরি কেন,শুরু করে দিন আজ থেকেই আর পৌছে যান আপনার লক্ষ্যমাত্রার ওজনে।

সোমবার, ১৭ জুন, ২০১৯

বাড়িতেই হোক হারবাল ফেসিয়াল

যা যা লাগবে
হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক, ফেসিয়াল স্ক্রাব, টোনার, ময়েশ্চারাইজার, আপনার ত্বকের ধরণ অনুযায়ী প্যাক তৈরির উপাদান।

১ম ধাপ
ফেসিয়াল করার শুরুতে মুখ পরিষ্কার করে ধুয়ে নিতে হবে। এবার একটা ভেজা নরম তোয়ালে রুমাল দিয়ে মুখটা মুছে ফেলুন। এরপর যে কোনও হারবাল ক্লিনজিং মিল্ক পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুখে ৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। ম্যাসাজ করার সময় উভয় হাতের চার আঙুলের সাহায্যে নিচ থেকে উপরের দিকে ঘষতে হবে। কপাল, থুতনি ও ঠোঁটের উপরে করতে হয় দুই আঙুলের সাহায্যে। এরপর ভেজা তোয়ালে দিয়ে মুখটা মুছে নিন।

২য় ধাপ
উষ্ণ গরম পানি দিয়ে মুখ ভিজিয়ে নিন। এরপর সমস্ত মুখে ফেসিয়াল স্ক্রাব ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা কোষ ঝরে যাবে এবং ত্বক মসৃণ ও নরম হবে।

৩য় ধাপ
একটি গামলায় ফুটন্ত পানি নিন। মাথায় তোয়ালে পেঁচিয়ে গামলা থেকে পানির বাষ্প মুখে লাগতে দিন। এভাবে পাঁচ মিনিট থাকতে হবে। তবে এ ক্ষেত্রে ত্বক যদি সেনসেটিভ হয়, ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোনো দাগ থাকে তবে এই ধাপটি বাদ দিন।

৪র্থ ধাপ
এবার মুখ মুছে ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্যাক লাগাতে হবে। সেক্ষেত্রে-
* তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ব্যবহার করতে পারেন চন্দনের প্যাক। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে আধা চামচ লেবুর রস, পাকা পেঁপে এবং ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন।
* শুষ্ক ত্বকের জন্য আধা কাপ কলা ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করুন, এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়বে।
* মিশ্র ত্বক গোলাপ ফুলের পাপড়ির পেস্ট, গোলাপজল, টক দই ও মধু দিয়ে একটি প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। প্যাক শুকিয়ে গেলে মুখ ভালোভাবে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
* ত্বকে রোদে পোড়া দাগ হলে পাকা টমেটোর রস লাগান। পাকা টমেটো প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে।

৫ম ধাপ
এক টুকরো তুলোয় টোনার নিয়ে মুখে ও ঘাড়ে লাগান। বাজারে কেনা টোনার না থাকলে শসার রস বা আলুর রস টোনার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। তবে চোখের চারপাশে টোনার লাগাবেন না।

৬ষ্ট ধাপ
সব শেষে মুখে লাগান ময়েশ্চারাইজার। মুখটা একটু ভেজা থাকতেই দু’হাতে ময়েশ্চারাইজার লোশন নিয়ে আলতো হাতে লাগান। মুখের যেসব জায়গা বেশি শুষ্ক সে জায়গাগুলোতে দু’বার করে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। এতে দীর্ঘ সময়
ত্বক আর্দ্র থাকবে।
প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার বেশি হওয়াই ঘরোয়া ফেসিয়াল ঘন ঘন করালেও সমস্যা নেই। তবে সপ্তাহে একবারের বেশি ফেসিয়াল করা ঠিক নয়।

বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন, ২০১৯

স্লিম হতে সাহায্য করে যে ৪ টি খাবার


স্লিম হতে সাহায্য করে যে ৪ টি খাবার, সেগুলো নিচে দেওয়া হলোঃ

১। আপেল
ডায়াটারি ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস হচ্ছে আপেল। ডায়াটারি ফাইবার শুধু পরিপাক তন্ত্রকে সুস্থ রাখতেই সাহায্য করেনা কোলেস্টেরল কমতেও সাহায্য করে। আপেল পেট ভরা রাখতেও সাহায্য করে। অ্যাপেটাইট নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারী দৈনিক ৩ টি আপেল বা ৩ টি নাশপাতি খান তাদের ওজন বেশি কমে যারা ৩ টি ওটস কুকিজ খান তাদের চেয়ে। যদিও ফল ও কুকিজে একই পরিমাণ ডায়াটারি ফাইবার থাকে। “গ্রিথ কন্ট্রোল :  দ্যা সাইন্স অফ ফ্যাট লস এন্ড মাসেল গেইন” বইটির লেখক ও পুষ্টিবিদ অ্যালান অ্যারাগন এর মতে, কুড়মুড়ে খাবার মানুষকে পেট ভরা রাখার অনুভূতি দেয়। চাবানোর ফলে শরীর থেকে তৃপ্তির সংকেত পাঠায়। এর ফলে আপনি যা খেয়েছেন তারচেয়ে অনেক বেশি খেয়েছেন বলে মনে হবে এবং ক্ষুধাকে দূর করে দেবে।

২। কাঠবাদাম -আপনি যদি স্ন্যাক্স হিসেবে সুস্বাদু কিছু চান তাহলে একমুঠো কাঠবাদাম হতে পারে আদর্শ খাবার। ২০০৯ সালে “দ্যা আমেরিকান জার্নাল অফ ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশন” এ প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যে সকল নারীরা সপ্তাহে অন্তত ২ দিন বাদাম খান তারা যারা খান না তাদের চেয়ে বেশি ওজন কমাতে সফল হন। ১ আউন্স কাঠবাদামে ১৬৭ ক্যালরি থাকে। এছাড়াও এতে ৬ গ্রাম প্রোটিন ও ৩ গ্রাম ফাইবার থাকে যা আপনাকে পেট ভরা থাকার অনুভূতি দেয়।
৩। ডিম
এতে কোন সন্দেহ নেই যে ফাইবারের মত প্রোটিনের তৃপ্তি দানকারী ক্ষমতা আছে। গবেষণায় জানা  যায় যে, সকালে ডিম খেলে সারাদিনে ওজন বৃদ্ধির সাথে যুদ্ধ করতে সাহায্য করে। “ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ অবেসিটি” তে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয় যে, যারা সকালের নাশতায় ২ টি ডিম খায় সপ্তাহে ৫ দিন, তাদের ৬৫% ওজন কমে। ডিমের কুসুমে যে প্রোটিন থাকে তা  গ্লুকাগন হরমোনের নিঃসরণকে উদ্দীপ্ত করে যা ফ্যাট পোড়াতে সাহায্য করে বিশেষ করে পেটের মেদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই শুধু ডিমের সাদা অংশ নয় কুসুমসহ ডিম খান।

৪। টমাটো
বেশিরভাগ সবজিই আপনাকে শুকাতে সাহায্য করবে। তবে টমাটোর কথা উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে এটি খুবই সুস্বাদু। এক কাপ রান্না করা টমাটতে মাত্র ৪৩ ক্যালরি থাকে। কিন্তু অন্য যেকোন উচ্চ ক্যালরি সম্পন্ন খাবারের চেয়ে বেশি সুস্বাদু হচ্ছে টমাটো।
স্বাস্থ্যকর ডায়েটের পাশাপাশি ব্যায়াম করাও ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয়। উপরোল্লেখিত খাবার গুলো ওজন কমাতে সাহাজ করে কারণ এগুলো ফাইবার বা প্রোটিনে সমৃদ্ধ। এই খাবারগুলো পরিতৃপ্তি দিতে পারে অর্থাৎ এগুলো খাওয়ার পর আপনি ক্ষুধা অনুভব করবেন না। তাই ওজন কমাতে চাইলে এই খাবার গুলো খান।

মঙ্গলবার, ৪ জুন, ২০১৯

ঈদের দিন ঘরেই করুন হুবহু পার্লারের মত নিখুঁত মেকআপ

১। ত্বক পরিষ্কার করা

প্রথমে মেকআপের জন্য ত্বককে তৈরি করুন। ভাল মানের ফেইস ওয়াস বা ক্লিনজার দিয়ে মুখ ধুয়েঁ ফেলুন। এতে আপনার মখের ময়লা সব চলে যাবে এবং মেকাআপ ভালভাবে মিশেয়ে যাবে আপনার ত্বকের সাথে।

২। ময়েশ্চারাজিং

হালকা কোন ময়েশ্চারাজিং ক্রিম বা লোশন দিয়ে কপাল, নাক, মুখ, চোখের চারপাশে ম্যসেজ করুন। ১৫/২০ মিনিট অপেক্ষা করুন যাতে লোশন বা ক্রিম ত্বকের সাথে মিশে যায়। ময়েশ্চারাজিং মেকআপের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

৩। ফাউন্ডেশন

ত্বক পরিষ্কারের পর শুরু হবে মেকআপ পর্ব। পারফেক্ট মেকআপ শুরু হয় ভালো বেস দিয়ে। বেসের প্রথম শর্ত হল নিজের ত্বক অনুযায়ে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা। ফাউন্ডেশন নির্বাচন করতে হবে নিজের গায়ের শেড থেকে এক অথবা দুই শেড হালকা। হালকা রং ত্বককে উজ্জ্বল দেখাবে। শেডিং এর জন্য গাঢ় রং দরকার।আপনার ত্বকের শেড অনুযায়ে ওয়েল ফ্রী ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। তাহলে মেকআপ ভালো ভাবে বসবে। মুখ তৈলাক্ত হলে পাউডার ফাউন্ডেশন লাগান।

৪। কনসিলার

কনসিলার আপনার মুখের দাগ, চোখের নিচের কালি ঢেকে দেয়। নিজের স্কিনটোনের সাথে মিলিয়ে কনসিলার কিনতে হলে আপনার ফাউন্ডেশন থেকে অর্ধেক শেড হালকা থেকে শুরু করুন। ত্বকের ব্লেমিস বা কালো দাগ black spot দূর করতে আপনার ফাউন্ডেশনের চেয়ে এক শেড হালকা তবে ব্ল্যাক আন্ডারটোনের কনসিলার ব্যবহার করুন। চোখের নিচে ডার্ক সার্কেল থাকলে সবুজ বা হলুদ রঙের কনসিলার বেছে নিলে ভালো কাজ করবে।তবে আপনি যদি ব্রণের দাগ,চোখের নিচের কালো দাগ ফাউন্ডেশন দিয়ে ঢেকে দিতে পারনে তবে কনসিলার ব্যবহার না করলে ও হবে।

৫। ফেইস পাউডার

বড় মেকআপ ব্রাশ দিয়ে সম্পূণ মুখে ফেইস পাউডার face powder ব্রাশ করুন। পাউডার পাফ অথবা ফেইস পাউডারের সাথে দেওয়া স্পঞ্জ দিয়ে হাল্কা করে বেইজের উপর বুলিয়ে বেইজ সেট করে নিন।

৬। চোখের মেকআপ

বেইজের পর আসে চোখ সাজানোর পালা। চোখের সাজে eye shaj শুরুতে চোখের ওপরের পুরো জায়গায় আই প্রাইমার দিন। এরপর আইশ্যাডো দিতে হবে। ড্রেসের সাথে মিলিয়ে দুই বা তিন শেডের আইশ্যাডো দিতে পারেন। বাড়তি সৌন্দর্য যোগ করতে ব্যবহার করতে পারেন বাদামি আইশ্যাডো।

৭। ফলস ল্যাশেস

চোখ দুটোকে চটজলদি বড় আর মায়াবি করে ফেলতে কৃত্রিম পাপড়ি জুড়ি নেই। বাজারে নানা দৈর্ঘ্য ও ডিজাইনের কৃত্রিম পাপড়ি পাওয়া যায়।পছন্দ অনুযায়ী ব্যবহার করতে পারেন যে কোন প্রকারের আই ল্যাশেস।

৮। আইলাইনার

এরপর আইলাইনার চোখের ওপরে বা নিচে দিতে হবে। লিকুইয়েড,জেল,পেন্সিল যেকোন প্রকারে আইলাইনার ব্যবহার করতে পারেন। চাইলে আইলাইনারের বিকল্প হিসাবে কাজল ও ব্যবহার করতে পারেন। আইলাইনার চিকন করে আই ল্যাশসের উপর দিতে হবে। যদি আপনি মোটা করে আইলাইনার দিতে চান তবে প্রথম আইলাইনার শুকানোর পর আরেকবার দিতে পারেন।

৯। মাশকারা

আইলাইনারে পর মাশকারা দেওয়ার পালা।চোখ আকর্ষণীয় করার জন্য ঘন করে মাশকারা দিতে হবে। একবার মাশকারা দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে আবার মাশকারা দিন।মাশকারা দেওয়ার সময় চোখের ওপরের পাতা ওপরের দিকে উঠিয়ে দিতে হবে। পাতাগুলো যেন একটার সঙ্গে আরেকটা লেগে না যায়। আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন।

১০। ভ্রু-র সাজ

ভ্রু-র সাজ়ে আইব্রো পেনসিল দিয়ে ভ্রু এঁকে নিয়ে এরপর শুকনো মাশকারা ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ে নেবেন। ভ্রু কে ন্যাচারাল লুক দিতে চাইলে ভ্রু-র রঙ এর থেকে হালকা রঙ-এর আইশ্যাডো বেছে নিয়ে তা হালকা করে ভ্রু এর উপর বুলিয়ে নিন। এরপর সেই রঙ এর কাজল দিয়ে হালকা করে ভ্রু একেঁ নিন। এরপর আইব্রো ব্রাশ দিয়ে ভ্রু এর শেপ ঠিক করে নিন।

১১। লিপষ্টিক

লিপষ্টিক দেওয়ার আগে ঠোঁট ভাল করে পরিষ্কার করে নিন।এরপর হালকা করে লিপ বাম বা ভ্যাসলিন লাগান। ৫০ সেকেন্ড অপেক্ষা করুন।ভ্যাসলিন বা লিপ বাম শুকিয়ে গেলে লিপিষ্টিক দিন। দিনে ঠোঁটের সাজ়ে ম্যাট লিপষ্টিক দিলে ভালো। রাতে ভারী লিপগ্লস ব্যবহার করতে পারেন। লিপষ্টিক দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটে রাখার জন্য প্রথমে লিপষ্টিক থেকে এক শেড গাঢ় লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকতে হবে। এতে লিপষ্টিক ছড়িয়ে পড়বে না। এবার টিস্যু দিয়ে চেপে নিতে হবে। হাতের কাছে পাউডার থাকলে পাউডার দিয়ে চাপ দিয়ে আবার লিপষ্টিকে লাগাতে হবে।

১২। ব্লাশন

পুরো সাজ শেষ হয়ে এলে ব্লাশন ব্যবহার করতে হবে। ব্লাশনের রং হিসাবে আপনি গোলাপি বা পিচ রং ব্যবহার করতে পারেন।উজ্জ্বল রং এর অধিকারীরা হালকা শেডের ব্লাশন আর শ্যামলা বা তার থেকে গাঢ় রঙের ত্বকের জন্য গাঢ় শেডের ব্লাশন ব্যবহার করতে পারেন।