রবিবার, ২৯ আগস্ট, ২০২১

জেনে নিন সানস্ক্রিন বিষয়ে খুঁটিনাটি

সঠিক সানস্ক্রিন কিনছেন তো?

--------দিনের বেলায় সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনী রশ্মি (Ultraviolet Ray) ত্বকের অনেক বেশি ক্ষতিসাধন করে যা অল্প বয়সে রিংকেল হওয়া থেকে শুরু করে অতিরিক্ত ফাইন লাইন, ত্বকে পোড়া দাগ ফেলা এমনকি ত্বকের ক্যান্সার পর্যন্ত হতে পারে। তাই রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে প্রয়োজন সানস্ক্রিন। তবে সানস্ক্রিন কতটা রোদ থেকে রক্ষা করবে তা মাপা হয় SPF ( Sun Protection Factor) দেখে। আমাদের দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা জায়গাভেদে ৩২ থেকে ৪২ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত হয়ে থাকে। তাই সানস্ক্রিন কিনতে গেলে দেখে নেবেন তা যেন অন্তত SPF 30হয়। তবে অনেক সময় দেখা যায় কিছু কিছু সানস্ক্রিনের ক্ষেত্রে SPF 30 থাকে কিন্তু ব্যবহারের পর দেখা যায় যে তা অতটা কাভারেজ দিচ্ছে না। তাই যদি পূর্ণভাবে আশ্বস্ত হতে চান তাহলে আরো বেশি SPF যুক্ত সানস্ক্রিন কিনতে পারেন। তবে তা যেন SPF 50 এর বেশি না হয়।

কখন লাগাবেন?

----------যখনই বাইরে যাবেন সে যত অল্প সময়ের জন্যই যান না কেন অবশ্যই সানস্ক্রিন লাগিয়ে যাবেন। যদি দিন মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবুও সানস্ক্রিন লাগাতে ভুল করবেন না।আবার সানস্ক্রিন লাগানোর সাথে সাথেই বেরিয়ে পড়বেন না। লাগানোর পর সানস্ক্রিনে থাকা উপাদানগুলো পুরোপুরি কার্যকরী হতে কিছু সময় লাগে। তাই বাইরে যাবার অন্তত ২০-৩০ মিনিট আগে সানস্ক্রিন লাগিয়ে তারপর বের হবেন।এছাড়া SPF ভেদে প্রতি ৩-৫ ঘন্টা পরপর পুনরায় লাগাবেন।

কতটুকু সানস্ক্রিন লাগাবেন?

----------অনেকে মনে করেন ময়েশ্চারাইজিং ক্রীম যতটুকু লাগান ততটুকু সানস্ক্রিন লাগালেই হবে। এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন স্বাভাবিক উচ্চতার(গড়) মানুষের পুরো শরীরকে রোদ প্রতিরোধক করার জন্য অন্তত ১ আউন্স বা দুই টেবিল চামচ সানস্ক্রিনের প্রয়োজন হয় যা মূলত আমরা ময়েশ্চারাইজেশনের জন্য যতটুকু ক্রীম লাগাই তার প্রায় দ্বিগুণ।

যতটা সম্ভব ছায়ায় থাকুন-

--------ত্বকের পোড়া দাগ কিংবা ত্বকের ক্যান্সার থেকে বাঁচার সবচেয়ে সহজ উপায় হচ্ছে রোদ থেকে দূরে থাকা। সানস্ক্রিন লাগিয়েছেন বলেই যে রোদে ইচ্ছেমত ঘুরে বেড়াতে পারবেন এমনটি ভাবা ভুল। বিশেষ করে ১০ থেকে ৩ টা পর্যন্ত রোদের তাপ অনেক বেশি প্রখর থাকে। তাই এ সময়ে যতটা সম্ভব রোদ থেকে দূরে থাকুন। প্রয়োজনে স্কার্ফ কিংবা ছাতা ব্যবহার করতে পারেন।
এই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললে খুব সহজেই রোদের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আপনারা আপনাদের ত্বককে রক্ষা করতে পারবেন এবং আপনার কোমল ত্বককে আরো উজ্জ্বল ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারবেন। তাই আপনার রেগুলার বিউটি রুটিনে সানস্ক্রিন রাখতে ভুল করবেন না।

শনিবার, ২৮ আগস্ট, ২০২১

রোদে ত্বকের যত্নে যা করণীয়


এই রোদে ত্বকের যত্নে করণীয় কী হতে পারে তাই নিয়ে আলোচনা করা হলো :

ফেসওয়াশঃ গরমের দিনে ত্বকের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে বেশি যত্নশীল হতে হয়। এজন্য আপনি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিন-সমৃদ্ধ সাবান অথবা ক্লিনজার বা ফেসওয়াশ। তবে গরমে সবচেয়ে ভালো হচ্ছে ময়েশ্চারাইজিং ক্লিনজার। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীদের গরমকালে কষ্ট হয় বেশি।  তেলগ্রন্থিগুলো এ সময় সক্রিয় হয়ে উঠার কারণে তেল বের হয় বেশি  তারা মেডিকেটেড ফেইস ওয়াশ ব্যবহার করলে ভালো ফল পেতে পারেন।

সানস্ক্রিন : গরমের দিনে সবচেয়ে প্রয়োজন হচ্ছে সানস্ক্রিন। রোদ থেকে রক্ষা পেতে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন, বিশেষ করে চোখের নীচের নমনীয় ত্বকের জন্য মেডিকেটেড সানস্ক্রিন এবং তৈলাক্ত ত্বকের জন্য তেলবিহীন সানস্ক্রিনই ব্যবহার করতে হবে। রোদে বাইরে বের হলে অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখবেন তাতে যেন সান প্রোটেকশন ফ্যাক্টর এসপিএফ অন্তত ১৫ হয়। ওয়াটার প্রুফ সানস্ক্রিনও ব্যবহার করতে পারেন।

ক্রিম : শুষ্ক ত্বকের খসখসে ভাব দূর করার জন্য এবং বলিরেখা পড়ার হাত থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য সবসময় ক্রিম ব্যবহার করা উচিত। অবশ্য ক্রিমের বদলে বেবি লোশনও ব্যবহার করতে পারেন। তবে গরমের দিনে ক্রিম হতে হবে তেলবিহীন। নতুবা ক্রিমের অতিরিক্ত তেল গরমে আরো বেশি সমস্যা তৈরি করবে।

এছাড়া গরমে আরো যা যা করতে হবে :
১. গরমে ঘর থেকে বের হওয়ার সময় অবশ্যই সানস্ক্রিন লোশন ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সঙ্গে সানগ্লাস ও ছাতা নিতে ভুলবেন না।

২. শুধু বাহ্যিক যত্ন করলেই হবে না, প্রয়োজন অভ্যন্তরীণ যত্নেরও। গরমে সুস্থ থাকতে প্রচুর শাক-সবজি, ফলমূল এবং কমপক্ষে ১০-১২ গ্লাস পানি পান করতে হবে।

৩. এ সময়ে আমাদের পরিপাকতন্ত্র দুর্বল থাকে, এ জন্য গুরুপাক খাবার এড়িয়ে চলুন। টক, ভাজাপোড়া এবং খুব বেশি গরম খাবার খাবেন না।

৪. রোদে বের হবার আগে সানগ্লাস নিতে ভুলবেন না যেন। সানগ্লাস আপনার চোখকে রোদ থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি আপনার মধ্যে একটা স্মার্ট লুক নিয়ে আসবে।

৫. বাইরে যেহেতু ঘন ঘন মুখ ধোয়া সম্ভব নয় তাই সঙ্গে ফেসিয়াল টিস্যু রাখতে পারেন। কাজের ফাঁকে ফেসিয়াল টিস্যু দিয়ে মুখ মুছে নিলে নিজেকে অনেক ফ্রেশ ও সতেজ মনে হবে।

৬. গরমে লেবুর শরবত হতে পারে আপনার স্বাস্থ্যের জন্য এক চমৎকার পানীয়। শরবতে একটু লবণ ও চিনি মিশিয়ে নিন। চিনি শক্তি জোগাবে, আর লবণ পূরণ করবে আপনার শরীর থেকে ঘামের সাথে বেরিয়ে যাওয়া লবণের অভাবটুকু। লেবুতে থাকে ভিটামিন সি। এই গরমে ভিটামিন সি ফিরিয়ে দেবে আপনার লাবণ্যতা।

৭. গরমের করুন অবস্থা থেকে মুক্তির জন্য প্রয়োজন আপনার অভ্যাসের পরিবর্তন। নিজেকে বদলে ফেলুন। ত্বকের প্রতি দৃষ্টি দিন। সামান্য কিছু সতর্কতা আপনার ত্বককে করবে আরও বেশি আকর্ষণীয়।

বুধবার, ২৫ আগস্ট, ২০২১

সদ্যযাত শিশুর যত্ন


শিশু পরিচর্যার বিষয়টি প্রতিটি মায়ের তার জীবনের এক উল্লেখযোগ্য বিষয় হয়ে চিহ্নিত হয়ে থাকে । কারণ প্রত্যেক মা – ই চান একান্তভাবে তার শিশুকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে ।আর সদ্যজাত শিশুর বেলায় তো আরও বাড়তি যত্ন নিবার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয় ।

সদ্যজাত শিশু বলতে শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে চার সপ্তাহ বা এক মাস বয়সের শিশুকেই সাধারণতঃ বুঝায় । আর সদ্যজাত শিশুর যত্ন বলতে শিশুর ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর শিশুর নাড়ী কাটার বিষয়টি খুব গুরুত্বসহকারে নেওয়া উচিত ।হাসপাতালে শিশু ভুমিষ্ঠ হলে সাধারণতঃ অসুবিধা হবার কথা নয় । কারণ সেখানে শিশুর নাড়ী কাটার জন্য ছুরি ,কাঁচি ,ফোরসেপ ,ইত্যাদি পানিতে ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করবার পর ব্যবহার করা হয় । তবে ,গ্রামে ,গন্জে অশিক্ষিত দাই এর কবলে পড়ে সঠিকভাবে জীবানুমুক্ত না করে,ছুরি বা ব্লেড দিয়ে শিশুর নাড়ী কাটলে অথবা নাভীর গোড়ায় অপরিষ্কার কাপড় বা অন্যকিছু ব্যবহার করলে শিশুর ধনুষ্টংকার রোগের সম্ভাবনা থাকে । তাই যেখানেই শিশু ভুমিষ্ঠ হোক না কেন নাড়ী কাটবার জন্য প্রয়োজনীয় ছুরি ব্লেড সূতা ইত্যাদি পরিষ্কার পানিতে আধঘন্টা ফুটিয়ে জীবানুমুক্ত করে তারপর ব্যবহার করা উচিত । এরপর শিশুকে ত্বড়িৎ গতিতে তার শরীরটা মুছে নিয়ে নরম ও মোটা কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে এবং পরিষ্কার কাপড় অথবা তুলা দিয়ে শিশুর নাকের ও মুখের ভিতর থেকে পানি মুছে ফেলতে হবে ।

শিশু মাতৃগর্ভে একরকম পানির ভিতর থাকে ,যাকে Amniotic fluid বলে । তাই শিশু ভুমিষ্ঠ হবার পর ঐ পানি নাক ও মুখ দিয়ে ফুসফুস ও পেটের ভিতর চলে যাবার সম্ভাবনা থাকে । আর যদি ফুসফুসে বেশী পানি চলে যায় ,তবে শিশু শ্বাস নিতে পারেনা ।তাই শিশুর শরীর নীল হয়ে যেতে থাকে এবং অনেক সময় শিশুর মৃত্যুও হয়ে যেতে পারে । এরপর শিশুর নাড়ী কটবার পর মাথা নিচের দিকে করে ,পা দুটি উপর দিকে তুলে ধরে পিঠে এবং পায়ের পাতায় আস্তে আস্তে চাপড় দিতে হয়।এতে করে শিশুর নাক ও মুখ দিয়ে পানি পড়ে যেতে সাহায্য হয় এবং শিশু হঠাৎ করে কেঁদে ওঠে অর্থাৎ সে শ্বাস নিতে শুরু করে এবং পৃথিবীকে তার আগমনবার্তা জানিয়ে দেয় । মায়ের পেটের ভেতর থেকে বাইরের পৃথিবীর সংস্পর্শে শিশু একটি সম্পূর্ণ অন্য পরিবেশের মধ্যে এসে পড়ে । সুতরাং প্রথমেই বাইরের পরিবেশের কথা ভাবতে হবে ,যেমন যদি শীতকাল হয় তবে যথাসম্ভব গরম কাপড় দিয়ে শিশুকে জড়িয়ে রাখতে হবে যেন ঠান্ডা না লাগে ।তাই বলে দিনের বেলায় ঘরবাড়ী বন্ধ রেখে অন্ধকার অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করা ঠিক নয় ।

এরপর বলা যায়,শিশুর পোশাকের কথা ।সদ্যজাত শিশুর জামাকাপড় অবশ্যই সূতিকাপড় এবং সেইসাথে যথাসম্ভব নরম ও পাতলা হওয়া উচিত । বিশেষ করে যে কাপড়টি শিশুর শরীরের সঙ্গে লেগে থাকে ।এর উপর প্রয়োজন বোধে শীতকালে গরম কাপড় পরাতে হবে ।এবং জামায় বোতাম বা এই জাতীয় শক্ত জিনিষ লাগান উচিত নয় ,কারণ এতে করে শিশুর শরীরে আঘাত লাগতে পারে । এছাড়া নতুন জামা না পরিয়ে,সেগুলো ধোয়ার পর নরম করে তবে পরতে দেওয়া ঊচিৎ ।আর synthetic কাপড়ের তৈরী জামা পরতে দেওয়া ঠিকক নয় ।কারণ সদ্যজাত শিশুর শরীরের চামড়া খুব স্পর্শকাতর হয়ে থাকে।আর তাই synthetic সংস্পর্শে এলে শিশুর শরীরের চামড়ার ক্ষতি হতে পারে ।এবং নানারকম উপসর্গ দেখা দিতে পারে । তবে সুতি কাপড় পরলেও এমনিতেই অনেকসময় শিশু জন্মাবার কয়েকদিন পর শরীরে লাল লাল একরকম দানার মতন দেখা দিয়ে থাকে । কয়েকদিন পর এমনিতেই সাধারণতঃ সেরে যায় । তবে ভাল হতে যদি দেরী হয় তবে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ।

এরপর আসা যাক – ,সদ্যজাত শিশুর খাবার ব্যাপারে ।একথা আজ প্রায় সকলেরই জানা হয়ে গেছে যে ,মায়ের বুকের দুধই শিশুর জন্য সর্বোৎকৃষ্ট খাবার ।এর কোনবিকল্প নেই। শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর প্রথম খাবারই হতে হবে মায়ের বুকের দুধ । এতে করে মায়ের ও শিশুর মধ্যে এক নিবিড় সম্পর্ক গড়ে ওঠে । এছাড়া মায়ের বুকের প্রথম দুধ যেটাকে শাল দুধ বলে ,এবংএই দুধ একটু ঘন এবং কিছুটাহলুদ বর্ণের হয় । অনেকে এটা খারাপ দুধ ভেবে ফেলে দেয় । অবশ্য বর্তমানে এই ধারণার পরিবর্তন ঘটেছে অনেকটাই ।এই দুধের ভিতরই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক গুন বেশী থাকে । অতএব কোন অবস্থাতেই এই শাল দুধ ফেলে দেওয়া উচিত নয় । এছাড়া শিশুকে খাওয়াবারও একটা নিয়ম আছে । শিশুকে শুইয়ে অথব কোলে নিয়ে দুধ খায়াবার পর কাত করে কিছুক্ষণ মায়ের বুকে চেপে রাখলে অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাবে শিশুটি ঢেঁকুর তুলেছে অর্থাৎ পেটেরগ্যাস বেরিয়ে গেছে । এরপরই শিশু বেশ আরাম বোধ করে । সদ্যজাত শিশুকে সাধারণতঃ দুই থেকে তিন ঘন্টা অন্তর খেতে দেওয়া উচিত । এবং দুধ খাবার মঝখানে ফুটান পানি ঠান্ডা করে খাওয়াতে হবে । তাহলে শিশুর পেটে গ্যাস হবেনা। পায়খানা ভাল হবে এবং শিশু পেটের ব্যাথায় কষ্ট পাবেনা ।অনেক সময় মায়েরা বুঝতে পারেননা ,শিশু কেন কাঁদছে । সাধারণতঃ পেটে গ্যাস হবার দরুণ পেটে ব্যাথা হয় এবং শিশু কান্নাকাটি করে ।এমনটি হলে শিশুকে বেশী বেশী ফুটান পানি পান করান উচিত ।

অনেক সময় মায়ের বুকেরদুধ অপর্যাপ্ত মনে হওয়ায় গুড়ো দুধ বোতলে ভরে খাওয়াবার ব্যাবস্থা করেন ।এটা মোটেই ঠিক ক নয় । শিশু ভুমিষ্ঠ হওয়ার পর মায়ের বুকে দুধ আসা একটি প্রাকৃতিক নিয়ম । সুতরাং মায়ের বুকের দুধ কম বেশী হতেই পারে । কিন্তু তাবলে মা কে হাল ছেড়ে দিলে চলবেনা ।মা কেই চেষ্টা করতে হবে বুকের দুধের পরিমান বাড়াবার জন্য । কারণ শিশুর জন্য বুকের দুধের বিকল্প কিছু নেই । শিশুকে ঘন ঘন স্তন চুষতে দিলে মায়ের বুকে যথেষ্ট দুধ তৈরী হয় । এজন্য দিনে রাতে যখন শিশু যখন চাইবে তখনই তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে এবং শিশুকে অন্য খাবার দেওয়া যাবেনা । যে মা বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়ান, তার প্রচুর খাবার ও বিশ্রাম দরকার । তাহলে মায়ের শরীরও ভাল থাকবে এবংবুকের দুধও বাড়বে । এজন্যে মায়ের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমানে দুধ থাকতে হবে । সাথে ডিম মাছ,মাংস , সবজি ইত্যাদি থাকতে হবে । তবে যদি কোন কারণে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়ান সম্ভব না ই হয় ,তবে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে । ডাক্তার যদি গরুর দুধ বা গুড়ো দুধ খওয়াতে বলেন,তবে দুধ খাওয়ার বোতল বা বাটি ভাল করে পানিতে ফুটিয়ে ,জীবানুমুক্ত করে তবে খাওয়াতে হবে । তবে গুড়ো দুধ পরিহার করাই ভাল । কারণ এই দুধ ভেজাল হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী । এছাড়া মায়ের বুকের দুধের মত সহজপাচ্য নয় এবং শিশুরউপযোগী প্রয়োজনীয় উপাদানও এতে থাকেনা ।

সদ্যজাত শিশুর থাকবার থাকবার ঘরের বিষয়েও ভাববার প্রয়োজন আছে । শিশুকে সব সময় ঘরের মধ্যে বন্দ করে রাখাও ঠিকক নয় এবং যে ঘরে প্রচুর আলোবাতাস খেলা করে এবং শিশু হাত পা ছুড়ে খেলা করতে পারে এমন ঘরে তাকে রাখা উচিত । শীতকাল হলে যাতে করে শিশুর ঠান্ডা না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আর যদি খুব গরম পড়ে তবে শিশুকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করে,গায়ের ঘাম মুছে,পাউডার লাগিয়ে পাতলা সুতি কাপড় পরিয়ে রাখা উচিত। এতে করে শিশু বেশ আরাম বোধ করে।

আর একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল শিশুকে সাবধানতার সাথে গোসল করানো । কারণ সাবধান হয়ে গোসল না করালে কানে পানি যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে আর কানে পানি গেলেinfection হয়ে কানপাকা রোগ হয়ে যেতে পারে । এরপর যদি সময়মত চিকিৎসা না করা হয় তবে কানের পর্দা ফুটো হয়ে গিয়ে শিশু চিরকালের জন্য বধির হয়ে যায় । অর্থাৎ কানে কম শোনে । অতি সামান্য কারণে অর্থাৎ গোসল করার ত্রুটির কারণে শিশুর জীবনের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ।

সবশেষে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে,বাড়ীতে যদি কোন ছোঁয়াচে অসুখ কারও হয়ে থাকে যেমন হাম, চিকেন পক্স,হেপাটাইটিস,ইত্যাদি,তাহলে রোগী যে ঘরে থাকে সেঘর থেকে শিশুকে দূরের একটি ঘরে রাখতে হবে এবং কোন ক্রমেই যেন শিশু তার সংস্পর্শে না আসে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে । আর সেইসাথে আর একটি কথাও মনে রাখতে হবে যে শিশুরজন্মের পর থেকে ছয় সপ্তাহ বয়সের সময়ের মধ্যে শিশুকে ডিপথেরিয়া,ধনুষ্টংকার ,পোলিও,হুপিংকাশী ও যক্ষা রোগের টিকা দিয়ে দিতে হবে । এইভাবে সঠিক সময়ে টিকাা দিয়ে দিলে শিশুর ঐসব রোগের ভয় থাকেনা । আর যেহেতু সদ্যজাত শিশুর, বড়দের চেয়ে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা কম থাকে ,সে কারণে শিশু কোন রোগে আক্রান্ত হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন ।

এভাবে সদ্যজাত শিশুকে যত্ন,পরিচর্যা আর রোগের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখলে সে শিশু সুস্থ ও সবল হয়ে বেড়ে ওঠে ।


সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

চটজলদি কমিয়ে ফেলুন মুখের বাড়তি চর্বি

মুখে চর্বি জমেছে? মুখ ফোলা লাগছে? নিজেকে আয়নায় দেখতে অসহ্য লাগছে? চিন্তার কিছু নেই। কয়েকটি সহজ কাজে আপনি মুখের চর্বিকে কমিয়ে ফেলতে পারেন। যা আপনাকে করতে পারে আরও আকর্ষণীয়। আসুন জেনে নিই মুখে জমে থাকা চর্বি দূর করার উপায়।

পর্যাপ্ত পানি পান করুন:
পর্যাপ্ত পানি পান করার মাধ্যমে একজন মানুষের শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের হয়ে যায়। শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে তার প্রভাব মানুষের মুখের ত্বকেও পড়ে। অনেক ক্ষেত্রে মুখ ফুলে যেতে পারে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৬৪ আউন্স পানি পান করুন। বেশি পানি পান আপনার ক্ষুধা কমাতেও সহায়ক ভূমিকা রাখবে।

ফ্যাট জাতীয় খাবার কম গ্রহণ করুন:
যথাসম্ভব কম ফ্যাটযুক্ত খাবার গ্রহণ করুন। ঘুমানোর ঠিক আগে খাওয়ার অভ্যাস ত্যাগ করুন। এছাড়া সোডা, বিভিন্ন ধরনের ডেজার্ট গ্রহণ থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকুন। সোডিয়াম গ্রহণের পরিমাণও ধীরে ধীরে হ্রাস করতে হবে। অতিরিক্ত লবণ আপনার মুখকে ফুলিয়ে দিতে পারে। এছাড়া অতিরিক্ত লবণ শরীরের জন্যও খুব ক্ষতিকর।

শরীর চর্চার একটি রুটিন করে নিন:
আপনি যদি শরীরের ওজন কমাতে সক্ষম হন, তবে তা আপনার মুখের চর্বি কমাতেও সাহায্য করবে। ডাক্তাররা প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট কার্ডিওভাস্কুলার শরীর চর্চার উপর বেশি জোর দেন। এর মধ্যে রয়েছে জগিং, সাইক্লিং, সাঁতার ইত্যাদি। যখন এসব কাজের মাধ্যমে আপনার ওজন কমিয়ে ফেলবেন তখন আপনার গাল, চিবুকও স্লিম হয়ে উঠবে।

মুখের বিভিন্ন ব্যায়াম করুন:
কিছু মুখের ব্যায়াম আপনার মুখের অতিরিক্ত ফ্যাটকে ঝরিয়ে দিতে সাহায্য করে। যেমন কয়েক সেকেন্ডের জন্য দাঁতে দাঁত চেপে হাসুন। চোখ কুঁচকানো বা সরু করা থেকে বিরত থাকুন। আপনার ঠোঁট কুঞ্চিত করুন এবং ব্যায়ামটি চালিয়ে যান।
আবার গাল ফুলানোর কিছু চর্চাও করতে পারেন। প্রথমে লম্বা একটা শ্বাস নিন এবং বাতাস সহকারে আপনার গাল ফুলিয়ে নিন। পাঁচ সেকেন্ড বাতাস ধরে রাখুন। এরপর বাতাস ডান দিকের গালের দিকে নিয়ে যান। এর পাঁচ সেকেন্ড পর বাম দিকের গালের দিকে নিয়ে যান। এরপর পুরো বাতাস ছেড়ে দিন। এবারে বারবার করতে থাকুন।

পর্যাপ্ত ঘুমান:
একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের রাতে কমপক্ষে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত। এর কম হলে আপনার মুখে এর ছাপ পড়তে পারে। ক্লান্তিতে আপনার মুখ স্ফীত হয়ে যেতে পারে। তাই পর্যাপ্ত ঘুমানোর কোন বিকল্প নেই।

মেকাপ ব্যবহারে হোন সচেতন:
চিবুকে এবং গালের নিচের দিকে কিছুটা গাঢ় শেডের মেকাপ নিন। এটা আপনার মুখকে চিকন দেখাবে।
তবে মনে রাখবেন অতিরিক্ত মেকাপ মুখের চেহারা বিশ্রি করে দিতে পারে।

চুলের স্টাইল পরিবর্তন করুন:
চুলের ভুল স্টাইলের কারণে বৃত্তাকার মুখ আরও বেশি গোল লাগতে পারে। কোন হেয়ার স্পেশালিষ্টের সাথে আপনার চুলের স্টাইল নিয়ে কথা বলতে পারেন। এমন কোন স্টাইল বেছে নিন যা আপনার মুখকে চিকন দেখাবে এবং চিবুক এবং গাল থেকে অন্যের মনযোগ সরিয়ে দেবে।

শনিবার, ২১ আগস্ট, ২০২১

মহিলাদের দুশ্চিন্তা ও স্ট্রেস দূর করার ঘরোয়া উপায়

মূল দরজা রাখুন খোলামেলা
দরজা দিয়ে ঘরে ঢুকেই যদি দেখেন সেখানে রাজ্যের আবর্জনা, এলোমেলো হয়ে থাকা জুতো-স্যান্ডেল, তাহলে মনটা ভালো থাকবে কী করে? এই জায়গাটা রাখুন খোলামেলা, গোছানো। এছাড়া, দরজাটাকে মেরামত করে রাখুন, যেন দরজা খুলতে বা বন্ধ করতে সমস্যা না হয়, কবজায় ক্যাঁচকোঁচ শব্দ না করে। আর ফেং শুই অনুযায়ী যেহেতু সদর দরজাকে পানির সাথে তুলনা করা হয়, তাই ডোরম্যাট রাখুন নীল।

ঘরে রাখুন গাছপালা
নতুন সূচনা, পরিবার এবং সম্পর্ক ভালো রাখতে সাহায্য করে গাছপালা। এ কারণে জীবন্ত গাছপালা রাখুন ঘরে, প্লাস্টিকের নয়। ছোট ছোট টবে গাছ, ফুল রাখতে পারেন সারা ঘরে ছড়িয়ে।

রান্নাঘরের প্রতি মনোযোগ দিন
রান্নাঘরটাকে সাজানোর ক্ষেত্রে অনেকেই মনোযোগ দেন না। কিন্তু ফেং শুই অনুযায়ী, রান্নাঘরে বেশী লাল, নীল অথবা কালো রং থাকলে ঝগড়ার সুত্রপাত হতে পারে। এছাড়া, বেসিন এবং চুলা একে অপরের মুখোমুখি থাকলেও ঝগড়া, কথা কাটাকাটি হতে পারে। এসব এড়িয়ে চলার জন্য রান্নাঘরে বেশী করে সবুজ রাখুন। ছুরি বাইরে ফেলে রাখবেন না। বন্ধ একটা কাপবোর্ডে রাখুন।

রান্নাঘরে রাখুন এক বাটি কমলা ও লবংগ
কমলা মন ও মেজাজ ভালো রাখে, আর লবঙ্গ ভারসাম্য বজায় রাখে।

বসার ঘরে নিজের ইচ্ছের প্রতিফলন
খাবার ঘরের মত বসার ঘরটাও হালকা, শান্তিময় কিছু রং ব্যবহার করে সাজান। সোফার পিঠে হেলান দেবার জায়গাটা যেন দেয়ালের সাথে লেগে থাকে তা নিশ্চিৎ করুন। পরিবারের একটি ছবি দেয়ালে রাখতে পারেন।
খাবার ঘরে প্রশান্তি বজায় রাখুন

ডাইনিং রুম হলো পারিবারিক সম্প্রীতি গড়ে তোলা ও ধরে রাখার জায়গা। আপনি যদি একা বাস করে, তাহলে সেই জায়গায় বসে আপনি মনোযোগ দিয়ে খাওয়াদাওয়া করছেন। এই ঘরটাকে হালকা রঙে সাজান যাতে প্রশান্তির অনুভূতি পাওয়া যায়। গোল বা ডিম্বাকার টেবিল ব্যবহার করুন। চৌকো বা লম্বাটে টেবিল হলে এর কিনারাগুলো টেবিল ক্লথ দিয়ে ঢেকে দিন। ফেং শুই মতে আয়না ইতিবাচক শক্তি এনে দেয়, তাই জায়গা থাকলে এই ঘরে আয়না রাখুন। এর পাশাপাশি, এক পাত্র পানিতে চারটি বাঁশের টুকরো রাখতে পারেন এই ঘরে।

শোবার ঘরে ভারসাম্য বজায় রাখুন
শোবার ঘরে ইলেক্ট্রিকাল আইটেম কম রাখুন। বিছানার যে অবশ্যই একটি হেডবোর্ড থাকে এবং তা যেন দেয়ালের সাথে লাগানো থাকে তা নিশ্চিন্ত করুন। বেডসাইড টেবিল বিছানার দুইপাশে রাখুন, জোড়া ভাংবেন না। সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় রাখার চেষ্টা করুন।

নিজের ইচ্ছের প্রতি মনোযোগ দিন
ইচ্ছেশক্তির ক্ষমতা বেশ বড়। তাই আপনি নিজের চিন্তা এবং কথার দিকে মনোযোগ দিন। জানালা খুলে দিন এবং ধূপ জ্বালান। এছাড়া নীল রঙের একটি জার্নালে নিজের ব্যাপারে ভালো কিছু লিখুন, যেমন “আমি সুস্থ থাকব,” “আমি সন্তানের সাথে ভালো আচরণ করব”।

পোশাকের রঙের ব্যাপারে সচেতন থাকুন
কী রঙের পোশাক কিনছেন এবং পরছেন তার ব্যাপারে চিন্তা করুন। শীতকালে লাল রং পরতে অনেকেই পছন্দ করেন। এর সাথে নীল এবং কালো রঙ মিলিয়ে পরুন।

অতিথি চলে যাবার পর
এই মৌসুমে ছুটিছাটা বা অন্যন্য উৎসবের কারণে অনেক সময়েই অতিথির আনাগোনা দেখা যায়। অতিথি চলে গেলে জানালা দরজা খুলে দিন এবং ধূপ বা আগরবাতি জ্বালান ঘরে। এতে সব স্ট্রেস দূর হবে সহজে।

শুক্রবার, ২০ আগস্ট, ২০২১

তৈলাক্ত ত্বকের জন্য কার্যকরী ৫টি ফেসপ্যাক

১। বেসন এবং হলুদের ফেসপ্যাক

দুই টেবিল চামচ বেসন, আধা চা চামচ হলুদের গুঁড়ো এবং কিছু পরিমাণ লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করে মুখ পরিষ্কার করে নিন। বেসন এবং হলুদ ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করবে।

২। মুলতানি মাটির ফেইস প্যাক

মুলতানি মাটি, গোলাপ জল এবং অল্প একটু লেবুর রস একসাথে মেশান। এবার এটি মুখে লাগিয়ে নিন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। মুলতানি মাটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শুষে নেয়। গোলাপ জল ত্বক ময়শ্চারাইজ করে এবং লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং হিসেবে কাজ করে থাকে।

৩। টমেটো এবং লেবুর রস

দুই টেবিল চামচ টমেটো রস এবং লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এটি মুখে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। ২০ মিনিট পর পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক স্কিন টোন ধরে রেখে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করবে।

৪। নিম ফেইস প্যাক

চারটি নিম পাতা কুচি করে সিদ্ধ করে বেটে নিন। এরপর এর সাথে এক চা চামচ গোলাপ জল বা লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। আপনার ত্বকে এই প্যাকটি ভাল করে লাগান। ১৫ মিনিট পর শুকিয়ে গেলে কসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ দূর করতে নিম অনেক কার্যকরী। এর অ্যান্টি ব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ব্রণ দূর করে ত্বক পরিষ্কার করে থাকে।

৫। কমলার খোসার ফেসপ্যাক

কমলার খোসা শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। এরসাথে পানি অথবা টকদই মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। কমলার এই প্যাকটি মুখ এবং ঘাড়ে ব্যবহার করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কমলার এই প্যাকটি ত্বকের অভ্যন্তরীণ ময়লা পরিষ্কার করে। এছাড়া এটি ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল দূর করে দেয়।

বৃহস্পতিবার, ১৯ আগস্ট, ২০২১

আইশ্যাডো ব্যবহারের ক্ষেত্রে সচেতনতা



১) আইশ্যাডো প্যালেটের ছোট্ট ব্রাশ দিয়ে ব্লেন্ড করা
আইশ্যাডো প্যালেট কিনলে তার সাথে ছোট্ট ব্রাশ পাওয়া যায়। এটি মূলত আইশ্যাডো লাগানোর ব্রাশ। অনেকে এই ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করার মতো ভুলটি করে থাকেন। এই কাজটি করবেন না। আইশ্যাডো ব্লেন্ডার ব্রাশ দিয়েই ব্লেন্ড করুন। এতে করে পারফেক্ট ভাবে ব্লেন্ড করতে পারবেন।

২) ভালো করে ব্লেন্ড না করা
আইশ্যাডো যদি ভালো করে ব্লেন্ড না কর হয় তাহলে তা চোখের পাতায় ভেসে থাকে যা দেখতে বেশ বিশ্রী দেখায়। বিশেষ করে যদি ২/৩ টি রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে ভালো করে ব্লেন্ড না করা হয় তাহলে তা আলাদা করে বোঝা যায় যা পুরো মেকআপ নষ্ট করে দেয়। সুতরাং আইশ্যাডো ব্লেন্ড করার ব্যাপারে সতর্ক থাকুন।

৩) আইশ্যাডো ব্যবহারের আগে কনসিলার লাগানো
অনেকেই ডিম আগে না মুরগী আগের মতো আইশ্যাডো আগে না কনসিলার আগে ব্যাপারটির মধ্যে গণ্ডগোল করে ফেলেন ফলে আইশ্যাডো সঠিকভাবে লাগানো হয় না। তাই মনে রাখুন, প্রথমে আইশ্যাডো লাগিয়ে ভালো করে ব্লেন্ড করে নিন এবং তার পর কনসিলার ব্যবহার করুন।

৪) চোখের নিচের পাতায় বেশি আইশ্যাডোর ব্যবহার
চোখের নিচের পাতায় অনেকেই বেশ গাঢ় করে এবং মোটা করে আইশ্যাডো ব্যবহার করেন যার ফলে আপনাকে অনেক ক্লান্ত দেখায়। চোখের নিচের পাতায় শুধুমাত্র চোখের পাপড়ির কোল ঘেঁষে হালকা করে আইশ্যাডো দিন।

৫) চোখের রঙের সাথে মিলিয়ে আইশ্যাডো দেয়া
অনেকেই পছন্দের রঙের লেন্স পড়ে লেন্সের রঙের সাথে মিলিয়ে চোখে আইশ্যাডো দিয়ে থাকেন যা সম্পূর্ণ ভুল। নিয়ম অনুযায়ী চোখের রঙের উল্টো রঙটিই আইশ্যাডো দেয়া উচিত নতুবা মেকআপ ভালো দেখাবে না।

সোমবার, ১৬ আগস্ট, ২০২১

খাঁটি নারকেল তেল তৈরির পদ্ধতি

চারিদিকে শুধু ভেজালের জয়জয়কার। খাঁটি পণ্য পাওয়ার কথা তো কেউ স্বপ্নেও ভাবে না। এই ভেজালের মেলায় অপেক্ষাকৃত কম ভেজালযুক্ত পণ্য কেনার প্রতিযোগিতায় মত্ত হয়ে আছে সবাই। আর নারকেল তেল ? খাঁটি নারকেল তেল চুলে ব্যবহার করা আর সোনার হরিণ পাওয়া যেন একই কথা।

উপকরণ
ঘরে বসে খাঁটি নারকেল তেল তৈরি করতে যা যা লাগবে-
  • দুটি নারকেল
  • একটি ছুড়ি
  • একটি ব্লেন্ডার বা নারকেল কোড়ানি
  • একটি রান্নার প্যান বা পাত্র
  • একটি ছাঁকনি

পদ্ধতি

আপাতদৃষ্টিতে নারকেল তেল তৈরি করা ঝামেলার মনে হলেও এটি আসলে খুব-ই সোজা।
  • প্রথমেই নারকেলটি কেটে বা ফাটিয়ে এর মধ্যে থেকে নারকেল বের করে নিন।
  • যদি ব্লেন্ডার ব্যবহার করতে চান তাহলে ছুড়ি দিয়ে ছোট ছোট পিস করে নারকেল গুলো বের করে নিন।
  • কোড়ানি ব্যবহার করলে ছুরি দিয়ে আলাদা করে কেটে বের করার প্রয়োজন নেই; সেক্ষেত্রে নারকেল কোড়ালেই হবে।
  • ছোট ছোট টুকরাগুলি ব্লেন্ডারে দিয়ে ব্লেন্ড করে পেস্ট তৈরি করুন।
  • ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করার সময় কিছুক্ষণ পর পর সামান্য পরিমাণে পানি দিন। এতে পেস্টটি নরম এবং মিহি হবে।
  • পেস্টটি তৈরি করার পর ভাল করে পিষে এর থেকে নারকেলের দুধ আলাদা করে নিন। নারকেলের দুধ আলাদা করলে নারকেলের চিটা থেকে যাবে। নারকেলের চিটা খাবার হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। চাইলে গাছের সার হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
  • এবার এই নারকেলের দুধটি একটি রান্নার পাত্রে রেখে গরম করতে থাকুন।
  • কিছুক্ষণ পরেই দেখতে পাবেন নারকেলের সাদা অংশের উপরে তেল আলাদা হতে শুরু করেছে।
  • নারকেলের অংশটুকু বাদামী রঙ ধারণ না করা পর্যন্ত অল্প আঁচে জ্বাল দিতে থাকুন।
  • নারকেলের অংশটুকু পুরোপুরি বাদামী রঙ ধারণ করলে বুঝবেন বিশুদ্ধ তেল সম্পূর্ণরূপে নিঃসৃত হয়েছে।
  • একটি ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে তেলটি আলাদা করে নিন।
  • এভাবে মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে আপনি পেয়ে যাবেন আপনার মনের মত বিশুদ্ধ নারকেল তেল ।

সতর্কতা

  • নারকেলের সাদা অংশ যেন পরিষ্কার থাকে। নারকেলে ময়লা বা ধুলা থেকে গেলে নারকেল তেল তার গুণগত মান হারায়।
  • নারকেলের দুধ বের করার সময় খেয়াল রাখবেন তার মধ্যে যেন নারকেলের টুকরা বা দানাদার অথবা কোড়ানো কোন অংশ থেকে না যায়। ভুলেও যদি এরকম কিছু থেকে যায় তাহলে জ্বাল দেয়ার সময় সেগুলো পুড়ে তেলের রঙ কালো করে ফেলবে।
  • মাঝারি বা অল্প আঁচে ধীরে ধীরে জ্বাল দেবেন। একটু পর পর চামচ দিয়ে নাড়বেন। খেয়াল রাখবেন যেন কোন ভাবেই পোড়া না লাগে। এক্ষেত্রে নন-স্টিকি ফ্রাই প্যান হলে ভাল হয়।

রবিবার, ১৫ আগস্ট, ২০২১

শিশুর জন্মের পর মায়ের চুলপড়া প্রতিরোধে করণীয়

নরমাল ডেলিভারি ও সিজারিয়ান কোনটিতে বেশি চুল পড়ে?

নরমাল ডেলিভারি একটি স্বাভাবিক ঘটনা। তাই হরমোনের মাত্রা কমে স্বাভাবিকভাবে আর সিজারিয়ান সেকশন অপারেশনের পর হরমোনের মাত্রা হঠাৎ করে কমে যায়। তাই সিজারের পর চুল পড়ার আশঙ্কা বেশি।
মায়ের ঘুম না হলেও চুল পড়ে। শিশুকে খাওয়ানোর জন্য রাতে বার বার মাকে উঠতে হয়, সারা দিন মাকে হিমশিম খেতে হয় শিশু সামলাতে, নিজের দিকে খেয়ালই রাখা যায় না। আমাদের দেশের বেশির ভাগ পরিবারেরই সদ্যপ্রসব করা নারীর তেমন খাওয়া-দাওয়াও হয় না। ফলে ঘুম হয় না। তখন চুল পড়ে।
এ চুল গজানোর জন্য ক্ষেত্রবিশেষে চিকিৎসক মাথায় স্টেরয়েড ড্রপ ম্যাসাজ করতে বলেন। তাতে খানিকটা কাজ হয়। তা ছাড়া মাথায় ভালোভাবে ম্যাসাজের জন্য রক্তসঞ্চালন বাড়ে, তাতে চুল গজায়।
সন্তান হওয়ার সাধারণত দুই থেকে তিন মাস পর্যন্ত চুল পড়ে। তবে ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া ও যত্ন পেলে এই চুল আবার স্বাভাবিকভাবে গজিয়ে যায়।

যত্নআত্তি

সন্তান গর্ভে থাকাকালীন এই যত্ন শুরু হওয়া দরকার। গর্ভাবস্থা ও বুকের দুধ খাওয়ানো—এই দুই অবস্থাতেই মেয়েদের স্বাভাবিক প্রয়োজনীয় ক্যালরির ওপরে আরো ৩০০ থেকে ৫০০ ক্যালোরি অতিরিক্ত প্রয়োজন হয়। তাই প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট—সবই ঠিকমতো খেতে হবে। একবারে না পারলে বার বার অল্প অল্প করে খাওয়া দরকার। ফল ও দুধ খেতে হবে পর্যাপ্ত। আমাদের দেশে সন্তান হওয়ার পর দুধ, সাগু খাওয়ার যে প্রথা প্রচলিত আছে তা ক্যালোরির জোগান দেয়।

খুব বেশি তেল-মশলা দেওয়া খাবার এবং অতিরিক্ত ভাজাপোড়া না খাওয়াই ভালো।

রক্তস্বল্পতা একটি বড় সমস্যা। আমাদের দেশের ৮০ শতাংশ মায়ের হিমোগ্লোবিন ১০ গ্রাম শতাংশের নিচে। এর চিকিৎসা অবশ্যই ডাক্তারের নির্দেশ অনুযায়ী করতে হবে। চিকিৎসা মানে ইচ্ছেমতো আয়রন বড়ি বা ক্যাপসুল খাওয়া নয়। কোন ওষুধ কার ক্ষেত্রে কার্যকর তা একমাত্র চিকিৎসকই বলতে পারবেন। এ ছাড়া দেওয়া হয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট।
দুপুরের দিকে শিশুকে দুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে যদি বাড়ির অন্য কোনো আত্মীয় বা পরিচারিকার কাছে রেখে মা নিজে অন্তত দু-তিন ঘণ্টা ঘুমিয়ে নিতে পারেন, তাহলে খুব ভালো হয়। দরকার হলে এ সময় শিশুকে খাওয়ানোর জন্য বুকের দুধ বের করে সঞ্চয় করে রেখে দেওয়া যেতে পারে।
সপ্তাহে দুদিন নন-মেডিকেটেড শ্যাম্পু দিয়ে মাথা ঘষে ফেলুন। রাতে শোয়ার আগে মাথায় লাইট হেয়ার অয়েল তুলোয় ভিজিয়ে নিয়ে ম্যাসাজ করুন অন্তত পাঁচ মিনিট।
সন্তান জন্মদানের পর মায়ের শরীর-স্বাস্থ্যের সঙ্গে চুল ও ত্বকের পূর্ণাঙ্গ পরিচর্যা খুবই দরকার। অনেক সময় সন্তান জন্মদানের পর মা তার স্বাভাবিক জৌলুস হারিয়ে ফেলেন। চুলের প্রকৃত যত্ন না নেওয়ার ফলে মায়ের মাথায় টাক পর্যন্ত দেখা যেতে পারে। তাই চুল পড়াকে অবহেলা না করে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন ও চিকিৎসা নিন।

শনিবার, ১৪ আগস্ট, ২০২১

হাতের আঙুলের গিঁটের কালো দাগ দূর করার উপায়

১। লেবু এবং চিনির স্ক্রাব

২ চা চামচ মধু, ১ চা চামচ লেবুর এবং ১ চা চামচ চিনি ভাল করে মিশিয়ে নিন। এবার এই মিশ্রণটি দিয়ে আঙ্গুলের গিঁটে ম্যাসাজ করে লাগান। এভাবে ১৫ মিনিট ম্যাসাজ করুন। লেবুর ব্লিচিং এজেন্ট কালচে দাগ দূর করে এবং মধুর প্রাকৃতিক ময়েসচারাইজার ত্বকের রুক্ষতা দূর করে মসৃণভাব ফুটিয়ে তোলে। যা আঙুলের গিঁটের কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

২। দুধের সর এবং হলুদের গুঁড়ো

১ চা চামচ দুধের সর এবং ১/২ চা চামচ হলুদের গুঁড়োর সাথে ২-৩ ফোঁটা বাদামের তেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার প্যাকটি আঙুলের গিঁটসহ কালো হয়ে যাওয়া ত্বকে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দ্রুত ফল পেতে এটি সপ্তাহে তিনবার ব্যবহার করুন।

৩। দুধ এবং ভিটামিন ই ক্যাপসুল

১ চা চামচ দুধ, দুধের সরের সাথে একটি ভিটামিন ই ক্যাপসুল মিশিয়ে নিন। এই পেস্টটি ত্বকে ম্যাসাজ করে ১০ মিনিট লাগিয়ে নিন। এটি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করতে পারেন।

৪। অলিভ অয়েল এবং চিনি

৩ টেবিল চামচ অলিভ অয়েল এবং ২ চা চামচ চিনি মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করে ফেলুন। এবার এটি হাতের গিঁটের কালো স্থানে ৫ মিনিট ধরে ম্যাসাজ করে লাগিয়ে নিন। ৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এরপর হালকা কোন ময়োশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।

বুধবার, ১১ আগস্ট, ২০২১

তিনটি উপাদান ব্যবহারে ত্বকের কালো দাগ দূর!!!!

ব্রণের কালো দাগ, রোদে পোড়া ত্বক কিংবা মেছতার কালো ছোপ ছোপ দাগ দূর করবে মাত্র তিনটি প্রাকৃতিক উপাদান—গ্রিন টি, চিনি ও ময়দা। এই উপাদানগুলো একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে স্ক্রাবিং করলে ত্বকের যেকোনো দাগই দূর হয়ে যাবে। কারণ, এতে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান, যা দাগ দূর করে ত্বককে উজ্জ্বল ও মসৃণ করে।




এই তিনটি উপাদান কতটুকু পরিমাণে এবং কীভাবে ব্যবহার করবেন, একনজরে চোখ বুলিয়ে নিন।

যা যা লাগবে

দুটি গ্রিন টি ব্যাগ, দুই টেবিল চামচ চিনি ও এক টেবিল চামচ ময়দা।

যেভাবে তৈরি করবেন

প্রথমে গরম পানির মধ্যে গ্রিন টি ব্যাগ দুটি ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। এবার পানি থেকে তুলে টি ব্যাগ দুটি কেটে এর পাতা বের করে নিন। কিছুক্ষণ ঠান্ডা করুন। ঠান্ডা হয়ে গেলে এর সঙ্গে চিনি ও ময়দা ভালো করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন।

যেভাবে ব্যবহার করবেন

প্যাকটি পুরো মুখে লাগিয়ে হালকাভাবে ৫ থেকে ১০ মিনিট ম্যাসাজ করুন। এবার ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর হালকা গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।

পরামর্শ

১. প্যাক দিয়ে স্ক্রাবিং করার সময় বেশি জোরে ঘষবেন না।
২. সপ্তাহে অন্তত দুদিন এই প্যাক দিয়ে স্ক্রাবিং করুন।
৩. স্ক্রাবিং করার পর অবশ্যই মুখে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন।

যেভাবে সাজাবেন আপনার প্রি-ব্রাইডাল প্যাকেজ

থ্রেডিং
ব্রাইডাল মেক-আপের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে চোখের সাজ আর চোখের সাজ সুন্দর আকর্ষণীয় একজোড়া ভ্রু ছাড়া অসম্ভব। পারফেক্ট শেপের এক জোড়া ভ্রু পালটে দিতে পারে আপনার পুরো চেহারাটাই। তাই ভালো কোন পার্লার থেকে থ্রেডিং করিয়ে নিন বিয়ের ৪-৫ দিন আগে। আপনার মুখ যদি লম্বা বা ডিম্বাকার হয় তবে রাউন্ড শেপ আর গোলাকার হলে ভি শেপের ভ্রু আপনাকে ভালো মানাবে। ভ্রু এর সাথে থ্রেডিং করে নিন আপার লিপ আর ফোরহেডও। ভ্রু যদি পাতলা ও অসমান হয় ২ – ১ মাস আগে থেকে নিয়মিত রাতে ক্যাস্টর ওয়েল মাখুন।

ওয়াক্সিং
সুন্দর মুখের সাথে প্রয়োজন সুন্দর লোমহীন হাত পাও। পার্লার থেকে অথবা বাড়িতেই করে নিন ওয়াক্সিং। আপনার বিয়ের দিনের ৭ দিন হাতে রেখেই ওয়াক্সিং করুন। কারণ ওয়াক্সিং এর পর অনেকেই হাত পায়ে র‌্যাশ ওঠে বা ফুলে যায়। ওয়াক্সিং পর হাত পায়ের বাড়তি যত্ন নিন।

– ওয়াক্সিং শেষে হাত পায়ে বরফ ঘষুন।
– ভালো মানের ময়েশ্চারাইজার লাগান।
– অ্যালোভেরা জেল /টি ট্রি অয়েল লাগাতে পারেন। এটি ত্বককে ঠান্ডা ও সতেজ রাখে, র‌্যাশ ওঠা প্রতিরোধ করে।

পার্লারে হাত ও পায়ের ওয়াক্সিং এ খরচ পড়তে পারে ৩০০-৫০০ টাকা।
বিয়ে একটি মেয়ের জীবনে নিয়ে আসে মনোঃদৈহিক নানা পরিবর্তন। এজন্য প্রয়োজন মানসিক ও শারীরিক প্রস্তুতি। ওয়াক্সিং করতে পারেন আপনার বিকিনি লাইন ও আন্ডার-আর্মও। কিন্তু বিকিনি লাইনের ওয়াক্সিং অত্যন্ত বেদনাদায়ক। বাড়িতে চেষ্টা না করাই ভালো। অনেক পার্লারে ওয়াক্সিং ছাড়াও বিকিনি লাইন ও আন্ডার-আর্মে থ্রেডিং এর ব্যবস্থা থাকে।

ফেসিয়াল
বিয়ের কনের থাকা চাই দাগমুক্ত, উজ্জ্বল, সুন্দর আর ঝলমলে ত্বক। সুন্দর কোমল ত্বকে মেক-আপ বসে ভালো আর সুন্দর দেখায়। এজন্য প্রয়োজন ত্বকের নিয়মিত যত্ন। বিয়ের অন্তত ৬ মাস আগে থেকেই নিয়মিত ফেসিয়াল করা উচিত। গোল্ড ফেসিয়াল, সিল্ভার, ডায়মন্ড বা পার্ল ফেসিয়াল বিয়ের কনের জন্য উপযুক্ত।পার্লার ভেদে এসব ফেসিয়ালে খরচ পড়বে ১০০০-২৫০০ টাকা। চাইলে বাড়িতেও করতে পারেন। নিউমার্কেট, গাউসিয়াতে গোন্ড, সিল্ভার ফেসিয়াল কিট কিনতে পাওয়া যায়।

মেনিকিউর-পেডিকিউর
সুন্দর কোমল হাত পায়ের জন্য চাই হাত-পায়ের নিয়মিত যত্ন। বিয়ের ৩ মাস আগে থেকেই মাসে ২ বার মেনিকিউর-পেডিকিউর করুন। হাত পায়ের যত্নে নিয়মিত মুলতানি মাটি ও হলুদের প্যাক ব্যবহার করুন। পার্লারে মেনিকিউর-পেডিকিউরে খরচ পড়বে ৭০০-১০০০ টাকা।

বডি পলিশিং
বিয়ের নানা রকম স্ট্রেস, শপিং আর হাজার কাজের চাপে প্রভাব পড়ে শরীরের ত্বকেও। তাই মুখের সাথে নিন শরীরের যত্নও। এজন্য করতে পারেন বডি পলিশিং। এটি দেহের মরা কোষ দূর করে ত্বক উজ্জ্বল ও কোমল করে। বডি পলিশিং বা বডি স্পা করতে খরচ পড়বে ১৫০০-২৫০০ টাকা।

চুলের যত্ন
বিয়ের সময় চুলের উপর দিয়ে যায় নানা রকম অত্যাচার। হেয়ার সেটিং স্প্রে, হিটিং, গ্লিটার, কালারিং এসবে চুল হয়ে পড়ে দূর্বল, প্রাণহীন। তাই আগে থেকে চুলের যত্ন নিয়ে চুলকে প্রস্তুত করে তুলুন। চুলের যত্নে করতে পারেন হেয়ার স্পা, ডিপ কন্ডিশনিং বা হেনা। চুলের ধরন ও দৈর্ঘ্যের উপর নির্ভর করে এই সেবা গুলোতে খরচ পড়বে ১০০০-১৫০০ টাকা।

পারসোনা, ওমেন্স ওয়ার্ল্ড, ড্রিমস, লা বেল, ফারজানা শাকিলস এসব নামকরা পার্লার গুলোতে বিভিন্ন প্রি-ব্রাইডাল প্যাকেজ অফার করে থাকে। খরচ পড়বে ১০০০০-১৫০০০ টাকা। আপনার পছন্দ অনুযায়ী যেকোনো পার্লার থেকে প্রি-ব্রাইডাল সেবা গুলো নিতে পারেন। বিবাহ পূর্বক সৌন্দর্য চর্চায় হয়ে উঠুন অনন্য।