শুক্রবার, ১৯ জুলাই, ২০১৯

ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার উপায়


ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করার ৪টি উপায় যা এই যন্ত্রণা থেকে আপনাকে মুক্তি দেবে চিরতরে!

লবণের স্প্রেঃ
ভেতর থেকে ত্বকের তেল-ময়লা দূর করার ক্ষমতা রয়েছে লবণের। তাই ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে এটা খুব কার্যকরী। একটি স্প্রে বোতলে ১ কাপ পানি নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লবণ গুলে নিয়ে মুখের তৈলাক্ত স্থানটিতে স্প্রে করুন। এরপর খানিকক্ষণ রেখে দিয়ে টিস্যু দিয়ে মুছে ফেলুন। প্রতিদিন এভাবে করলে অনেকাংশে ত্বকের তৈলাক্ততা কমে আসবে।

শসা ও লেবুর রসের ব্যবহারঃ
ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে শসা ও লেবুর রস ব্যবহার করুন। একটি বাটিতে ১ টেবিল চামচ শসার রস নিয়ে এতে ১ টেবিল চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি একটি তুলোর বলের সাহায্যে পুরো ত্বকে ভালো করে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রাখুন। এরপর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শসার রস ত্বকের নিচের তেল গ্রন্থি থেকে তেল বের করে তৈলাক্ততা দূর করে। লেবুর রসে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি ব্রণ হবার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয়। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে ভালো ফল পাওয়া যায়।

মুলতানি মাটি ও গোলাপজলের মাস্কঃ
এই মাস্কটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করতে অনেক বেশী কার্যকরী। প্রথমে ২ টেবিল চামুচ মুলতানি মাটি ও গোলাপজল নিয়ে একটি মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এরপর  পেস্টটি  ভালো করে মুখে লাগান। ১৫-২০ মিনিট পরে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ বার ব্যবহারে দ্রুত তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাবেন।

টমেটো পিউরিঃ
ত্বকের তৈলাক্ত দূর করার সবচাইতে সহজ উপায় হচ্ছে টমেটো পিউরির ব্যবহার। টমেটো ত্বকের তৈল গ্রন্থি শুকোতে সাহায্য করে। ফলে স্থায়ীভাবে তৈলাক্ত ত্বক থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বাসায় টমেটো সেদ্ধ করে ব্লেড করে নিয়ে টমেটো পিউরি বানিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ৫-৭ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের তৈলাক্ততা দূর হবে সহজেই।
এছাড়াও তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে দিনে দুইবারের বেশি সাবান দেওয়া যাবে না। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়  ১-২% স্যালিসাইলিক এসিডযুক্ত ফেসিয়াল ক্লিনজার দিনে দুবার ব্যবহার করা। সেই সাথে যে কোন জেল জাতীয় ক্রিম ব্যবহার করলেও ভালো ফল পাওয়া যায়। আর ত্বকের যে কোনো সমস্যায়  চর্ম বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে বলেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই, ২০১৯

নিখুঁত ত্বকের জন্য রাতের ২টি ফেসিয়াল মাস্ক


ঝলমলে উজ্জ্বল এবং সমস্যাবিহীন ত্বক পেতে সারাদিন শেষে রাতে একটু সময় বের করে নিন ত্বকের যত্ন। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল রাতে ব্যবহারের ২ টি ফেসিয়াল মাস্ক যা দূর করবে ত্বকের সমস্যা।

চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েলের ফেসিয়াল স্ক্রাব

সব ধরনের ফেসিয়াল স্ক্রাবের মধ্যে এই স্ক্রাবটি সবথেকে ভালো। কারন এই স্ক্রাবটির উপাদান অনেক সহজলভ্য এবং প্রাকৃতিক বলে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এবং এর কার্যকারিতা অনেক বেশি। অলিভ অয়েল ত্বককে কোমল করে ও চিনি ত্বকের উপরিভাগের মরা কোষ দূর করে।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে আপনার লাগবে চিনি, লেবুর রস ও অলিভ অয়েল। ২ চা চামচ চিনি, ১ চা চামচ লেবুর রস ও ২ চা চামচ অলিভ অয়েল নিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি হাতের তালুতে নিয়ে মুখের ত্বকে হালকাভাবে ঘষে লাগান। মুখে এই মিশ্রণটি ১০ মিনিট রেখে হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ২/৩ বার করুন। ত্বকের উজ্জলতার পরিবর্তন আপনি নিজেই দেখতে পাবেন।

কলা এবং দইয়ের ফেসিয়াল মাস্ক

কলা খেতে যতটা সুস্বাদু ততোটাই উপকারি। কলা প্রাকৃতিকভাবে ত্বকের কোমলতার জন্য একটি অসাধারন উপাদান। অন্যদিকে দই ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধিতে সব সময়ের জন্যই উপকারি।
পদ্ধতিঃ
এই মাস্কটি তৈরি করতে লাগবে ১ টি কলা, ১ চা চামচ মধু, ১ টেবিল চামচ দুধ ও ২ চা চামচ টকদই। প্রথমে একটি বাটিতে কলা নিয়ে চামচের মাধ্যমে ম্যাশ করুন। এরপর এতে ২ চা চামচ দই নিয়ে খুব ভালো করে মিশিয়ে নিন। তারপর এতে মধু ও দুধ দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটি আলতো ঘষে ত্বকে লাগান। ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণটি ত্বকে থাকতে দিন। তারপর কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে একটি পাতলা তোয়ালে দিয়ে পানি মুছে ফেলুন। এই মাস্কটি ত্বকের উজ্জলতা ও কোমলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বকে একটি মিষ্টি সুগন্ধ তৈরি করে।

বুধবার, ১৭ জুলাই, ২০১৯

দৈনন্দিন জীবনে অ্যালোভেরার চমৎকার কিছু ব্যবহার

১। মেকাপ রিমুভার
বেশীরভাগ আই মেকাপ রিমুভার কঠোর রাসায়নিক এবং প্যারাফিনের সমন্বয়ে গঠিত। যা ত্বককে শুষ্ক করে দেয় এবং স্বাস্থ্য সমস্যা সৃষ্টি করে। যাদের সংবেদনশীল ত্বক ও যারা কন্টাক্ট লেন্স ব্যবহার করেন তারা এই ধরণের প্রোডাক্ট ব্যবহার না করা ভালো। কটন বলে বিশুদ্ধ অ্যালোভেরা জেল লাগিয়ে চোখের মেকআপ তুলে ফেলুন এবং এতে কোন যন্ত্রণা হবেনা।

২। শেভিং ক্রিম
অ্যালোভেরার জেল শেভিং ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরার জেল  অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও ময়েশ্চারাইজিং উপাদান সমৃদ্ধ এবং শেভের জন্য ভালো। ফেনা হওয়ার জন্য অ্যালোভেরার জেলের সাথে হাত ধোয়ার সাবান ও কয়েক ফোঁটা ভিটামিন ই অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি ফ্রিজে রাখলে ৬ মাস ভালো থাকবে এবং এতে কৃত্রিম ও রাসায়নিক কোন উপাদান নেই যা বেশির ভাগ শেভিং ক্রিম বা জেলে থাকে।

৩। হিলিং ফেস মাস্ক
অ্যালোভেরার জেল শুধুমাত্র ব্রণ বা মেছতার দাগই দূর করেনা ত্বককে আদ্রতা প্রদান করে তারুণ্য দীপ্ত রাখে। হিলিং ফেস মাস্ক তৈরি করা খুবই সহজ। ১-২টি অ্যালোভেরা পাতার অর্ধেক অংশের জেল বের করে নিন। এর সাথে কিছুটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিতে পারেন যদি আপনি ভালো ঘ্রাণ পেতে চান অথবা শুধু অ্যালোভেরা জেল ও ব্যবহার করতে পারেন। মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। অ্যালোভেরা জেলের হালকা ঘ্রাণ আছে এবং চমৎকার ঠান্ডা অনুভূতি প্রদান করে।

৪। কাটা ও ক্ষত ভালো করে
অ্যালোভেরা জেলে পলিসেকারাইড ফাইবার থাকে যা হজমে সহায়তা করে যদিও কিছু মানুষের জন্য এটা সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। এই ফাইবার ক্ষত বন্ধ করতে সাহায্য করে এবং এর ঠান্ডা করার উপাদান কেটে যাওয়া অংশের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

৫। ফেস ওয়াশ
১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিল চামচ আমন্ড দুধ এবং ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মুখে লাগান। কয়েক মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই ফেস ওয়াশটি স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য আদর্শ। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য অ্যালোভেরা জেল অনন্য। ১ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেলের সাথে ১ টেবিলচামচ বিশুদ্ধ নারিকেল তেল মেশান। মিশ্রণটি হাতে ও মুখে লাগিয়ে মালিশ করতে থাকুন যতক্ষণ না গরম অনুভব করেন। তারপর ধুয়ে ফেলুন।

৬। এক্সফলিয়েটর
ত্বকের পরিচর্যার জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত চমৎকার স্ক্রাব হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অ্যালোভেরা ত্বককে নরম করে, কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং টিস্যুকে শক্তিশালী করে। ১/২ কাপ অ্যালোভেরা জেলের সাথে যথেষ্ট পরিমাণ ব্রাউন সুগার বা বেকিং সোডা মিশিয়ে দানাদার মিশ্রণ তৈরি করুন। তারপর মিশ্রণটি আপনার কনুই, গোড়ালি, বাহু ও মুখে লাগান এবং কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেলুন।

৭। ফাটা দূর করে
শীতে সাধারনত ত্বক ফাটার সমস্যা দেখা দেয়। অ্যালোভেরা জেলের সাথে অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে ফাটা ত্বকে লাগান। এতে শুধু ত্বকের আদ্রতাই ফিরে আসবেনা ইনফেকশন থেকেও ত্বককে রক্ষা করবে।

৮। শুষ্ক মাথার তালু
অ্যালোভেরার গ্লাইকোপ্রোটিন শুষ্ক ত্বক ও শুষ্ক তালুর নিরাময় করতে পারে। আয়ুর্বেদ প্রফেসর Dr.Rajini Patankar এর মতে, অ্যালোভেরার অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান শুষ্কতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে। তাই অ্যালোভেরার জেল মাথার তালুতে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে হালকা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

৯। সর্দি ও কাশি
শ্বাসনালীর ইনফেকশনের জন্য দায়ী জীবাণুর বৃদ্ধি রোধ করতে পারে অ্যালোভেরা জেল। কারণ এতে অ্যান্টি ভাইরাল উপাদানও আছে। সম পরিমাণে মধু ও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেবন করুন। গলা ব্যথা ও সাইনুসাইটিসকেও প্রশমিত করে অ্যালোভেরা জেল।

৮। বদহজম
শীতের সময়ে পাকস্থলীর জটিলতা ও বদহজমের সমস্যা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস অ্যালোভেরার জুস পান করলে হজম সহায়ক হয় ও শরীর থেকে টক্সিন বাহির হয়ে যায়।

৯। আরথ্রাইটিস
শীতের সময়ে আরথ্রাইটিসের ব্যথা কমানোর জন্য একদিন পরপর অ্যালোভেরার জুস পান করুন। অ্যালোভেরায় প্রদাহ রোধী উপাদান আছে যা শক্ত হয়ে যাওয়া ও ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
এছাড়াও ত্বকের জ্বালা পোড়া কমাতে, নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ দূর করতে, হ্যান্ড স্যানিটাইজার হিসেবে, খুশকি ও এক্সিমা দূর করতে ইত্যাদি নানা কাজের জন্য অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী ভুমিকা রাখে। আপনার বাসাতেই অ্যালোভেরার গাছ লাগাতে পারেন।

শনিবার, ১৩ জুলাই, ২০১৯

ওজন কমাতে রাতের জন্য তিনটি কার্যকরী ডায়েট

রাতের বেলা খাবার না খেয়ে থাকলে লাভের থেকে ক্ষতির পরিমাণই বেশী। ওজন তো কমবেই না বরং স্বাস্থ্যহানি ঘটবে। তাই আজকে আপনাদের জন্য রইল চটজলদি ওজন কমাতে সহায়ক রাতের বেলার ৩ টি ডায়েট প্ল্যান। রাতে বেলা না খেয়ে থাকার চেয়ে একটি ডায়েট চার্ট অনুসরণ করুন। দ্রুত ওজন কমাতে পারবেন।
ওজন কমাতে রাতের বেলার ৩টি কার্যকর ডায়েট প্ল্যানঃ

ডায়েট প্ল্যান-১ঃ যারা ভাত জাতীয় খাবার পছন্দ করেনঃ

অনেকেই আছেন যারা ভাবেন ভাত খেয়ে ওজন কমানো যায় না। কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। পরিমিত পরিমাণ ভাত ওজন কমাতে বেশ সহায়ক। নিয়ম করে রাতের বেলা এই চার্টটি অনুসরণ করেই দেখুন ওজন কমে কিনা!
১ কাপ ভাতঃ ভাতের পরিমাণ ১ কাপই হতে হবে। কোনো ভাবেই এর চাইতে বেশী নয়।
১ টুকরো মাছ/ মাংসঃ মাঝারি আকৃতির এক টুকরো মাছ/ মাংস শরীরের আমিষের চাহিদা পূরণ করবে।
১ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি ফ্যাট অনেকাংশে কমায়। ১ কাপ পরিমাণ সবজি অবশ্যই ডায়েট চার্টে রাখবেন। সব চাইতে ভালো হয় কাঁচা সবজির সালাদ রাখলে।
১ কাপ ডালঃ ডাল ফ্যাট কাটতে সহায়তা করে। পাশাপাশি পুষ্টি যোগায় শরীরে।
১ টি ফল ও দইঃ খাবার শেষে ১ টি কলা বা ১ টি আপেল কিংবা ১ টি কমলা খাবেন। এই ফলগুলো ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। আর
১/৪ কাপ টক দই। এটা খাবার হজমে সাহায্য করবে।

ডায়েট প্ল্যান-২ঃ যারা রুটি জাতীয় খাবার পছন্দ করেনঃ

অনেকে রাতে ভাত খেতে পারেন না বা খেতে চান না। তাদের জন্য এই ডায়েট চার্ট। অনুসরন করে দেখুন, ওজন কমবে দ্রুত।
২/৩ টি পাতলা আটার রুটিঃ রুটিটি অবশ্যই আটার হতে হবে। লাল আটা হলে ভালো হয়। ময়দা ও পাউরুটি হলে চলবে না। কারন ময়দার রুটি ও পাউরুটি খেলে ওজন বাড়ে
১/২ কাপ সবজিঃ কম তেলে বা তেল বিহীন সবজিভাজি আটার রুটির সাথে খেতে পারেন।
১/২ টি ডিমের সাদা অংশঃ ডিম প্রোটিনের খুব ভালো একটি উৎস। ডিমের সাদা অংশে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই ১/২ টি ডিমের সাদা অংশ খেতে পারেন। কিংবা এক টুকরো মাছ বা মাংস যা আপনার পছন্দ।
১/২ টি ফলঃ কলা, আপেল কিংবা কমলা এই তিনটি ফলের যে কোন ১ টি খাবেন। দই খেতে চাইলে ২/৩ টেবিল চামচ খেতে পারেন।

ডায়েট প্ল্যান-৩ঃ সবচাইতে দ্রুত ওজন কমানোর জন্যঃ

এই ডায়েট প্ল্যানটি যে কেউ অনুসরণ করতে পারেন খুব দ্রুত ওজন কমাতে চাইলে। দ্রুত ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী একটি চার্ট।
আধা কাপ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্সঃ হাই ফাইবার কর্ণফ্লেক্স ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে কর্ণফ্লেক্স অবশ্যই চিনি ছাড়া হতে হবে। যদি চিনি ছাড়া খেতে না পারেন তবে মধু ব্যবহার করতে পারেন।
১ কাপ মাখন ছাড়া দুধঃ মাখন ছাড়া দুধে ক্যালোরির পরিমাণ অনেক কম থাকে। তাই ডায়েট চার্টে ১ কাপ মাখন ছাড়া দুধ অবশ্যই রাখবেন।
ফলঃ এই ডায়েট চার্টে ফলের গুরুত্ব অনেক বেশী। বেশী করে ফল খাবেন রাতে। বিশেষ করে কলা ও সবুজ আপেল। এরা ফ্যাট কমাতে অনেক সহায়তা করে।
কর্ণফ্লেক্স, দুধ ও ফল এক সাথে মিশিয়ে খেয়ে নিন। দুধটা ঠাণ্ডা না খেয়ে গরম খাবেন। সাথে খেতে পারেন এক মুঠো কাঠ বাদাম।


রবিবার, ৭ জুলাই, ২০১৯

ফর্সা ও কোমল ত্বকের জন্য কাঁচা দুধের অসাধারণ ৫টি প্যাক

(১) কাঁচা দুধ, বেসন ও মুলতানি মাটির প্যাক

এই প্যাকটি তৈলাক্ত ত্বকের জন্য দারূণ কাজ করে। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড প্রাকৃতিক ব্লিচের কাজ করে ত্বকের রঙ হালকা করে। বেসন ও মুলতানি মাটি ত্বকের তৈলাক্ততা দূর করে এবং সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করে।
একটা পাত্রে ১ চা চামচ বেসন, ১ চা চামচ মুলতানি মাটি ও ২ টেবিল চামচ কাঁচা দুধ ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। এবার হাতে অল্প পানি নিয়ে মুখে লাগিয়ে আলতো হাতে ম্যাসাজ করতে হবে। এতে করে মুখের ত্বকের গভীর থেকে ময়লা উঠে আসবে। এবার মুখ ভালো করে ধুয়ে নিতে হবে।

(২) কাঁচা দুধ ও কলার প্যাক

এই প্যাকটির জন্য লাগবে অর্ধেক পাঁকা কলা ও পরিমাণ মত (প্রায় ২ চা চামচ) কাঁচা দুধ। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। এই প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ২০ মিনিট। তারপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। এই প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

(৩) কাঁচা দুধ, পেঁপে ও মধুর প্যাক

এই প্যাকটি মূলত বয়স্ক ত্বকের জন্য। যাদের ত্বকে হালকা রিংকেল পড়ে গেছে তারা এই প্যাকটি থেকে অনেক উপকার পাবেন। দুই টুকরা পাঁকা পেঁপে খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে মিশাতে হবে দুই চা চামচ কাঁচা দুধ ও ১ চা চামচ মধু। এটি মুখে লাগিয়ে রাখতে হবে ১৫ মিনিট। এরপর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে।

(৪) কাঁচা দুধ, মধু ও লেবুর রসের প্যাক

কাঁচা দুধ মধু ও লেবুর রসের সাথে মিশালে এটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে যা কেমিকেল ব্লিচের মত কোন ধরণের ক্ষতি ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। দুই চা চামচ কাঁচা দুধের সাথে এক চা চামচ মধু ও এক চা চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মুখে লাগিয়ে রেখে দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। এরপর পানি দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে আপনি নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।

(৫) শুধুই কাঁচা দুধ

আর এত কিছু যদি আপনার জন্য কষ্টকর মনে হয় তবে আপনার জন্য অতি সহজ একটা রূপচর্চার উপায় বলে দিচ্ছি। শুধু কাঁচা দুধ হাতে নিয়ে মুখে লাগিয়ে রাখুন ২০ মিনিট। এরপর ধুয়ে ফেলুন। আপনি যদি প্রত্যেকদিন এই শুধু কাজটিও করতে পারেন, তাহলেও আপনার ত্বক আস্তে আস্তে অনেক উজ্জ্বল হয়ে যাবে।

বুধবার, ৩ জুলাই, ২০১৯

বিয়েতে কনেকে সবচেয়ে সুন্দর দেখানোর উপায়

 ১। মেকআপে ন্যাচারাল লুক

পারফেক্ট বিয়ের সাজের মূলমন্ত্র হলো, একেবারেই ন্যাচারাল লুক মনে হয় এমন একটি সাজ বেছে নেয়া। কেননা ঐতিহ্যগত ভাবেই বাংলাদেশের কনেরা বেশ জমকালো শাড়ী ও গহনা পরে থাকেন।
তাই সাজটাও যদি অতিরিক্ত জমকালো হয় তাহলে পুরোই জবরজং লাগতে পারে। তাই বিউটিশিয়ানকে বলুন যাতে ন্যাচারাল মনে হয় এমন একটি সাজে সাজিয়ে দিতে। শুধু মুখই নয় গলা, হাত, পা সমানভাবে সাজিয়ে দিতে বলুন। নয়তো মুখের ত্বকের তুলনার গলা, হাত, পা বেমানান দেখাবে।

২। মেকাপের পর কয়েকটি ছবি তুলে দেখুন

মেকআপ করার পর বিয়ের সাজেই কয়েকটি ছবি তুলে ফেলুন। ছবিতে দেখুন কোন অংশটি খারাপ দেখাচ্ছে, মেক আপ সব জায়গায় ঠিক মত বসেছে কিনা, কোন অংশ বেশি সাদা মনে হচ্ছে কিনা। সেক্ষেত্রে শুধরে নেবার সময় থাকবে। তাই হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে পার্লারে সাজতে যাবেন।

৩। বিয়ের আগে ত্বকের যত্ন

বিয়ের সপ্তাহ খানেক আগেই ত্বকের বিশেষ যত্ন নেয়া শুরু করুন। হাত পায়ের ওয়াক্সিং, ফেসিয়াল, চুলের ট্রিটমেন্ট আগেই করে ফেলুন। নয়তো বিয়ের আগে একসাথে সব কাজ করতে গেলে এগুলো আপনার গোটা সাজকেই মাটি করে দিতে পারে।বিয়ের ঠিক এক বা দু দিন আগে ভ্রু প্লাক করুন। বিয়ের দিন সাজার সময় ভ্রু প্লাক করতে গেলে সেখানে দ্রুত মেকআপ করার সময় ভ্রুর জায়গাটিতে যন্ত্রণা, চুলকানি, লাল হয়ে যাবার মত সমস্যা হতে পারে। যা আপনার সুন্দর লুককে নষ্ট করে দেবার জন্যে যথেষ্ট।

৪। কনট্যাক্ট লেন্স পরে নিন মেকআপের আগেই

আপনি যদি চোখের রঙ পরিবর্তনের জন্যে অন্য কনট্যাক্ট লেন্স পরতে চান, তাহলে তা মেকআপ করার আগেই পরে ফেলুন। কেননা, কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময় চোখ থেকে কয়েক ফোঁটা পানি পড়তে পারে, যা আপনার চোখের মেকআপ এর ক্ষতি করতে পারে।

৫। পোষাক ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুন

পোষাকের ফেব্রিক, রঙ ও গহনা নির্বাচনে সচেতন থাকুন। অন্য কাউকে এই রঙ বা ধরনের পোষাক ভালো লেগেছে বলেই যে আপনাকেও ভালো লাগবে এমন কোন কথা নেই। তাই চেষ্টা করুন আপনাকে মানায় এমন ফেব্রিকের ও রঙের পোষাক ও গহনা পরতে।

৬। তৈলাক্ত খাবার ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন

আপনি নিশ্চয়ই চাইবেন না যে, বিয়ের দিন আপনার মুখে ব্রণ বা র‍্যাশ থাকুক। তাই নিয়মিত ত্বকের যত্ন নেয়ার পাশাপাশি ফাস্টফুড, কোল্ড ড্রিঙ্কস, ভাজাভুজি ও মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকুন। প্রচুর ফল ও সবজি খান ও মেডিটেশন করুন। বিয়ের অনুষ্ঠানের আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুমাবার চেষ্টা করুন। এতে আপনার ত্বকে ব্রণ বা অন্য কোন সমস্যা হবার সম্ভাবনা কমে যাবে এবং মেকআপ ত্বকে খুব সুন্দরভাবে বসবে।


সোমবার, ১ জুলাই, ২০১৯

ঘরে বসেই হবে ফেসিয়াল


ত্বকে চমক আনতে ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিংয়ের কোনো বিকল্প নেই। যেকোনো উৎসবে নিজেকে রূপ লাবণ্যময়ী করে সাজাতে ত্বকের এমন যত্ন চাই-ই। ত্বকের এই যত্ন করার পোশাকি নামই হল ফেসিয়াল। নিজের ত্বকের অবস্থা জেনে সেই মতো পরিষ্কার করলেই হয়ে যাবে উপযুক্ত ফেসিয়াল। তাই আপনাকে যে শুধু পার্লারেই দৌড়াতে হবে তা নয়, ঘরে বসেও করতে পারেন ত্বকের যত্নে উপযুক্ত ফেসিয়াল। ঈদের আগেই নিজেকে সাজাতে জেনে নিন, ফেসিয়ালের প্রয়োজনীয় ধাপ গুলো-

ক্লিনজিং
সাধারণ বা মিশ্র ত্বক হলে কটন বল ঠাণ্ডা দুধে চুবিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। তারপর পানি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নিন। ড্রাই স্কিন হলে শসার রস ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ কটন বলে ডুবিয়ে পরিষ্কার করে নিন। অয়েলি স্কিনে বেশি ময়লা জমে বলে ঠাণ্ডা দুধের সঙ্গে পুদিনা পাতার রস মিশিয়ে নিতে হবে।

স্ক্রাবিং
ত্বক পরিষ্কারের পর কমলালেবুর খোসা ও চালের গুঁড়ার পেস্ট অথবা বার্লি ও ঠাণ্ডা দুধের মিশ্রণ স্ক্রাবার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। শুষ্ক ত্বকের ক্ষেত্রে চালের গুঁড়া ও দুধের সরের সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে নিন। তেলতেলে ত্বকে মসুর ডালবাটা ও কমলালেবুর খোসা দিয়ে স্ক্রাব করা যায়। মিশ্র ত্বকের ক্ষেত্রে কর্নফ্লাওয়ার ও এক চিমটি কর্পূর কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। মনে রাখতে হবে, স্ক্রাবিংয়ের সময় হালকা চাপ দিয়ে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ম্যাসাজ করতে হবে।
টোনিং
স্ক্রাবের পর নরমাল ও ড্রাই স্কিনের জন্য শুধু গোলাপজল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেই হবে। তেলতেলে ত্বকে পুদিনা পাতা, শসা ও লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে মাখতে পারেন। মিশ্র ত্বকের জন্য টমেটো রস, শসার পেস্ট ও গোলাপজলের মিশ্রণ ভালো টোনার হিসেবে কাজ করে।

ফেসপ্যাক
টোনিং এর পরে সাধারণ ত্বকের জন্য দুই চামচ বেসন, দুই চামচ মধু, কচি গাজর পেস্ট ও গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। মিশ্র ত্বকের জন্য গমের ছাতু, মধু, হাফ চামচ বাদাম তেল ও পানি মিশিয়ে প্যাক তৈরি করতে হবে। তেলতেলে ত্বকের জন্য মসুর ডালবাটার সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ, শসার রস, লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। শুষ্ক ত্বকের জন্য এক টুকরো পাউরুটি দুধে ভিজিয়ে নরম করে তার সঙ্গে পাকা কলা চটকে নিন। এতে এক চামচ মধু ও এক চামচ চন্দন গুঁড়া মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার ত্বকের উপযুক্ত মাস্কটি মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানির ঝাঁপটা দিয়ে ধুয়ে নিন।

ময়শ্চারাইজিং
সবশেষে সাধারণ ও মিশ্র ত্বকে স্কিনে ঘৃতকুমারির জেল ও সামান্য মধু মিশিয়ে লাগানো যেতে পারে। তেলতেলে ত্বকে আপেল কুচিয়ে তার সঙ্গে মধু মিশিয়ে লাগিয়ে পরে ধুয়ে নিন। শুষ্ক ত্বকে স্কিনে মধুর সঙ্গে নারকেল তেল মিশিয়ে লাগালে বেশ উপকার পাবেন। ব্যস পার করে এলেন ঘরোয়া পদ্ধতিতে ফেসিয়ালের সবকটি ধাপ। তাই এখন থেকে নিজ হাতেই করতে পারেন ত্বকের উপযুক্ত ফেসিয়াল।