সোমবার, ১৭ আগস্ট, ২০২০

শসার যেসব রেসিপি দ্রুত ওজন কমাবে

ওজন কমানোর জন্য কতরকম চেষ্টা। ব্যায়াম, হাঁটাহাঁটি, খাবারের তালিকায় কাটছাঁট! কিন্তু শসা নামক নিরীহ সবজিটি আপনার ওজন দ্রুত কমিয়ে দিতে পারে, তা কি জানা আছে? শসা শুধু আপনার ওজন কমাবে তাই নয়, সঙ্গে শরীরে পানির চাহিদা মেটাবে।

 শসায় মোটেই ফ্যাট নেই, আর ক্যালোরিও নামমাত্র। তাই এই খাবার সহজেই শরীরের ওজন কমিয়ে ফেলায় সহায়ক। এছাড়া শসাতে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও নানা খনিজ লবণ। শুধু শসা খেতে ভালো না লাগলে রয়েছে অন্য উপায়। চলুন জেনে নেয়া যাক-


শসার রায়তা বানানো যতটা সহজ, ততই সুস্বাদুও। গ্রেটারে শসা ঘষে নিন। এরপর তা টক দই, লবণ, জিরা গুঁড়া, ধনেপাতা, গোলমরিচ গুঁড়া দিন। সব মিশিয়ে নিলেই রায়তা তৈরি
ব্লেন্ডারে ছোট ছোট করে কাটা শসার টুকরো, পুদিনা পাতা, লেবুর রস, সবুজ আপেল দিয়ে স্মুদি তৈরি করে নিন। এরপর এতে বরফের টুকরা মেশান। ঠান্ডা শসার স্মুদিতে যেমন পুষ্টিগুণ পাবেন, তেমনই মেদ ঝরবে চটপট। এতে স্বাদ বাড়াতে ভাজা মশলার গুঁড়া বা গোলমরিচের গুঁড়া ছড়িয়ে দিন।

 স্মুদির মতোই বানিয়ে নিতে পারেন শসার শরবত। ধনে পাতা, আদা, শসার টুকরো, লেবুর রস দিয়ে বানিয়ে নিন শসার শরবত, আর প্রতিদিন খালি পেটে খান এটি, মেদ ঝরবে দ্রুত।
 গাজর, পেঁয়াজ, টম্যাটোর সঙ্গে শসা মিশিয়ে প্রায়ই আমরা সালাদ বানাই। এবার তাতে যোগ করুন একটু সিদ্ধ চিকেন। উপর থেকে ছড়িয়ে দিন কয়েকটি কাজু বাদাম আর লেবুর রস। ব্যস, দুপুরের খাবার তৈরি আপনার। আর এতেই কমবে ওজন।

সোমবার, ১০ আগস্ট, ২০২০

চুল পড়া নিয়ন্ত্রনে আনতে ৫ টি খাবার

১. বাদাম এবং বীজ

পেস্তা বাদাম, ফ্লাক্স সীড (শ্বেত বীজ), মেথি বীজ, আখরোট, তিল প্রভৃতিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা অ্যাসিড। যাতে রয়েছে এমন স্থিতিস্থাপক উপাদান যা চুলের ভেঙ্গে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
২০১৫ সালে জার্নাল অফ কসমেটিক ডারমাটোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যাদেরকে নিয়মিতভাবে ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার খাওয়ানো হয়েছে তাদের চুলপড়া ৯০% কমেছে। এছাড়া ৯০% রোগীরই মাথায় ফের শক্ত চুল গজিয়েছে। মেথি বীজ খুশকি দূর করতে এবং স্বাস্থ্যকর চুল গজানোতে সহায়ক।

২. ডাল

নানা ধরনের ডালবীজে থাকা ফলিক অ্যাসিড রক্তে লাল কোষ বৃদ্ধিতে সহায়ক। আর রক্তের লাল কোষ আমাদের মাথার ত্বক সজীব রাখে এবং চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় অক্সিজেন সরবরাহ করে।

৩.স্পিনাক

এই সবুজ এবং পাতাবহুল সবজিটি চুলের জন্য খুবই ভালো। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি এবং আয়রন। চুল পড়ার অন্যতম একটি কারণ আয়রণের ঘাটতি। স্পিনাকে সেবাম, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালিসিয়াম এবং পটাশিয়ামও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা চুলকে উজ্বল এবং শক্ত রাখতে সহায়ক।

৪. ডিম

ডিমে রয়েছে প্রচুর বায়োটিন এবং ভিটামিন ডি। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণ জিঙ্ক। চুলপড়া সংশ্লিষ্ট বেশিরভাগ গবেষণায়ই দেখা গেছে চুল পড়ার অন্যতম কারণগুলোর একটি জিঙ্কের ঘাটতি।

৫. চর্বিবহুল মাছ

স্যামন, টুনা, ম্যাকারেল জাতীয় মাছে থাকে প্রচুর পরিমাণ ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। মাথার ত্বকের কোনো ধরনের প্রদাহ হলে তা প্রতিরোধ করে চুল পড়া কমায় এই পুষ্টি উপাদান। আর তাছাড়া মাছে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ এবং প্রোটিন ও ম্যাগনেশিয়াম। এই পুষ্টি উপাদানগুলোও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
পেঁয়াজের রস মাথায় নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায় এবং জীবাণুমুক্ত রাখতে সাহায্য করে।

ব্যবহার পদ্ধতি

১টি বড় পেঁয়াজ ভালো করে পিষে ছাকনি দিয়ে ছেকে রস বের করে নিতে হবে। তারপর এই রস পুরো মাথার ত্বক ও চুলে লাগিয়ে একঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।

পেঁয়াজের গন্ধ বেশ তীব্র, যদি সহ্য না হয় তবে পেঁয়াজের রসের সঙ্গে গোলাপ জল মেশানো যেতে পারে। একঘণ্টা পর মাথা শ্যাম্পু দিয়ে ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
চুল পড়ার পরিমাণের উপর নির্ভর করে প্যাকটি সপ্তাহে দুইবার ব্যবহার করা যাবে।

মেহেদী, ডিমের সাদা অংশ ও টকদই :
মেহেদীর নির্যাস চুলের জন্য অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর, ডিম মাথার ত্বকে সঠিক পুষ্টি যোগাতে সহায়তা করে এবং চুলের ফলিকল মজবুত করে। টকদই চুল ও মাথার ত্বক ময়েসচারাইজ করে চুল পড়া Hair fall বন্ধে সহায়তা করে।
– মেহেদী পাতা বাটা বা গুঁড়ো চুলের ঘনত্ব ও লম্বা অনুযায়ী নিন, এতে মেশাম ১ টি ডিমের সাদা অংশ এবং ২-৩ টেবিল চামচ টকদই।
– যদি চুল অনেক শুষ্ক হয় তাহলে ভিটামিন ই ক্যাপস্যুল দিয়ে ভালো করে হেয়ার প্যাক তৈরি করে নিন।
– এই প্যাকটি চুলের গোঁড়া থেকে আগা পর্যন্ত ভালো করে লাগিয়ে নিন এবং প্রায় ২ ঘণ্টা এভাবেই রেখে দিন।
– এরপর সাধারণ ভাবে চুল ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। যদি প্রথম দিন চুল পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে ১ দিন এভাবেই রেখে তার পরের দিন শ্যাম্পু করতে পারেন তাহলে সব চাইতে ভালো ফলাফল পাবেন।
– এই পদ্ধতিটি সপ্তাহে মাত্র ১ বার ব্যবহার করলেই চুল পড়া অনেকাংশে কমে যাবে।

শনিবার, ৮ আগস্ট, ২০২০

গলা ব্যথা উপশমের কিছু কার্যকরী প্রাকৃতিক উপায়


শীতে একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে গলা ব্যথা ও গলা বসে যাওয়া। শীতকাল শুরু হলে হঠাৎ করেই আবহাওয়া পরিবর্তন হওয়াতে অনেকেরই এই সমস্যা হয়। এটি সাধারনত তাপমাত্রা কমে যাওয়া ও এক ধরনের ফ্লু ভাইরাসের আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে। আরো কিছু কারণে এই সমস্যা হতে পারে যেমন, এলার্জি জনিত কারণ, বায়ু দূষণ, শুষ্ক আবহাওয়া ও টনসিল জনিত সমস্যা ইত্যাদি। গলায় সমস্যা হলে কথা বলায় অসহ্য যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতিতে পড়তে হয় এবং অতিরিক্ত ব্যথা হলে গলা অনেক সময় ফুলেও যায়।
তাই শীতে বিশেষ করে শীতের শুরুতে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। তারপরেও সমস্যা হয়ে গেলে প্রাথমিকভাবে প্রাকৃতিক উপাদানের সাহায্যে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে।
গলা ব্যথা হলে কিছু পদ্ধতি অনুসরন করে এই ব্যথা থেকে উপশম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ১
উপাদেয় উপাদানঃ কিসমিস।
কিসমিস গলা ব্যথা উপশমে অত্যন্ত উপদেয় একটি উপাদান। ব্যথা কমে যাবার আগ পর্যন্ত এটি নিয়মিত খেলে গলা ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যায়।
  • পদ্ধতি ২
উপাদেয় উপাদানঃ আদা / আদার রস।
আদা / আদার রস গলার সমস্যায় অত্যন্ত কার্যকরী । আদা টুকরো করে অথবা আদার রস করে সেবনে গলার সমস্যা থেকে খুব সহজেই আরাম পাওয়া যায়।
  • পদ্ধতি ৩
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, চা-পাতি, আদা, তুলসি পাতা।
১ কাপ পরিষ্কার ফুটানো পানি পাত্রে নিয়ে এতে ১/২ চা চামচ টুকরো করা আদা, ১/২ চা চামচ চা-পাতি, ২-৩ টি তুলসি পাতা দিয়ে ৫-১০ মিনিট চুলায় গরম করতে হবে। ৫-১০ মিনিট পরে এটি নামিয়ে রেখে দিতে হবে। কিছুক্ষন পর যখন হালকা গরমে পরিণত হবে তখন পানি পান করে নিতে হবে। এটি পানে গলা ব্যথা থেকে আরাম পাওয়া যায়, তুলসি পাতায় ভেষজ গুণ রয়েছে যা গলা ব্যথা সারাতে অত্যন্ত কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৪
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, তুলসি পাতা, মধু।
১ গ্লাস পরিষ্কার পানিতে ৪/৫ টি তুলসি পাতা নিয়ে ৫ মিনিট ফুটাতে হবে। ফুটানো হয়ে গেলে এটি নামিয়ে ২ থেকে ৩ ফোঁটা মধু মিশিয়ে নিয়ে পান করে ফেলতে হবে। এটি গলা ব্যথা কমাতে বেশ কার্যকরী।
  • পদ্ধতি ৫
উপাদেয় উপাদানঃ পানি, মধু, লেবুর রস।
প্রথমে একটি লেবু নিয়ে তা থেকে লেবুর রস করে রাখতে হবে। প্রতিদিন সকালে ১ গ্লাস মৃদু গরম পানিতে ১ চা চামচ লেবুর রস ও ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে সকালের নাস্তার আগে খেতে হবে। প্রতিদিন এটি পান করলে গলা ব্যথা ও খুশখুশে কাশি সাড়াতে সাহায্য করে।
  • পদ্ধতি ৬
উপাদেয় উপাদানঃ গুড়, আদা।
গলা ব্যথা ও গলায় যাবতীয় সমস্যার উপক্রম দেখলেই একটি গুড়ের টুকরার সাথে ১ চা চামচ আদার রস/আদা টুকরা চিবিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এটি প্রতিদিন সকালে নাস্তার আগে খেতে হবে।
  • পদ্ধতি ৭
উপাদেয় উপাদানঃ মেথি গুঁড়া, পানি।
মেথি গুঁড়া করে নিয়ে পানিতে মিশিয়ে খেতে হবে।

বৃহস্পতিবার, ৬ আগস্ট, ২০২০

চর্বি কমানোর কার্যকর পরামর্শ

১. নিয়মিত হাঁটুন :
প্রতিদিন নিয়ম করে হাঁটুন। যে দূরত্বে হেঁটেই যেতে পারবেন সেখানে রিকশা করে যাবেন না। প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাঁটুন। প্রথম কিছুদিন ক্লান্ত লাগলেও কয়েক দিন পর এটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হবে।

২. ভাজা পোড়া কম খান :
ভাজা পোড়া জাতীয় খাবার কম খান। চেষ্টা করুন কম তেলে রান্না করা বা সেদ্ধ করা খাবার খেতে।
 


৩. ফাস্টফুড পরিহার করুন :
কোনভাবেই ফাস্টফুড খাবেন না। মেয়োনেজ, পনির, সস, তেল, মাখন এসব আপনার পেটে চর্বি জমতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখে।

৪. ঘুমানোর আগে হাঁটুন :
ভুঁড়ি হবার অন্যতম কারণ খাবার ঠিকভাবে হজম না হওয়া। ঘুমাবার অন্তত দুই ঘন্টা আগে রাতের খাবার খান এবং খেয়ে কিছুক্ষণ হাঁটুন। এতে খাবার ভালোভাবে হজম হবে। পেট বাড়বে না।

৫. সিঁড়ি ব্যবহার করুণ :
অফিস বা বাসায় যতটা সম্ভব লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। এটা পেটের জমে থাকা চর্বি অপসারণের খুব ভাল উপায়। এতে পেটের উপর চাপ পড়ে ও আস্তে আস্তে চর্বি কমতে থাকে।

৬. খাবার গ্রহণে নিয়ম মেনে চলুন :
দিনে তিন বেলা ভারী খাবার খাওয়ার চেয়ে ৫ বেলা কম করে খান। একেবারে না খেয়ে থাকা ঠিক নয়। ভাত খাবার চেয়ে ফল বা সবজি বেশি করে খান। পেট ভরবে কিন্তু ভুঁড়ি বাড়বে না।