মঙ্গলবার, ২৭ মার্চ, ২০১৮

চুল লম্বা করতে করণীয়


চুল লম্বা করার কয়েকটি সহজ উপায়ঃ
  • তেল ম্যাসাজ করুনঃ
    চুলের বৃদ্ধিতে সব চাইতে কার্যকরী উপায় হচ্ছে তেলের ম্যাসাজ। নারিকেল তেল,অলিভ অয়েল চুলের জন্য অনেক ভালো। এই দুইটি তেল একসাথে মিশিয়ে কিংবা আলাদা একটি তেল চুলে ভালোভাবে ম্যাসাজ করে নিন। সারারাত রেখে সকালে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • ডিমের হেয়ার মাস্কঃ
    ১ টি ডিম, পরিমাণ মতো অলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে চুলে লাগান। একটি শাওয়ার ক্যাপ কিংবা কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখুন ৩০ মিনিট। এরপর মৃদু শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন এই মাস্ক ব্যবহার করুন।
  • দুধ বা টক দইঃ 
  • দুধ বা দই চুলকে নরম আর মসৃণ করে চুলের রুক্ষতা দূর করে। ফলে চুল পুষ্টি পাবে এবং চুল ফাটবে না। নারিকেল তেল, আমণ্ড অয়েল (কাঠবাদামের তেল), আধা কাপ দুধ বা টক দই মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রণটি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট রেখে দিন এবং শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত ২ দিন এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকে এবং চুলে ভালো করে লাগিয়ে ১ থেকে ২ ঘণ্টা রাখুন। দ্রুত ভালো ফল পাবেন।
  • লেবুর রসঃ
    চুলের সৌন্দর্য চর্চায় লেবুর রসের ব্যবহার নানাভাবে হয়। লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ পানি মেশান। এবার চুলে ভালো করে লাগান। ২০-৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন।
  • চায়ের লিকারঃ
চুল বৃদ্ধি করতে চায়ের লিকারের তুলনা হয় না। কারণ এটি চুলের কন্ডিশনার হিসেবে খুব ভালো। একটি পাত্রে চায়ের লিকার নিয়ে তাতে চুল ডুবিয়ে রাখুন ১০ মিনিট অথবা গোসল শেষে লিকারটি দিয়ে আস্তে আস্তে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে ২/৩ দিন চায়ের লিকার ব্যবহার করুন আপনার চুলে।
  • ভিটামিন-ই ক্যাপস্যুলঃ
চুলের বিশেষ যত্নের জন্য চুলের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী অলিভ অয়েল নিয়ে এতে ১ টি ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল ভেঙ্গে নিন। এরপর একে হালকা গরম করে মাথার ত্বকে ভালোভাবে লাগান। ৩০ মিনিট রেখে চুল ধুয়ে ফেলুন। সবচেয়ে ভালো ফলাফলের জন্য পুরোরাত এই মিশ্রণটি মাথায় লাগিয়ে রেখে সকালে চুল ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২/৩ দিন ব্যবহার করুন।
এভাবে আপনি ঘরে বসে সহজে আপনার চুল সুন্দর করতে পারবেন এবং চুল দ্রুত বড় হবে।

সতর্কতাঃ
  • চুল মোছার জন্য নরম তোয়ালে ব্যবহার করতে হবে। চুল বেশি ঘষে ঘষে মোছা যাবেনা। এতে চুল ফেটে যায় বেশি। ভেজা চুল আস্তে আস্তে মুছতে হবে।
  • ভেজা চুল আঁচড়ানো যাবে না।
  • চুল শুকাতে, চুল ভালোভাবে নরম তোয়ালে দিয়ে মুছে, ফ্যানের বাতাসে বা আলো বাতাসপূর্ণ জায়গায় শুকাতে হবে। কোনক্রমেই হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যাবে না।
  • ইলেক্ট্রিক সকল যন্ত্র ব্যবহার পরিহার করতে হবে।
  • চুলের রুক্ষতা কমাতে এবং আগা ফেটে যাওয়ার প্রবণতা রোধ করতে, প্রতিদিন শ্যাম্পু করা বাদ দিতে হবে। কারণ চুল ধোয়ার ফলে, মাথার ত্বকের তেলও ধুয়ে যায়। তাই সপ্তাহে দুই থেকে তিনবারের বেশি শ্যাম্পু করা উচিত নয়। শ্যাম্পুর রাসায়নিক উপাদানও চুলের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
  •  

সোমবার, ২৬ মার্চ, ২০১৮

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ৫টি ফেসপ্যাক

১। বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক
দুই টেবিল চামচ বেসন, আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং কিছু পরিমাণ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। বেসন এবং হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

২। মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক
মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং অল্প একটু লেবুর রস একসাথে মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গোলাপ জল ত্বক ময়শ্চারাইজ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে।

৩। টমেটো এবং লেবুর রস
দুই টেবিল চামচ টমেটো রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক স্কিন টোন ধরে রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৪। নিম ফেইস প্যাক
চারটি নিম পাতা কুচি করে সিদ্ধ করে বেটে নিন। এরপর এর সাথে এক চা চামচ গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। আপনার ত্বকে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে নিম অনেক কার্যকরী। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে।

৫। কমলার খোসার ফেসপ্যাক
কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরসাথে পানি অথবা টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। কমলার এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কমলার এই প্যাকটি ত্বকের অভ্যন্তরীণ ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়া এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে দেয়।

বৃহস্পতিবার, ২২ মার্চ, ২০১৮

আই ক্রিম ব্যবহারের ভুলগুলো যা আপনি করছেন

“সঠিক উপায়ে আই ক্রিম ব্যবহার করা হলে বয়সের ছাপ, ফোলাভাব, বলিরেখা ইত্যাদি নানাসমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে কিছু সাধারণ ভুলের কারণে উপকারের তুলনায় ক্ষতিই হতে পারে।”

দেখে নিন আই ক্রিম ব্যবহারের ভুলগুলো যা আপনি করছেন-

বেশি পরিমাণে ক্রিম ব্যবহার করা
প্রয়োজনের তুলনায় বেশি আই ক্রিম ব্যবহারের ফলে চোখে অস্বস্থি অনুভূত হতে পারে। এমনকি চোখ ফুলেও যেতে পারে। তাই সবসময় অল্প পরিমাণে আইক্রিম ব্যবহার করা উচিত। এক ফোঁটা পরিমাণ আই ক্রিমই যথেষ্ঠ।
যদি প্রথমবার ব্যবহারের পরও ত্বক শুষ্ক মনে হয় এবং আবারও ব্যবহার করার প্রয়োজন পরে তবে প্রথমবার ব্যবহারের পর পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে আবার ক্রিম লাগাতে হবে।

ঘষাঘষি করা
চোখের চারপাশের ত্বক খুবই সংবেদনশীল ও কোমল হয়। তাই এই ত্বকে অতিরিক্ত চাপ প্রয়োগ করা এবং ঘষাঘষি করা বেশ ক্ষতিকর।
পরিমাণ মতো ক্রিম নিয়ে আঙুলে খানিকটা মিশিয়ে নিয়ে, হালকাভাবে চোখের নিচে এবং চারপাশে ক্রিম লাগাতে হবে।

সরাসরি চোখের নিচে ও উপরের পাতায় ক্রিম লাগানো
চোখের নিচে এবং উপরের পাতায় ক্রিম সরাসরি লাগালে চোখ ফুলে যেতে পারে। তাই চোখের খানিকটা নিচে এবং ভ্রুয়ের অংশে ক্রিম লাগাতে হবে। এই অংশে ক্রিম লাগালেই তা চোখের চারপাশে ছড়িয়ে যাবে।

মঙ্গলবার, ২০ মার্চ, ২০১৮

ঘরোয়া ৩টি উপায়ে ত্বকের দাগ দূর করার উপায়

১) টমেটো ও বেসনের মাস্ক

বেসন ত্বকের দাগ দূর করতে অনেক আগে থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের নানা ধরণের দাগ দূর করতে এর জুড়ি নেই।
 – ২ টেবিল চামচ বেসনের সাথে প্রয়োজন মতো টমেটো রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন।
– এরপর এই পেস্টটি মুখ, ঘাড় ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন।
– ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করবেন এই মাস্কটি।

২) শসা ও লেবুর রসের মাস্ক

লেবুর রসের ব্লিচিং এজেন্ট ত্বকের দাগ ফিকে হয়ে আসতে সহায়তা করে এবং শসা প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার হিসেবে ত্বকের যত্ন নেয়।
– ৩ টেবিল চামচ শসা ও ৩ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রন তৈরি করে নিন।
– এই মিশ্রণটি মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট।
– এরপর সাধারণ পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। এই মাস্কটি প্রতিদিনই ব্যবহার করতে পারবেন।

৩) দুধ, মধু ও লেবুর রসের মাস্ক

প্রাচীনকাল থেকেই দুধ ও মধু রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বিহীন উপাদান বলে এর কদর রয়েছে বেশ।
– ১ টেবিল চামচ দুধ, ১ টেবিল চামচ মধু ও ১ টেবিল চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন ভালো করে।
– এরপর মুখ, ঘাড় ও গলায় লাগিয়ে রাখুন মাত্র ১০ মিনিট।
– পানি দিয়ে ধুয়ে নিন ভালো করে এবং তোয়ালে আলতো চেপে মুখ শুকিয়ে ফেলুন।
– সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।

সোমবার, ১৯ মার্চ, ২০১৮

চুল পড়া রোধ করতে জাদুকরী তেল

যা যা লাগবে:
নারকেল তেল
শুকনো আমলকী

যেভাবে তৈরি করবেন:
১। এক কাপ নারকেল তেল ৪-৫ মিনিট জ্বাল দিন।
২। এর সাথে শুকনো আমলকী দিয়ে দিন। আমলকীসহ এই তেল জ্বাল দিতে থাকুন।
৩। বাদামী রং হয়ে আসলে চুলা থেকে এটি নামিয়ে ফেলুন।
৪। এরপর তেলটি ছেঁকে আমলকী থেকে আলাদা করে নিন।
৫। তেলটি মাথায় কয়েক মিনিট ম্যাসাজ করে লাগান।
৬। সারা রাত রাখুন, পরের দিন শ্যাম্পু করে ফেলুন।

কার্যকারিতা:
এই তেল শুধু নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে না। মাথার তালুতে রক্ত চলাচলও বৃদ্ধি করে থাকে। আমলকী চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি সপ্তাহে দুই দিন ব্যবহার করুন।

শনিবার, ১০ মার্চ, ২০১৮

প্রাকিতিক উপায়ে চুল স্ট্রেইট করুন

দুধের ব্যবহার-

এই পদ্ধতিতে চুল স্ট্রেইট করার জন্য আপনার লাগবে মাত্র ১/৩ কাপ দুধ, ১/৩ কাপ পানি ও একটি স্প্রে বোতল।চুল যদি বেশি কোঁকড়া হয় তবে মিশ্রনে ২ টেবিল চামচ মধু দিয়ে নিন।
প্রথমে একটি পাত্রে দুধ ও পানি ভালো ভাবে মিশিয়ে নিন। এরপর তা একটি স্প্রে বোতলে ঢোকান। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি স্প্রে করুন পুরো চুলে। সব দিকে ভালো করে স্প্রে করে নিন। মাঝে মাঝে চুল আঁচড়ে নিন বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে। ১ ঘণ্টা রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন শ্যাম্পু দিয়ে। কন্ডিশনার লাগাবেন অবশ্যই। চুল শুকিয়ে গেলে স্ট্রেইট হয়ে যাবে। এভাবে স্ট্রেইট করলে চুলে পরবর্তীতে পানি লাগানোর আগ পর্যন্ত চুল সোজা থাকবে।

মুলতানি মাটির হেয়ার মাস্ক- 
এই পদ্ধতি ব্যাবহারের জন্য লাগবে ১ কাপ মুলতানি মাটি, ১ টি ডিম, ৫ চা চামচ চালের গুঁড়ো।
প্রথমে একটি পাত্রে ডিমটি খুব ভালো করে ফেটিয়ে নিন। এরপর এতে মুলতানি মাটি ও চালের গুড়ো দিয়ে ভালো মত মিশিয়ে একটি পেস্টের মত তৈরি করুন। চুলের জট একটি বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে ছাড়িয়ে নিন। এরপর চুল আঁচড়াতে আঁচড়াতেই পেস্টটি চুলে লাগিয়ে নিন। যতটা সম্ভব চুল সোজা রাখার চেষ্টা করুন। পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত চুলে এই পেস্টটি লাগিয়ে রাখুন। এরপর পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। প্রতি ৪ দিনে ১ বার করে এই পেস্টটি চুলে লাগান। চুল প্রাকৃতিকভাবেই স্ট্রেইট হয়ে যাবে।

অলিভ ওয়েল ও ডিমের মিশ্রণ- 
মিশ্রণটি তৈরি করতে লাগবে ২ টি ডিম ও ২ চা চামচ অলিভ ওয়েল।
একটি বাটিতে ভালো করে ২ টি ডিম ফেটে নিন। এতে অলিভ ওয়েল ভালো করে মিশিয়ে রাখুন। চুলের জট ছাড়িয়ে নিন। একটি হেয়ার ব্রাশের সাহায্যে মিশ্রণটি চুলের সব দিকে ভালো মত লাগান। পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। এতে চুল স্ট্রেইট হবে এবং পাশাপাশি চুলের উজ্জলতাও বাড়বে।

শুক্রবার, ৯ মার্চ, ২০১৮

প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের গর্ত নির্মূল করুন

০১. ভিটামিন ই তেলঃ
ব্রনের গর্তের দাগ সারানোর জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকর সমাধান হচ্ছে ভিটামিন ই তেল। এটি ব্রণের গর্তে যাদুর মত কাজ করে। প্রতিদিন অল্প পরিমাণে ভিটামিন ই তেলের ব্যবহারে আপনার মুখমন্ডল হয়ে উঠবে দাগহীন,উজ্জ্বল। এটি ব্রণের কালো দাগ সারাতেও সাহায্য করে। ভিটামিন ই তেল বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। আর না পেলে ভিটামিন ই ক্যাপসুল ব্যবহার করুন। প্রথমে সমস্ত মুখ মন্ডল তেল মুক্ত ফেস ওয়াস দিয়ে পরিষ্কার করে নিন । আরপর একটা পরিষ্কার পিন বা সূঁচ এর সাহায্যে ক্যাপসুলটি ফুটো করে তেল নিঃসরন করুন।  তারপর পরিষ্কার হাত দিয়ে মুখে লাগিয়ে নিন। খুব বেশি তৈলাক্ত ত্বক হলে লাগানোর আধ ঘণ্টা পর টিস্যু পেপার দিয়ে অতিরিক্ত তেল চেপে চেপে তুলে নিন। নয়ত সারা রাত লাগিয়ে রাখতে পারেন। সমস্যা খুব বেশি না হলে সপ্তাহে ২-৩ বার এভাবে করুন।

০২. লেবুঃ
লেবু সাইট্রিক এসিদের খুব ভাল উৎস। সাইট্রাস এসিড স্কার সারাতে অনবদ্য। কয়েক গ্লাস লেবুর শরবত পান করলে তার সাইট্রিক উপাদান আপনার দেহের ভেতর থেকে মরা কোষ সারিয়ে ত্বকের রঙ হালকা করতে সাহায্য করে। একটি মাঝারি আকারের লেবুর রস সমপরিমাণ পানির সাথে মিশিয়ে মুখে ঘষুনএতে গর্তের দাগ হালকা হবে। সময়ের সাথে সাথে আপনি পাবেন দাগ মুক্ত ত্বক।

০৩. অ্যালোভেরা জেলঃ
অ্যালোভেরা জেল প্রকৃতির আশীর্বাদ স্বরূপ। এই একটা উপাদান ত্বকের নানা রকম সমস্যা থেকে মু্ক্তি দেয়। টাটকা অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করুন । এখন বিভিন্ন সুপার শপ গুলোতে অ্যালোভেরা পাওয়া যায়। সেখান থেকে কাঁচা অ্যালোভেরা কিনে জেল বের করে নিতে হবে। বাইরে থেকে কিনতে না চাইলে নিজের টবেও লাগাতে পারেন  অ্যালোভেরা। প্রথমেই একটি আস্ত অ্যালোভেরা নিয়ে সেটিকে ছুঁরির সাহায্যে যে কোন এক দিক থেকে কাটুন। কাটলেই দেখবেন ভেতরে স্বচছ্ব  জ়েলীর মত উপাদান, এটি ব্যবহার করুন। দিনে যতবার ইচ্ছা ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনাকে দেবে বিরক্তিকর ব্রণের গর্তের দাগ থেকে মুক্তি।

০৪. টমেটোঃ
টমেটোতে আছে ভিটামিন এ; যা সেবামের অতিরিক্ত ক্রীয়া বন্ধ করতে সক্রিয় ভূ্মিকা রাখে এবং ব্রণ ও ব্রণের দাগ দুটোই সারিয়ে তোলে। তাছাড়া এতে আছে প্রচুর পরিমাণে এন্টি-অক্সিডেন্ট, যা ত্বকের ক্ষয়-ক্ষতি সারিয়ে তুলতেও সাহায্য করে। মাঝারি আকারের টাটকা  টমেটো নিন। একে সমান ২ ভাগে ভাগ করুন। এবার দুই গালে প্রথমে ঘড়ির কাঁটার দিকে এবং তারপর ঘড়ির কাঁটার বিপরীত দিকে ম্যাসাজ করুন। এতে যেমন গর্তের দাগ হালকা হবে, তদুপুরি রোদে পোড়া ভাব-ও কমবে। তাছাড়া এটি অনেক ভালো মেক-আপ রিমুভারের কাজ-ও করে থাকে ।

০৫. অলিভ ওয়েলঃ
অলিভ ওয়েল একটি জাদুকরী উপাদান। এটি শুধু খাদ্যদ্রব্যই সুস্বাদু করে না, এটি ত্বক পরিচর্যায় ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এক্সট্রা ভারজিন অলিভ ওয়েল দ্রুত ব্রনের গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অলিভ ওয়েলের ময়েশ্চারাইজিং গুণাগুণের কারণে এটি দ্রুত ত্বকের সাথে মিশে যায় এবং গর্ত সারাতে সাহায্য করে। অল্প পরিমাণে অলিভ ওয়েল নিয়ে মুখ মন্ডলে মালিশ করুন এবং ভালো ফল পেতে ঘুমুতে যাওয়ার আগে ব্যবহার করুন ।

০৬. মধুঃ
মধু একটি পরিচিত প্রাকৃতিক প্রসাধনী। প্রাচীন কাল থেকেই রূপচর্চার জন্য মধুর ব্যবহার প্রচলিত। মধুর মিষ্টতা খাবার হিসাবেও খুব ভালো। ফ্যাট কম থাকায় এটি আপনাকে ফিট থাকতে যেমন সাহায্য করে তেমনি নিয়মিত ব্যবহারে সারিয়ে তোলে ব্রণের গর্তের দাগ।

০৭. বরফ কুচিঃ
বরফ কুচির ব্যবহারে ব্রণের গর্ত হালকা হওয়াটা অনেকটা পরীক্ষীত। অনেকেই আছে ঘরে বসে স্কার সারানোর জন্য বরফ কুচি ব্যবহার করে থাকেন। পাতলা কাপড় বা তুলোতে একটা বরফের টু্করো নিয়ে গর্তের জায়গায় ১৫-২০ মিনিট ঘষে লাগান। এতে ত্বকে আরামদায়ক অনুভুতির পাশাপাশি সারিয়ে দেবে গর্তের দাগ।

০৮. ফেস প্যাকঃ
ব্রণের গর্ত সারাতে আপনার ফেস প্যাকে মেশান বেসন, টকদই ও শশার রস। এটি আপনার ত্বককে রাখবে দাগহীন, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত।
ব্রণ ও ব্রণের গর্ত সারাতে সবার আগে খেয়াল রাখতে হবে খাওয়া দাওয়া এবং জীবন যাত্রা যেন সুস্থ ও পরিকল্পিত হয়। সঠিক ঘুম, খাওয়া  ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই পারে ব্রণ মুক্ত রাখতে। এতে ত্বকের অন্য্যন্য সমস্যা থেকেও পরিত্রাণ মেলে।

মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮

মুখের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়

    • পেঁয়াজ :
      পেঁয়াজের কথা শুনে অবাক হচ্ছেন? এখনি জেনে নিন, বয়স জনিত কালো ছোপ দূর করতে পেঁয়াজ দারুণ কার্যকরী। একটা স্লাইস নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ঘষুন ৫ মিনিট। তারপর ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফল পেতে রোজ ব্যবহার করুন।
    • লেবু :
      লেবু ত্বকের কালো দাগ ছোপ দূর করতে অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। তুলোর সাথে লেবুর রস নিন, তারপর কালো দাগে ৫ মিনিট ঘষে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি সপ্তাহে ৩/৪ বার ব্যবহারে উপকার পাবেন। তবে মুখে বা শরীরের কোথাও লেবু লাগাবার পর সরাসরি সূর্যের আলোতে যাবেন ন্রিতি
  • পেঁপে :
    পাকা পেঁপে কালো দাগ দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ আরেকটি উপাদান।পাকা এক টুকরো পেঁপে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভালো করে ঘষুন। আধা ঘণ্টা রাখুন, তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে ৩/৪ বার করুন। পেঁপেতে থাকা প্যাপিন মরা কোষ দূর করে ত্বকের রঙ উজ্জ্বল করে তোলে।

  • অ্যালোভেরা :
    কেবল ব্রণ কমাতেই নয়, ত্বকের কালো দাগছোপ দূর করতেও অ্যালোভেরা অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপাদান। অ্যালোভেরা জেল বের করে আক্রান্ত স্থানে মাখুন আলতো হাতে। এমন ভাবে ম্যাসাজ করুন যেন অ্যালোভেরা জেল ত্বক একদম শুষে নেয়। ঘণ্টা খানেক ত্বকে রাখার পর ধুয়ে ফেলতে পারেন।

  • কলা ও লেবুর মাস্ক :
    পাকা কলা ও লেবু মিশিয়ে (একটা কলা ও একটা লেবু অনুপাতে) মসৃণ পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্ট মুখে, গলায়, হাতে, পায়ে যে কোন জায়গায় ব্যবহার করতে পারেন। রোজ লাগান কালো দাগে, ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। দারুণ কাজে দেবে।

শনিবার, ৩ মার্চ, ২০১৮

ঝলমলে সুন্দর চুল পেতে শ্যাম্পুর করার আগে যা করবেন

১। চুল ধোয়ার আগে বা আগের রাতে মাথায় তেল দিন। কোন সাধারণ তেল নয়। চেষ্টা করুন দুই প্রকার তেল মিশিয়ে দেওয়ার। ক্যাস্টর অয়েল, অলিভ অয়েল বা বাদাম তেল মিশিয়ে নিন। চাইলে এর সাথে ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিতে পারেন।

২। এবার এই তেলটি তালুতে ভালভাবে ম্যাসাজ করুন। কমপক্ষে ২০ মিনিট ম্যাসাজ করুন।

৩। এরপর আপনি চাইলে হট টাওয়েল ট্রিটমেন্ট করতে পারেন। একটি টাওয়েল গরম পানিতে ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মাথা পেঁচিয়ে রাখুন ৩০ মিনিট। তারপর শ্যাম্পু করে ফেলুন।

৪। কখনও গরম পানি দিয়ে চুল ধোবেন না। গরম পানি আপনার চুলকে রুক্ষ করে তুলবে।

৫। চুলে প্যাক ব্যবহার করুন। ২টি পাকা কলা, ২ টেবিল চামচ ম্যায়নিজ, এবং ১ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল দিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। ঘন্টাখানেক এই প্যাকটি চুলে রাখুন। তারপর চুল ধুয়ে ফেলুন। কলা ও মধু চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে করে তুলবে সিল্কি।

৬। টক দই এবং ডিমের প্যাক ও ব্যবহার করতে পারেন। এটি আপনার চুলকে কোমল  করে তোলার পাশাপাশি খুশকিও দূর করে দিবে।

৭। শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনার ব্যবহার করতে ভুলবেন না। আপনি চাইলে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারও ব্যবহার করতে পারেন। চায়ের লিকার এবং লেবুর রস এক্ষেত্রে ভাল কাজে দিবে।

৮। চুল ধোয়ার পর টাওয়েল দিয়ে জোরে জোরে ঘষবেন না। এটি আপনার চুলের গোড়া দুর্বল করে দেয়। টাওয়াল দিয়ে হালকা চাপ দিয়ে চুল থেকে পানি মুছে নিবেন।